মঙ্গলময় নীলকন্ঠ

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

বিশ্বের বিষ-ভাণ্ড কন্ঠে ধারণ করে

অমৃত-সুধায় ধরা দিয়েছ ভরে,

বাঁচালে বিশ্ব-সংসার৷

জিঘাংসা জর্জরিত জগতের

বিষটুকু নিলে তুলে,

তাই নর, প্রাণী, তরুলতা

আজও বেঁচে দলে দলে,

নির্বিষ ধরনী দিলে উপহার৷

দু’হাত উজাড় করে

সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দিলে ভরে

নিজে নিলে জগতের

যত দায়ভার!

যে অমৃতের প্রেরণা দেয়

বৃহতের হাতছানি,

নেচে চলে নর, প্রাণী,

সবুজ বনানী৷

তব সৃষ্টির তরে ---

বাড়ায়েছ জগৎ-বৈভব

মানুস তো বুঝেনি তোমায়

তাই তাগিদ করেনি অনুভব৷

তুমি না বোঝালে বল

বোঝে কোন জন?

চিনিতে পারে না সে

কে মোর আপন,

হেথায় হোথায় উন্মাদ সম

সময় অপচয়ে বৃথা উদ্যম৷

অথচ রয়েছো সৃষ্টির মাঝে

নানারূপে নানা সাজে,

নিত্য সবারে ভালো বাসিয়াছো

রয়ে গেছো শত কাজে৷

দনুজ দমনে শিষ্ট পালনে

ধরা মাঝে তুমি আসো,

প্রাণের দেবতা আলো ঢেলে তুমি

সকল তমসা নাশো৷

এত তুমি ভালোবাসো!

মানব জাতির বিবেকের দ্বারে

প্রশ্ণ নিত্য কেন কড়া নাড়ে?

ষড়যন্ত্রের এতো আয়োজন

এর কি ছিল কোন প্রয়োজন?

যুগে যুগে যাঁরা আবির্র্ভূত হন

ধর্ম স্থাপনের ব্রত নিয়ে,

মানব সমাজে চেতনা আনেন

অতীতের সবগ্লানি ভুলিয়ে৷

শোষণমুক্ত সমাজ স্থাপনে

যাঁরা অগ্রগ্রামী,

অশুভ শক্তির উদ্ধত হাত

শির পরে আসি নামি৷

ধর্ম স্থাপন জীবন-ব্রত

জীবনকে পায়ে দলে

এমন নজির অনেক রয়েছে

ইতিহাসে খোঁজ মেলে৷

মানব কল্যাণে মহাসম্ভূতি,

জগতের প্রাণ, অগতির গতি

সঙ্গে নতুন জীবনদর্শন,

বিশ্ব-লীলায় ত্রিভূবনপতি

তুমি ধ্রুবতারা পথের সারথী

অকৃপণ তব কৃপা বর্ষন!

তোমার নামে জগৎ আজ ঝংকৃত,

নন্দিত তোমার জয়ধবনিতে বিশ্ব

শিহরিত, স্পন্দিত৷

সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের মাঝে

মঙ্গলময় যে জন বিরাজে

তাঁরে ভক্তি পূর্ণ প্রণাম জানাই

অন্তরে তাঁর গীত বাজে৷