রাজ্যগুলিকে অবশ্যই অর্দ্ধশিক্ষিত ও শিক্ষিত বেকারদের কোন না কোন কাজে নিয়োগ করতেই হবে দেশে-বেকারত্বের অভিশাপ রুখতে

লেখক
প্রভাত খাঁ

বাংলার কবি চন্ডিদাস বলেন--- শুনরে মানুষ ভাই

সবার উপরে মানুষ সত্য, সেই মানুষকে নিয়েই হতভাগ্য ভারতের নামকেওয়াস্তে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসকগণ করে চলেছেন করোনার আক্রমণে সারা দেশে৷ মিথ্যাচারিতা ও ধান্দাবাজি৷

একটা দিকে বর্ত্তমানে ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জোড়ামেলা ভার সারা পৃথিবীতে সেটা হলো যখন কোন দল কি রাজ্যে আর কি কেন্দ্র শাসনে আসে৷ তখন বন্যায় ভাসিয়ে দেয়৷ সেটা যে কবে বাস্তববায়িত হবে তার কোন হিসাব নেই৷ এই মিথ্যাচারিতায় দেশের হতদরিদ্র জনগণ কিন্তু গা সহায়ে করেই নিয়েছে৷ কারণ এটাই হলো দলগুলোর একটা সাধারণ ফন্দি বা ফিকির৷ কেন্দ্র সরকার এর কথা ধরা যাক৷ বিজেপি মানবীয় প্রধানমন্ত্রী নমো তো উজ্জ্বলা প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন তিনি এল পরিবারদের জন্য৷ গরিব মানুষদের রান্নার গ্যাস সরবরাহ সেই বন্যাঞ্চলেও গ্রামগঞ্জে কিন্তু যে গ্যাসের দাম গত ১৯১৬ সালে ছিল যা ছিল আজ ২০২১ এতে গত বছরে সেপ্ঢেম্বর মাসে রান্নার গ্যাসের দাম ছিল ৬২০.৫০ পয়সা আর  বর্ত্তমানে গ্যাসের দাম ৯৪৫ টাকা হয়েছে৷ এটা ভাবা যায়? বিপি এল কার্ডধারীরা তো আর গ্যাসে রান্না করাই ছেড়ে দিয়েছে৷ তারা সেই বন্যাঞ্চলে কাঠ সংগ্রহ করে প্রাণের দামে বেঁচে থাকার লড়াই করছে৷ আর সাধারণ গরিব মানুষ জন যে কিভাবে বেঁচে আছে তার সংবাদ সরকার কি রাখেন৷ গ্যাস নাটা অনেকের পক্ষে অসম্ভব৷ এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে কারণ বেঁচে থাকতে হতদরিদ্র মানুষকে কাটকুটো দিয়ে জ্বালানি করে দিনগুজরান করতে বাধ্য হচ্ছে৷

