স্বাস্থ্য বিজ্ঞান

ডুমুর

ডুমুর একটি পুষ্পশাক৷ অন্য পুষ্প বাইরের দিকে প্রস্ফুটিত থাকে.....এরা (ডুমুরের ফুল) থাকে অন্তর্মুখী৷ লিবারের পক্ষে, অগ্ণ্যাশয়ের পক্ষে খুবই ভাল৷ যে দীর্ঘকাল ধরে উদরাময়ে ভোগে বা যার উদরাময়ের প্রবণতা রয়েছে, তার পক্ষে ডুমুরের হলুদ ঝোল বিশেষ কল্যাণকর৷ কাঁচকলার মত ডুমুরে লোহার ভাগ বেশী৷ তাই কষ বেশী৷ কাঁচকলা বা ডুমুরের কষ অগ্ণ্যাশয়ের পক্ষে আদৌ ক্ষতিকর নয়৷ ডুমুর অর্শ ও ৰহুমূত্র রোগে বিশেষ উপকারী৷ ঙ্ম ডুমুরের ছোট প্রজাতিটিই সাধারণতঃ তরকারীতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে৷ ৰড় ডুমুর পাকলে তা ফল হিসেবে লিবারের পক্ষে ভাল৷ ৰড় পাকা ডুমুর শুকিয়ে মেওয়া ফল হিসেবেও ব্যবহার করা হয়৷ তারও গুণ একই রকমের ৷

বকফুল

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ বকফুল (গাছের) অনেক প্রজাতি রয়েছে৷ তবে মুখ্যতঃ দু’টি প্রজাতি নজরে পড়ে৷ একটিকে বলতে পারি কিছুটা হ্রস্ব, অপরটি হচ্ছে দীর্ঘ৷ হ্রস্ব প্রজাতির বকফুল (মোটামুটি) উঁচু হয় আর দীর্ঘ প্রজাতিটি আট মানুষের চেয়েও বেশী উঁচু হয়৷ হ্রস্ব–দীর্ঘ নির্বিশেষে বকফুল গাছ ৰাড়ে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে৷ ফুলের আকার ও আকৃতির বিচারে বকফুল শাদা, গোলাপী, লাল ও পঞ্চমুখী জাতের হয়ে থাকে৷

স্বাস্থ্য ও কৌশিকী নৃত্য

মানুষের অস্তিত্ব ত্রি–স্তরীয় অর্থাৎ এর তিনটে স্তর ত্রব্ধব্জ্ত্রব্ধব্ভপ্প রয়েছে– শারীরিক (Physical), মানসিক (Mental) ও আধ্যাত্মিক (Spiritual)৷ এই যে তিনটে স্তর এদের কোনটিকেই অবজ্ঞা করা যায় না৷ শারীরিক স্তরের চেয়ে মানসিক স্তরের মহত্ত্ব অধিক, কিন্তু তাই বলে শারীরিক স্তরটাকেও (Physical stratum)  উপেক্ষা করা যায় না৷ ঠিক তেমনি মানসিক স্তর (Psychic stratum)  অপেক্ষা আধ্যাত্মিক স্তরের (Spiritual stratum) গুরুত্ব বেশী কিন্তু মানসিক স্তরটাও (Physical stratum)  অবহেলার জিনিস নয়৷ তাই তারও চর্চা আবশ্যক৷ তেমনি যারা আধ্যাত্মিক চর্চা করে না, কেবল শরীর ও মনেরই চর্চা করে তারা দেখতে মানুষের মত হলেও তাদের মানস

ফুলকপি–ৰাধাকপি

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ তোমরা হয়ত জান ফুলকপি–ৰাধাকপি, লেটুস [Letuca sativa], ব্রকোলি এরা সবাই আদিতে এক প্রজাতির ছিল৷ ওদেরই কিছুটা দূর সম্পর্কের জ্ঞাতি ছিল কুকসিমা, ক্যালেণ্ডুলা ও পপির পূর্বপুরুষেরা৷ কুকসিমা, ক্যালেণ্ডুলা ও গাঁদা বর্গীয় গাছেদের রক্তপাত নিবারণের ক্ষমতা আছে৷ ওদের থেকে তাই এই ধরনের ওষুধও তৈরী হয়৷ কপিতেও এই ধরনের গুণ অল্পমাত্রায় আছে৷ প্রাচীনকালে এক থাকতে থাকতে পরে লেটুস প্রশাখা ও ফুলকপি প্রশাখা পৃথক হয়ে যায়৷ ফুলকপি প্রশাখায় এসে যায় এক সঙ্গে অগুণতি শাদা বা হরিদ্রা বর্ণের ফুল৷ আমরা ভাবি একটি ফুলকপি বুঝি একটি ফুল৷ না, না, তা নয়  একটি ফুলকপি অগুণতি ফুলের সমাহার৷ লেটুস ও ৰাধাকপিও কতকটা এক৷

