রাষ্ট্রসঙ্ঘে স্বীকৃতি পেল বাংলা ভাষা

গত ১০ই জুন রাষ্ট্র সংঙ্ঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে বহুভাষাবাদের পক্ষে অ্যান্ডোরা ও কলম্বিয়ার আনা প্রস্তাব গৃহীত হয়৷ গৃহী

নিজস্ব সংবাদদাতা

আনন্দমার্গ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের যুগান্তকারী আবিষ্কার

পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার ছেলে সাবির হোসেন এক বিশেষ ধরণের পাউডার আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহারে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ক্ষতস্থানের রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে৷ পি.এন.এ.

সুপ্রিম কোর্টে সাতে নেই বাংলা প্রতিবাদে সরব ‘আমরা বাঙালী’

সুপ্রিম কোর্ট তার রায় প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে হিন্দী, ইংরাজীর সাথে আরও পাঁচটি ভাষাকে বেছে নিয়েছে৷ তার মধ্যে উড়িয়া, অসমিয়া থাকলেও বাংলা ভাষার স্থান হয়নি নিজস্ব সংবাদদাতা

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আবেদন

‘‘মানুষ যেন মানুষের তরে সবকিছু করে যায়৷

               একথাও যেন মনে রাখে পশুপাখী তার পর নয়

নিজস্ব সংবাদদাতা

প্রভাত সঙ্গীতের স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রভাতরঞ্জন সরকার জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯২১ সনের বৈশাখী পূর্ণিমার পূণ্য প্রভাতে, বিহারের জামালপুরে৷ অর্থাৎ আজ থেকে এক শতাব্দী আগে৷ জন্মশতবর্ষে দাঁড়িয়ে বিরল ও বহুমুখী প্রতিভার এক অনন্য উদাহরণ এই ব্যষ্টিত্বের কর্মমূখর জীবনের এক অতি সংক্ষিপ্ত খণ্ড চিত্র তুলে ধরার অপূর্ণ ও অক্ষম প্রয়াস এই নিবন্ধে৷ তিনি একাধারে দার্শনিক, গীতিকার, সুরকার,সমাজবিদ, ভাষাবিদ, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, কৃষিবিদ, প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব বা প্রাউট দর্শনের প্রণেতা, সর্র্বেপরি নব্যমানবতাবাদের উদগাতা৷ আজ আমরা  এই বহুধাপল্লবিত ব্যষ্টিত্বের শুধু সঙ্গীত সৃষ্টির ওপর কিঞ্চিত আলোকপাতের প্রয়াস করব৷ তাই আশা করি সঙ্গীতের গুরুত্ব সম্পর্কে

অন্ধ বাঙালী বিদ্বেষ দেশের অখণ্ডতা বিপন্ন করবে

এইচ. এন. মাহাতো

ভারত সরকারের অন্ধ বাঙালী বিদ্বেষ দেশকে সর্বনাশের পথে নিয়ে যাচ্ছে৷ ত্রিপুরার দিকে তাকালেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরের জাম্পুই পাহাড়ে মিজোরাম পুলিশ (এম আর.পি) জমি দখলের  নামে গ্রামে প্রবেশ করলে স্থানীয় টি.এস.আর বাহিনীর দ্বারা প্রতিহত হয়৷ তবে এটাই প্রথম নয়৷ এর আগে মিজোরাম থেকে আসা কয়েক হাজার ব্রু-রিয়াং-রা বছরের পর বছর আনন্দবাজারের সংলগ্ণ অঞ্চল জুড়ে বসতি স্থাপন করে বসে আছে৷ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে তাদের খাওয়া ও দৈনন্দিন জীবনের সকল খরচ সরকার বছরের পর বছর বহন করে চলেছে৷ তাদের জন্য এই খরচ বাঙালীর পকেট কেটে বহন করা হচ্ছে৷ কারণ একমাত্র ত্রিপুরার ভূমিপুত্র বাঙালীরাই সরক

অর্থনৈতিক শোষণ থেকে বাঁচাতে পারে প্রগতিশীল সমাজতন্ত্রের প্রাউট দর্শন

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭৩ বছর পরেও আমাদের ভাবতে হচ্ছে স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়ে দেশের সিংহভাগ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যে পাঁচটি জিনিষের অত্যধিক প্রয়োজন, তারা পাচ্ছে না৷ আজও অনেকের ক্ষুধা নিয়ে জন্ম হচ্ছে পথে ঘাটে, আর মরতে হচ্ছে সেই পথে ঘাটে অবহেলিত পশু- পক্ষীদের মত৷  পাশাপাশি ভারতের মত বিরাট দেশে যৎসামান্য মুষ্টিমেয় কিছু ধনী ভাগ্যবানরা দেশের সম্পদের সিৎহভাগের মালিক৷

