প্রবন্ধ

রাজনৈতিক নেতাদের সংকীর্ণ মানসিকতা সম্বন্ধে এরাজ্যের জনগণ  সচেতন ও সজাগ থাকুন

প্রভাত খাঁ

আজকের প্রতিবেদনটি লিখতে বসে বার বার একটা কথাই আমার মনে উঠে আসছে তা হল আমাদের দেশের ঐক্য নিরাপত্তা  সাংবিধানিক সার্বভৌমিকতা ও আরো অনেক কিছুর  কি কোন মূল্য নেই নামকে ওয়াস্তে গণতান্ত্রিক দেশে জঘন্য নোংরা দলবাজি ব্যতীত এই পশ্চিমবাংলা ভারতে তার অস্তিত্ব কে টিকিয়ে রেখেছে অনেক কষ্ট করে ভয়ংকর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লড়াই করে৷  ভারতকেশরী মহান  নেতা মাননীয়  শ্যামাপ্রসাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যে পশ্চিম বাংলা আজ ভারতের অন্তর্গত৷ তা না হলে এই বৃহত্তর বাংলার সামান্য ক্ষুদ্রাংশ এই রাজ্যটি সাম্প্রদায়িকতার ঘৃতাহুতিতে কোথায় মিলিয়ে যেত৷ হতভাগ্য সমস্ত হিন্দুদের  বিশেষ করে  বাঙ্গালীদের উদ্বাস্তু হয়ে  জন্মভূ

শরতের নতুন আলোকে

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

নীলাকাশে ভেসে চলা ফালি ফালি মেঘের সারি, মাঝে মধ্যে এক পশলা বৃষ্টি, কখনো মেঘ রোদ্দুরের লুকোচুরি,বাতাসে শিউলির গন্ধ, মাঠে-ঘাটে কাশফুলের দোলা, গাছের পাতায়, ঘাসের ডগায় জমে থাকা শিশিরে নব রবিকিরণের হীরকদ্যুতি ঘোষণা করে প্রকৃতির র৷মঞ্চে নব শরতের উপস্থিতি৷ শরতের ছোঁয়ায় বাঙালীর মন হয় উদ্বেলিত, নব আনন্দে শিহরিত৷ বাঙলা ও বাঙালীর জীবনের সঙ্গে শরতের রয়েছে এক চিরায়ত অচ্ছেদ্য সম্পর্ক৷ এই শরতেই বাঙলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব শারদোৎসব পালিত হয়৷ দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির চরম পর্যায়ে হর্র্ষেৎফুল্ল বিস্ফোরণ ঘটে এই শারোদৎসবের দিনগুলিতে৷ আপামর বাঙালী মাতৃবন্দনার সাধ্যমত আয়োজন করতে নতুন উদ্যমে ও উন্মাদনায় মেতে ওঠে৷ বহু দিন

ভারতবর্ষে আর্থিক কেলেঙ্কারি বা ভ্রষ্টাচারের চাঞ্চল্যকর ঘটনাবলী

মনোজ সরকার

ট্রান্সপেরেন্সি ইণ্টারন্যাশানাল (Transperancy International)নামে একটি আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থা প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভ্রষ্টাচারের মাত্রা কতটা গভীর তার একটি তালিকা প্রস্তুত করে৷ প্রতিটি দেশের ভ্রষ্টাচারের অনীধাবনযোগ্য সূচকের(Corruption Perception Index) ভিত্তিতে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়৷ সরকারী ক্ষমতা অপব্যবহার করে ব্যষ্টিগত স্বার্থ হাসিল করাকেই সাধারণতঃ ভ্রষ্টাচার অনুধাবনযোগ্য সূচকের মাপকাঠি ধরা হয় এবং ভ্রষ্টাচারের মাত্রার আধিক্য অনুযায়ী তালিকার ক্রমাঙ্ক তৈরী করা হয়৷ অর্থাৎ যে দেশ সবচেয়ে কম ভ্রষ্টাচারী তার স্থান সবচেয়ে উপরে থাকে৷ বিশ্বের ১৭৬টি দেশকে নিয়ে ২০১৬ সালে যে তালিকা তৈরী

দুর্গাপূজা, কালীপূজা ও তন্ত্রসাধনা

আচার্য্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বর্ষার পর শরৎ আসে নীল আকাশে শাদা মেঘের ভেলায় চড়ে’–শেফালীর গন্ধে জগৎকে মাতিয়ে কমল–কুমুদের শোভা, নদীতীরে কাশের বনের হিন্দোল আমাদের প্রাণকে আনন্দে মাতিয়ে দেয়৷ ‘প্রভাত সঙ্গীতে’ শরতের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে–

‘‘শরৎ ওই আসে, ওই আসে, ওই আসে

শরৎ নাচের তালে তালে পা ফেলে’ ফেলে’

            মন্দাক্রান্তা ছন্দে ধরায় হাসে৷৷

শরৎ শুধু নয়, শেফালীর সুগন্ধেতে,

শরৎ শুধু নয় শাদা মেঘের ভেলাতে,

শরৎ প্রাণে আসে, শরৎ মনে আসে,

শরৎ ভুবনকে ভুলিয়ে মর্মে হাসে৷৷

শরৎ শুধু নয় বাতাবী নেবুর গন্ধে,

শরৎ শুধু নয়, কুশকাশের দোলার ছন্দে,

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

 সৌমিত্র পাল

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

এই সু-উচ্চ আধ্যাত্মিক স্তরে পৌঁছলে মানুষ সমগ্র সৃষ্টির মাঝে (জীবজগতের মাঝে) স্রষ্টা ব্রহ্মকেই দর্শন করে থাকেন৷ স্বামী বিবেকানন্দ তাই তো মন্তব্য করেছেন:

