June 2018

ছোট্ট বেলা

শরৎসুনীল নন্দী

একটা শালিখ পুষেছিলুম ছোট্টবেলা

খাঁচার ভেতর বন্দী থেকে করত খেলা,

একটা দু’টো ফরিং দিতুম রঙটা সবুজ

খেতো শালিখ মন ভরে তা একলা অবুঝ৷

একটা হাঁস পুষেছিলুম ছোট্টবেলা

ছেড়ে দিতুম ফিরে আসতো সন্ধেবেলা,

পেট ভরে খায় চালের কঁুড়ে শামুক–গুগ্লি–

ডগোমগো, ডিম দিত সে এ্যাত্তোগুলি

হলুদ দিয়ে চান করালুম শালিখটাকে

চুপ হয়ে সে থমকে গেল, আর না ডাকে৷

হাঁসটা সেদিন সাঁজবেলাতে ফিরল না আর

আম বাগানে খঁুজে পেলুম পালক তাহার

ছোট্টবেলার সেই বেদনা–বুকের ক্ষত

ভোলা কি যায়? ভালবাসার দুঃখ সে তো

মায়েরই তো খাচ্ছি

কিছু মানুষ আছে যাদের কুকার্য ধরা পড়বার ভয়ে তারা তাদের সেই কুকার্যের সমর্থনে যুক্তি খোঁজে৷ তারা ‘খল’ পর্যায়ভুক্ত৷

আমি একজন চাটুজ্জে–গিণ্ণীকে জানতুম৷ তিনি দুর্গা পূজার সময় প্রায়ই পূজামণ্ডপে তো থাকতেনই, যেখানে ভোগ রান্না হত সেখানেও তাঁকে খুব বেশী ঘোরাফেরা করতে দেখা যেত৷ একবার তিনি শাড়ীর নীচে লুকিয়ে কী যেন একটা নিয়ে যাবার সময় স্বেচ্ছাসেবকের হাতে ধরা পড়লেন৷ স্বেচ্ছাসেবকদের সাহসই হল না তাঁর জিনিসটা তল্লাসী করার৷ তারা পূজা কমিটির সেক্রেটারী জনৈক ঘোষ মশায়কে ডাকলেন৷

ঘোষ মশায় আমাকে বললেন–কী করা যায় বলুন তো

দাদাঠাকুরের চিঠি - শৃঙ্খলা

জীবনে সফল হবার জন্যে শৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান৷ ঘরে, সুক্লে, খেলার মাঠে শৃঙ্খলার অভাব দেখা দিলেই অশান্তি ঘটে৷ যে ছেলে–মেয়েরা শৃঙ্খলা মানে না, তারা জীবনে কখনও বড় হতে পারে না, তাদের কেউ ভালবাসে না৷ তাই আমাদের জীবনে সর্বক্ষেত্রে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে৷

১৷ তুমি তোমার ক্লাশে কখনও গণ্ডগোল করবে না, সবসময় শান্ত হয়ে থাকবে৷

২৷ কেউ কিছু লোকের মধ্যে বসে কিছু বলতে থাকলে তখন তুমি চুপ করে থাকবে৷ তার কথা বলা শেষ হলেই তুমি কথা বলবে৷

৩৷ তোমারা সবাই ছুটির পরে ক্লাশ থেকে এক সঙ্গে বেরোবে না, এক একজন করে বের হবে৷

৪৷ তোমরা কখনও তোমাদের জামা, প্যাণ্ঢ নোংরা করবে না৷

উরুগুয়ের ফুটবল তারকা লুইস সুয়ারেস সমবেদনা জানালেন তার সতীর্থ মিশরের  মহম্মদ সালাহকে 

আগামী রাশিয়ার বিশ্বকাপে মিশরের ফুটবল তারকা মহম্মদ সালাহ খেলতে পারবেন কিনা তা যথেষ্ট অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে৷ কারণ, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে সের্খিও র্যামোসের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন সালাহ৷ এই কারণে উরুগুয়ান ফুটবল তারকা লুইস সুয়ারেস সমবেদনা জানিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন--- ‘বিশ্ব ফুটবলের অন্য সবাই আমার সতীর্থ৷ সালাহও তাই৷ একজন সতীর্থ চোট পেলেন আবার বিশ্বকাপের আগে৷ এখন শুধু তার খারাপ লাগার কথা নয়, সমস্ত মিশর খুবই চিন্তিত তাঁর খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কারণ তাঁর খেলার দক্ষতা এতটাই যে তাঁকে ‘মিশরের মেসি’ নামে অভিহিত করা হয়েছে৷ র্যামোস এখন মিশরের মানুষের কাছে সাক্ষাৎ কসাই হয়ে গেছেন৷ এমনকি সাড়ে চার লক্ষ সমর্

আগামী জুন মাসের টেষ্ট ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন ঋদ্ধিমান সাহা

আসন্ন টেস্ট ম্যাচে হয়তো খেলতে পারবেন না ঋদ্ধিমান৷ কারণ আইপিএলে কলকাতার বিরুদ্ধে খেলার সময় হাতে গুরুতর চোট পান তিনি৷ তাই  আফগানিস্থানের সঙ্গে যে টেষ্ট ম্যাচ হতে চলেছে জুন মাসে তাতে খেলবেন না তিনি৷ ঋদ্ধিমানের ডানদিকের বুড়ো আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে৷ তাই কোনোভাবেই খেলার উপযুক্ত হতে পারছেন না এমতবস্থায়৷  ডাক্তারদের মতে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ ৷ ক্রিকেট থেকে জানানো হয়েছে ঋদ্ধির চোটের ওপর নজর রাখা হয়েছে, ঋদ্ধির চোটের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি  তাতে করে  আফগানিস্থানের বিরুদ্ধে এই ঐতিহাসিক ম্যাচের উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো ঋদ্ধিমানের পক্ষে এখন সম্ভব হবে না এটাই কঠিন সত্যি৷ তাই ১৪

