প্রবন্ধ

সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো-মন্দ 

বীরেশ্বর  মাইতি

 প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার  পাশাপাশি  সোশ্যাল  মিডিয়া  নামক  একটি  নোতুন  জগতের  সাথে  আমাদের  পরিচিতি  ঘটেছে৷  একবিংশ  শতাব্দীর  সূচনা  লগ্ণ  থেকেই  সোশ্যাল মিডিয়ার পথ চলা  শুরু৷  বর্তমান সময়ে  এর  প্রভাব  ও বিস্তার  উপেক্ষা করার  মতো নয়৷ আট  থেকে  সোশ্যাল মিডিয়ায়  পথ চলা  শুরু৷ বর্তমান  সময়ে  সব বয়সের মানুষের কাছেই  সমাদর  লাভ করেছে ফেসবুক , হোয়াটস অ্যাপ, টুইট্যার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি ৷

ছিন্নভিন্ন  মানব সমাজকে  একসূত্রে  বাঁধতে  আজ একান্ত জরুরী আধ্যাত্মিক নবজাগরণ

প্রভাত খাঁ

যে যাই বলুক  ও চিন্তা  করুক যা বাস্তব  সত্য তা হলো মানুষ  সমাজবদ্ধ প্রাণী৷ এই কারণেই  প্রাচীন ভারতবর্ষের  সমাজবেত্তাগণ ‘সংগচ্ছধবং’ মন্ত্রকে  চলার পথে  ধ্রুবতারা বলেই  মান্যতা দিয়েছেন৷

প্রাউটের প্রকরণ ও প্রস্তাবনা

ড. দিলীপ হালদার, (অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়)

প্রোগ্রেসিব ইয়ূটিলাইজেশন্ থিওরি Progressive Utilization Theory) কথাটাকেই সংক্ষেপে প্রাউট(PROUT) বলা হয়৷ প্রাউট প্রভাতরঞ্জন সরকারের একটি মৌলিক আর্থ-সামাজিক তত্ত্ব৷ বাংলায় প্রাউটকে তিনি প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বলেছেন৷ এর উদ্দেশ্য হ’ল মানুষের জাগতিক দুঃখ-কষ্ট লাঘব করে পরমার্থ লাভের সন্ধান দেওয়া৷Progressive-এরPRO, Utilization-এরU ওTheory-রT এই তিনটি অংশ মিলে প্রাউট কথাটার সৃষ্টি৷ প্রতিটি অংশেরই আলাদা-আলাদা মানে আছে৷

বাঙলা  ভেঙ্গে  অসম

একর্ষি

অসম রাজ্যের  সিংহভাগ  বৃহত্তর  সাবেক বাঙলারই  খন্ডিত  অংশ৷  আজও  বাঙালীরাই  অসমের  সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী৷ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ  ও তার বাঁয়া  হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ  ইতিহাসকে  বিকৃত  করে ভুল তথ্য  দিয়ে বাঙলা  থেকে  কাটা অসমের  ভূমিপুত্র  বাঙালীদেরই  গায়ে  বিদেশী অনুপ্রবেশকারী  দখলদার  লেবেল  সেঁটে  দিয়েছে,  ডি-ভোটার বানিয়েছে৷  এন.আর.সি ইস্যু তৈরী  করে বাঙালীদের  রাতের ঘুম  কেড়ে  নিয়েছে৷ বিপন্নতা বাঙালীদের গ্রাস  করেছে৷ অনিশ্চিত  ভবিষ্যতের  আতঙ্কে চলছে  আত্মহত্যা, চলছে  খুন , ধর্ষণ,  অপহরণ,  ‘বাঙালী খেদানো’রহুমকি৷ জঙ্গী  অহোমরা  পাঁচ  নিরীহ নিরাপরাধ  অসহায়  বাঙালীকে  কুকুর -ছাগলের  মতো   গুলি  ক

প্রাউটের কৃষিনীতি

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

কৃষি অর্থনীতির ভিত্তি৷ কৃষি গোটা সমাজেরও ভিত্তি৷ একটা বহুতল বাড়ীর ভিত্তি যদি দুর্বল হয়, তাহলে তা ভেঙ্গে পড়ে৷ তেমনি কৃষি ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হলে সমগ্র সমাজের বির্পযয় দেখা দেবে৷ বর্তমানে ঠিক হচ্ছেও তাই৷ এ অবস্থায় উচিত কৃষিকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো৷ বলা হয়, That which is wrong in principle, must be wrong in detail.