‘‘বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছো ঈশ্বর

জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর’’

কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামী ভারতপথিক রাজা রামমোহন রায়

প্রভাত খাঁ

এমন অনেক মহাপুরুষ এই মাটির পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁদের কীর্ত্তি অতুলনীয়৷ তেমনি একজন হলেন রাজা রামমোহন রায়৷ তিনি ১০ই মে ১৭৭৪ খ্রীষ্টাব্দে হুগলী জেলার খানাকুলের রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ আর মৃত্যুবরণ করেন ইংলণ্ডের ব্রিস্টলে ২৭শে সেপ্ঢেম্বর ১৮৩৩ খ্রীষ্টাব্দে৷ তিনি শিৰাবিদ ও সমাজ সংস্কারক ছিলেন৷ তিনি ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘ভারতপথিক’ সম্মানে ভূষিত করেন৷ তিনি বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন৷ ভারতের বুক থেকে জঘন্য ও নির্মম নারকীয় নিষ্ঠুর সতীদাহ প্রথা রদে একাই তীব্র লড়াই করে গেছেন৷ তাঁর সহায়তায় বড়লাট বেণ্টিঙ্ক ১৮২৯ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর আইন করে এই প্রথ

প্রায় সব খাদ্যদ্রব্যেই যে ভেজাল!

নিজস্ব প্রতিনিধি

উৎসবের বাজার--- কী খাবেন? প্রায় সব খাদ্যদ্রব্যেই  যে ভেজাল৷ বাজারে গেছেন৷  দেখছেন, বেশ টাটকা শাকসব্জি, সবুজ টাটকা চকচকে উচ্ছে পটোল৷ না, এগুলো টাটকা  শাকসবজীর  রং নয়৷ টাটকা দেখানোর  জন্যে ক্ষতিকারক সস্তা রং  মেশানো হয়েছে, যা মপেটে গেলে নানান্ ধরণের রোগ সৃষ্টি করে৷ ক্যানসারও হতে পারে৷

মানব মনের বিকাশ ঃ সমাজগুরুর দায়িত্ব

আচার্য্য ত্রিগুণাতীতানন্দ অবধূত

মনই হচ্ছে মানব জীবনের মূল সম্পদ৷ মনের সম্পূর্ণ বিকাশের  মধ্য দিয়ে একটি মানব শিশু তার মূল লক্ষ্যে অনেক উচ্চে উপনীত হ’তে পারে৷ তার সুপ্ত মনের কোণে আশা-আকাঙ্খা লুকিয়ে আছে৷ তারা চায়  নিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে৷ তা কি আজও তা সম্ভব? চারিদিকে যেন আজও প্রকৃতির নির্মম রূপ, ঝড়-ঝঞ্জা ও অগ্ণুৎপাত প্রতিটি মুহূর্ত তাদের ধবংস করার জন্যে প্রস্তুত৷ কী করে প্রতিষ্ঠিত হবে সেই মানব জীবন? তাদের মনেও তো রয়েছে মহামানবের স্বপ্ণ৷ হবে কি সেই স্বপ্ণ পূরণ? কে দেবে তাদের অনুকূল পরিবেশ?

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

সৌমিত্র পাল

পূর্ব প্রকাশিতের পর

ধর্ম ও ধর্মমত :

বিশ্বের  সমস্ত আগুন- জল-চুম্বক প্রভৃতির যেমন এক ধর্ম তথা একই গুণ তেমনি বিশ্বের সকল প্রান্তে  মানুষের ধর্ম ও এক আর তা হল- মানব ধর্ম৷ এখানে এই যুক্তিতে সমর্থন করেই মন্তব্য করেছেন:

‘‘ধর্ম কখনো বহু হয় না ধর্ম একই আর তার কোন প্রকার নেই ৷ মত বহু হতে পারে  এমনকি  যত মানুষ তত মত হতে পারে, কিন্তু তাই বলে ধর্ম বহু হতে পারে না৷ (‘‘সত্যানুসরণ’’)

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস এক চরম বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস

প্রভাত খাঁ

পা পা করে কালধর্মে দেশ এগিয়ে চলেছে কারণ কিছুই থেমে থাকে না৷ আজ অনেকেই আছেন যাঁরা সেই ১৫ই আগষ্ট ১৯৪৭ সালের কথা স্মরণ করতে পারেন৷ আজকের মত সেদিন টি.ভি.র মত ব্যাপকভাবে প্রচার মাধ্যম ছিল না৷ সংবাদপত্রের সংখ্যাও ছিল গুটি কয়েক তবে  সেদিন  সরকারী বেতারযন্ত্র ছিল খুবই সচেতন৷ বেতারে যেভাবে সংবাদ পরিবেশিত হত, আজ কিন্তু তেমনভাবে কলকাতা বেতার কেন্দ্র ও দিল্লির বাংলা প্রচারকেন্দ্র থেকে  তেমন গুরুগম্ভীর ভাষায় সংবাদ প্রচারিত হয় না৷ অনেক টিভিতে সংবাদ প্রচারিত হয় ঠিকই কিন্তু সংবাদের বিষয়বস্তু ও সংবাদ প্রচারের ধরণটি মনকে আকৃষ্ট করে না৷ সেদিনের সংবাদ প্রচারে যে দৃঢ় গুরুগম্ভীর  কন্ঠস্বর শোনা যেত তেমনটি আজ আর ন