আজ সারা বিশ্বে শোষিত বঞ্চিত, নিপীড়িত, অনাহারক্লিষ্ট ও মানবতা জোরালো আওয়াজ তুলেছে,---‘‘প্রাউট, প্রাউট, প্রাউট চাই৷ প্রাউট নিয়ে বাঁচতে চাই৷’’ সুতরাং প্রাউট Prout) কী? প্রাউট কী করতে চায়? প্রাউটের নীতি আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতি কী? প্রাউট হচ্ছে---অর্থনৈতিক গণতন্ত্রের ভিত্তি, প্রাউট হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে স্বয়ম্ভরতার চাবিকাঠি, বিশ্ব মানবতার তোরন দ্বার প্রাউট হচ্ছে---অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক ও সাংসৃকতিক বিকাশ ও আধ্যাত্মিক ভাবধারার উন্মেষের সুদৃঢ় সোপান৷ প্রাউটে হচ্ছে--- ভৌতিক, আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক জগতের মধ্যে সুসম সামঞ্জস্য বিধানের মাধ্যমে মানব সমাজ ও সভ্যতার সার্বিক অগ্রগতি ও উন্নতির অভ্রান্ত একমাত্র পথ নির্দেশনা৷
যাই হোক, প্রাউট হচ্ছে---ইংরাজী Prout’ একটি সংক্ষিপ্ত নাম৷ যার ফুল ফর্ম হচ্ছেProgressive utilization theory অর্থাৎ প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব৷Prograssive-এরProut, Utilazation-এরU ও Theory-র নিয়েT শব্দের উৎপত্তি৷ ১৯৫৯ সালে মহান দার্শনিক অর্থনীতিবিদ্ ও সমাজসংস্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রাউট নামক যুগান্তকারী সামাজিক-অর্থনৈতিক দর্শন প্রাউট প্রবর্তন করেন৷ এই প্রাউট নামকরণ তাঁরই দেওয়া৷ তিনি বলেছেন, এই সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শন দেওয়া বর্তমান দুঃসময়ে একান্ত প্রয়োজন ছিল৷ অন্যথায় লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মানবসমাজে অর্থনৈতিক অব্যবস্থা, অরাজকতা ও বৈষম্য চলতে থাকত৷ পরমপুরুষ ও প্রকৃতি তো অফুরন্ত না হলেও মানুষ তথা সমস্ত জীব জগতের প্রয়োজন পূর্ত্তির জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ ও উপকরণ দিয়েছেন৷ তবে কেন এহেন অরাজকতা, অব্যবস্থা অভাব--- অনটন, বৈষম্য মানব সমাজে থাকবে!’ তাই প্রাউট দর্শনের অবতারণা ও পথ নির্দেশনার প্রয়োজন ছিল৷
নীতি ও আদর্শ
যাই হোক, এক্ষণে এই যুগান্তকারী প্রাউট দর্শন ও যুগোপযোগী অর্থনৈতিক তত্ত্বের নীতি, আদর্শ, উদ্দেশ্য ও কর্মপদ্ধতি সম্বন্ধে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করা প্রয়োজন৷ প্রথমেই প্রাউটের পঞ্চমূল সিদ্ধান্ত কী ---সে সম্বন্ধে জানা দরকার৷৷ এই পঞ্চমূল সিদ্ধান্তের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে যে, কোন ব্যষ্টিই সামবায়িক সংস্থার সুষ্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া জাগতিক সম্পদ সঞ্চয় করতে পারবে না৷ কারণ এই পার্থিব সম্পদ সীমিত৷ পরমপুরুষ প্রকৃতির মাধ্যমে সীমাহীন না হলেও যথেষ্ট পরিমানে যোগান দেওয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছেন৷ এই সম্পদ সঠিকভাবে উৎপাদন ও সুষমভাবে বন্টনের করলে কারোই কোন অভাব অনটন হওয়ার কথা নয়৷ কিন্তু কোন ব্যষ্টি বা গোষ্ঠী এই সম্পদ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সঞ্চয় করলে ও উপভোগ করলে অন্যান্য অনেকের ক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা দেবে৷ তাই প্রাউট বলছে যাতে কোন ব্যষ্টিই প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ বা অর্থ সঞ্চয় করতে না পারে তজ্জন্যে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে৷ প্রয়োজনে নীতিকে কার্যকরী করতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ কারণ শুধু উপদেশের মাধ্যমে এ মানসিক ব্যধি সারবে না৷
