September 2017

এমন বৃষ্টি

রতন কুমার দে

এমন বৃষ্টি এখনও দেখিনি আমি

ঘন কালো মেঘ মুষলধারায়

বৃষ্টি আসিছে নামি

দিনের আলো ঢেকে দিয়ে

যেন রাত্রি এসেছে নামি

                সকলি গিয়াছে থামি৷

জলে থৈ থৈ পথ মাঠ ঘাট

বনাঞ্চল হ’ল যে শ্মশানঘাট

বাঁধ ভেঙ্গে নদী বন্যা ঘটাল

                জলে জল একাকার৷

গ্রামের বাড়ী মাটিতে লুটালো

বিদ্যালয় বন্ধ হ’ল

ফসল জলে নষ্ট হ’ল

কত মানুষের মৃত্যু হ’ল

গ্রাম থেকে গ্রাম চুরমার

গরীব আরও গরীব হ’ল

                হাহাকার শুধু হাহাকার৷

যারা বেঁচে আছে কে দেবে ঠাঁই

ইচ্ছাপূরণ

কল্যাণী ঘোষ

নিশিদিন আমায় তুমি

                অভয় দিয়ে যাও গো–

                অভয় দিয়ে যাও৷

তোমার ইচ্ছা পূর্ণ করো

                যাহা ‘তুমি’ চাও গো–

                যাহা ‘তুমি’ চাও৷

অরিরে ধ্বংস করে–

                জীবেরে বাঁচাও গো,

                জীবেরে বাঁচাও৷

সবার তরেই আসা–

   সবারে বুঝতে দাও গো–

   সবারে বুঝতে দাও৷৷

ডাকে ওই

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ওই শোন কে ডাকে মেঘমন্দ্রে দূরগগনে

কার আহ্বান সদা ভাসে মাতাল পবনে৷

বিদ্যুৎ শিখায় কার হাতের লক লকে বেত

অমোঘ পরাক্রমে অন্যায়-অবিচারে টানে ছেদ৷

বঞ্চিতা ধরিত্রীর শূন্য কোল ভরে দিতে

কার আশিস প্রবহমান কল্লোলিনী-স্রোতে

সৃষ্টির ধমনীশিরায় উষ্ণ শোণিত কম্পন

কোন্ যতিহীন সংগীত জাগায় অনুরণন

উদ্বেল বিশ্ববীণার ঝঙ্কৃত প্রতি তারে

ভাঙ্গ্, ভাঙ্গ্ স্বর ওঠে কার ভৈরব হুঙ্কারে

মানুষ হয়ে জন্মেছি সকলে গড়তে সুন্দর মানবসমাজ

জাত-ইজম-বর্ণ ভুলে করব কেবল নোতুন পৃথিবীর কাজ৷

মণ্ডামোহন

যে সকল অন্তর্নিহিত দুর্বলতা মানুষের ক্ষতিসাধন করে সেগুলিকে রিপু বলা হয়৷ আর জীবের এই অন্তর্নিহিত দুর্বলতা বা রিপুর সুযোগ নিয়ে বাইরে থেকে যে বন্ধন এসে জেঁকে বসে’ মানুষকে জড়িয়ে ধরে .....আষ্টেপৃষ্ঠে জাপটে ধরে ...জগদ্দল পাথরের মত বুকে চেপে বসে সেগুলিকে বলা হয় পাশ৷ রিপু ছয়টি – কাম, ক্রোধ, লোভ, মদ, মোহ, মাৎসর্য্য৷ আর এই রিপুগুলি থাকার ফলে যে পাশগুলি (পাশ মানে বন্ধনরজ্জু) মানুষকে বন্ধন করে তারা হ’ল সংখ্যায় আট৷

                ‘‘ঘৃণা–শঙ্কা–ভয়ং–লজ্

                                জুগুপ্সা চেতি পঞ্চমী

                কুলং–শীলঞ্চ–মানঞ্চ্

প্রভাতসঙ্গীতের ৩৫ বর্ষপূর্ত্তি উৎসব

আগামী ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাত সঙ্গীতের ৩৫ বর্ষপূর্ত্তি উৎসব৷ ১৯৮২ সালের ১৪ই সেপ্ঢেম্বর প্রভাতসঙ্গীতের স্রষ্টা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার, যিনি ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী রূপে সমধিক পরিচিত, দেওঘরের শান্ত স্নিগ্দ পরিবেশে প্রভাতসঙ্গীত রচনা শুরু করেছিলেন৷ সে

