প্রবন্ধ

প্রাউটের অর্থনীতি নিয়ে কিছু কথা

এইচ.এন.মাহাত

একটি দেশের নাগরিকদের জন্য সাচ্ছন্দ্য আনতে হলে সেই দেশের কৃষি ব্যবস্থা ও কর্ষকদের মনোন্নয়ন বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই  অর্থনৈতিক উন্নয়নকে তরাম্বিত করতে শিল্পের বিকাশ খুবই প্রয়োজন৷ কৃষি ও শিল্পের সমন্বয়ে সামাজিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব৷ দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার শিল্পনীতি সম্পর্কে বলেছেন--- যে কোন অবস্থায় কেন্দ্রীভূত শিল্প স্থানীয় শ্রমিকদের করে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বেশী ঘটায়৷ এরফলে ওই অঞ্চলের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে, বহিরাগত শ্রমিকদের ওপর রাজনৈতিক  নেতাদের দাদাগিরি বৃদ্ধি পায়৷ এরজন্যে কলকারখানায় নানা ভাবে শ্রমিক আন্দোলন শুরু হয়৷ তাই প্রাউট প্রবক্তা বলেছেন শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ দরকার৷ প্রথমেই তি

প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের পথ প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৪ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে যে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েও দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু-পক্ষীদের মত৷ পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিংহভাগের মালিক৷

জাতের নামে বজ্জাতি

একর্ষি

এই ধর্মের অন্তরে লগ্ণ হয়ে আছে চারটি ভাব--- দায়বদ্ধতা, সেবা, কল্যাণ বা প্রগতি ও অন্যের সামাজিক ধর্মপালনে শ্রদ্ধা আর মান্যতা৷ দায়বদ্ধতা থেকেই সেবার প্রেরণা আসে, সেবার লক্ষ্য কল্যাণ, কল্যাণ মাত্রা পায় অন্যের  সত্তাগত ও সামাজিক ধর্মপালনে মান্যতা  শ্রদ্ধার্ঘ্যে৷ আর এর সংবেদন বা আকর্ষন হচ্ছে জ্ঞান ও কর্ম সমন্বিত ভক্তি (ভক্তির সমিকরণটা---জ্ঞান+ কর্ম৷ কর্ম বেশি হল, জ্ঞান কম সমন্বিত ভক্তি (বাড়তিটা হবে অহংকার আবার জ্ঞান বেশী হল, কর্ম কম হল, তাহলেও জ্ঞানের বাড়তিটা হবে অহংকার৷ সুতরাং জ্ঞান ও কর্মের সমন্বয়েই ভক্তিমার্গের উদ্ভব৷ আর  আধ্যাত্মিকতা ছাড়া ধর্মরাজ্য সংস্থাপনা যেমন সম্ভব নয় তেমনি মানুষের প্রকৃত

জাতের নামে বজ্জাতি

একর্ষি

সদাশিবের আবির্ভাবের প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর পরে আর এক জ্যোতির্ময় পুরুষ, দেবকী-বসুদেব নন্দন কৃষ্ণের আবির্ভাব৷ তাঁর আবির্ভাবের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তাঁর নিজের কথায়

‘‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷

অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্‌৷৷

পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুষৃকতাম্‌৷

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে ৷৷

পৃথিবীটাকে বাসযোগ্য ভূমি করে তুলতে প্রাউটের আহ্বান

প্রভাত খাঁ

মানুষ নিছক উদর সর্বস্ব জীব বিশেষ নয়৷ মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠতম প্রাণী৷ কারণ একমাত্র মানুষই পারে এই বিশ্বের সৃষ্টি রহস্য জানতে৷ তার সূক্ষ্মতম মানসিক বিকাশের মাধ্যমে৷ অন্য কোন প্রাণীর সেই সামর্থ নেই৷ তবে সঞ্চর ও প্রতিসঞ্চর ধারার মাধ্যমে যে সৃষ্টি প্রবাহ চলে তার প্রথম ও শেষ কথা হ’ল--- আমরা যথা হতে আসি তথায় ফিরিয়া যাই৷ সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্মতম সত্তা থেকে সঞ্চর ধারার স্থূল থেকে স্থূলতম সত্তায় রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি চলেছে৷ সেই এক কোষি প্রাণী থেকে আরম্ভ করে এর অগ্রগতি, তাই জীবজন্তু, গাছপালা থেকে আরম্ভ করে ধীরে ধীরে এই মানুষের সৃষ্টি৷ মানুষ মন প্রধান জীব হিসেবে নিজেকে জানতে চায়৷

