আজ সেই বাঙলার অতীতের কবি রঙ্গলালকে মনে পড়ছে৷ তিনি বলেন---
‘‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়গো কে বাঁচিতে চায়,
দাসত্ব শৃঙ্খলা বলো কে বাঁধিবে পায় বলো কে বাঁধিতে পায়৷’’
তাই সেই স্বাধীনতা আমরা কি সত্যই পেয়েছি এই হতভাগ্য বিরাট দেশে? এখানে ইংরেজ সাম্রাজ্যবাদীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ও শোষণের কায়েমী স্বার্থকে রক্ষা করতে সেই হাজার বছরের অধীন বাহিরের নানা জাতীর শাসনে থাকা হত দরিদ্র দেশের শাসনের ভার তুলে দেয় সেই মাত্র দুটো দলের হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের হাতে৷ ভারতবর্ষকে ভাগ করে চিরকালের মতো একেবারে পঙ্গু করে দিয়ে কারণ সাম্প্রদায়িকতার গোঁড়ামী যাদের হাড়ে হাড়ে, যাদের মধ্যে মানবতাবোধের তিলমাত্র অস্তিত্ব নেই! সেই তথাকথিত উচ্চবর্ণের হাতে দেশের শাসনভার তুলে দিয়ে যায় ব্রিটিশ৷ আজ তারাই দণ্ডমুণ্ডের কর্র্ত্ত৷ যারা ভারতের গণপরিষদের তৈরী সংবিধান মানে না৷ দেশের কোটি কোটি গরিব মানুষদের জাতপাতের নামে ছোট বড় ভাগ করে দলতান্ত্রিক সরকারগুলো নিছক দলীয় স্বার্থেই গণতন্ত্রের নামে ধান্দাবাজি করে চলেছে৷ দেখা গেল কেন্দ্রে যে কটি দল শাসনে এসেছে তাদের অধিকাংশই স্বৈরাচারী ও ধনতন্ত্রের দল দাস! বর্তমানে কেন্দ্রে যারা বিরাজ করছে তারা ১৬ বছর বয়সের ছেলে মেয়েদের লোকচক্ষে জন দরদী সাজতে বোটার ঘোষণা করেছে৷ কারণ যাঁরা বয়স্ক বোটার গরিব সংখ্যাধিক্যেরা এতই বছরের পর শোষিত ও বঞ্চিত তাই তাঁরা অনেকে বোটদানে আগ্রহ হারিয়েছেন বলেই বোটদানে বিরত থাকছেন, না হয় বিরোধীদের বোট দেন৷ তাই মনে হয় এটা কেন্দ্র সরকারের একটা রাজনৈতিক কূটচাল! তারা নোতুন আনন্দে আত্মহারা হয়ে সেই শাসকদের বোট দিয়ে জয়ী করবেন৷
কিন্তু সব দিকেই সরকার প্রশাসনিক ক্ষেত্রে অপদার্থতার নজির রেখেই চলেছে৷ সমীক্ষায় দেখা যায় ছোট্ট ছোট্ট প্রতিবেশী দেশগুলোর জীবন যাত্রার মান উন্নত ভারতের চেয়ে গদীর স্বার্থে কেন্দ্র সরকারগুলো গণতন্ত্রে যে বিরোধী নির্বাচিত দলের জনপ্রতিনিধিদের সাংবিধানিক মান্যতা দিয়ে আলাপ আলোচনা করে শাসন চালাতে হয় সেটাই দলীয় সংকীর্ণ স্বার্থে বিরোধী দলের অধিকার অস্বীকার করে তাদের ‘সাসপেণ্ড করে৷ গদীর স্বার্থেই কালাকানুন পাশ করিয়ে ও নিজেদের সংখ্যালঘু সরকারের গদী বাঁচিয়ে রাখতে চায়৷
অপর দিকে বিরোধী রাজ্য সরকারের সংবিধানে উল্লেখিত আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে এক নক্কারজনক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করে চলেছে৷ তাই এই বিরাট দেশে দলতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ধরণেরে মারাত্মক জনস্বার্থবিরোধী শোষক শ্রেণীর শাসনব্যবস্থা যেটা কোনদিনই জনগণকে সেই গণতন্ত্রের মুখ দেখাবে না! তাই আজ দরকার সচেতন নাগরিকদের গণতন্ত্রকে বাঁচাতেই এমন একটি সরকার গড়তে হবে যাতে সকল নাগরিক ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সকলেই বেঁচে থাকার সুযোগ পায়৷
- Log in to post comments