প্রবন্ধ

নিন্দাবাদের বৃন্দাবনে বাঙালী

একর্ষি

ছ) শৈব ভাবাদর্শগত দিক থেকে বাঙলা কর্ম্ম সংস্কৃতির দেশ৷ ‘কর্ম’ বিষয়ে কী উচ্চ ধারণা, কী অপরিসীম শ্রদ্ধা--- ‘কর্মই ব্রহ্ম’!

বর্তমান বিজেপি শাসনে ভারতবাস

হরিগোপাল দেবনাথ

আমরা সাধারণতঃ সৌজন্যমূলক সাক্ষ্যাৎকারে কথোপকথনে শুরু থাকি---‘নমস্কার৷ কেমন আছেন?’ এইরূপ বলে৷ যদি ফোনালাপে কথা করতে হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বোধ করি, অনুরূপভাবেই শুরুটার শুরু করতে হয়৷ আর সাক্ষাৎ পর্বেই হোক কিংবা ফোনলাপে ‘উত্তরটাও’ খুব সম্ভবতঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে---‘ভাল আছি’ বা ‘ভাল’ কিংবা একটু আম্‌তা আম্‌তা করে, ‘আর আছি, ঠাকুর/ ঈশ্বর যেমন রেখেছেন’---এই গোছের কথা বলেই শেষ করতে হয়৷ আমিও তাই করে চলেছি৷ কিন্তু, হঠাৎ করেই মনে হল, ‘সদা সত্য বলিবে, কদাপি মিথ্যা বলিও না’--- এই ধরনের উপদেশ বাক্য আমরা সর্বদা ছোটদের প্রতি বর্ষন করে  চলতে অভ্যস্ত হয়েছি সত্ত্বেও আমরা কিন্তু এক ধরনের  প্রতারকের মতই আচ

রাজ্যগুলিকে অবশ্যই অর্দ্ধশিক্ষিত ও শিক্ষিত বেকারদের কোন না কোন কাজে নিয়োগ করতেই হবে দেশে-বেকারত্বের অভিশাপ রুখতে

প্রভাত খাঁ

বাংলার কবি চন্ডিদাস বলেন--- শুনরে মানুষ ভাই

সবার উপরে মানুষ সত্য, সেই মানুষকে নিয়েই হতভাগ্য ভারতের নামকেওয়াস্তে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শাসকগণ করে চলেছেন করোনার আক্রমণে সারা দেশে৷ মিথ্যাচারিতা ও ধান্দাবাজি৷

আত্মনির্ভতার অলীক কল্পনা নয় --- অর্থনীতিকে বাস্তবমুখী হতে হবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

অর্থনীতির অর্থ---ধনের বা সম্পদের ব্যবহারিক নিয়ম৷ সেই নিয়ম  এমন হওয়া উচিত যাতে বিশ্বের সকল মানুষ তথা সকল জীবের অস্তিত্ব সুরক্ষিত হয়৷ মহান দার্শনিক প্রাউট প্রবক্তা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারের ভাষায় ‘‘অর্থনীতি হবে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও প্রয়োগভৌমিক বিজ্ঞান, আর একে বিশ্বের সর্বস্তরের মানুষ, সর্বজীবের  তথা সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে বিকশিত হতে হবে৷’’

সমবায়ের গুরুত্ব ও সাফল্যের সম্ভাবনা সম্বন্ধে প্রাউটের বক্তব্য

প্রাউটিষ্ট

ব্যষ্টিস্বাতন্ত্র্যবাদ ভিত্তিক অর্থনীতি (পুঁজিবাদ) শোষণ–ব্যবস্থার নামান্তর৷ মার্কসবাদী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কৃষি ও শিল্প–উদ্যোগ বা কমিউন ব্যবস্থায় ব্যষ্টিস্বাধীনতার কোনো মূল্য নেই, এসব ক্ষেত্রে পরিচালক ও শ্রমিকের সম্পর্ক প্রভু–ভৃত্যের সম্পর্কের মত৷ উৎপাদনে শ্রমিকের কোনো উৎসাহ থাকে না, মমত্ববোধও থাকে না৷ তাতে উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হয়৷ প্রকৃতপক্ষে এও এক শোষণ–ব্যবস্থা৷ তাই এই ব্যবস্থাকে প্রকৃত জনকল্যাণমূলক বলা চলে না, আর এ ব্যবস্থা বেশি দিন টিঁকেও থাকে না৷

আনন্দমার্গ–আনন্দময় এক নোতুন পৃথিবীর পথ

পথিক বর

এটা আমরা প্রায় সবাই অনুভব করছি যে, আজ দেশের কি সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, কি শিক্ষা–সংস্কৃতির জগতে, কি ধর্মমতের ক্ষেত্রে–সর্বক্ষেত্রেই একটা চরম বিপর্যয় দেখা দিয়েছে৷ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমাজের এক শ্রেণী চরম বিলাসিতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে, জনসাধারণের সম্পদ লুটে পুটে খাচ্ছে৷ বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সমস্ত জিনিসের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি এমন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের ওষ্ঠাগত প্রাণ৷ কী করে যে দিন গুজরান হবে তাই তারা বুঝে উঠতে পারছে না৷ ফলে সবার মনে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে৷

গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড পরিকল্পনা ও এন.আর.সি প্রয়োগ রুখতে ত্রিপুরার সমস্ত বাঙালী ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন

গৌরাঙ্গ রুদ্রপাল
বাঙালী জাতিসত্ত্বা আজ এক চরম বিপদের সম্মুখীন৷ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রপথিক বাঙালীরাই স্বাধীনোত্তর ভারতে দেশভাগের বলি৷ দেশের অগ্রগতির অন্যতম কাণ্ডারী হল বাঙালী৷ অথচ দুর্ভাগ্য হল শোষণ, বঞ্চনা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রামী বাঙালীকে ইংরেজরা যেমন কোনদিন সহ্য করতে পারেনি তেমনি পশ্চিমী বেনিয়া প্রভাবিত দেশীয় নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রের শাসকবর্গও বাঙালীকে সহ্য করতে পারছেনা৷ তাই স্বাধীনদেশে বাঙালীর প্রতি বঞ্চনার ইতিহাস দীর্ঘ৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছরেও দেশভাগের বলি উদ্বাস্তু বাঙালীদের পুনর্বাসন সমস্যার আজও সমাধান হয়নি৷ বাঙালীর প্রতি বঞ্চনার এখানেই শেষ নয়৷ অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে নিজেদের চেষ্টায় বাঙালীরা

সুষ্ঠু অর্থনীতি ছাড়া মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়

জহরলাল সাহা

আজকের সারা দুনিয়া জুড়ে চলছে ---সভ্যতার সঙ্কট৷ সে সঙ্কট কোথায় নেই? শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই চলছে চরম সঙ্কট৷ আলোচনার  এ ক্ষুদ্র পরিসরে হয়তঃ সব সংকটের কথা বলা যাবে না৷ কিন্তু সবার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে যে সংকট যা সকল সংকটের মূল কারণ তা নিয়ে প্রথম আলোচনা করা উচিত বলে মনে করি৷