February 2022

সাধারণতন্ত্র দিবসের সার্থকতা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়৷ এই সংবিধানে ভারতকে সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, সাধারণতন্ত্ররূপে গড়ে তোলার

নেতাজীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের প্রকৃত পথ– প্রাউট

পথিক বর

পথিক বরমহাকালের কালচক্রে দিন, মাস, বছর নিয়মিত আসে যায়৷ কিন্তু এরই মধ্যে বছরের এক একটা দিন এমনই স্মরণীয় হয়ে থাকে যে, আমরা এটিকে পবিত্র দিন হিসেবে গ্রহণ করতে বাধ্য হই৷ এমনি একটা পবিত্র দিন ২৩শে জানুয়ারী–নেতাজী জয়ন্তী৷ এই দিন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পুন্য জন্মদিন, যিনি আজীবন দেশের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতার জন্যে কঠোর তপস্যা করে গেছেন৷

স্বয়ংসম্পূর্ণ সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চল বিশ্বৈকতাবাদের ভিত গড়ে তুলবে

প্রাউটিষ্ট

প্রাউটের মতে কোন বড় দেশের সমগ্র এলাকার সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনার জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ওই দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে •socio-economic unit— বিভক্ত করা উচিত ও প্রতিটি অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ নিজ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্যে পৃথক পৃথক ভাবে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা বাঞ্ছনীয়৷ যে সমস্ত বিষয়গুলির ভিত্তিতে এই বিভাজন করা হবে তা হ’ল,

১. একই ধরণের অর্থনৈতিক সম্পদ ও সমস্যা৷ তার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্যই স্বয়ংসম্পূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চল হওয়ার সম্ভাবনা •potentiality—

অরুণাচলের অপহৃত তরুণ মুক্ত

গত ১৮ই জানুয়ারী অরুণাচলে সিয়াং জেলার জিডো গ্রামের এক তরুণ মিরাম তোরণ নিঁখজ হয়৷ খবরে প্রকাশ গত ১৮ই জানুয়ারী সন্ধ্যায় এক বন্ধুর সঙ্গে শিকারে বেরিয়েছিল মিরাম৷ সেখানে ম্যাকমেহন লাইনের কাছে চিনা সেনার সামনে পড়ে দুই বন্ধু৷ বন্ধু পালিয়ে আসলেও মিরাম চীনা সেনার হাতে বন্দি হয়৷  বন্ধুই গ্রামে এসে খবর দেয় চীনা সেনারা মিরামকে ধরে নিয়ে গেছে৷ এই নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায়৷ মিরামকে ফেরানোর জন্যে ভারতের পক্ষ থেকে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়৷ তবে চিনের দাবী মিরাম কে অপহরণ করা হয়নি৷ জঙ্গলে পথ হারিয়ে মিরাম চীনের দখলে থাকা অঞ্চলে প্রবেশ করে৷ সেইখানেই  তাঁকে খুঁজে পায় চিনা সেনারা৷  চীনের পক্ষ থেকে ভারতকে জানানো হয় এক পথ

নেতাজীর গোপন নথি নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী

নেতাজী সুভাষচন্দ্রের ১২৫তম জন্মদিনে কেন্দ্রীয় সরকারের হেফাজতে থাকা নেতাজী সংক্রান্ত গোপন নথি প্রকাশ করার দাবী জানালেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রজাতন্ত্র দিবসে রাজধানীর কুচকাওয়াজে রাজ্যের পাঠানো সুভাষচন্দ্রের ট্যাবলো বাতিলে কেন্দ্রের ওপর অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী৷ রবিবার কলকাতায় সুভাষচন্দ্রে জন্মজয়ন্তীতে সরকারী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন--- রাজ্য সরকারের হেফাজতে থাকা নেতাজী সম্পর্কিত সব তথ্য ও নথি রাজ্য সরকার প্রকাশ করে দিয়েছে৷ ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে এই সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নেতাজী সংক্রান্ত সব গোপন তথ্য প্রকাশ করবে৷ ৮ বছর পার হওয়ার পরও প্রতিশ্রুতি রাখেনি কেন্দ্রীয় সরকার৷

 

পদ্ম রাজনীতি

পদ্ম পুরস্কারেও রাজনীতির রঙ ফুটে উঠল৷ বিজেপির সময় এখন খুব একটা ভাল যাচ্ছে না৷ মোদি ম্যাজিক  সেভাবে জনমনে দাগ কাটতে পারছে না৷ তাই গেরুয়া খোলস থেকে বেরিয়ে কিছুটা উদার হতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী৷ এবারে পদ্মশ্রী,পদ্মভূষণ পুরস্কারে বেশ কয়েকটি বিতর্কিত নাম ঘোষণা করা হয়৷ পশ্চিম বাঙলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নাম পদ্মভূষণ পুরস্কারের জন্য ঘোষণা করা হয়৷ খবর জানা মাত্রই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তা প্রত্যাখ্যান করেন৷ বুদ্ধবাবু জানান নাম ঘোষনার আগে তিনি কিছু জানতেন না৷  তবে সরকারের দাবী তারা মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারকে আগেই জানিয়েছিলেন৷তাই এ নিয়ে বিতর্ক থেকেই গেল৷

