আমরা যাকে ‘পাতিনেৰু’ [Citrus medica] বলি সেটি ক্ষাংলার সাবেকী নেক্ষু৷ কিন্তু ‘পাতিনেৰু’ শব্দটি পাতে খাবার নেক্ষু এই অর্থে আসেনি৷ ‘পাতি’ মানে দেশী অর্থাৎ যা বিদেশ থেকে আসেনি৷ পাতিনেৰু, পাতিহাঁস সাবেকী ৰাংলার জিনিস৷ পাতিনেৰু গোল আকারের নেৰু..... রসে টইটম্বুর, গুণে জগৎজোড়া নাম, হজমে সহায়ক৷ আর পাতিহাঁস রাঢ়–ৰাংলায় তো বটেই, গোটা ৰাংলাতেই একটি সুপরিচিত পাখী৷ রাঢ়ের প্রতিটি গৃহস্থ বাড়ীতেই একটি করে ছোট রকমের হাঁসের ঘর থাকে৷ পাতিহাঁস একেবারেই পাতি অর্থাৎ দেশী৷
ক্ষড় আকারের পাতিনেৰুর খোলা কিছুটা মোটা, দেখতে কতকটা কাগজী নেৰেুর মত৷ তবে কাগজীর সঙ্গে তফাৎ হ’ল এই যে, কাগজীর তুলনায় এদের রস কম থাকে৷ ঔষধীয় গুণ কিন্তু পাতলা খোলার পাতিনেৰুর তুলনায় কম৷ ঙ্ম উপবাসের পরের দিন সকালে উপবাস ভাঙ্গবার সময় এই ছোট আকারের গোল পাতিনেৰুর রস প্রয়োজন মত লবণ–সহযোগে দুই–তিন গ্লাস জলের সঙ্গে খেলে, সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়৷
গন্ধরাজ নেৰু ঃ আমরা যাকে গন্ধরাজ নেৰু [Citrus sp.] বলি সেটা এসেছিল ইয়ূরোপের ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে৷ এই নেৰু রাঢ়ের রক্তমৃত্তিকা এলাকায় খুব ৰড় ও সুগন্ধী হয়৷ এতে রস একটু কম থাকে৷ পূর্ব ৰাংলার জলো আবহাওয়াতেও এই নেৰু ভালই জন্মায়৷ তবে সেখানে এর স্থায়ী নাম কদমী নেৰু৷ দক্ষিণ ইয়ূরোপ থেকে আসা ইউরেকা নেৰুও ভারতে বেশ প্রচলিত হয়েছে৷ তবে পেট–রোগা মানুষদের মন জয় করতে তা এখনো পারেনি৷ তাঁরা এখনও গাঁদাল পাতার ঝোলে পাতিনেৰু দিয়েই খেতে ভালবাসেন৷