প্রবন্ধ

সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে চাই সাংস্কৃতিক বিপ্লব

স্নেহময় দত্ত

ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় স্নেহ-প্রেম-দয়া-ভক্তি প্রভৃতি সৎ গুণাবলী একসময় ছিল মানুষের সহজাত৷ আর এই সহজাত সুবৃত্তিসমূহের ফলে মানবিক মূল্যবোধও ছিল অপরিসীম৷ সে সময় কত জ্ঞানীগুণী মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে, যারা নিজ নিজ ভাবনাচিন্তায় কর্মসাধনায় দেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবের শিখরে নিয়ে গেছেন৷ কেবলমাত্র বাঙলাতেই জন্ম নিয়েছিল শত শত মনীষী

বিজন সেতুতে আনন্দমার্গী–হত্যার অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী কান্তি গাঙ্গুলী

(গত ১৮ই এপ্রিল ‘খবর ৩৬৫ দিন’–এ প্রকাশিত পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদন)

‘‘পাপ ছাড়ে না বাপকে’’৷ বাঙলার বহু পুরোনো প্রবাদ৷ এবার সেই প্রবাদই সত্যি হতে চলেছে রাজ্য সিপিএমের নেতৃত্বের কাছে৷ আশির দশকের গোড়ায় করা নরহত্যার প্রায়শ্চিত্ত করার বাস্তব পরিস্থিতির সম্মুখে বঙ্গদেশের পক্ককেশী কমরেডরা ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল বিজন  সেতুতে যে ১৭ জন নিরপরাধ আনন্দমার্গীকে জীবন্ত দগ্ধ করে মেরেছিল তাঁরা৷ এবার সেই পাপ সুদেআসলে মেটান

শতাব্দীর পৈশাচিকতম ঘটনা

সত্যসন্ধ দেব

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল৷ তখন সবেমাত্র আকাশ আলো করে পূর্ব দিগন্তে উঁকি দিচ্ছে সূর্য, আনন্দমার্গের আসাযাওয়ার পথের ধারে ওৎ পেতে বসেছিল সিপিএমের হিংস্র হার্মাদ বাহিনী, ঠিক যেন হিংস্র হায়নার দল৷ আনন্দমার্গের বেশ কিছু সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনী কয়েকটি ট্যাক্সিতে করে হাওড়া থেকে তিলজলা আশ্রমে যাচ্ছিলেন৷ বণ্ডেল গেট ও বালিগঞ্জের বিজন সেতু দিয়েই তিলজলা আশ্রমে যাওয়ার রাস্তা৷ ওই এলাকায় যেই ট্যাক্সিগুলো পৌঁছলো অমন

বাঙলা তথা ভারতের সামনে সমূহ বিপদ: মোকাবিল করতে হবে কীভাবে?

আচার্য সর্বাত্মানন্দ অবধূত

গত ১লা বৈশাখ বাঙলা নববর্ষের দিনে শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকারের বাঙলা ও বাঙালীপুস্তকের বাঙলার নববর্ষপ্রবন্ধটি (৪ঠা এপ্রিল ১৯৮০ প্রদত্ত) পড়তে পড়তে এক জায়গায় চোখ আটকে গেল৷ অনেক মূল্যবান কথা বলার পর শেষের দিকে তিনি বলেছেন---‘‘আজ নতুন করে শপথ নিতে হবে---এই নতুন বছরটা তারা কীভাবে সফল করে তুলবে

দলাই লামার অরুণাচল সফর নিয়ে চীনের এত গোঁসা কিসের!