প্রাউটের দ্বিতীয় নীতিতে বলা হয়েছে বিশ্বের ভৌতিক, আধিভৌতিক ও আধিদৈবিক সমস্ত সম্পদের সর্বাধিক উপযোগ যুক্তিসঙ্গত বন্টন করতে হবে৷ অব্যবহার বা অপব্যবহার করা চলবে না৷ এগুলির যথোপযুক্ত সদ্ব্যবহার ও উপযোগ গ্রহণ না করলে পরিণামে ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷ তাছাড়া ন্যয়সঙ্গত সুসম বন্টনের ব্যবস্থাপনা করলে অনেকেরই ঘাটতি হবে৷
তৃতীয় নীতিতে বলা হয়েছে যে, সমস্ত ব্যষ্টি বা গোষ্ঠীর জাগতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের সর্বাধিক উপযোগ গ্রহণ করতে হবে৷ প্রকৃতি প্রতিটি বস্তু ও ব্যষ্টির মধ্যে যথেষ্ট সম্ভাবনাময় শক্তির যোগান দিয়ে রেখেছে৷ সেগুলির পূর্ণ উপযোগ গ্রহণ করতে হবে৷ প্রকৃতি যেমন পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক শক্তির যোগান দিয়েছে, তেমনি প্রতিটি ব্যষ্টির মধ্যেই যথেষ্ট মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তির সম্ভাবনাময় বিকাশের সুযোগ করে দিয়ে রেখেছে৷ এগুলির যথাযথ উপযোগ গ্রহণ করলে কারো কোন অসুবিধা হওয়া কথা নয়৷
চতুর্থ নীতিতে প্রাউট বলেছে---এই সব জাগতিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, ভৌতিক, আধিভৌতিক, আধ্যাত্মিক শক্তির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে সার্বিক প্রমা প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করতে হবে৷ অন্যথায় একটা বিশৃঙ্খল অরাজকতার পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে৷
প্রাউটের পঞ্চম নীতিতে বলা হয়েছে, স্থান, কাল পাত্রের--- পরিবর্ত্তনের সাথে সাথে উপযোগ গ্রহণের পদ্ধতিগত পরিবর্ত্তন ঘটাতে হবে৷ তবে এ পরিবর্তন সর্বদা হবে প্রগতিশীল স্বভাবের৷
যেমন পূর্বে পূর্বপুরুষেরা গরুর গাড়িকে স্থল যান ও ডিঙ্গিকে জল যান হিসাবে ব্যবহার করত৷ কিন্তু যুগের পরিবর্তনে, বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে স্থল যান ও জলযানের পরিবর্তন হয়েছে এবং তা হয়েছে প্রগতিশীল স্বভাবের৷ তেমনি সবক্ষেত্রেই স্থান,কালপাত্রের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপযোগ গ্রহণ পরিবর্তনশীল হবে৷ যেমন পূর্বে লাঙ্গল দিয়ে চাষ করা হত, এখন ট্রাক্টর বা অন্যান্য উন্নত যন্ত্রের সাহায্যে কৃষিকার্য করা হয়৷ এইভাবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যুগের পরিবর্ত্তনে প্রগতিশীল পরিবর্তন ঘটবে স্বাভাবিকভাবেই বা ঘটাতে হবে বিজ্ঞানের সাহায্যে৷
এইভাবে প্রাউট প্রবক্তা, মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বিশ্বের মানব সমাজের সার্বিক কল্যাণ সাধনের জন্য যে নীতি, নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা মানব সমাজ ও সভ্যতার অভূতপূর্ব বিকাশ ঘটাতে পারবো--- এ বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই৷