বাঙলার সঙ্গে সিংহল ও কেরলের যোগসূত্র

সে আজ অনেকদিন আগেকার কথা৷ সেটা সম্ভবতঃ খ্রীষ্টপূর্ব ৫৩৪ সাল৷ রাঢ়ের রাজকুমার বিজয় সিংহ জলপথে সিংহলে আসেন–সঙ্গে নিয়ে আসেন সাত শত–র মত অনুচর৷ তখন রাঢ়ের রাজধানী ছিল সিংহপুর (বর্তমানে হুগলী জেলার সিঙ্গুর)৷ আর বন্দর ছিল সিংহপুরেরই নিকটবর্তী একটি স্থানে৷ পরবর্তীকালে সেই স্থানটির নাম হয়ে যায় সিংহলপাটন (স্থানটি সিঙ্গুরেরই কাছে)৷ বিজয় সিংহ লঙ্কা জয় করেন৷ তিনি ও তাঁর অনুচরেরা স্থায়ীভাবে লঙ্কায় বসবাস করেন৷ এঁরাই হলেন বর্তমান সিংহলী জনগোষ্ঠীর পূর্ব–পুরুষ৷ এই সিংহলীরা চালচলনে রীতিনীতিতে, আচারে ব্যবহারে বাঙালীদের খুবই নিকট৷ মুখাবয়ব বাঙালীদের মতই৷ কথা না বললে কে বাঙালী কে সিংহলী চেনা দায়৷ সিংহলী ভাষা বাংলা

এসো সুভাষ

বিভাংশু মাইতি

তুমি, আমাদের নয়নের মণি

সুভাষ, তোমাকে ভালোবাসি

ত্যাগ-তিতিক্ষা-তপস্যার পথে

চলেছিলে  তুমি তমো নাশি৷

 

চলেছিলে বাধা দলে শত শত

করোনি কোথাও কভু মাথা নত

শৌর্য-শিখায় প্রাণে প্রাণে

আগুন জ্বালালে জনমনে,

অমর তোমার হৃদয়ের বাণী

নিখাদ তোমার মানবপ্রীতি

বিশ্ববাসীর স্বপ্ণের ধন

তরুণ রক্তে তোমার গীতি৷

 

আজ  মানবতা কাঁদে শোষণের ফাঁদে

         দিকে দিকে ওঠে হাহাকার

         শিষ্ট মানুষ ক্লিষ্ট যে আজ

         স্বাধীনতা মানে দুরাচার৷

 

নেতাজী

জয়তী দেবনাথ

শতকোটি প্রণাম তোমায়

ধন্য তুমি বীর৷

এই ভারতের গর্ব তুমি ৷

উচ্চ তোমার শীর৷৷

         তোমার জ্যোতিতে উজ্জ্বল হল

         এই ভারত-গগন৷

         দেশমাতার সেবায় তুমি

         সঁপিলে তনু-মন৷৷

    তোমার কীর্তিতে মুগ্দ আজি

সকল ভারতবাসী৷

ভারত-গীতে বাজে আজও

তোমার মধুর বাঁশী৷৷

         হে বীর তুমি আজও আছ

         সবার বরণীয়

         যুগে যুগে থাকবে তুমি

         হয়ে স্মরণীয়৷৷

তোমার ছোঁয়ায় ধন্য হ’ল

এই ভারতের ভূমি,

সবার হৃদয় জুড়ে সদা

থাকবে মহান তুমি৷

সাথে খেলা

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

ছেলেবেলায় শিবনাথ শাস্ত্রী পশু পাখি পুষতে ভালবাসতেন৷ টুনটুনি, বুলবুলি,দোয়েল,ছাতারে, শালিক, টিয়া হরেকরকম পাখি শিকার ও তাদের পোষা ছিল শিবনাথের শখ৷ এমন কি তিনি পিঁপড়েও পুষতেন৷ ফড়িং পোষাও ছিল তার বাতিক৷ পিঁপড়েগুলোকে সযত্নে কৌটোর মধ্যে ভরে রাখতেন৷ ফড়িংদের ধরে কচি কচি দূর্বাঘাস খাওয়াতেন৷ পিঁপড়েদের খাওয়াতেন চিনি আর মধূ৷