প্রবন্ধ

নেতৃত্বের সংকট

সায়ন চক্রবর্ত্তী

আজকাল আমরা একটি জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছি৷ সর্বস্তরেই এক অরাজগতা বিরাজ করছে---কেমন যেন একটি ডামাডোল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে৷ সমাজটা চরম নেতৃত্ব-সঙ্কটে ভুগছে৷ শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-অর্থনীতি, ধর্ম-রাজনীতি সমাজের প্রতিটা ক্ষেত্রে চলছে নেতৃত্বের চরম সংকট৷

একটা উদাহরণ নেওয়া যাক---আমরা সবাই জানি  যে একটা মোটর গাড়ীকে ভালোভাবে চলতে হলে---

 প্রথমত গাড়ীটিকে ভাল সচল অবস্থায় থাকতে হবে৷

২য়) গাড়ীতে পর্যাপ্ত জ্বালানী থাকতে হবে৷

৩য়) গাড়ীটি উন্নত প্রযুক্তির দ্রুতগতি সম্পন্ন হবে৷

৪থ) গাড়ী চলার রাস্তাটা ভালো হতে হবে৷

দলীয় স্বার্থে ক্ষত-বিক্ষত গণতন্ত্র

নিরেপক্ষ

সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে প্রবীন প্রাউটিষ্ট প্রভাত খাঁ’র প্রতিবেদন

২৬শে নভেম্বর হলো পবিত্র  সংবিধান দিবস এই দিনে মহান্‌ দেশনেতা বি.আর. আম্বেদকর বিভিন্ন দেশের সংবিধানের সারমর্মগুলি গ্রহণ করে ভারতের মৌলিক আদর্শকে সামনে রেখে ভারতের সংবিধান রচনা করেছিলেন৷ এটি একটি অভিনব সংবিধান যা সর্বাপেক্ষা বৃহত্তম সংবিধান বলে পরিচিত যদিও এর অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি আছে, যা সংশোধন হওয়া প্রয়োজন৷ সংসদে গরিষ্ঠতার জোরে শাসকদল সংবিধানকে নিজের ইচ্ছামতো ব্যবহার করে৷ যা গণতন্ত্রের পক্ষে এক অশনি সংকেত৷

গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভগুলো দিন দিন নড়বড়ে হচ্ছে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ভারতে কদর্য রাজনীতি ও দুর্নীতি ব্রিটিশ আমলেই শুরু হয়েছে৷  অহিংসা ও গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র সেদিনই কংগ্রেসের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করেছিল৷ বিশেষ করে আদর্শে ও কর্তব্যে অটল সুভাষচন্দ্রের জেদী আপোষহীন মনোভাবকে মেনে নেওয়া সম্ভব হয়নি কংগ্রেসের আপোষকামী সুবিধাবাদী নেতৃত্বের পক্ষে৷  তাই সুভাষকে কংগ্রেস থেকে উচ্ছেদ করতে স্বৈরাচারের পথই তারা বেছে নিয়েছিল৷

কেন বাঙালী জাতির ওপর হিন্দী সাম্রাজ্যবাদের আঘাত

এইচ.এন. মাহাতো

বাঙালী জাতিসত্ত্বাকে কেন বার বার প্রথমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ পরবর্তীতে হিন্দী সাম্রাজ্যবাদ আঘাতে ক্ষত -বিক্ষত করে চলেছে৷ এর কারণগুলো কখনো  ভেবে দেখেছেন কি? আজকের আলোচনায় কয়েকটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করছি৷

প্রথমতঃ ভারতের আধ্যাত্মিকতাকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়৷ (১) অন্তর্মুখী, (২) বহির্মুখী৷

