সমানম্ এজতি ইতি সমাজঃ

Baba's Name
শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকার

‘‘সমানম্ এজতি ইতি সমাজঃ’’ অর্থাৎ সবাই মিলে যখন ঠিক করলে যে তারা একসঙ্গে চলবে, সুখে–দুঃখে একসঙ্গে থাকবে তখন তাদের মিলিত নাম হলো সমাজ৷ কেউ হয়তো অনেকটা এগিয়ে গেছে, কেউ বা পেছিয়ে পড়েছে, কারো পা ব্যথা করছে বলে হাঁটতে পারছে না, কেউ বা মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে৷ তাদের দিকে না তাকিয়ে যে চলে গেল সে সমাজের লোক নয়৷ সমাজকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে, আর তাদিকে নিয়ে চলতে গেলে একটা বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ে৷ যেমন যে লোকটা চলতে পারছে না৷ তাকে তুলে নিতে হবে যাতে চলার ছন্দ এক হয়৷ এখন আমাদের গোটা বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে সব কিছু দেখতে হবে৷ গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে নাই বা পারি কিন্তু এই সৌর জগৎটাকে একভাবে দেখে দেখিয়ে যেতে হবে৷ পরে ভবিষ্যতে অন্যান্য গ্রহ–উপগ্রহেও যেখানে যত মানুষ আছে তাদিকেও সঙ্গে নিতে হবে৷ তাদিকে নিয়েই আমাদের সমাজ গড়ে উঠবে৷ আজকের দিনে অন্ততঃ এই পৃথিবীটাকে এক অখণ্ডভাবে নিতে হবে৷

আমরা কী দেখছি কারো ঘরে প্রাচুর্যের স্রোত বয়ে যাচ্ছে, কেউ বা অনাহারে শুকিয়ে মরছে৷ সমাজের একটা অংশ আলো হাওয়ায় ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে, আর একটা অংশকে অর্থাৎ শতকরা পঞ্চাশ জন মানুষকে ঘরের মধ্যে বদ্ধ করে রেখে দেওয়া হয়েছে৷ একটা অংশ যা ইচ্ছে করে যাচ্ছে, নিন্দে করার কেউ নেই৷ আর একটা অংশ যদি অজ্ঞাতসারেও কোন ভুল করে ফেলে সমাজ তার প্রতি অত্যন্ত কঠোর আচরণ করছে৷ এ রকম করলে তো চলবে না৷ অনেক দিন ধরে এইভাবে চলতে চলতে আজ তফাৎটা খুব বেশী হয়ে পড়েছে৷ একজন শিক্ষিত আর একজন অশিক্ষিতের মধ্যে ব্যবধানটা অনেক বড়৷ একজন পুরুষ খুব শিক্ষিত আর তার স্ত্রী হয়ত অশিক্ষিতা, উভয়ের মধ্যে ব্যবধান অত্যন্ত বেশী৷ এই রকম নানান ধরণের অসুবিধা রয়েছে৷ তা করলে তো চলবে না৷ যদি বুঝি যে গতিতে দ্রুতি নেই তা হলেও যারা আস্তে আস্তে চলছে, যারা পেছিয়ে পড়ছে, তাদের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে৷ আর এই চলতে গিয়ে যদি আমার গতি কিছুটা কমেও যায়, তাও স্বীকরণীয়৷ কিন্তু সবাইকে নিয়েই চলতে হবে৷ এইটাই হলো বড় কথা৷ যারা সবাইকে নিয়ে চলতে চায়৷ তাদের নিজেদের চলতে গেলে যতটুকু পায়ের জোর থাকা