পাঁচ বৎসরের কম বয়স্ক্ বালক–বালিকার প্রধান খাদ্য দুগ্ধ ও ফলমূল৷ শ্বেতসার, শর্করা ও স্নেহ জাতীয় খাদ্য যত কম দেওয়া যায় ততই মঙ্গল৷ কারণ ওই সকল খাদ্য শিশুর অপরিণত যকৃৎ ও পরিপাক যন্ত্রগুলিকে দুর্বল করে দেয়৷
পাঁচ বৎসর বয়সের পূর্ব পর্যন্ত কোন অবস্থাতেই শিশুকে আমিষ খাদ্য দেওয়া উচিত নয়৷ পাঁচ বছর বয়সের পর থেকে ধীরে ধীরে শ্বেতসার, শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাদ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া যায়৷ ক্ষারধর্মী খাদ্যই শিশুর পক্ষে সবচেয়ে হিতকারী৷ ঙ্ম পাঁচ বছরের পূর্বে কোন শিশু যদি দুধ বা ফলমূল বেশী খেতে না চায়, তবে আড়াই–তিন বছর বয়সের পরে অল্প নরম ভাত, পাতলা ডাল, ক্ষারধর্মী সহজ–পাচ্য সবুজ তরিতরকারীর ঝোল খাওয়ানো যেতে পারে৷ দারিদ্য নিৰন্ধন অনেকে শিশুদের জন্যে যথেষ্ট পরিমাণ দুগ্ধের ব্যবস্থা করতে পারে না৷ অথচ শিশুদের জন্যে প্রয়োজন দৈনিক অন্ততঃ পক্ষে তিন পোয়া/এক সের দুধ৷
শিশুকে মাঝে মাঝে ঝিনুকে করে চূণের জল (চূণ থিতিয়ে গেলে) খাওয়ালে ভাল হয়৷ শিশুদের পক্ষে প্রত্যহ কিছুটা সময় মুক্ত বায়ু ও মুক্ত সূর্যালোকের স্পর্শ বিশেষ উপকারী৷