প্রেক্ষাপট---প্রাউট দর্শনের প্রবর্ত্তক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, যিনি সমগ্র বিশ্বে ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে সমধিক পরিচিত ও পূজ্য মন্তব্য করেছেন যে, ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদ মানুষকে ভিখারীতে পরিণত করেছেও সাম্যবাদী সমাজতন্ত্র মানুষকে পশুতে পরিণত করেছে৷ যদিও কার্লমার্কসের সাম্যবাদ ধনতন্ত্রের শোষণের প্রতিবাদে বস্তুতান্ত্রিক সাম্যবাদের কথা বলেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রদত্ত সাম্যবাদ রাষ্ট্রীয় পুঁজিবাদের সৃষ্টি করেছে৷ তাই ধনতান্ত্রিক পুঁজিবাদ বা সমাজতান্ত্রিক সাম্যবাদ জনগণের কল্যাণ সাধনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে৷ বরং উভয়ই জনগণকে শোষনের ও বঞ্চনার ব্যবস্থা করেছে৷ এ হেন অবস্থায় ঐতিহাসিক প্রয়োজনে জনগণের সার্বিক কল্যাণ সাধনে মহান অর্থনীতিবিদ মহান দার্শনিক মহান সমাজ সংস্কারক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রাউটের সামাজিক অর্থনৈতিক দর্শন প্রবর্তন করেছেন৷ অবশ্য এজন্য তাঁকে অশেষ ক্লেশ বরণ করতে হয়েছে৷
শ্রী সরকারের প্রাউট দর্শন সৃষ্টি ও প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে আমাদের অবহিত হওয়া প্রয়োজন৷
প্রাউট নীতির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, উৎপাদনে গতি আনয়ণ ও সম্ভাবনাময় সকল জাগতিক ও মানসিক সকল সম্পদের সর্বাধিক উপযোগ গ্রহণ করা৷ সেইসঙ্গে প্রাউটের দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে--- সমস্ত সম্পদের যুক্তিসঙ্গত বন্টনের ব্যবস্থা করা৷ প্রতিটি নাগরিকের নূ্যনতম প্রয়োজন পূর্তির পরে অতিরিক্ত সম্পদ মেধা, যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী প্রতিভাবানদের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে৷ তা হলে যোগ্য ব্যষ্টিবর্গ অতিরিক্ত সম্পদ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় প্রেরণা পারেন৷ ফলে দেশে মোট সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে৷ তবে প্রতিটি নাগরিকের নূ্যনতম প্রয়োজনপূর্ত্তি যথা অন্ন, বস্ত্র,বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার গ্যারান্টি আগে দিতে হবে৷ প্রাউট ব্যবস্থায় প্রত্যেক নাগরিকের ক্রয়ক্ষমতার ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে৷ শুধু মুদ্রাস্ফীতি ঘটিয়ে অর্থের যোগান বৃদ্ধি করলেই হবে না৷ এজন্য অর্থের মূল্যমান সঠিক রাখতে হবে৷ সেই সঙ্গে স্থান কাল পাত্রের পরিবর্ত্তনের ফলে মানুষের নূ্যনতম প্রয়োজন বৃদ্ধি পাবে৷ সেই অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন পূর্ত্তির ব্যবস্থা করাও প্রাউটের অন্যতম লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য৷ অবশ্য সেই ক্রমবর্ধমান প্রয়োজন পূর্ত্তি হবে প্রগতিশীল স্বভাবের৷ তাছাড়া প্রাউট জাগতিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সকল সম্ভাবনার পূর্ণ উপযোগ গ্রহণের ও এগুলির মধ্যে সামঞ্জস্য (প্রমা) সাধনের উপর গুরুত্ব দিয়েছে৷ এককথায়, প্রাউট ভাঁওতাবাদী রাজনৈতিক গণতন্ত্রের পরিবর্ত্তে ও অর্থনৈতিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ও প্রকৃত রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার বলিষ্ঠ পদক্ষেপ৷