দরকার, যতটুকু মনের জোর থাকা দরকার সেটুকু তো চাই–ই, আবার যারা পেছিয়ে পড়ছে তাদের বোঝা বইবার জন্যেও আরও খানিকটা বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করতে হবে৷ সেইজন্যে আমি তোমাদের বলি, ঠিক সাধারণ মানুষের মত হলে চলবে না৷ তার চেয়েও কিছুটা বেশী হতে হবে৷ নিজেকে নিয়ে চলতে পারটাই যথেষ্ট নয়, আরও দু’–একজনকে সঙ্গে নিতে হবে, নিয়ে চলার সামর্থটা অর্জন করতে হবে ও সেইভাবে নিজেকে তৈরী করে নিতে হবে৷ কিছুদিন আগে বলেছিলুম – ‘‘ত্রিবিধ দুঃখস্য আত্যন্তিকী নিবৃত্তিঃ পরমার্থঃ’’৷ অর্থাৎ যার সাহায্যে দুঃখের নিবৃত্তি ঘটে তাকে বলি অর্থ৷ বস্ত্র নেই, শীত করছে৷ পয়সা থাকলে বস্ত্র কেনা যাবে অন্ন নেই, ক্ষুধা পাচ্ছে পয়সার সাহায্যে অন্ন ক্রয় করে ক্ষুণ্ণিবৃত্তি করা যাবে, সেই দুঃখটা দূর হবে৷ তাই যার দ্বারা দুঃখ দূর হয় তাকে বলি অর্থ৷ যেহেতু টাকার দ্বারা অন্ন কেনা যায়, সেইজন্যে টাকাকেও সংস্কৃতে ‘অর্থ’ বলা হয়৷ কিন্তু সেটা অর্থ ই, পরমার্থ নয়৷ পরমার্থ হলে যার দ্বারা দুঃখ একবার জয় হলো তো আর দ্বিতীয়বার এলো না৷ টাকা দিয়ে অন্ন কেনা হলো কিন্তু কালকে আবার তো খিদে পাবে৷ সুতরাং টাকা অর্থ, পরমার্থ নয়৷ পরামার্থ হচ্ছে যার দ্বারা ত্রিবিধ দুঃখের আত্যন্তিকী নিবৃত্তি হয়৷ মানুষের তিনটে দুঃখ – জাগতিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক অথবা আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক৷ ভৌতিক জগতে যা কিছু দুঃখ – অন্নের অভাব, বস্ত্রের অভাব, এগুলো হলো আধিভৌতিক দুঃখ, ফিজিক্যাল দুঃখ৷ এই দুঃখ দূর করতে অর্থ কতটুকু পারে সাময়িকভাবে দুঃখ দূর হলো ঠিকই কিন্তু পরের দিন সেই দুঃখটা আবার ফিরে এল৷ আর স্থায়ীভাবে দুঃখ দূর করতে হলে চাই পরমার্থ৷ পরমার্থের সাহায্যে মানুষ এমনভাবে সামাজিক ব্যবস্থা তৈরী করবে যাতে কোনদিনই মানুষের অন্নাভাব, বস্ত্রাভাব না হয় – একটা rudimental change অর্থাৎ মূলেতেই পরিবর্ত্তন এনে দেওয়া হলো৷ আর এ কাজটা করতে গেলে যাঁরা এর অগ্রপথিক (vanguard) হবেন তাঁদের কী করতে হবে! তা’দিকে সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক বেশী শক্তি অর্জন করতে হবে৷ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে গাড়ী চালিয়ে নিয়ে যেতে হলে যাঁরা আগে যাবেন তাঁদের জঙ্গল কেটে পথ তৈরী করে তবে গাড়ী চালাতে হবে৷ আর যাঁরা পেছনে আসবেন তাঁরা খুব সহজেই গাড়ী চালিয়ে চলে আসবেন, তাঁদের জঙ্গল কাটতে হচ্ছে না পথ তৈরী করতে হচ্ছে না৷

