‘‘যে মানুষ সংঘর্ষন ক্রিয়ার দ্বারা সেই পৃথিবীতে প্রথম অগ্ণির ব্যবহার আবিস্কার করলেন, শীতক্লিষ্ট রাত্রির হিমশীতল মানুষের দেহে জাগিয়ে দিলে উত্তাপের আরাম স্পর্শ, সে মানুষ তাঁর গায়ের জোরে নয়---বুদ্ধির জোরে, গুণের জোরেই সর্বজনশ্রেষ্ঠ হলেন সমাজ তাঁকে ‘ঋসি’ বলে মাথায় তুলে নিলে৷
পরবর্তীযুগে এই অগ্ণির সাহায্যেই দগ্দ করে বস্তুকে মানুষ সুস্বাদু ও সুপাচ্য করে তুলল৷ এই ভাবেই অগ্ণির ব্যবহার প্রথম যিনি শিখিয়েছিলেন, তিনিও গণ্য হ’য়ে ছিলেন ঋষিরূপে, প্রথম ঋষির উত্তর সাধকরূপে! নগ্ণদেহ মানুষের জন্যে যিনি প্রথম বস্ত্র-বয়ন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, যিনি প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন মানব প্রয়োজনে গৃহপালিত জীব-জন্তুর ব্যবহার, মাতৃস্তন্য বঞ্চিত শিশুর জন্য যিনি প্রথম দিয়েছিলেন গো-দুগ্দের ব্যবস্থা, বর্তমান দিনের অবহেলিত গো-শকটের আবিষ্কার করে যিনি প্রথম মানুষের দূর করেছিলেন যান-বাহনের অসুবিধা---তাঁরা সকলেই ছিলেন ঋষি, তাঁরা সকলেই ছিলেন মানবসমূহের পালক পিতা৷ তাই তাঁরা সকলেই স্মরেণ্য, বরেণ্য শ্রদ্ধেয় ৷
---শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার
- Log in to post comments