রাম-মন্দির নির্মাণে নিধি-সংগ্রহ

হরিগোপাল দেবনাথ

আমাদের শাস্ত্র বলছে ঃ--- ‘‘মনঃ এব মনুষ্যাণ মুক্তির কারণ৷ মন-প্রধান জীব বলেই মানুষ-প্রজাতি জীবের নাম হয়েছে---মানুষ বা মনুষ্য বা মানব৷ আবার বলা হয়েছে ‘‘পাশবদ্ধো ভবেৎ জীৰঃ পাশমুক্তো ভবেৎ শিবঃ৷’’ অর্থাৎ যতক্ষণ প্রকৃতির তথা সত্ত্বঃ রজঃ তমঃ এই গুণত্রয়, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ কালের এই ত্রিস্তরের ও স্থানাদির  পরিভূর মধ্যে যে প্রাণবন্ত সত্ত্বার আবির্ভাব রয়েছে সে সকলই ‘জীব’ রূপে আখ্যায়িত হবার যোগ্য৷ লতা-গুল্ম- কীট-পতঙ্গাদি --- উদ্ভিদেরাও চেতনাসত্ত্বা তবে লতা গুল্ম-উদ্ভিদের আরেকটি পরিচিত স্থাবর বলে,যেক্ষেত্রে কীটপতঙ্গাদি থেকে সমস্ত জগৎসহ মানুষকেও বলা হচ্ছে জঙ্গম তথা ‘‘জীব’’ বলে৷ মূলতঃ বস্তুজগৎ, সমগ্র জী

যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে মান্যতা দিয়ে ন্যায় ও সত্যের ভিত্তিতে দেশ শাসিত হোক

প্রভাত খাঁ

স্মরণে রাখা অত্যাবশ্যক তা হলো ধর্ম ও ধর্মমত এক নয়৷ তাই ভারত হলো প্রকৃত সনাতন ধর্মের দেশ৷ তাই ভারতের ঋষিগণ বলতেন, হে অমৃতেরসন্তানগণ- ভূমাকে লাভ করাই জীবনের লক্ষ্য৷ তাই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ নেই, সবাই এক পরমব্রহ্ম-এরই সন্তান৷ কিন্তু বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্য, তাই ভারত সব ধর্মমতকে  মান্যতা দিয়ে থাকে৷ তাই ভারতের সংবিধান ধর্মমত নিরপেক্ষ৷

কিন্তু দেশ ভাগ করে নেতারা মারাত্মক ক্ষতি করে গেছে মানুষের সেই ঐক্য ও সংহতিতেই আঘাত করে৷

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে বাঙালী

একর্ষি

(পূর্বপ্রকাশিতের পর)

(১) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈক গবেষক, অধ্যাপক বাঙালী চরিত্রের কতগুলো দোষের কথা যেমন বলেছেন পাশাপাশি তার কারণও অনুসন্ধান করেছেন৷

(২) বাঙালী-চরিত্র সম্বন্ধে বিদেশীদের ধারণা কখনও ভাল ছিল না৷ মিথ্যা কথন, ভীরুতা,মামলা-প্রিয়তা, প্রবঞ্চনা প্রভৃতি বাঙালী চরিত্রে ছিল সুলভ৷

(৩) বাঙালী ভোগলিপ্সু কিন্তু কর্মকুন্ঠ৷ এর কারণ হিসাবে তিনি দেখিছেন---বৈরাগ্য-প্রবণ জৈন-বৌদ্ধ -বৈষ্ণব মতবাদ বাঙালী চিত্তে কর্মকুন্ঠা....প্রবল করেছে৷ এমন মানুষ ভিক্ষাবৃত্তি বা চৌর্যবৃত্তি অবলম্বন করে৷ ‘‘এই প্রসঙ্গে আরো বলেছেন৷

জনগণের সার্বিক কল্যাণ ও স্বনির্ভরতা অর্জনে প্রাউটই একমাত্র পথ

প্রাউটিষ্ট

প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে থেকেই  বিভিন্ন ভাবে কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার দরিদ্র্য জনসাধারণের সমস্যা সমাধানের নামে নানান পাঁয়তারা কষছেন, নানা ধরণের চমক দিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল আজও গরীব জনসাধারণের দুর্দশার অন্ত নেই৷ আসলে পুঁজিবাদ বা মার্কসবাদ–এদের কোনটাই দরিদ্র্য মানুষের যথাযথ কল্যাণ করতে পারবে না৷ প্রাউটের অর্থনৈতিক গণতন্ত্রই একমাত্র বিকল্প৷

দলত্যাগ আইন কঠোর হওয়া প্রয়োজন

প্রভাত খাঁ

এদেশে জঘন্য দলবাজীর রাজনীতি গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে৷ স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত দেশে ৭০ বার রাষ্ট্রপতি শাসন জারী হয়েছে৷ দেশে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন জারী হয়েছে একবার৷