এদিকে বেশনিং ব্যবস্থাটা প্রচারে খুবই এগিয়ে সরকার৷ শুধু চাল আর গম রাজ্য মাসে ৪ কেজি করে দেয় বিনামূল্যে, কিন্তু কেন্দ্র সরকারের দেয় রেশন কার্ডে আট ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দেবার কথা ঘোষণা করা হয় সেখানে ৫ কেজি করে দেওয়া হয় কিন্তু চাল আর গম কিছু নেই৷ সেটাও যদিও করোনায় আক্রান্তকালে বিনামূল্যে পাওয়া যায়৷ কেন্দ্র নভেম্ভর মাস ,২০২০ পর্যন্ত দেবার কথা ঘোষনা করেছেন৷  রাজ্য সরকার বিনামূল্যে রেশন ঐ ৪কেজি মাসে বিনামূল্যে দিয়ে যাবার কথা ঘোষনা করেছেন৷ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যা দাম সেদিকে কিন্তু রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের নজর নেই৷ যদিও কেন্দ্র সরকার প্রথম প্রথম কিছু ডাল ও ছোলা বিনামূল্যে সরবরাহ করতেন সেটা বর্ত্তমানে পাওয়া যায় না৷ তবে এই ধরনের বিনামূল্যে রেশন সকলকে দেওয়াটা যে সম্ভব নয় সেটা মানতেই হয়৷ যারা অত্যন্ত অসহায় তাদের প্রয়োজন কিন্তু  সকলের জন্য সেটা কঠিন ব্যাপার৷ দেখা যায় এই চাল নিয়ে অনেক বাহিরে বিক্রি করে বেশী দামে খাদ্য কিনতে অভ্যস্থ৷ আর  যাঁরা সহৃদয় ব্যষ্টি তাঁরা অভাবীদের মধ্যে বন্টন করে দেন৷ রেশনের খাদ্যের মানটা ভালো নয়৷ সরকারের উচিত প্রাণদায়ী ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করা৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার অনিয়মের জন্য,লোকাল ট্রেন না চলায় শাকসব্জি আমদানি না থাকায় আনাজপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া৷ জনগণ তার জন্য প্রাণান্ত৷ করোনার টিকা প্রয়োজনে সস্তায় যোগান দেবার ব্যবস্থা করা জরুরী কারণ সরবরাহ না থাকায় অনেকের শরীর খারাপ হচ্ছে ও রোগে আক্রান্ত হচ্ছে৷ তাতে সারা দেশের মানুষ অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় কাল কাটাচ্ছেন৷ এটা কোন ধরনের শাসন ব্যবস্থা! যোগাযোগ কিছুটা লোকাল ট্রেন চালানো দরকার৷ রুজি রোজগার তো একেবারে বন্ধ, স্কুল কলেজ ধীরে ধীরে নিয়ম মেনে খোলা দরকার ৷ যেভাবে পরীক্ষার ফল বের করা শুরু হচ্ছে সেটা যে কতটা আঞ্চলিক দিশেহারা৷ মোদ্দাকথা মানুষের প্রতিরোধ  ক্ষমতা যদি না বাড়ে তা হলে রোগের হাত থেকে বাঁচাটা কি সম্ভব৷ জনগণের একদিকে খাদ্য নেই৷ রুজি রোজগার বন্ধ৷ বাঁচবেন কি করে৷ তার উপর  প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়ছে না৷ বেকার সমস্যা এতই বেড়েছে যার জন্য ধান্দাবাজ শিক্ষিত কিছু বেকার তো সিবিআই,পুলিশ অফিসার হয়ে চরম মিথ্যাচারিতাকে আশ্রয় করে সারা দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারে বেকারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে পথে বসাচ্ছে! কিছু কিছু ধরা পড়েছে৷ যারা আবার মিথ্যা অফিস খুলে জোর কদমে প্রশাসনকে অস্বীকার করে এক ভয়ংঙ্কর মিথ্যাচারিতায় দেশ ও দশকে ভিখারীতে পরিণত করে চলেছে৷ যেটা গণতান্ত্রিক শাসনে একচরম ব্যর্থতা! তাই সরকারকে রাজ্য ও কেন্দ্রের অন্যদিকে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ করে বেকার ছেলে মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে নিয়োগ করার ব্যাপক ব্যবস্থা করাটা জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ বেকারত্বটা যেন চরম অভিশাপে পরিণত হয়েছে৷ কম বেতনে প্রয়োজনে ৮ ঘন্টার পরিবর্ত্তে ৪ ঘন্টার জন্য কর্মে নিয়োগের ব্যবস্থা করা পঞ্চায়েত,পৌরসভাগুলিতে স্বাস্থ্যবিভাগে ও অন্যান্য দিকে নানা কর্মের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হবে৷  অনেক পরিবারে কর্মরত কেউই নন৷  বেকার সংখ্যা অবশ্যই কমাতে হবে৷ আর সরকারী কার্যালয়ে অবসর প্রাপ্তদের পুনঃনিয়োগটা বন্ধ করাটাই যুক্তিযুক্ত৷ বর্ত্তমানে বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করাটা খুবই প্রয়োজন৷ অনেক কাজ আছে খাদ্যের বিনিময়ে  আংশিক কাজ এর ব্যবস্থাটাও করা যায়৷ মোদ্দাকথা বেকারদের কর্মে নিয়োগ করে দেশকে দুর্নীতিগ্রস্থ হতে রক্ষা করাটা খুবই জরুরী৷ সেবার মানসিকতাটা শাসকগণ অবশ্যই বাড়াতে হবে যাতে জনগণের আস্থা শাসকদের উপর বৃদ্ধি পায়৷ দরকার হলে খাদ্য ও কিছু  অর্থ দিয়েই কর্মে নিয়োগটা বৃদ্ধি করতেই হবে৷

বেকার সমস্যা সমাধানটাই হলো বর্ত্তমানে বড়ো কাজ শাসকগণের৷ এটা এড়িয়ে গেলে চলবে না৷ আঞ্চলিক ভিত্তি যেন এটা করা হয়৷ এটাই আজকের সবচেয়ে বড়ো দেশ সেবা৷ তরুণ যুবক যুবতীদের আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর হতে  সমবায় পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে হবে৷ এ ব্যাপারে সরকারকে  কিছু কিছু  আর্থিক  সাহায্য করার ব্যবস্থার  দিকে নজর দিতে হবে উৎসাহ বৃদ্ধিতে বড়ো দেশ সেবা৷