শৃঙ্খলা

লেখক
দাদাঠাকুরের চিঠি

জীবনে সফল হবার জন্যে শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ ঘরে, সুক্লে, খেলার মাঠে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিলেই অশান্তি ঘটে৷ যে ছেলে–মেয়েরা শৃঙ্খলা মানে না, তারা জীবনে কখনও বড় হতে পারে না, তাদের কেউ ভালবাসে না৷ তাই আমাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে৷

১৷ তুমি তোমার ক্লাশে কখনও গণ্ডগোল করবে না, সবসময় শান্ত হয়ে থাকবে৷

২৷ কেউ কিছু লোকের মধ্যে বসে কিছু বলতে থাকলে তখন তুমি চুপ করে থাকবে৷ তার কথা বলা শেষ হলেই তুমি কথা বলবে৷ যেমন–

৩৷ তোমারা সবাই ছুটির পরে ক্লাশ থেকে এক সঙ্গে বেরোবে না, এক একজন করে বের হবে৷

৪৷ তোমরা কখনও তোমাদের জামা, প্যাণ্ঢ নোংরা করবে না৷

৫৷ তোমরা কখনও তোমার বইয়ের পাতা ছিঁড়বে না বা তোমার জিনিসপত্র নষ্ট করবে না৷

৬৷ টিকিট ঘরে টিকিট কিনতে গিয়ে সেখানে ভীড় জমাবে না, লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনবে৷

৭৷ তুমি কখনও ছেঁড়া পাতা বা কলার খোসা রাস্তার ওপর ফেলবে না, সেগুলি ময়লা রাখার ঝুড়িতে ফেলবে,

৮৷ তোমার বাবা, মা ও তাঁদের বন্ধুরা বসার ঘরে বসে কথা বলতে থাকলে তুমি সেখানে তাদের কথা বলায় ব্যাঘাত ঘটাবে না৷

৯৷ যখন তুমি তোমার বাবা মায়ের সঙ্গে তাঁদের কোন বন্ধুর বাড়ীতে যাবে সেখানে এমন কিছু করবে না যাতে তাদের অসুবিধা হয়৷

১০৷ তুমি যখন ক্লাশে ঢুকতে যাচ্ছ তখন ক্লাসে শিক্ষক থাকলে তুমি ক্লাশের বাইরে দাঁড়িয়ে বলবে, ‘‘আমি কি ভিতরে   আসতে পারি, স্যার৷’’

১১৷ যখন তুমি কারো কাছে এক গ্লাস জল চাইবে তখন বলবে, ‘দয়া করে আমাকে এক গ্লাস জল দেবেন৷’

১২৷ তুমি সব সময় আস্তে কথা বলবে যাতে অন্যের অসুবিধা না হয়৷

১৩৷ কোন ভদ্রলোক তোমার বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসে দরজায় টোকা দিলে, তুমি দরজা খুলে তাকে নমস্কার  দিয়ে বলবে, দয়া করে ভিতরে এসে বসুন৷ একটু অপেক্ষা করুন, আমি বাবাকে খবর দিচ্ছি৷ ইত্যাদি