বাস্তব রূপায়নঃ---
প্রাউটের নীতি, আদর্শকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য মহান পথ প্রদর্শক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ফলপ্রসূ পদ্ধতি অবলম্বনের নির্দেশনা ও ব্যবস্থাপনা করেছেন৷
(১) যেমন প্রথমেই উল্লেখ করতে হয়--- বিকেন্দ্রীত অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা৷ সরকারের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সুদূর গ্রামাঞ্চলের উন্নয়নের চিন্তাভাবনা বা পরিকল্পনা করলে তা কখনই সুফলদায়ী হবে না৷ তাই তিনি স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা অর্জনে স্থানীয় ভূ-প্রকৃতি, স্থানীয় জনগণের চাহিদা অনুযায়ী ব্লকভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের কথা বলেছেন৷ এই পরিকল্পনা রচনা ও কার্যে রূপায়ন করবে স্থানীয় জনগনই, বাইরের কোন নেতা বা মন্ত্রী নয়৷ ঐ স্থানীয় অঞ্চলের কাঁচামাল ও বাইরে পাঠানো যাবে না৷ স্থানীয় কাঁচামালের উৎস ও উৎপাদন দেখে স্থানীয়ভাবে কুটির শিল্প বা ক্ষুদ্রায়তন শিল্প ঘটন করতে হবে৷ এরফলে ১০০ শতাংশ স্থানীয় লোকের কর্মসংস্থানের পথ সুগম হবে৷
এছাড়া প্রাউট নারী জাতির সর্বপ্রকার স্বাধীনতা ও স্বয়ম্ভরতার উপর গুরুত্ব দিয়েছে৷ প্রাউট নব্যমানবতাবাদী শিক্ষা ও বিশ্বৈকতাবাদী ব্যবস্থায় বিশ্বরাষ্ট্র ঘটনের ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেছে৷ সেই সঙ্গে প্রাউট স্থানীয় ভাষা ও সংসৃকতির সংরক্ষণ ও বিকাশের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে৷
প্রত্যাশা ঃ--- সুতরাং একথা অনস্বীকার্য যে, মহান সমাজগুরু শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার প্রদত্ত সামাজিক, অর্থনৈতিক দর্শন প্রাউট হচ্ছে সমগ্র বিশ্বে মানব সমাজের সার্বিক উন্নতি ও প্রগতির একমাত্রপথ৷ ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৮২টি দেশে প্রাউটের নীতি,আদর্শ ও কার্যকলাপ বিপুলভাবে নবজাগরণের সৃষ্টি করেছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয়ে প্রাউটের পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে৷ প্রাউটের বিভিন্ন দিক্ নিয়ে গবেষনাও শুরু হয়েছে৷ তাই শীঘ্রই প্রাউট মহা বিপ্লবরূপে সমগ্র বিশ্বে সামাজিক, অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সাংসৃকতিক ও আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনবে৷ বর্তমান মানব সমাজ সভ্যতার রূপ রেখা পরিবর্তন করে অভিনব নোতুন যুগের করবেই৷ কারণ এই প্রাউট দর্শনের প্রবর্ত্তক ও পথ নির্দেশক হচ্ছেন যুগবতার শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ এই মহান কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি (গার্লস প্রাউটিষ্ট) ও (প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সল) ডিপার্টমেন্ট তৈরী করেছেন ও হাজার হাজার প্রাউটিষ্টকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করে কর্মতৎপর করে তুলেছেন৷ তবে ভারত প্রাউট আন্দোলনের অগ্রপথিক হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস৷
- Log in to post comments