প্রবন্ধ

দলতন্ত্রের আগ্রাসনে গণতন্ত্রের নাভিঃশ্বাস  

প্রভাত খাঁ

দলতন্ত্র আর গণতন্ত্র যে এক নয় সেটা যতদিন না দেশের নাগরিকগণ মন থেকে উপলব্ধি করছেন ততদিন গণতন্ত্রের মুক্তি নেই৷ বর্তমানে দলতন্ত্র এমন এক নির্লজ্জ স্থানে এসে হাজির হয়েছে যা বলার নয়৷ অত্যন্ত বেদনা ও দুঃখের কথা, এই দলতন্ত্র প্রয়োজনে নিছক দলীয় স্বার্থে সংবিধানকে পর্যন্ত অস্বীকার করে দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে পদদলিত করতেও ছাড়ে না৷ এর উদাহরণ তো স্বয়ং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেশে অভ্যন্তরীণ জরুরী অবস্থা জারী করে দেখিয়ে গেছেন৷ লোকসভাকে না জানিয়ে তিনি এ কাজ করেছিলেন৷

অতীতের মতো বাঙালী কবে  আত্মসচেতন হবে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

আমরা দেখে শিখি,  পড়ে শিখি, নয়তো ঠেকে শিখি৷  মানুষ হিসেবে জীবনের ছোট্ট পরিসরে  বিপুলা এই পৃথিবীর কতটুকুই বা  আমরা দেখতে পারি!

প্রাউটের স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মতে গোটা দেশের সর্বাত্মক সামাজিক–র্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে, সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরে শোষণের অবসান ঘটানোর জন্যে, চাই বিজ্ঞানভিত্তিক সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা৷ এ জন্যে প্রথমে গোটা দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলে •socio-economic unit— বিভক্ত করে প্রতিটি অঞ্চলকে স্বয়ং–সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে৷ প্রতিটি সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলে ওই এলাকার বিশেষ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে পৃথক পৃথক পরিকল্পনা রচনা করা বাঞ্ছনীয়৷ এই যে দেশকে প্রয়োজনমত একাধিক সামাজিক–র্থনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত করার কথা বলা হ’ল, তা করতে হবে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে–

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

 সৌমিত্র পাল

পূর্ব প্রকাশিতের পর

মনকে বিস্তৃত করবার পদ্ধতি Process of Extension of  Human Mind) ঃ- মানবদেহ  যেমন পাঞ্চভৌতিক উপাদানে (ক্ষিতি-অপ-তেজ-মরুৎ ব্যোম) সৃষ্ট, তেমনি মানবমনও পঞ্চকোষের  সমাহারে  গঠিত৷ মনের  পাঁচটি  কোষ হল যথাক্রমে ঃ

১. কামময় কোষ

২.মনোময় কোষ

৩. অতিমানস কোষ

৪.বিজ্ঞানময় কোষ

৫. হিরন্ময় কোষ

কলাফুলের  পাঁপড়িগুলি যেমন বিভিন্ন স্তরে  (বাইরের থেকে ভেতরের দিকে) বিন্যস্ত থাকে,

পরমারাধ্য ৰাৰার  মহাপ্রয়াণে প্রার্থনা জানাই তাঁর নব্যমানবতাবাদ  বিশ্বকে রক্ষা করুক

প্রভাত খাঁ

পৃথিবীর বুকে পরমারাধ্য ৰাৰা শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী (মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার) এসেছিলেন এমন সময়ে  যখন সারা পৃথিবীর  মানুষ তথা জীবজন্তুর বেঁচে থাকাটা সংকটের  মধ্য দিয়েই চলছিল৷ তাঁর আধ্যাত্মিকতা ভিত্তিক নব্যমানবতাবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে৷   নব্যমানবতাই হ’ল  বিশ্ব সংসারের সৃষ্টিকে রক্ষার ও তাদের সার্বিক  বিকাশের জন্য সুষ্টু পরিবেশ গড়ে  ওঠার চাবিকাঠি৷ সদবিপ্র সমাজের  আন্তরিক সেবা ও নিষ্ঠায় তা কেবলমাত্র সম্ভব৷ প্রগ্রতিশীল  উপযোগ তত্ত্ব অর্র্থৎ প্রাউট তত্ত্বই হল মহোষধি বিশেষ যা সমগ্র বিশ্বের জাতি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষকে  এক ছাতার  নীচে নিয়ে আসার  একমাত্র মহান পথ৷