মানসিক দুঃখগুলো কেমন ধরা যাক, জাগতিক দুঃখগুলো আমরা দূর করেই ফেললুম, ওগুলো একেবারেই নেই৷ প্রাউট থিয়োরীটা তৈরী করা হয়েছে এজন্যেই – যাতে করে জাগতিক দুঃখগুলো দূর হয়, যাতে মানুষের পরমার্থ লাভ হয়৷ আমি কোথাও বলিনি যে সব মানুষকে প্রচুর টাকা দাও৷ আমি বলেছি, প্রতিটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়িয়ে দাও৷ চালের দাম ২০০ টাকা হোক, ক্ষতি নেই যদি প্রতিটি মানুষের আয় ১০০০ টাকা হয়ে যায়৷ সুতরাং বেশী টাকা পাওয়া বড় কথা নয় বা কম টাকা পাওয়াও বড় কথা নয়, মূল কথা হল ক্রয়ক্ষমতা চাই৷ ক্রয়ক্ষমতাটা যদি প্রতিটি মানুষের মধ্যে এসে যায়, তাহলে তো আর তার আধিভৌতিক দুঃখটা থাকছে না৷ ফিজিক্যাল দুঃখটা থাকছে না৷

কিন্তু তার পরেও আধিদৈবিক বা মানসিক দুঃখটা তো থাকছে৷ তখনও তাদের শোক আছে, দুঃখ আছে, মান আছে, অপমান আছে, কোন প্রিয়জনের মৃত্যুতে বিয়োগ–ব্যথা আছে৷ অর্থাৎ এই আধিদৈবিক দুঃখটা থেকেই যাচ্ছে৷ এই আধিদৈবিক দুঃখ থেকে বাঁচবার জন্যে দরকার উপযুক্ত শিক্ষার, যথোপযুক্ত মানসাধ্যাত্মিক শিক্ষার, যাতে সে তার মনকে ভালভাবে তৈরী করতে পারে, বিরূপ পরিবেশের বিরুদ্ধে যুঝতে পারে৷ তোমরা যারা জিনিসটা ভালভাবে বুঝেছ – তাদের এই উদ্দেশ্যে ভালভাবে তৈরী হতে হবে ও নিজেদের প্রস্তুত করতে গেলে যতটা শক্তি অর্জন করা দরকার তার চেয়েও বেশী শক্তি অর্জন করতে হবে৷ কারণ যারা এটা বোঝেনি, বোঝবার সামর্থ্য নেই, যারা অল্পজ্ঞ, তারাও তো একই রক্তের মানুষ, তারাও তো আত্মীয়, তারাও তো পৃথিবীতে আমাদের অতি নিকট আত্মীয়৷ সুতরাং তাদিকে সাহায্য করার জন্যে আমরা প্রয়োজনের চেয়েও কিছুটা বেশী শক্তি অর্জন করবো৷ তা না হলে তো হবে না৷ যেমন ভারতের ব্যাপারটা দেখো না৷ আমাদের যতটা উন্নত হওয়া উচিত ছিল ততটা হইনি৷ তার কারণ, ভারতের নারী সমাজকে ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখা হয়েছিল এর ফল হয়েছিল এই যে সমাজের কেবল শতকরা ৫০ জন পুরুষের অগ্রগতি হয়েছিল, কারণ সমাজে অর্ধেকের মত পুরুষ মানুষ, অধের্কের মত নারী৷ অর্ধেকের মত পুরুষ এগোচ্ছে, অর্ধেকের মত নারী ঘরের মধ্যে তালাবদ্ধ হয়ে থাকছে৷ সুতরাং পুরুষরাই এগোচ্ছে আর ওই ৫০ জনের বোঝা নিয়ে এগোতে হচ্ছে যার ফলে অগ্রগতি কম হচ্ছে৷ নারীও তার নিজের পায়ের শক্তিতে এগিয়ে চলুক, সমানভাবে এগিয়ে চলুক৷ চলতে চলতে যদি তাদের কোথাও পায়ে ব্যথা হয়ে যায়, যদি মুখ থুবড়ে পড়ে যায় তাহলে তাদিকে তুলে নিতে হবে৷ আর নারীরাই যে কেবল মুখ থুবড়ে পড়ে যাবে, তাদিকে তুলে নিতে হবে, তাই বা কেন হবে৷ পুরুষরাও ওইরকম ভাবে পড়ে যেতে পারে, তখন নারীদের কাজ হবে তাদের টেনে তোলা, তাদের বোঝা তুলে নিয়ে এগিয়ে চলা৷ চিরকাল নারীর পজিশ্যানটা যে হয়ে থাকবে কেবল subordinted co-operation   তাও তো নয়, co-ordinated co-operation ও তো হতে পারে৷ আবার পুরুষেরও পজিশ্যান ub-ordinated co-operation হয়ে যেতে পারে৷ পৃথিবীতে কোনো কিছুই জোর করে বলা যায় না অর্থাৎ সবাইকে নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে৷

মানসিক ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে৷ যে জানে, যে বোঝে, তাকে আরও কিছুটা বেশী জানতে হবে, আরও কিছুটা বেশী বুঝতে হবে৷ তার ফলে যাদের জানবার, বোঝবার সামর্থ্য কম, তাদিকে আমরা সাহা য্য করতে পারবো৷