বাংলা ভাষার প্রতি অবদমন বন্ধ হোক

প্রাউটিষ্ট

মাতৃভাষায় মানুষ যত সহজে সাবলীল ভাবে ও স্বচ্ছন্দে ভাবপ্রকাশ করতে পারে, অন্য কোনো ভাষায় সে তা পারে না৷ অন্য ভাষায় মানুষ স্বচ্ছন্দে ভাব প্রকাশ করতে পারে না৷ প্রতি মুহূর্ত্তে কোনো জনগোষ্ঠীকে অন্য ভাষায় ভাব প্রকাশ করতে বাধ্য করা হলে, সব সময় তারা অস্বচ্ছন্দ বোধ করে, ফলে তাদের প্রাণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এ অবস্থায় তাদের দু’ধরণের মানসিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়–(১) হীনম্মন্যতা বোধ৷ ওই হীনম্মন্যতা বোধ ওই জনগোষ্ঠীর মনকে ধীরে ধীরে দুর্বল করে দেয়৷ তাই তাদের ভাষায় অবদমিত, মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষাতে সবসময় কাজকর্ম করতে হয় তারা ধীরে ধীরে যেমন মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, তারা তাদের নৈতিক উদ্যম ও প্রতিবাদ করার শ

সংহতি ও সমৃদ্ধির ভারত

এই.এন.মাহাত

ভারতীয় বলতে আমরা বুঝি কোন একটি জাতিগত সাদৃশ্য বা কোন একটি ধর্মীয় মতবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত জনগোষ্ঠী নয়৷ ভাষাগত ও সাংস্কৃতিকগত ভাবে ৪৪টি জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভারত ভূমি৷ পৃথিবীর সকল কিছু সৃষ্টির পিছনে কয়েকটি মৌলিক অবস্থানের ওপর নির্ভর করে তৈরী হয়েছে এই মানব জনগোষ্ঠী৷ পৃথিবীতে আগে বা পরে কে এসেছে সেটা বিচার্য নয়৷ মানব সভ্যতার বিকাশ কোথা থেকে সূত্রপাত সেটাই হলো বড় কথা৷ প্রাগৈতিহাসিকরা স্বীকার করেছে একটি সভ্যতা তৈরী হওয়ায় মূল চাবিকাঠি হলো জলের উৎস অঞ্চল৷ কারণ জলের আরেক নাম-ই জীবন৷ তাই মানুষ  জলকে জীবন সঙ্গী করে, জলকে নানা কাজে ব্যবহারের জন্যে গড়ে তুলেছে নগর, বন্দর, আগুন

পুঁজিবাদী শোষণের অবসান ঘটাতে চাই সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল

প্রাউটিষ্ট

প্রাউটের মতে গোটা দেশের সর্বাত্মক সামাজিক–অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে, সঙ্গে সঙ্গে সর্বস্তরে শোষণের অবসান ঘটানোর জন্যে, চাই বিজ্ঞানভিত্তিক সুষ্ঠু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা৷ এ জন্যে প্রথমে গোটা দেশকে প্রয়োজনে একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত করে প্রতিটি অঞ্চলকে স্বয়ং–সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিতে হবে৷ প্রতিটি সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওই এলাকার বিশেষ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে পৃথক পৃথক পরিকল্পনা রচনা করা বাঞ্ছনীয়৷ এই যে দেশকে প্রয়োজনমত একাধিক সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিভক্ত করার কথা বলা হ’ল, তা করতে হবে, নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করে–

কৃষিশ্রমিক ও কর্ষক না বাঁচলে গোটা দেশ গোল্লায় যাবে

একর্ষি

অর্থনীতিতে কর্মসংস্থানের প্রাথমিক উৎস ধরা হয় কৃষিকে৷ তারপর দ্বিতীয় স্থানে শিল্প আর শেষে অন্যান্য পরিসেবা বা সেবামূলক কাজ৷ এই প্রাথমিক উৎস থেকেই মানুষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান আসে৷ ভেষজ উদ্ভিদ চিকিৎসা (আয়ুর্বেদিক) কাজেও সহায়তা করে৷ কৃষিতে জমির মালিক ও কর্ষক, কৃষি শ্রমিকরাই প্রধানত জনসংখ্যার প্রায় অর্ধাংশ৷ তাছাড়া জমির আগাছা পরিস্কার করতে ও ফসল তুলতে পার্ট টাইম কৃষি শ্রমিকদের ভূমিকাও কম নয়৷ উপরন্তু বাগিচা ফসল চা শিল্পে -চাপাতা তোলা মহিলা শ্রমিকদের উপরই নির্ভরশীল৷ এছাড়া কৃষিভিত্তিক শিল্পেও অনেক লোক নিযুক্ত, যথা, ধান-ভানা, মুড়ি ভাজা, খই ভাজা, চিড়া-কুটা ইত্যাদি৷

মানব দেহে মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম হ’ল জৈব জীবনের গূঢ় রহস্য৷ পরমপুরুষ (সদ্‌গুরু) অজস্র মাইক্রোবাইটাম সৃটি করে চলেছেন ও ব্যবহার করে চলেছেন৷ এখন এই মাইক্রোবাইটাম কার্য অনুযায়ী তিন প্রকারের হয়৷ এরা হল -    

(১) মিত্র মাইক্রোবাইটাম (ফ্রেন্ডস্‌ মাইক্রোবাইটাম বা পজিটিভ মাইক্রোবাইটাম)

(২) অরাতি মাইক্রোবাইটাম (এনিমি মাইক্রোবাইটাম বা নেগেটিভ মাইক্রোবাইটাম)

(৩) নিরপেক্ষ মাইক্রোবাইটাম (নিউট্রাল মাইক্রোবাইটাম)