বাংলা-বাঙালীকে ধবংস করার  সাম্রাজ্যবাদী কলা-কৌশল

একর্ষি

বাঙলার অতুল ঐশ্বর্য ও অফুরন্ত সম্পদ যুগে যুগে সাম্রাজ্যবাদীদের লোভের শিকার হয়েছে৷ বিদ্যায়, বুদ্ধিতে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে, সংসৃকতিতে, শিল্প-,সাহিত্যে, শৌর্য-বীর্যে বাঙালীর  অগ্রণী সত্তার জন্য অন্যদের মনে পরশ্রীকাতরতা থেকে বিদ্বেষ, ঈর্র্ষ থেকে প্রতিহিংসার  জন্ম নিয়েছে৷ তদুপরি বাঙালীর  আধিপত্যবাদ-বিরোধী জেহাদী মানসিকতা, তথা প্রতিবাদী চরিত্র, বিপ্লবী চেতনা ও আপোষহীন সংগ্রামের মানসিকতা সাম্রাজ্যবাদীদের  মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ তাই বাংলা-বাঙালীকে ধবংস করার প্রয়াস বহুদিনের৷ দেশী-বিদেশী সাম্রাজ্যবাদীদের চক্রান্তের শেষ নেই৷ সাম্রাজ্যবাদের নানারূপ-সামরিক সাম্রাজ্যবাদ, অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ, ভাষা-সাংসৃকতিক  সা

সংকীর্ণ দলবাজীর ঊধের্ব উঠে সর্বাত্মক শোষণমুক্তির আন্দোলন চাই

প্রভাত খাঁ

ইতিবৃত্তে উল্লেখ্য সেই ফ্রান্সের সম্রাট পঞ্চদশ লুই অত্যন্ত দুঃখের  সঙ্গে ঘোষনা করেছিলেন - ‘‘আমার পর মহাপ্লাবন৷’’

শারদোৎসব- দুর্গোৎসব-বিজয়োৎসব

একর্ষি

‘‘ যা অস্তিত্বকে উদ্বেল ও উচ্ছ্বসিত করে দিয়ে বাঁচার আনন্দে জীবনকে পূর্ণ করে তোলে তাকেই বলে উৎসব’’---শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তি৷

শারদোৎসব বা দুর্গোৎসব পূর্ণতা পায় বিজয়োৎসবে এই সমাসবদ্ধ পদটির অর্থ হল বিজয়সূচক যে উৎসব৷ পদে উৎসবেরই প্রাধান্য৷ এখন দেখা যাক এই উৎসব ব্যাপারটা কী৷ উৎসব শব্দটি ভাঙলে পাওয়া যায় উৎ-স+অল্৷ এই প্রত্যয় জাত প্রতিপাদিকটির মধ্যে ‘সু’ ধাতুর সঙ্গে ‘অল’ প্রত্যয়  লাগালে হয় ‘সব’৷ ‘সব’ এর অর্থ জন্মগ্রহণ করা৷ আর ‘উৎ’ মানে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠা৷ অর্র্থৎ মানুষ যখন নেচে নেচে প্রাণের উছ্বাস দিয়ে নোতুন জীবনের আস্বাদন গ্রহন করে তখন তাকে উৎসব বলে৷

ঝাড়ু হাতে অমিত-মোদী, আর বুলি তাঁদের বিবেক-রবি

 কৃষ্ণমোহন দেব

মোদীজী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হাতে ঝাড়ু নিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা দেখাচ্ছেন আর বলছেন যে স্বচ্ছ ভারত গড়ে তুলবে হবে৷ সেইসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ও তাঁর দলের সাঙ্গ-পাঙ্গগণও লেগে গেলেন ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে৷ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগী  মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার  পরও ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করা দেখাতে লাগলেন৷ মোদিজীর, অমিতজীর ও আদিত্যনাথজীর  ঝাড়ু হাতে ছবি মিডিয়া ও পত্রিকাগুলিতে  ফলাও করে প্রকাশ  হয়েছে৷ ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করার দ্বারা এঁরা নিজেদের জাহির করতে চেয়েছেন যে---আমাদের দেশ সেবার পরাকাষ্ঠা কতখানি৷ কিন্তু এর আগে অর্থাৎ দেশের প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপ

প্রাউটের ব্লক ভিত্তিক বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়নেই মানুষের হাতে আসবে পূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষমতা

মনোরঞ্জন বিশ্বাস

বিচিত্রতা প্রকৃতির প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য অথচ ওই বৈচিত্র্যের মধ্যেই এক সুনিবিড় ঐক্য বিরাজমান৷ বৈচিত্র্যময় প্রকৃতির ক্রোড়াশ্রিত মানুষের মন বড়ই বিচিত্র৷  চেহারা, গায়ের রং খাদ্য-পোশাকে-চলন-বলন-আচার-আচারণ সবকিছুতেই বৈচিত্র্য৷ আর এই মানুষের চরৈবেতি-প্রেষণা, তার আধারিত ভৌমিক সংরচনা আর এর সঙ্গে প্রতুলতা, স্বল্পতা, সামাজিক জীব হিসাবে সামাজিক দায়বদ্ধতা, বন্ধন, মনস্তাত্বিক  বিকাশের  ধারা সব মিলিয়ে চাওয়া-পাওয়া, চাওয়া-নাপাওয়া ইত্যাদি নিয়ে দ্বন্দ্বের শেষ নেই৷ আজকের সমগ্র পৃথিবীটাই নানা সমস্যায় জর্জরিত৷ আবার এই পরিবর্তনশীল জগতে  পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সমস্যা আসছে নব অভিনবরূপে৷  একটা সমস্যার সমাধান হল তো আর