নবান্নে অশ্বডিম্ব প্রসব

স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে গোর্র্খ জনমুক্তির মোর্র্চর প্রধান বিমল গুরুং দার্জিলিংয়ে নিজের আধিপত্য বজার রাখার স্বার্থে কিছুতেই বনধ্ তুলে নিতে চাইছে না৷ যদিও আড়াই মাসের বেশি বন্ধ চালিয়ে যাওয়ায় পাহাড়বাসী অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে৷ রুজি-রোজগার বন্ধ , খাবার ঠিকভাবে মিলছে না৷ ছেলেমেয়েদের শিক্ষাও লাটে উঠেছে৷ কোটি কোটি টাকার সরকারী সম্পত্তি ধবংস হয়েছে, উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বন্ধ৷  এতে যা কিছু ক্ষতি মূলতঃ পাহাড়ের জনসাধারণের৷ পাহাড়ের সাধারণ মানুষ বলতে শুরু করেছে , নেতারা তো অন্যত্র তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াচ্ছে৷ তাই তাদের তো কোনো চিন্তাই নেই৷

নবান্নের সন্নিকটে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ‘আমরা বাঙালী’র বিক্ষোভ ও পথসভা

হাওড়া, ২৯শে আগষ্ট ঃ হাওড়া জেলার আমরা বাঙালীর কমিটির উদ্যোগে নবান্নের সন্নিকটে গোর্খা জনমুক্তির প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় ও নবান্নের আশেপাশে এলাকায় পথসভা করা হয়৷ এখানে উল্লেখ্য যে এদিন নবান্নের  গোর্খা জনমুক্তি ও জি.এন.এল.এফ-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ তারই প্রতিবাদে ‘আমরা বাঙালী’র হাওড়া জেলা সচিব রামচন্দ্র মান্নার উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়৷ উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সচিব মাননীয় শ্রীবকুল চন্দ্র রায়৷ তিনি তাঁর বক্তব্যে পরিস্কার ভাবে বলেন, এই যে বিদেশী গোর্খাদের সাথে রাজ্য সরকার আলোচনার ব্যবস্থা তা সম্

স্বাধীনতার সত্তর বর্ষপূর্তি প্রসঙ্গে কিছু কথা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট থেকে শুরু করে ২০১৭ সালের ১৫ই আগষ্ট--- ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের সত্তরটি বছর পূর্ণ হল৷  প্রথম স্বাধীনতা প্রাপ্তির   দিনটিতে আমরা অনেকেই জন্ম গ্রহণ করিনি বা শৈশব-কৈশোর অবস্থায় থাকার কারণে স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই রক্তঝরা দিনগুলোর কথা লোক মুখে বা ইতিহাস পুস্তক পাঠের মাধ্যমে বিশদে জানতে পেরেছি৷ কিন্তু অনুভূতি ও মননের ব্যঞ্জনায়  যখন সেই দিনগুলির ছবি মানসপটে ভেসে ওঠে, মহান বিপ্লবী  দেশপ্রেমিকদের আত্মত্যাগ ও দেশ মাতৃকার  শৃঙ্খল মোচনের সংগ্রামে জীবন বিসর্জন দেওয়ার উন্মাদনা তখন আমাদের শিহরিত, রোমাঞ্চিত করে৷ সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের অত্যাচার ও নিপীড়নের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা

ব্লু হোয়েলের নেশার কবলে

আচার্য সত্যশবিানন্দ অবধূত

খবরে প্রকাশ অনলাইনে ‘ব্লু হোয়েল গেম’ খেলে অনেক তরুণ-তরুণী ব্লেড দিয়ে নিজেদের শরীর নিজেরা ক্ষত-বিক্ষত করে কেউ কেউ শেষ পর্যায়ে এসে আত্মহত্যা করেছে৷ উদ্ভট এক গেম! উদ্ভট এই গেমের নেশা৷ ছেলেমেয়েদের মা-বাবারা চিন্তায়  পড়ে গেছেন৷ পুলিশ প্রশাসনও চিন্তায় পড়ে গেছে৷ এ এক মারাত্মক ব্যাধির ভাইরাস, যা ছড়িয়ে পড়ছে ও দেশের তরুণ-তরুণীদের জীবনকে ধবংস করছে৷

এছাড়া ট্রেনে, বাসে, ট্রামে প্রায় দেখা যায় তরুণ-তরুণী সহ বড়রাও সারাক্ষণ মোবাইলের ফেসবুক বা এই ধরণের কিছু নিয়ে মহাব্যস্ত৷ রাস্তায় চলতে চলতে কাণে হেড ফোন গোঁজা৷ এর জন্যে কত দুর্ঘটনাও ঘটছে!