তৃতীয় দুঃখটা হলো – আধ্যাত্মিক দুঃখ৷ আধ্যাত্মিক দুঃখটা হলো কী – প্রতিটি মানুষ মুখে যত বড় বড় কথাই বলুক না কেন সবাই জানে যে সে ঈশ্বরের সন্তান ও ঈশ্বরই তাকে দেখছেন৷ সব সময়ই সে জানে যে সে কখনই একলা নয়৷ যে অতি বড় নাস্তিক সেও বিপদে পড়ে লজ্জায় মুখে যাই বলুক না কেন, মনে মনে বলে, ‘‘ভগবান আমায় বাঁচাও’’৷ সুতরাং কেউ যদি মুখে বলে, ভগবান–টগবান মানি না, তাহলে বুঝতে হবে যে, সে কপটাচারী, সে মনের কথা মুখে বলছে না৷ কপটাচারণকে প্রশ্রয় দেওয়া চলবে না৷ সব মানুষই জানে যে, ঈশ্বর তার আর সে ঈশ্বরের৷ কিন্তু এটা জানা সত্ত্বেও ঈশ্বরকে সে মনে–প্রাণে সহজভাবে ধরতে পারছে না৷ এই না পারার যে দুঃখ এটাকেই বলা হয় আধ্যাত্মিক দুঃখ, আর এই আধ্যাত্মিক দুঃখ থেকে মানুষ বাঁচতে পারে আধ্যাত্মিক সাধনায়৷ এই সাধনার চরম তথা পরম কথা হলো ভক্তি৷ জ্ঞান থাক বা না থাক, বুদ্ধি থাক বা না থাক,ভক্তি থাকলেই কাজ হয়ে যায়৷ সুতরাং ভক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে৷ একজন ভক্তিমান মানুষের সংস্পর্শে এসে হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষ ভক্তিমান হয় অনেকেরই জানা আছে – মহাপ্রভুর একজন বড় ভক্ত ছিলেন – যবন হরিদাস৷ বিরাট ভক্ত ছিলেন তিনি৷ মহাপ্রভু যখন কীর্ত্তন করতেন, তখন হরিদাসকে ছুঁয়ে ফেলতেন৷ শীতকালের রাত্রি৷ গোঁড়া পণ্ডিতেরা বলতেন – এক্ষুণি তোমাকে গঙ্গাস্নান করতে হবে৷ নইলে ঘরে ঢুকতে দেওয়া হবে না৷ শীতের রাত্রে গঙ্গাস্নান করতে হতো৷ কত কষ্ট! হরিদাস বলতেন – ঠাকুর, তুমি কেন আমাকে ছোঁও এত রাত্তিরে তোমাকে কষ্ট পেতে হয়৷ মহাপ্রভু তবু তাকে ছুঁয়ে দিতেন৷ এরপর হরিদাস প্রতিদিন মহাপ্রভুর কাছ থেকে দূরে বসে থাকতেন৷ আর মহাপ্রভু যেই ছোঁবার চেষ্টা করতেন, হরিদাস দৌড়তে শুরু করতেন৷ মহাপ্রভুর বয়স তখন ১৯/২০ আর হরিদাসের বয়স তখন অনেক৷ দৌড়ে মহাপ্রভুর সঙ্গে পারবেন কেন! মহাপ্রভু তাকে ছুঁয়ে ফেলতেন৷ আবার তাঁকে স্নান করতে হতো৷ তারপর একদিন কাঁদতে কাঁদতে হরিদাস বললেন, – প্রভু আমাকে ছোঁন কেন এতে আপনার লাভটা কী আপানাকে কষ্ট করতে হয়৷ শীতের রাতে স্নান করতে হয়৷

‘‘প্রভু ক’ন তোমা স্পর্শি পবিত্র হইতে৷

ভক্তিবলে পার তুমি ব্রহ্মাণ্ড সহিতে৷৷’’

মহাপ্রভু বললেন, ‘‘তুমি এতই ভক্তিমান, তোমার মধ্যে এতই ভক্তি যে আমি তোমাকে ছুঁই নিজেকে পবিত্র করার জন্যে৷ তোমার মধ্যে এত ভক্তি আছে যে গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডটাকে পবিত্র করে দিতে পারো৷ ভক্তির এতই শক্তি! এ শক্তি জ্ঞানের নেই, এ শক্তি কর্মের নেই বরং জ্ঞানীর একটা অহঙ্কার থাকে, যে অহঙ্কারটাকে সাধারণ মানুষ ভয় পায় – একটা দূরত্ব রক্ষা করে চলে, বলে, ‘‘বাপরে বাপ্, বিরাট পণ্ডিত, ওঁর কাছে কী যাওয়া যাবে’’ কিন্তু ভক্তকে কেউ সে রকম ভয় পায় না৷ ভাবে – উনি ভক্তিমান মানুষ ওঁর কাছে গিয়ে একটু বসি৷ এখন সেই ভক্তিকে যদি জাগিয়ে তুলতে পারা যায় তাহলে তাঁর সংস্পর্শে হাজার হাজার মানুষ, লাখ লাখ মানুষ প্রকৃত পরমার্থ লাভ করবে আর আধ্যাত্মিক বন্ধন থেকে মুক্ত হবে৷ এই কথাটা মনে রাখতে হবে যে আধিভৌতিক, আধিদৈবিক আর আধ্যাত্মিক – এই তিন রকমের বন্ধন থেকে মুক্ত হবার জন্যে যে পরামার্থ সেটা সকলকেই অর্জন করতে হবে, আর এমনভাবে অর্জন করতে হবে যে যারা অনগ্রসর তারাও যেন তাঁদের দ্বারা উপকৃত হয়৷