মুশাফির

তিববত চিরকালই একটি স্বাধীন দেশ৷ তিববতীরা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী ও শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী৷ চীন আগ্রাসী মানসিকতা নিয়ে তিববতকে জোর করে নিজেদের কব্জায় এনেছে৷ কমিউনিষ্টদের সর্বগ্রাসী ক্ষুধা একসময় এশিয়ার বিশেষ করে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও তিববতে সামরিক অভিযান চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে গ্রাস করে৷ ইউ এন ও-এর প্রতিবাদ ও পৃথিবীর অন্যান্য স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিবাদের কোনও ধারই ধারেনি৷ এই আগ্রাসী মানসিকতার আরম্ভ হয় সেই মাও সে তুংয়ের আমলে৷ বর্তমান জিং পিয়াংও সেই নীতি নিয়ে চলেছে৷ দলাই লামা প্রাণের দায়ে কিছু অনুগামী নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন৷ তিনি তিববতের প্রধান ধর্মগুরু৷ সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই দলাই লামাকে চীন মোটেই সহ্য করতে পার

নূতন বঙ্গাব্দের প্রত্যাশা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বিগত বছর নিয়েছে বিদায় চৈত্রের সাথে---
নবারুণ রাগে নব সাজে নববর্ষের আগমন, 
নব উদ্দীপনায় নব আনন্দে নূতন প্রভাতে 
নব অঙ্গীকারে সবে নূতন বছর করিছে বরণ৷

নির্বাচনে আসন-সংরক্ষণ

(নির্বাচনে) আসন-সংরক্ষণ বিধিটি যদিও গণতান্ত্রিক নিয়মবিরোধী তবুও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্যে সাময়িকভাবে আসন-সক্ষরক্ষণ ব্যবস্থা রাখলেও রাখা যেতে পারে৷ কিন্তু সাধারণতঃ দেখা যায় অনগ্রসর গোষ্ঠীদের প্রতিনিধিদের মধ্যে যোগ্যতা-সম্পন্ন ব্যষ্টি খুব কমই থাকে৷ তাই সংরক্ষিত আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কর্রার অধিকার কোনো গোষ্ঠী বিশেষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়৷ তবে ওই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের প্রাথমিক নির্বাচন কালে কেবল মাত্র যে জনগোষ্ঠীর জন্যে আসনটি সংরক্ষিত তাদেরই বোট দেবার অধিকার থাকবে৷ এইভাবে তাঁরা একটি আসনের জন্যে প্রাথমিক নির্বাচনে দু’জন ব্যষ্টিকে মনোনীত করতে পারেন, পরে সর্বসাধারণের বোটে ওই দু’জনের মধ্য

নিরপরাধ কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা পাকিস্তান সরকারের এক জঘন্য ষড়যন্ত্র

প্রভাত খাঁ

অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এক ষড়যন্ত্রে পাকিস্তানী সামরিক বিভাগ ভারতের প্রাক্তন নৌ-সেনা অফিসারকে মিথ্যা অভিযোগে সামরিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে৷ খোদ পাকিস্তানের এক রাজনৈতিক নেতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী বেনজির ভুট্টোর পুত্র বিলাবল ভুট্টো এই মৃতুদণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছেন৷ সমস্ত পাকিস্তানের মিডিয়া পাকিস্তানী সরকারকে সাবধান করেছেন৷ দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ডন পত্রিকা---প্রথম পৃষ্ঠায় সংবাদ প্রকাশ করে তারা নিজেদের মতামত ও পাকিস্তানের বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রকাশ করেছেন৷ তাঁদের মতে ভারত খুব সহজে এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না৷ পাকিস্তানের প্রাক্তন লেফটেন্যাণ্ট জেনারেল তালাত মাসুদ বলেন, ‘খুব একটা ভা

কৃষি জমির খাজনা মুকুব

সুশীল দেব

খড়্গপুরের এক প্রশাসনিক জনসভায় ৩রা এপ্রিল ২০১৭ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন এগ্রিকালচার ল্যাণ্ডে এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোনও খাজনা নেবেন না৷ এটা শুধু মেদিনীপুরে নয়, পশ্চিমবঙ্গের সব জেলার জন্যেই হ’ল৷ মুখ্যমন্ত্রীর এহেন পদক্ষেপকে সাধুবাদ না জানিয়ে পারা যায় না৷