প্রবন্ধ

বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে কোনও বিরোধ নেই

কিংশুক রণজন সরকার

(আনন্দনগরে অনুষ্ঠিত আনন্দমার্গ ধর্মমহাসম্মেলনে রেণেশাঁ ইয়ূনিবার্সালের প্রেসিডেণ্ট হিসেবে শ্রদ্ধেয় পুরোধা প্রমুখ বিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে ভাষণ দেন৷ উক্ত ভাষণের সারসংক্ষেপ লিখে পাঠিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিবেদক আচার্য মোহনানন্দ অবধূত)

অসমে বাঙালীরা ভূমিপুত্র

এইচ.এন. মাহাতো

ভারতের সংবিধানে তিন নং ধারা অনুযায়ী যে রাজ্যগুলি তৈরি হয় মূলতঃ ভাষা ভিত্তিক৷ ব্রিটিশ আমলের ইংরেজি ভাষা ভারতীয়দের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল তার সঙ্গে একটি জগাখিচুড়ি ভাষা হিন্দি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়েছিল৷ যে ভাষাটায় ব্যাকারণের কোনো বালাই নেই৷ আর লিঙ্গের অস্পষ্টতা ভাষায় বিকৃত করেছে৷ 

ভারতের অর্থনীতির দুর্দশা, সীমাহীন বেকারত্ব ও সমাধানের পথ

সৌমিত্র পাল

চরম খাদে ভারতের অর্থনীতি৷ সমগ্র দেশ জুড়েই  চলছে  চরম আর্থিক মন্দা৷ উৎপাদন হ্রাস,বিক্রিবাজারে ধস, নিত্যপণ্যে লাগামছাড়া  মূল্যবৃদ্ধি, জনসাধারণের ক্রয়সাধারণের  ক্রয়ক্ষমতা’র অধোগামীতা প্রভৃতি বিভিন্ন কারণে দেশের অর্থব্যবস্থা (ইকোনমিক সিস্টেম) ক্রমশঃ দুর্বল হচ্ছে৷ বিভিন্ন সেক্টরে চলছে ব্যাপকভাবে কর্মীছাটাই তৈরী হচ্ছে না যথোপযুক্তভাবে কর্মসংস্থানের  পরিধি৷ ফলে দিন দিন  বাড়ছে কর্মহীন বেকার যুবক যুবতীদের সংখ্যা৷ অভাব অনটনে  নিত্য জর্জরিত  হচ্ছে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ৷ আর্থিক চাপে ক্রমশঃ অধোগামী হচ্ছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার  মান৷ পথভ্রষ্ট হয়ে বাঁচার  তাগিদে অনেকেই  নোংরা দলীয়  রাজনীতির  শিকার হ

বাংলার বদলে অসমীয়ার  দাবী অসাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার বিরোধী

সাধন পুরকায়স্ত

অসমে লোকগণনায় বাংলাভাষীদের অসমীয়া লেখানোর অসাংবিধানিক দাবীর তীব্র প্রতিবাদ করলেন ‘আমরা বাঙালী’র অসম রাজ্যসচিব সাধন পুরকায়স্ত৷ গত ২৪শে ডিসেম্বর, এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন --- আগামী ২০২১ সালের লোকগণনায় অসমে বসবাসকারী বাঙালীদের  মাতৃভাষা বাংলার বদলে অসমীয়া লেখানোর  যে দাবী  বি.জে.পি বিধায়কদের এক সভায় উঠেছে, এই ব্যাপারে ‘আমরা বাঙালী’  বরাক উপতক্যা থেকে নির্বাচিত বি.জে.পি বিধায়কদের কাছে স্পষ্টিকরণ দাবী করছি৷

অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭০ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

অগ্ণিযুগের একটি ঐতিহাসিক চিঠি

পথিক বর 

‘অদৃষ্টের পরিহাস ভূপেনবাবু!  আমার রিভালবার ঠিকমত সাড়া দিলে আমাকে আজ এখানে এ অবস্থায় দেখতে পেতেন না৷ কাহিনী তাহলে অন্যরকম হ’ত’৷

কথাগুলি বলেছিলেন পরাধীন ভারতবর্ষের  অগ্ণিযুগের বাঙলার দামাল ছেলে প্রদ্যুৎ কুমার ভট্টাচার্য---বিদেশী ব্রিটিশ শাসকের স্বদেশী দালাল ভূপেন দাড়োগাকে৷ ১২ই জানুয়ারী ১৯৩৩ প্রদ্যুতের ফাঁসী হয়েছিল মেদিনীপুরের জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ডগলাস হত্যার অপরাধে৷ সবে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন আঠের বছরের তরুণ প্রদ্যুৎ৷ পাঠ্যপুস্তকের বাইরে ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, দর্শন এগুলিও গুলে খেয়েছিলেন এই বয়সেই৷

মনুষ্যত্ব লাভের দুঃসাধ্য সাধনাই নববর্ষকে সার্থক করতে পারে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

কালের গতিপ্রবাহে আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল একটা বছর৷ আর একটা নতুন বছরের সামনে এসে আমরা দাঁড়িয়েছি৷ এই যে কালের যাওয়া-আসা, মহাবিশ্ব প্রকৃতির এতে কোন হেলদোল নেই৷ সূর্যটাও আর পাঁচটা দিনের মতই পূব আকাশে উদয় হয়েছে৷ সেখানেও নতুনত্ব কিছু নেই৷ সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত প্রতিদিনেরই ঘটনা৷ কাল যেখানে শেষ হয়েছে আজ তো সেখান থেকেই শুরু হয়েছে৷ যদিও আমাদের কাছে ধরিত্রী আজ নববর্ষের নব প্রভাতের আলোকে স্নাত৷ বিধাতার অমোঘ নিয়মেই পুরাতনকে সরিয়ে নতুনের আগমন৷ এর জন্যে কোন আইনের সংশোধন করতে হয়না৷ রক্তস্নাত হওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না৷ শুধু আমাদের জীবন থেকে চলে গেল কিছুটা মূল্যবান সময়৷ যে সময়ের অনেকটাই আমরা বাজে কাজে অতিবাহি

পুঁজিবাদী আগ্রাসন থেকে বাঁচার পথ প্রাউট

দেশ এগিয়ে চলেছে অন্ধকারের দিকে৷ সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক, শিল্প, শিক্ষা, সংসৃকতি জীবনের সর্বক্ষেত্রেই চরম অবক্ষয়, অরাজগতা, পুঁজিবাদ নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীত অর্থনীতি  ও দুর্নীতিপরায়ন রাজনীতি এই দূরাবস্থার জন্যে দায়ী৷