শারদ শুভেচ্ছা নয়   শারদ শপথ

মনোজ দেব

প্রথা মেনে শারদ শুভেচ্ছা নয় ---প্রথা ভেঙে শারদ শপথ---আন্তরিকতার সঙ্গে মেঘালয়ের হতভাগ্য বাঙালীদের কথা ভেবে অসমের ডিটেনশনক্যাম্পের মৃত্যু পথ যাত্রী, অসহায় বাঙালীদের কথা ভেবে, বরাক বাঙলা ও  মিজো সীমান্তের নির্যাতিত বাঙালীদের কথা ভেবে---বাঙালীর প্রিয় উৎসবের দিনগুলিতেও যারা আতঙ্ক অনাহার ও অনিদ্রায় জীবন কাটাচ্ছে৷

বিদেশী শ্বেতাঙ্গ সাম্রাজ্যবাদী ও স্বদেশী বাদামী শাসক-শোষক সকলের লক্ষ্য একটাই---বাংলার অবলুপ্তি, বাঙালীর বিনাস, শুধু বাঙলার ভৌগোলিক সীমানা চায় সম্পদের অবাধ লুন্ঠনের জন্য৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

শুভ বিজয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা ও নমস্কার জানাই সকলকে৷ দুর্গা ও লক্ষ্মী পুজো ভালোয় ভালোয় শেষ হল৷ বাঙলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাই৷ হাইকোর্টের নির্দেশ,চিকিৎসকদের পরামর্শ ও প্রশাসনের চেষ্টায় প্যাণ্ডেল মুখী মানুষের স্রোত এবার ছিল অনেক কম৷ পুজোয় এত কম সংখ্যক  লোক বাইরে বেরিয়েছে যা অন্ততঃ এর আগে কখনও দেখা যায় নি৷ অনেকে অনেক কারণ বলতেই পারেন, কিন্তু আমি এটাকে বলব বাঙলার মানুষ সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত বাঙালীই সচেতন ভাবেই পুজোয় ভিড় এড়িয়ে গেছেন৷ যারা বেরিয়েছিলেন তাদের জন্য সংক্রমণের গ্রাফ কতটা উধর্বমুখী হবে তা অচিরেই বোঝা যাবে৷ তবে এখনও পর্যন্ত তেমন উদ্বেগের খবর নেই বলে স্বাস্

বিজ্ঞানের অন্তহীন আড়ম্বরে মনের তৃপ্তি মেটেনা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

খবরের কাগজহীন কয়েকটা দিন নিঃসঙ্গ কেটে গেল৷ কোভিড-১৯ এর কোপে শারদ উৎসবের আড়ম্বর অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়৷ তবু আড়ম্বর না থাকলেও আয়োজন তো ছিল৷ তাই কর্মীরা সবাই গৃহমুখে৷ কয়েকটা দিন পাশে এক গুরুভাই ছাড়া কেউ ছিল না৷

সময়োচিত কিছু কথা

বিশ্বদেব মুখোপাধ্যায়

শারদ উৎসবের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই সকলকে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ এই উৎসব যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে এবছর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, উৎসব প্রিয় বাঙালী আম জনতার উপরই নির্ভর করছে উৎসব শেষে পশ্চিম বাঙলার পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াবে৷ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্তা, সমাজকর্মী, প্রশাসনের কর্তা ব্যষ্টিগণ শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন নাগরিকগণ আতঙ্কিত হয়ে আছেন৷ মাছ ব্যবহারসহ  শারিরীক দুরত্ব বজায় রাখার জন্য জনগণকে দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক বার্র্ত দেওয়া হলেও তারা এব্যাপারে সচেতন হচ্ছেন না৷ এই অবস্থায় আমাদের ওপর  অর্র্থৎ সাধারণ মানুষের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে  পূজা পরবর্তী অবস্থা কেমন দাঁড়াবে৷

পশু পক্ষীদের গণিতে দক্ষতা

সমর ভৌমিক

‘‘আমি আজ কানাই মাস্টার পোড়ো মোর বিড়াল ছানাটি৷’’ আমরা অনেকেই জানি,  এই কবিতাটি কোন্ কবির রচনা৷ কবিতাটি লিখেছেন – বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর৷ কবি এখানে নিজেই কানাই মাস্টার হয়েছেন৷ কবির এখানে পড়ুয়া ছাত্র হ’ল বিড়ালছানা৷ কিন্তু সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষকে – পড়ুয়া হিসাবে না পড়িয়ে, পড়ুয়া ছাত্র হিসাবে বিড়াল ছানাকে কানাই মাস্টার সেজে শিক্ষা দান করার কথা কবি ভাবলেন কেন? তাহলে কি সত্য সত্যই পশুপক্ষীদের বাস্তবে শিক্ষা দান করা যেতে পারে? সম্ভবতঃ পশু পক্ষীদের শিক্ষাদানের ইঙ্গিত কবির মনে উদ্ভাসিত হয়েছে৷ কিন্তু কিভাবে এই পশুপাখিদের শিক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে? পশু পক্ষীদের কি প্রথম ভাগের অ, আ, .......