সমাজ সেবায়  আনন্দমার্গ

আনন্দ নগর ঃ আনন্দমার্গ ধর্ম মহাসম্মেলনে আনন্দমার্গের সাধারণ সচিব আচার্য বীতমোহানন্দ  অবধূত তাঁর সান্মাসিক প্রতিবেদন পাঠের সময়  বলেন,  আনন্দমার্গ  এক আধ্যাত্মিক  ও বহুমুখী সমাজসেবামূলক  প্রতিষ্ঠান৷  বহুমুখী সমাজ সেবায়  নিয়োজিত আনন্দমার্গের  প্রধান শাখা---শিক্ষা ত্রাণ ও জনকল্যাণ বিভাগ Education,  Relief and  Welfare Section = ERAWS )-এর কাজর্মের এক সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন---বর্তমানে আনন্দমার্গ পরিচালিত সুকলের সংখ্যা---ছেলেদের দ্বারা পরিচালিত - ৪৮৫টি (গত বছর পর্যন্ত) ও নোতুন ১০টি---মোট ৪৯৫টি৷ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত সুকল (গত বছর পর্যন্ত) ৯৯টি, নোতুন ১টি, মোট-১০০টি৷ ছেলে-মেয়ে নিয়ে

ধর্মমহাসম্মেলনে ভি.এস.এস.-এর পরিচালনায় জলসত্র

ভলেণ্টিয়ার্স সোস্যাল সার্ভিস (ভি.এস.এস.) এর নদীয়া ভুক্তির তরফ থেকে গত ২৫,২৬,২৭ মে আনন্দনগরে আয়োজিত আনন্দমার্গের গ্রীষ্মকালীন ধর্মমহাসম্মেলনে সমবেত ভক্তদের আনন্দমেলায় সমাগত জনসাধারণের তৃষ্ণা নিবারনার্থে জলসত্রের আয়োজন করা হয়৷ এই জলসত্রে প্রতিদিন  তৃষ্ণার্তদের গ্লুকোন সি সহ বিশুদ্ধ পানীয় জল পরিবেশন করা হয়৷

এই জলসত্র পরিচালনায় ছিলেন শ্রী শক্তিপদ সরকার, শ্রীমতী গোপা সরকার, বিবেকজ্যোতি সরকার ও তনুকা সরকার৷

জেলায় জেলায় অখণ্ড কীর্ত্তন

দীঘা ঃ গত ৪ ও ৫ই মে,২০১৮ পূর্ব মেদিনীপুরের  দীঘায় মার্গগুরু ভবন ‘মধুকলাপে’২৪ ঘণ্টা ব্যাপী অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ প্রথম দিন দুপুর ২টায় প্রভাত সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে  অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়৷ এরপর বিকেল ৩টে থেকে পরের দিন বিকেল ৩টে পর্যন্ত ২৪ ঘন্টাব্যাপী অখন্ড ‘বাবা নাম কেবলম্’  নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখন্ড কীর্ত্তনে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু মার্গী ভাই-বোনেরা অংশগ্রহণ করেন৷ অনুষ্ঠানে প্রতিদিন সকালে দীঘার সমুদ্রসৈকতে আনন্দমার্গীরা নগরকীর্ত্তন  করেন৷

আনন্দনগর ধর্ম মহাসম্মেলন মঞ্চে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান

আনন্দনগরে ত্রি-দিবসব্যাপী ধর্ম মহাসম্মেলনে  তিনদিনই সন্ধ্যায় প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে  মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাওয়া শিল্পী প্রভাতসঙ্গীত, প্রভাত সঙ্গীত অবলম্বনে নৃত্য, নৃত্য-গীতি আলেখ্য ও নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে অপূর্ব আনন্দময় পরিবেশ রচনা করে  দর্শকদের মুগ্দ করেন৷ 

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সব কিছু করে যায়’’---এই প্রভাত সঙ্গীতটি দিয়ে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়৷ এটি পরিবেশন করেন আনন্দমার্গের ব্রহ্মচারিগণ৷ এরপর  সঙ্গীত পরিবেশন করেন  উমানিবাসের মেয়েরা ঃ ‘আলোকের এই উৎসবে’৷

অসমে বাঙালীদের অবস্থা রোহিঙ্গাদের মতো  ঃ আমরা বাঙালী, অসমে শুদ্ধ নাগরিকপঞ্জী দেওয়ার ব্যাপারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা

অসম সরকার  শুদ্ধ নাগরিকপঞ্জী দিতে পারবে না বলে আশংকা প্রকাশ  করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈও ৷ নাগরিকপঞ্জীর চূড়ান্ত খসড়ায়  অনেক ভারতীয়ের  নাম বাদ পড়বে বলে তিনি আশংকা করেছেন ৷ তিনি বলেছেন, মুসলমানদের  পাশাপাশি  হিন্দু বাঙালীদের নামও  বাদ পড়বে৷ তাই একটা বিষয়  পরিষ্কার যে  অসমের  বিজেপি  সরকার  শুদ্ধ নাগরিকপঞ্জী প্রকাশ  করতে অসমর্থ৷ ইতোপূর্বে অসমে  নূতন নাগরিকপঞ্জী থেকে ১ কোটি ৩৯ লক্ষ বাঙালীর  নাম বাদ পড়েছে৷  তাদের  নাগরিকত্ব হরণের  প্রতিবাদে অসমে ‘আমরা বাঙালী’ সহ  বিভিন্ন বাঙালী সংঘটন  ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিক্ষোভ  আন্দোলনে  সামিল হয়েছে৷