January 2023

বাঙলার শহীদ যতীন দাস

স্বপন সেন

মাস ছয়েক আগের কথা ডাক্তার দেখাতে চেপেছিলাম মেট্রো, গন্তব্য যতীন দাস পার্ক৷ দুপুর বেলা প্রায় ফাঁকা স্টেশন, সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় দেখি কিছু ছেলেমেয়ে বসে৷ একটা মেয়ের মন্তব্য কানে এলো, পাশের জনকে বলছে,‘‘এই যতীন দাস নাকি খালি হাতে বাঘ মেরেছে৷ বাঘের সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যথা, হাঃ হাঃ হাঃ ‘‘হাউ ফানি ইয়ার’’৷

চমকে গেলাম শুণে, জবাব দিতে গিয়ে মনে পড়ে গেল দমদমে মেট্রো কাণ্ড৷ আমারও ষাট পেরিয়েছে, অপরিচিত কিশোরীর সাথে তর্ক করলে যদি নেটিজেনরা পারভার্টেড বুড়ো বলে দেগে দেয়৷

মহাপুরুষের লক্ষণ

যে ধরণের ভাবা উচিত নয় কেউ সেই ধরণের ভেবে থাকলে  তাদের জন্যে ঠাট্টা করে ‘স’ শব্দ  ব্যৰহৃত হয়ে থাকে৷ এই ‘স’ শব্দ প্রসঙ্গে আমার আবার আক্‌ল্‌মন্দ সিং - এর কথা মনে পড়ে গেল৷ একবার পরপর কয়েকদিন ধরেই আক্‌ল্‌মন্দের দেখাসাক্ষাৎ পাচ্ছিলুম না৷ তারপর একদিন হঠাৎ মীরজাপুর ৰাজারে মাদুর কিনতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল৷ তাকে ৰললুম, ‘হ্যাঁরে আক্‌ল্‌্‌মন্দ, এতদিন তোর দেখা পাচ্ছিলুম না কেন!’ সে ৰললে ‘দারুণ ব্যস্ত ছিলুম’৷

আমি ৰললুম, ‘ব্যস্ত! ব্যস্ত তুই তো কখনও থাকিস না’৷ সে ৰললে---‘ব্যস্ত মানে, আমার গুরুজী এসেছিলেন৷ তাঁকে নিয়ে সমুদ্রের  তীরে রোজ ৰেড়াতে যেতুম কি না’৷

টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের অনেক জায়গায় উন্নতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করে-রোহিত

হায়দ্রাবাদে  অষ্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিল ভারত৷ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যা স্বস্তি দেবে রাহুলদের৷ রোহিত শর্মা যদিও মনে করছেন ভারতীয় দলের অনেক জায়গায় উন্নতি করা প্রয়োজন৷ বুমরা চার ওভারে ৫০ রান দেন৷ তিন ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার দেন ৩৯ রান৷ হর্ষল প্যাটেল ডেথ ওভারে দু’ওভার বল করে দেন ১৮ রান৷  জবাবে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ও সুর্যকুমার দাপটে ছ’উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত৷

বাংলার ফুটবলে সুদিন ফেরাতে চান কল্যাণ

দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থার শীর্ষপদে পদে বাংলার প্রাক্তন গোলরক্ষক৷ অথচ  বাঙালী ফুটবলারের কোন সুযোগ হচ্ছে বাঙালি ফুটবল দলে৷  ফুটবল মাঠ থেকে রাজনীতির অলিন্দ  হয়ে ভাইচুং ভুটিয়াকে বিপুল ভোটে হারিয়ে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি হয়েছেন কল্যাণ চৌবে৷ যখন খেলতেন, দলের দুর্গ সামলাতেন৷ এবার কাঁধে তুলে নিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে৷ ফুটবলার থেকে প্রশাসনের শীর্ষপদে কতটা কঠিন ছিল এই যাত্রাপথ?

