August 2018

দরিদ্র-নারায়ণ সেবা

আনন্দনগর ঃ গত ২২শে জুলাই আনন্দনগরের অনন্যাগ্রামে ভলান্টীয়ার্স সোস্যাল সার্বিসের তরফ থেকে দরিদ্র নারায়ণ সেবার আয়োজন  করা হয়৷ এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য সংশুদ্ধানন্দ অবধূত৷ ১ হাজারের বেশি গ্রামবাসীকে এই ‘নারায়ণ সেবা’ অনুষ্ঠানে মধ্যাহ্ণভোজে আপ্যায়িত করা হয়৷

এছাড়া এই গ্রামে পানীয় জলের অভাব দূর করার জন্যে আচার্য প্রত্যগাত্মানন্দ অবধূতের উদ্যোগে একটি বড় ‘কুঁয়া’ তৈরী করে দেওয়া হয়৷ এর নাম রাখা হয় ‘আনন্দ কূপ’৷ এদিন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত এই আনন্দকূপ উদ্বোধন করে সর্বসাধারণের জন্যে উৎসর্গ করেন৷

অন্নপ্রাশন ও নামকরণ

ইসলামপুর ঃ গত ২২শে জুলাই উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়াতে অজয় কুমার সিন্হার মেয়ের অন্নপ্রাশন উপলক্ষ্যে তিনঘন্টাব্যাপী অখন্ড ‘বাবা নাম কেবলম্’ নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ মিলিত সাধনা ও গুরুপূজার পর নামকরণ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন ইসলামপুর ডিট.এস আচার্য প্রাণেশ ব্রহ্মচারী ও তিনি অজয় কুমার সিন্হার মেয়ের নামকরণ করেন অনুপ্রভা সিন্হা৷ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চোপড়ার স্থানীয় মার্গী দাদা-দিদি ও ডি.এস.এল অবধূতিকা আনন্দ অনিন্দিতা আচার্যা৷

মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

আনন্দনগর ঃ গত ২২শে জুলাই বড়রোলা গ্রামের বিশিষ্ট আনন্দমার্গী বাসুদেব কুমার পরলোক গমন করেন৷ ২৯শে জুলাই প্রয়াত বাসুদেব কুমারের মার্গীয় বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়৷

তিন ঘন্টাব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ সংকীর্ত্তনের পর আনন্দমার্গের সমাজ শাস্ত্রানুসারে এই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য মুক্তানন্দ অবধূত৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর প্রয়াতের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন আচার্য শিবব্রতানন্দ অবধূত, আচার্য নারায়ণানন্দ অবধূত, আচার্য মোহনানন্দ অবধূত৷ স্থানীয় আনন্দমার্গী ধনঞ্জয় মাহালী প্রমুখ৷ তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে প্রয়াত বাসুদেব কুমারের গভীর আদর্শ প্রীতি, সাধনা ও সেবাপরায়ণতার কথা বলেন৷

‘বাবা নাম কেবলম্’ গেয়ে গেল রে উঠে পড়

পুরুলিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রাম আরষা৷ সেই গ্রামের মেয়ে-পুরুষেরা যারা জঙ্গলে গিয়ে কাঠ কেটে জীবিকা নির্বাহ করে, তাদের ভোরে ওঠার ঘড়ি হ’ল ওই ‘বাবানাম কেবলম্’৷ ১৯৯৩ সালের আনন্দপূর্ণিমা থেকে গত ২৬ বছর ধরে নিয়মিত ভোর রাতের ওই ‘বাবা নাম কেবলম্’ প্রভাতী সংকীর্ত্তন আরষা গ্রামে বাজার বা আশেপাশের অঞ্চলে ১ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট সময় প্রতিদিন ওই প্রভাতফেরী হয়ে থাকে৷ তা করে আসছে একজন সাধারণ ভক্ত মানুষ৷ বয়স তার এখন ষাটের কোঠায়৷ কখনও বা একটি দু’টি সাথী মিলে যায়৷ কৃষ্ণকুমার বা বাগেশ্বর কুমার৷ নয়তো সে কারো আশা রাখে না৷ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীত মানে না৷ বছরের ৩৬৫ দিন ওই অন্ধকার ভোরে তার পরিক্রমা শুরু ঘরের গেট থেকে৷ শেষ হ

আনন্দমার্গ সেবাদলের পক্ষ থেকে তাঁতিগেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় দন্ত পরীক্ষা শিবির, সদাব্রত ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠান

মেদিনীপুরের ২৫ নং ওয়ার্ডের তাঁতিগেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনন্দমার্গ সেবাদলের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে দন্ত পরীক্ষা শিবির, ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে খাতা ও পেনসিল বিতরণ ও সবশেষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী পালিত হয়৷ অতিথি বরণের পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কল্পনা গিরি সহ-শিক্ষক নিত্যানন্দ বেরা ও মেদিনীপুর ডায়োসিস সচিব আচার্য নিত্যতীর্র্থনন্দ অবধূত ৷ কীভাবে দাঁতের যত্ন নেওয়ার দরকার সে সম্বন্ধে বক্তব্য রাখেন ডাঃ সায়নী মুখার্জী৷ ছাত্র-ছাত্রাদের দন্ত পরীক্ষার পর তাদের হাতে খাতা ও পেনসিল তুলে দেওয়া হয়৷ সবশেষে বিদ্যালয়ের সামনে একটি কামিনী ফুলের চারা রোপণ করা হয়৷ অনুষ্ঠানটি

