প্রবন্ধ

নেতাজীর লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন

প্রভাত খাঁ

কালচক্রের বিরাম নেই৷ সে চলে চলেছে অসীমের পানে৷ আমরাও চলে চলেছি তার সাথে৷ এই চলার পথে আমাদের মতো অতি সাধারণ মানুষের মধ্যে কখনো কখনো এমন ক্ষণজন্মা মহামানব জন্মগ্রহণ করেন যাঁরা তাঁদের ত্যাগ, নিষ্ঠা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, নৈতিকতা ও অন্যায়–শোষণের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামের জন্যে মানুষের সমাজে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকেন৷ ঘুরে ঘুরে সেই ২৩ শে জানুয়ারী আবার আসছে আমাদের জানাতে–কৈ, তোমরা তৈরী হয়েছো তো দেশবরেণ্য নেতাজী সুভাষচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানাতে, তাঁর অসমাপ্ত কর্মকে সমাপ্ত করতে?

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থাকে রক্ষার দায় রাজনৈতিক দলগুলিকে নিতে হবে

প্রাউটিষ্ট

মনে রাখা খুবই দরকার তা হলো গণতন্ত্রেই যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাটা খুবই জরুরী৷ বিশেষ করে ভারতের  মতো বিরাট দেশে  যেখানে বহু রাজ্যের ও বহু ভাষাভাষীর দেশ৷ ভারতীয় সংবিধানও হলো বিশ্বের বৃহত্তম সংবিধান৷ যেখানে বহু পরিশ্রমে রাষ্ট্রনেতাগণ এই সংবিধান ঘটন করেন৷

জাতির নামে বজ্জাতি

একর্ষি

(পূর্বপ্রকাশিতের পর )

কৃষ্ণের জন্মের মোটামুটি ৩০০ বছর পর, আনুমানিক ১২০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এলেন এক ধর্মগুরু--- জেরোষ্টার৷ আর তাঁর ঈশ্বর ভাবনাকে বলা হয় জরোথ্রুসের ধর্মমত৷ জন্ম তাঁর উত্তর-পূর্ব পারস্য (বর্তমান ইরাণে)৷ পশ্চিমী পণ্ডিতেরা দাবী  করেন যে তিনিই নাকি পৃথিবীর আদি ধর্মগুরু, তাহলে ঐতিহাসিক পুরুষ শিব ও কৃষ্ণ গেলেন কোথায়? এসব ইয়ূরোপীয়দের প্রাচীনত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারের কারসাজি৷ যাইহোক, জোরোষ্টারের সমসাময়িক কালটা সম্বন্ধে কয়েকটা কথা ভাববার আছে৷ যথা

ক) এটা শিবের সময়ের সাড়ে তিন থেকে চার হাজার বছর পরের ঘটনা৷

বাঙালীস্তান কেন প্রয়োজন?

হরিগোপাল দেবনাথ

‘বাঙালীস্তান’ নাম-বাচক শব্দটির মধ্যেই জুড়ে রয়েছে ‘বাঙালী’ নামের জনগোষ্ঠী-বোধার্থক, জাতিবাচক তথা সভ্যতাজ্ঞাপক বা সংস্কৃতি-দ্যোতক শব্দটি৷ আর, তা-ই, বোধ হয়, সংকীর্ণচেতা ও সংকীর্ণমনা ব্যষ্টিবর্গের মনে স্বভাবতঃই উসখুস লাগার মত অবস্থার উদ্ভব ঘটতেও দেখা যেতে পারে যে, সাম্প্রদায়িকতার  উসকানি দেওয়া হচ্ছে অথবা ইন্ধন  যোগানো হচ্ছে৷ আবার যারা বর্তমানে অর্থাৎ ১৯৪৭ সালের পর থেকে এই খণ্ডিত ভারতবর্ষকে গণপ্রজাতন্ত্রী, ধর্ম-নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ‘এক দেশ, এক জাতি, এক প্রাণ’ রূপে দেখতে চাইছেন  বলে ফলাও করে প্রচার-মাধ্যমে মনের আঙিনা খোলসা করে জনমানসে--- মহান ভারত, উদার নৈতিক ভারত,  বন্যা ব

আনন্দমার্গের সর্বাত্মক রেণেশাঁ কর্মসূচী

শ্রীরবীন্দ্রনাথ সেন

বহু লক্ষ বছরের শ্রমসাধনা ও কর্মপ্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে মানুষের আজকের এই সভ্যতা৷ মানব সভ্যতার এই ইতিহাস কেবল যে ধারাবাহিক ভাবে উন্নতির পথে এগিয়েছে তা নয়, সভ্যতা এগিয়েছে নানান উত্থান–পতনের মধ্য দিয়ে৷ এগিয়ে চলতে গিয়ে নূতনকে বরণ করেছে–বিদায় দিয়েছে বহু পুরাতনকে৷ এগিয়ে চলতে চলতে সে হয়ে যায় ক্লান্ত, শ্রান্ত তখন তার গতি শ্লথ, অগ্রগতি রুদ্ধ৷ আবার সে যেন জেগে ওঠে, নূতন উদ্যমে এগিয়ে চলে, নূতন ভঙ্গীতে নূতন পথে৷ এই যে পরিবর্তন একে বলা যায়, পুনর্জাগরণ বা ‘রেণেশাঁ’৷ এই পুনর্জাগরণ আনতে হবে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে৷ আনন্দমার্গের প্রবক্তা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী এই সর্বাত্মক রেণেশাঁর কথা বলে গেছেন তাঁর বিভিন্ন প

নব্যমানবতাবাদই মানবসমাজ ও  সৃষ্টিকে বাঁচাতে পারে

প্রভাত খাঁ

ভারতের আয়তন বেশ বড়ো৷ এখানে নানা ভাষা-ভাষী ও ধর্মমতের মানুষ বাস করেন৷ তারমধ্যে ভারতের সুপ্রাচীন কাল থেকে যাঁরা বাস করছেন তাঁরা আছেন, আর আছেন দেশের বাহির থেকে আসা   বিভিন্ন ধর্মমতের  বাসিন্দারা ও তাঁদের বংশোধর গণ৷ যাঁরা  সুপ্রাচীন কাল থেকে বাস করছেন তাঁরা সেই প্রাচীন কালের ধর্মকেই অর্র্থৎ সনাতন ধর্মের বার্র্ত্তবহ৷ সেই ধর্মই হলো আধ্যাত্মিক ধর্ম৷ যেটি সব মানুষের ধর্ম৷ কারণ মানব সমাজ হলো এক ও অবিভাজ্য৷ দেশ কাল  পাত্রের আপেক্ষিক জগতে যে আপাত দৃষ্টিতে পার্থক্য দেখা যায় সেটা বাহ্যিক৷ কিন্তু মূলতঃ সকল মানুষের চাওয়া পাওয়াটি একই৷  এমন কোন মানুষ কী আছেন এই পৃথিবী গ্রহে যিনি আনন্দ পেতে চান না!