কলকাতার তিলজলা কেন্দ্রীয় আশ্রমে সাড়ম্বরে কৌষিকী দিবস উদ্‌যাপিত

গত ৬ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের তিলজলাস্থিত কেন্দ্রীয় আশ্রমে আন্তর্জাতিক সদর দপ্তরে সাড়ম্বরে পালিত হল কৌষিকী দিবস৷ এই উপলক্ষ্যে তিলজলা আশ্রমে ৬ই সেপ্ঢেম্বর সকালে মার্গের  অনুগামীরা সমবেত হন৷ সকাল সাড়ে নয়টা থেকে অনুষ্ঠান  শুরু হয় প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, সাধনা ও গুরুপূজার মাধ্যমে৷ এরপর কৌষিক দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব সম্বন্ধে  আনন্দমার্গের নবতি পার সন্ন্যাসী আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত বলেন মানব সভ্যতার আদিপিতা তারকব্রহ্ম ভগবান সদাশিব পুরুষদের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক ---সর্বাঙ্গীন কল্যাণে উদ্ভাবন করেছিলেন তাণ্ডব নৃত্য৷ এ যুগের তারকব্রহ্ম ভগবান শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মহিলাদের শ

আপ্তবাক্য

‘‘যে মানুষ সংঘর্ষন ক্রিয়ার দ্বারা সেই পৃথিবীতে প্রথম অগ্ণির ব্যবহার আবিস্কার করলেন, শীতক্লিষ্ট রাত্রির হিমশীতল মানুষের দেহে জাগিয়ে দিলে উত্তাপের আরাম স্পর্শ, সে মানুষ তাঁর গায়ের জোরে নয়---বুদ্ধির জোরে, গুণের জোরেই সর্বজনশ্রেষ্ঠ হলেন সমাজ তাঁকে ‘ঋসি’ বলে মাথায় তুলে নিলে৷

স্মরণিকা

‘‘সামান্য পাগলামির ছোঁয়া ব্যতিরেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান পাওয়া অসম্ভব৷’’

‘‘আমরা কেবলমাত্র সেই সকল ক্রোধী ব্যক্তিকেই প্রশংসা করতে পারি এবং সঠিক কারণে, সঠিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সঠিক মুহূর্তে সঠিকভাবে যিনি সঠিক সময় যাবৎ ক্রোধ প্রকাশে সক্ষম৷’’

অধমেরা বিপ্লব করে মধ্যমদের সমান হবার জন্য, আর মধ্যমরা বিপ্লব করে উত্তমদের সমকক্ষ হতে৷ মনের এই সত্তাই বিপ্লব ঘটায়৷

-                                                              --অ্যারিস্টটল

মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হল প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে অঙ্কন, নৃত্য ও সঙ্গীতের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা

গত ১৮ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের কলকাতাস্থিত কেন্দ্রীয় আশ্রমে মহাসমারোহে হয়ে গেল প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে অংকন নৃত্য ও সঙ্গীতের বর্ণময় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান৷ এই উপলক্ষ্যে আশ্রমে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা,ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা রাজ্যের ৫৪টি কেন্দ্র থেকে  প্রায় সাতশত প্রতিযোগী ও তাদের অভিভাবক মিলে প্রায় দুই হাজার মানুষের সমাগম হয়৷ সারা দিন রাতের অনুষ্ঠানটি প্রতিযোগীদের রঙের তুলি রেখায়, গানের সুরে ও নৃত্যের ছন্দে প্রকৃত অর্থেই বর্ণময় হয়ে ওঠে৷

বনগাঁয় প্রাউট পরিক্রমা

গত ৪,৫ই সেপ্ঢেম্বর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমায় প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্র্সলের বনগাঁ শাখার উদ্যোগে পথ পরিক্রমা ও সভার আয়োজন করা হয়েছিল৷ ৪ঠা সেপ্ঢেম্বর সকাল ৮-৩০ মিঃ বাইক ও ট্যাবলো নিয়ে একটি সুসজ্জিত শোভাযাত্রা বনগাঁ শহর থেকে বার হয়ে ট্যাংরা কলোনী হয়ে পাঠ শিমুলিয়া, করুলীয়া হেলেঞ্চা থেকে গোপাল নগর পৌঁছায়৷ প্রতিটি জায়গায় পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ গোপাল নগর বাজারে সভার পর শোভাযাত্রা বনগাঁয় ফিরে রাত্রি যাপন করে৷