আনন্দমার্গ সেবা দলের উদ্যোগে গোয়ালতোড়ে আনন্দমার্গ স্কুলে দন্ত পরীক্ষা শিবির

Medical camp 2গত ১৫ই জুলাই আনন্দমার্গ সেবা দলের উদ্যোগে গোয়ালতোড়ে আনন্দমার্গ স্কুলে বিনামূল্যে দন্ত পরীক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়৷ দন্ত পরীক্ষা করে ডাঃ সায়নি মুখার্জী ও ডাঃ পমি শীল৷ শতাধিক ব্যক্তির দন্ত পরীক্ষা করা হয়৷ শিবিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানুষের সামনে বক্তব্য রাখেন টিচার ইন চার্জ সনাতন মাহাতো , ডায়োসিস সচিব আচার্য নিত্যতীর্র্থনন্দ অবধূত ও ডাঃ সায়নি মুখার্জী ৷ প্রতি মাসে একদিন করে এই শিবির করার জন্যে স্থানীয় মানুষজন আবেদন ক

শীঘ্রই আনন্দমার্গ গুরুকুল ইয়ূনিবার্সিটি তৈরীর উদ্যোগ

গত ২৮ ও ২৯শে জুলাই কলকাতায় আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে আনন্দমার্গের গুরুকূল বোর্ডের এক বিশেষ সভার আয়োজন করা হয়৷ এই সভায় ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে ও নেপাল থেকে প্রায় একশত বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী যোগদান করেছিলেন৷ তাদের বেশীরভাগই ছিলেন শিক্ষার বিভিন্ন বিভাগের ডক্টরেট৷ এই সভায় যথাশীঘ্র সম্ভব আনন্দমার্গ গুরুকূল ইয়ূনিবার্সিটি খোলার  সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ও এই জন্যে নয় জনের একটি কমিটিও তৈরী করা হয়৷ এই কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন দিল্লীর জওহরলাল নেহেরু ইয়ূনিবার্সিটির অধ্যাপক ডঃ উত্তম পতি আর আহ্বায়ক হলেন ডঃ এ.কে.ভাস্কর৷

চন্দ্রকোণারোডে আনন্দমার্গ স্কুলে বৃক্ষরোপণ উৎসব

চন্দ্রকোণারোডে  অবস্থিত  আনন্দমার্গ স্কুলে শুক্রবার  ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ উৎসব উদ্যাপিত হয়৷ বৃক্ষের উপকারিতা ও কেন এই বৃক্ষরোপণ উৎসব  এ সম্বন্ধে  ছাত্রছাত্রাদের  বুঝিয়ে  বলেন বিদ্যালয়ের  টিচার-ইন-চার্জ তরুণ কুমার খাঁন৷  শতাধিক  ছাত্রছাত্রার  মধ্যে  গাছের  চারা বিতরণ করা হয় বাড়িতে রোপণ করার জন্য৷ এছাড়াও  তাদের হাতে একটি করে প্রচারপত্র তুলে দেওয়া হয়, যাতে  গাছের অবদান বিষয়ে  উল্লেখ করা আছে৷ সকল শিক্ষক ও অভিভাবকগণের  সহযোগিতায়  অনুষ্ঠানটি  সর্বাঙ্গসুন্দর  হয়ে ওঠে৷ এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য রাজ্য সরকারের বন দফতর বৃক্ষের চারা দিয়ে সহযোগিতা করে৷

অখন্ড কীর্ত্তন

তারকেশ্বর ঃ হরিশপুরে  শ্রী কমলপাত্রের বাসভবনে গত ২২শে জুলাই  ‘বাবা নাম কেবলম্’ মন্ত্রের অখণ্ড নাম সংকীর্ত্তনের  আয়োজন করা হয়৷ প্রায় দেড়শত আনন্দমার্গী এই কীর্ত্তনে  অংশগ্রহণ  করেন৷ কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনান্তে  আনন্দমার্গের  ধর্মসাধনার ওপর বক্তব্য রাখেন ব্রহ্মচারিনী অনিন্দ্যা আচার্য্যা৷

তিনি বলেন, সাধনার  দ্বারা  বহির্মুখী মনকে  অন্তর্মুখী করে  অন্তরস্থিত ঈশ্বরের দিকে  মনকে  চালিত করতে হয়৷  এইভাবে  আধ্যাত্মিক  আনন্দের  উপলদ্ধি হয়৷ এরপর আনন্দমার্গের  দর্শনের  ওপর  বক্তব্য রাখেন  শ্রী অভিদেব ও সত্যজিৎ  দাস৷ এরপর নারায়ণসেবার আয়োজন করা হয় ও উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়৷

প্রভাত সঙ্গীত প্রতিযোগিতা

ইমাদপুরে  (বীরভূম) প্রভাত সঙ্গীতের  প্রতিযোগিতা হয়৷ এই প্রতিযোগিতায় ১২০ জন প্রতিযোগী যোগদান  করেন৷  তারমধ্যে  সঙ্গীতে  ১২ জন, নৃত্যে ৪৮জন  ও অংকনে  ৫০ জন৷  সঙ্গীত প্রতিযোগিতা পরিচাালনা করেন কেশব মজুমদার (ভুক্তিপ্রধান), নৃত্যপ্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন মধুসূদন কৈবর্ত ও অংকন প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন অমিয় দাস৷

অনুষ্ঠানের পর ১ম, ২য় ও ৩য় স্থানাধিকারীদের  পুরসৃকত  কর হয়৷ সমগ্র  অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আচার্য সৌম্যসুন্দরানন্দ অবধূত, গোপিকারঞ্জন মুখার্জী ও কাঞ্চন চ্যাটার্জী৷