মূলনীতিতে ত্রুটি থাকলে, সমস্ত ব্যবস্থাটাই ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যাবে ও পরিশেষে তা ধবংস ডেকে আনবে৷ তাই মূলনীতির দিকে আগে দৃষ্টি দেওয়া উচিত৷

‘ধর্ম’ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হোক

সত্যসাধন সরকার

বর্তমানে বিজেপি ও তার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ‘ধর্ম’কে মাধ্যম করে আপন আপন রাজনৈতিক ফায়দা তোলার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে৷ বিজেপি তো শুরু থেকে ধর্মের সেন্টিমেন্টকে প্রধান হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ময়দানে লড়াই করতে নেমে বর্তমানে কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করেছে৷ এখন সামনের ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনী যুদ্ধে জয়লাভের জন্যেও এখন অন্যান্য সমস্ত অস্ত্র ছেড়ে ধর্মকেই একমাত্র হাতিয়ার করে নিয়েছে৷ বিজেপি’র কাছে এখন বোধ হয় আর এমন কিছু ইস্যু নেই যাতে নিজেদের কৃতিত্ব বা সাফল্য দেখিয়ে জনগণের দরবারে পুনরায় বোট ভিক্ষা করে৷ ‘আচ্ছে দিন’ও এল না, সুইসব্যাঙ্ক থেকে কালো টাকাও ফেরানো গেল না, গরীব জনসাধারণের ব্যাঙ্ক একজোট ১

রামলীলা ময়দানে কর্ষক সমাবেশ ঐতিহাসিক ঃ তাদের দাবী --- রামমন্দির নয় কৃষিঋণ মুকুব চাই

মুশাফির

ভারত কৃষিপ্রধান দেশ৷ দীর্ঘ ৭১ বছরে এদেশের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি কৃষির উন্নতি কতটুকু করেছে? --- যার জন্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি গর্ববোধ করতে পারে? অদ্যাবধি উর্বর কৃষিজমির অধিকাংশ রাস্তা তৈরী করতে, শিল্প গড়তে ব্যবহার করেছে৷ বাড়ীঘর হয়েছে৷ ভূমি সংস্কার তেমন করেছে বলে মনে হয় না৷ চাষের উন্নতির জন্যে নূ্যনতম কাজগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার করেনি৷ অদ্যাবধি চাষাবাদের জন্যে যে জলটুকু প্রয়োজন তা অধিকাংশ চাষীই পায় না৷ আজও দেশের নদনদীগুলি, খাল-বিলের তেমন সংস্কার হয়নি৷ কিন্তু খরচ হয়েছে অনেক৷ গঙ্গা নাকি জাতীয় নদী?

শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক বিকাশ চাই

যোগাচার্য্য

স্বাস্থ্য বলতে সাধারণতঃ মানুষের ধারণা শরীরটা সুস্থ থাকা৷ না, শুধু শরীর সুস্থ থাকলেই তাকে স্বাস্থ্য বলা হয় না৷ ধরা যাক, একজন শারীরিক ভাবে সুস্থ কিন্তু প্রচণ্ড ধরণের মানসিক বিষাদে ভুগছে৷ তাকে কী করে সুস্থ বলতে পারি কিছুদিন পর মানসিক বিষাদ থেকে তার পরিপাক ক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দেবে, ও তারপর নানান দৈহিক রোগেরও শিকার হবে৷ তাই বলছি, কেবল শারীরিক সুস্থতাকে স্বাস্থ্য বলে না৷

বুদ্ধিজীবীদের ভাবনায় প্রাউট

একর্ষি

বর্তমানে সমগ্র বিশ্বই মন্দার শিকার৷ কম–বেশী সব দেশেই তার প্রভাব পড়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে সকল রোগের মকরধ্বজ রূপে প্রাউট বুদ্ধিজীবীদের আকর্ষণ করেছে৷ তাঁদের দৃষ্টিতে প্রাউটের অভিনবত্ব ও বিশেষত্ব নির্ণীত হয়েছে৷ অর্থনীতি সচেতন প্রতিটি মানুষই জানেন যে অর্থনীতি বিষয়টাই দাঁড়িয়ে আছে উৎপাদন–বণ্ঢন–ভো ব্যবস্থার ওপর৷ বুদ্ধিজীবীরা লক্ষ্য করেছেন প্রাউট অর্থনীতিতে গোটা ব্যবস্থাপনার নিয়ামক ও সঞ্চালক সমবায় পদ্ধতি৷ প্রাউটের সমবায় পদ্ধতি প্রথাগত সমবায় থেকে স্বতন্ত্র৷ তাঁরা বলেছেন, সমবায় প্রাউট অর্থনীতির একটি উল্লেখযোগ্য দিক৷ আরো লক্ষ্য করেছেন সমবায় অর্থনীতির মূল লক্ষ্য সর্বাধিক উপযোগ বা ভোগ ও সামূহিক কল্যাণ৷ অন্য

সমাজে নীতিবাদীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শোষণ মুক্তির নোতুন আদর্শ গ্রহণ করতে হবে

প্রভাত খাঁ

মানবজীবনে যদি আদর্শ না থাকে তাহলে জীবন সার্থক হতে পারে না৷ মানুষ মননশীল উন্নত প্রাণী বিশেষ৷ সাধারণ ভোগ লালসার শিকার হয়ে যদি মানুষ চলে তাহলে মনুষ্যত্ব বলতে আর আদর্শবান বলতে যা বোঝায় তার ত্রিসীমানায় থাকাটা সম্ভব নয়৷ তাই বলা হয় ‘হাই থিঙ্কিং প্লেইন লিভিং’ হ’ল সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার মহৎ উপায় বা পথ নির্দেশনা৷ ভারত তাই ঘোষণা করেছে সুপ্রাচীন কালে ‘ভূমৈব সুখং নাল্পং সুখমস্তি’৷ ‘ভূমাকে লাভ করাই সুখ, সেটা ব্যতীত সুখ লাভ সম্ভব নয়’৷ এই ভূমা কী?