প্রবন্ধ

শীতকাল ও রবীন্দ্রসংগীত

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

হেমন্তের পরে আসে শীত৷ সকালবেলা পাকা ধানের শিষে শিষে  ঝলমলিয়ে ওঠে শিশিরবিন্দু৷ ‘সকাল হতে সন্ধ্যে’ সমস্ত ক্ষেত মুখর হয়ে ওঠে ধান কাটার গানে৷ চাষীর গোলায় ধান আর ধরে না, ছড়াছড়ি  যায় গৃহের  প্রাঙ্গণে৷ শুধু ধান নয়৷ শাকসব্জীর ক্ষেতও ফসলে পরিপূর্ণ৷ পালংশাক , বাঁধাকপি, ফুলকপি, কড়াইশঁুটি, বেগুন, টম্যাটো, নতুন আলু , মূলো, বিট, গাজর--- আরো কত রকম ফসল৷ খুব সস্তা৷  যত পারো খাও৷ তাই বুঝি  আমাদের কবি রবীন্দ্রনাথ  শীতকালকে এমন সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করেছেন---

নমো, নমো, নমো৷

নমো, নমো, নমো৷

তুমি ক্ষুধার্তজনশরণ্য,

অমৃত-অন্ন-ভোগ ধন্য করো

অন্তর মম৷৷

নেতাজীর সমন্বয়বাদ ও প্রাউটের সংশ্লেষণাত্মক মানবতাবাদ

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

নেতাজীর চিন্তাধারার মূল কথা হ’ল–সমন্বয়বাদ৷ তিনি বলেছেন, ‘‘That synthesis is called by the writer samyavad—the Indian word, which means literally—the Doctrine of Synthesis or equality’’—(Indian Struggle by Netaji).

প্রসঙ্গ তেইশে জানুয়ারী---‘‘আমি কারো প্রতিচ্ছবি নই, প্রতিধবনি নই’’

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

তেইশে জানুয়ারী---ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আপোষহীন সংগ্রামী বিপ্লবী মহানায়ক সুভাষচন্দ্রের জন্মদিন৷ বাঙালীর কাছে এ বড় বেদনারও দিন৷ এই দিন সেই সব হাতগুলো পুষ্পস্তবক নিয়ে নেতাজীর মূর্ত্তির সামনে দাঁড়াবে যাঁরা বা যাঁদের পূর্বসূরী সুভাষচন্দ্রকে জব্দ করতে তলে তলে ব্রিটিশের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল৷ ওদেরই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সুভাষচন্দ্রকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল৷ কংগ্রেস, কমিউনিষ্ট, আর.এস.এস---এদেরই বিশ্বাসঘাতকায় সুভাষচন্দ্রের স্বপ্ণের স্বাধীনতা আজও অধরা৷ তিনি নিজেও কোন অজানা পথের পথিক হয়ে রয়ে গেলেন!

প্রতিবাদের এই পরানুকরণ ভঙ্গিমা বঙ্গ সংস্কৃতির অঙ্গ নয়

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

প্রাউট প্রবক্তা শ্রদ্ধেয় দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর যুগান্তকারী প্রাউট তত্ত্বে শোষণের কয়েকটি পর্যায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফ্যাসিষ্ট শোষণ সম্পর্কে বলেছেন---‘ফ্যাসিষ্টদের ক্রুরদৃষ্টি যে জনগোষ্ঠীর ওপর নিবদ্ধ হবে সেই জনগোষ্ঠীকে তারা প্রথমেই চেষ্টা করবে তাদের নিজস্ব সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিবেশ থেকে উৎখাত করতে৷ স্বাধীনতার আগে থেকেই দেশীয় ফ্যাসিষ্ট শোষকদের ক্রুরদৃষ্টির শিকার বাঙালী জনগোষ্ঠী৷ তাই আজ বাঙলার সামাজিক-অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক সর্বক্ষেত্রেই অবক্ষয়৷

অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭০ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে যে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

তথাকথিত রিলিজিয়ন ও প্রকৃত ধর্ম পরস্পরবিরোধী

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

রিলিজিয়নের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারের  সাম্প্রদায়িক বিভাজন নীতির প্রতিবাদে আজ সারা দেশ আন্দোলনে উত্তাল৷ দিল্লীর জে.এন.ইয়ূ বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলকাতার যাদবপুর, প্রেসিডেন্সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রারাও দলে দলে আন্দোলনের পথে নেমেছে৷ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু ছাত্র-ছাত্রা আহত হয়েছে৷

আদর্শ সমাজ গড়ার নোতুন ভাবনা

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

দুর্নীতিতে সারা দেশ ছেয়ে গেছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্যের পঞ্চায়েৎ স্তর পর্যন্ত সর্বত্র দুর্নীতির রাজ্যপাট চলছে৷ বলা বাহুল্য, ক্ষমতার সঙ্গে দুর্নীতির যোগসাজসটা সর্বাধিক৷ কারণ, ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই দুর্নীতির রাজ্যপাট বিস্তারের সুবিধা৷ প্রশাসনিক ক্ষমতার সাহায্য পেলে দুর্নীতির আর ভয়–ডর কিসের?

জে.এন.ইউ.-এর ছায়া বিশ্বভারতীতে

উশৃঙ্খল ছাত্র রাজনীতি গ্রাস করল রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বভারতীকে৷      শিক্ষা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন---‘শিক্ষার মূল কথা বিশ্বের সব কিছুর সঙ্গে পূর্ণ যোগ৷ এই বোধের পথে প্রবৃত্তির সংযমহীনতা অন্তরায়, রিপুরা বাধা  হয়ে দাঁড়ায়৷’ ঘৃণ্য দলীয় রাজনীতির শিকার ছাত্রসমাজকে প্রবৃত্তির সংযমহীনতা ও রিপুর তাড়না গ্রাস করেছে৷ তারই প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে৷ শিক্ষার পবিত্র অঙ্গন রক্তাক্ত হচ্ছে ছাত্রের হাতে ছাত্র খুনে৷ সম্প্রতি দিল্লীর জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর সংঘাত যে নৃশংস রূপ নিয়েছিল তাতে গোটা দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল, তার রেশ এখনও কাটেনি৷ দেশের বাইরেও

ছিন্নভিন্ন  মানব সমাজকে  একসূত্রে  বাঁধতে  আজ একান্ত জরুরী আধ্যাত্মিক নবজাগরণ

প্রভাত খাঁ

যে যাই বলুক  ও চিন্তা  করুক যা বাস্তব  সত্য তা হলো মানুষ  সমাজবদ্ধ প্রাণী৷ এই কারণেই  প্রাচীন ভারতবর্ষের  সমাজবেত্তাগণ ‘সংগচ্ছধবং’ মন্ত্রকে  চলার পথে  ধ্রুবতারা বলেই  মান্যতা দিয়েছেন৷