স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

পোস্তর গুণাগুণ

ওপিয়াম পপির বীজকোরক সাধারণ পপি থেকে বড় ও পুষ্ট৷ এর গা চিরে দিলে এর থেকে রস বা আঠা বেরোয়৷ তাই হল কাঁচা আফিং৷ এই ওপিয়াম পপির বীজকোরকে যে বীজ থাকে তার রঙ ফিকে ঘি–রঙের, তাকে আমরা পোস্ত বলে থাকি৷ কী অদ্ভুত ব্যাপার, পোস্তর বীজকোরকের আঠা বড় রকমের নেশা ও অধিক মাত্রায় সেবন করলে বড় রকমের বিষ, অথচ ভেতরকার বীজ পোস্তর দানা, যা একটি সত্ত্বগুণসম্পন্ন বস্তু, তা শরীরের স্নিগ্ধতা বজায় রাখতে সাহায্য করে৷

শাকের বিভিন্ন গুণাগুণ

কলমী শাক স্নায়ুকে সুস্থ রাখে

জলের কলমী সাত্ত্বিক৷ এটি একাধারে পেটকে ঠাণ্ডা রাখে, স্নায়ুকে সুস্থ রাখে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষের মানসিক ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে৷ (সাধারণতঃ অল্প তেলে রান্না করে মাঝে মাঝে খেলে ভাল ফল পাওয়া যায়৷) তবে ডাঙ্গার কলমী বা নালিতা শাক সর্বথা পরিত্যাজ্য৷

ডাঙ্গার কলমী মানসিক উন্নতির পক্ষে ক্ষতিকারক কারণ সে তামসিক৷ জলের কলমীকেই কলম্বী বলা হবে–ডাঙ্গার কলমীকে নয়৷ ডাঙ্গার কলমীকে বলা হয় নালিতা শাক (নালিকা শাক নয়–নালিতা শাক বা নালতে শাক)৷

অন্যান্য রোগে কলমী

লাউয়ের ঔষধীয় গুণাগুণ

লাউ একটি নির্দোষ সবজি৷ স্নায়ুতন্তু (Nerve fibres), স্নায়ুকোষ (Nerve cells), লিবার ও কিডনীর পক্ষে এটি শুভ ফলপ্রদ৷ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও লাউ সাহায্য করে৷ ঙ্মর্শ, যৌন অক্ষমতা ও ক্লীবতা, সুপ্তিস্খলন রোগে লাউয়ের তরকারী পথ্য ও ঔষধক্ষ৷ লাউ কথঞ্চিত পরিমাণে চর্ম রোগকেও প্রতিরোধ করে৷

লাউয়ের খোলা (লাউ বাকলা–কচি অবস্থায়) মুখে লালা এনে খাদ্য হজমে সাহায্য করে৷ লাউয়ের খোলা যকৃতের পক্ষে খুবই ভাল৷ লাউয়ের বীজের তৈলও চর্ম রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷

নিয়মিত ব্যায়ামে লিভার ক্যানসার প্রতিরোধ সম্ভব

নিয়মিত ও সময়মত ব্যায়াম করলে লিভারের ক্যানসারের প্রতিরোধের সম্ভাবনা বাড়ে৷ সম্প্রতি একটি গবেষণায় ইঁদুরের ওপরে পরীক্ষা করে এর ফল পাওয়া গেছে৷ হেপাটোসেলুলার কারকিনোমা (এইচ সি সি) বা লিভার ক্যানসারের প্রতিরোধ করার জন্যে কিছু রোগীকে পরীক্ষামূলকভাবে আসন করানোর ফলে রোগীরা চমৎকার ফল পেয়েছেন৷ গবেষকরা বলেছেন এটা তাদের মধ্যে দারুণ আশা জাগিয়েছে৷ উল্লেখ্য এইচ সি সি লিভার কোষে ক্যানসার হতে সহায়তা করে৷ আর লিভার ক্যানসার এমন এক রোগ যাতে সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ মারা যায়৷ এইচ সি সি পুরুষের শরীরে ক্যানসার বিস্তারের পঞ্চম সাধারণ কারণ হিসেবে পরিচিত, মেয়েদের বেলায় সাধারণত অষ্টম কারণ৷ গবেষণার শু

বাঁশপাতাও তার ঔষধীয় গুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তৃণ বর্গের সবচেয়ে বৃহৎ প্রজাতি হচ্ছে বাঁশ৷ জাওল বাঁশ, মুঠি বাঁশ, মূলী বাঁশ, তলতা বাঁশ, পলকা বাঁশ–এরা সবাই অতি দীর্ঘকায় তৃণ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ সেই সকল বৃহৎ তৃণকে বাঁশ বলি যাদের ফুল–বীজ হোক না হোক, পাশ থেকে কোঁড় বের হয়, ঝুড়ি তৈরী হয় ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভেতরটা থাকে ফাঁপা৷ সাধারণতঃ যে সকল বাঁশ বেশী দীর্ঘকায় হয় তারা বেশী ফাঁপা৷ যে সকল বাঁশেরা ছোট (এই ধরনের বাঁশ থেকেই লাঠি তৈরী হয়) তারা আকারে অতি বৃহৎ হয় না–ওজনে হয় ভারী৷ গাছগুলিও লোহার মত শক্ত৷

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরবৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ হ’ল চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেবু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে)  অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢেলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেবুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়ায় প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা বেলের শরবৎ, আমপোড়ার শরবৎ সর্

একটি জরুরী জানার বিষয় : কী করে বুঝবেন ষ্ট্রোক হয়েছে

একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে একজন ভদ্রমহিলা হঠাৎ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন৷ উঠে দাঁড়িয়ে তিনি  বললেন, সবকিছু ঠিক আছে, মেঝের টাইলসে তার নতুন জুতোর হীল আটকে যাওয়ায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন৷ কেউ একজন অ্যাম্বুলেন্স ডাকার কথা বললেও তিনি তাতে রাজি হলেন না৷

সবকিছু ঠিকঠাক করে, পরিষ্কার করে তিনি নতুন করে প্লেটে খাবার নিলেন৷ যদিও মনে হচ্ছিল যেন তিনি একটু কেঁপে কেঁপে উঠছেন৷ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় জুড়েই তিনি উপস্থিত থাকলেন৷ পরদিন দুপুরে ভদ্রমহিলার স্বামী ফোন করে জানালেন, তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ সন্ধ্যা ছয়টার সময় তিনি মারা গেলেন৷

স্নিগ্ধতা আনা ও বুদ্ধিবৃত্তির সহায়ক তেঁতুল

নোতুন তেঁতুলের চেয়ে পুরণো তেঁতুলের গুণ অনেক বেশী৷ যে সকল গ্রীষ্মপ্রধান দেশে গ্রীষ্মকালে শরীর শুকিয়ে যায় সে সকল দেশে তেঁতুলের ব্যবহার বিশেষ মূল্যবহ৷ শুকনো দেশে বা টানের সময় তেঁতুল না খেলে শরীর দুর্বল হতে পারে৷ পোস্ত, ক্ষিরি কলায়ের ডাল ও তেঁতুল বিশুষ্ক্তা রোগের প্রতিষেধক৷ অতি গরমে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এই খাদ্যগুলি রোগ নিরাময় করে থাকে৷

তেঁতুল একটি সাত্ত্বিক ফল৷ মস্তিষ্ক্ রচনায় এর যথেষ্ট ভূমিকা আছে৷