ব্যষ্টিগত ও সামূহিক জীবনে নেশার সুদূরপ্রসারী কুফল

নেশার ত্রিদোষ ঃ নেশার জিনিস আমরা তাকেই বলি যার তিনটি লক্ষণ–(১) নিয়মিত সময়ে নেশার জিনিস না পেলে মন উশ্খুশ্ করে, কোন কাজে মন বসে না৷ (২) নেশার জোর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ সে ৰুদ্ধিভ্রষ্ট অবস্থায় থাকে ও স্থায়ীভাবে নেশা করতে থাকলে, ৰুদ্ধিভ্রষ্টতাও স্থায়ী হয়ে যায়৷ (৩) নেশার তৃতীয় দোষ হচ্ছে যকৃত, কন্ঠ, কিডনী অবশ্যই তাতে আক্রান্ত হয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্ঠক্ষদ্ধতা রোগও দেখা দেয়৷

ব্যষ্টিগত ও সামূহিক জীবনে নেশার সুদূরপ্রসারী কুফল

নেশার ত্রিদোষ ঃ নেশার জিনিস আমরা তাকেই বলি যার তিনটি লক্ষণ–(১) নিয়মিত সময়ে নেশার জিনিস না পেলে মন উশ্খুশ্ করে, কোন কাজে মন বসে না৷ (২) নেশার জোর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ সে ৰুদ্ধিভ্রষ্ট অবস্থায় থাকে ও স্থায়ীভাবে নেশা করতে থাকলে, ৰুদ্ধিভ্রষ্টতাও স্থায়ী হয়ে যায়৷ (৩) নেশার তৃতীয় দোষ হচ্ছে যকৃত, কন্ঠ, কিডনী অবশ্যই তাতে আক্রান্ত হয়৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্ঠক্ষদ্ধতা রোগও দেখা দেয়৷

শিশুদের জন্যে স্বাস্থ্য বিধি

পাঁচ বৎসরের কম বয়স্ক্ বালক–বালিকার প্রধান খাদ্য দুগ্ধ ও  ফলমূল৷ শ্বেতসার, শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাদ্য যত কম দেওয়া যায় ততই মঙ্গল৷ কারণ ওই সকল খাদ্য শিশুর অপরিণত যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলিকে দুর্বল করে দেয়৷

খেজুর / খেজুরের তাজা রস/ খেজুর গুড়

তালীবর্গের অন্যতম গাছ হচ্ছে খেজুর৷ সংসৃক্ত ‘খর্জুর’ শব্দ থেকে ৰাংলায় তদ্ভব ‘খাজুর’ বা ‘খেজুর’ এসেছে৷ খেজুর গাছের সঙ্গে ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকেরা দীর্ঘকাল ধরেই পরিচিত৷ ভারতীয় বা ইন্ডিকা বর্গীয় খেজুরের মোটামুটি চারটি শাখা আছে–১) গাঙ্গেয় (গ্যাঞ্জেলাইটিস), ২) রাজস্থানী, ৩) গুজরাতী, ৪) দক্ষিণী (ডেকানাইটিস)৷ এদের মধ্যে স্বাদে–গুণে গুজরাতী খেজুর সর্বোৎকৃষ্ট৷ রাজস্থানী খেজুরও উন্নত মানের৷ দক্ষিণী খেজুর সাধারণ মানের৷ আর গাঙ্গেয় খেজুরের শাঁস বলতে কিছুই নেই৷ কিন্তু এই গ্যাঞ্জেলাইটিস্ প্রজাতির খেজুরের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গাছগুলো একেবারে রসে টইটম্বুর৷ এই গাছগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে রস ও তাড়ি (শুদ্ধ বৈয়াকরণি

ধূমপান অতি বিপজ্জনক

যোগাচার্য্য

ধূমপান করা যে কত বিপজ্জনক তা শুনে ধূমপায়ীরা আঁতকে উঠবেন৷ ব্রিটেনের রয়েল কলেজ অব্ ফিজিসিয়ান্স্(Britain's Royal College of Physicians) ধূমপানের কুফল সম্বন্ধে যে সকল সত্য উদ্ঘাটিত করেছেন তা সত্যিই উদ্বেগজনক৷

ধূমপানের বহু মারাত্মক রোগের বহুল প্রমাণ এইসব রিপোর্টে দেখান হয়েছে৷ যেমন ঃ  ফুসফুসে ক্যানসাব, হূদরো, ব্রঙ্কাইটিস্(Broncuitis) অর্থাৎ শ্বাসনালীর ঝিল্লীর প্রদাহজনিত রোগ বা কফ্ রোগ, পরিপাক যন্ত্রের বিভিন্ন রকম রোগ (যেমন ঃ পরিপাকযন্ত্রে ঘা(Peptic ulcer) ইত্যাদি৷