প্রবন্ধ

সুগভীর ষড়যন্ত্রের শিকার বাঙালী

মনোজ দেব

দীর্ঘ ৭৫ বছরের স্বদেশী শাসনে বাঙলার সমাজ জীবনের সর্বস্তরে---তার ধর্ম সাধনায়, তার কর্ম সাধনায়, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, রাজনীতি অর্থনীতি সর্বস্তরে আজ বহিরাগত অশ্লীল অসংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বাঙালীর সমাজ জীবনে অতি নিম্নমানের পরিবর্তন এনেছে৷ তার রুচিতে, তার চালচলনে, আচার-আচরনে, ব্যবহারে তারি প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে৷

দলতন্ত্রের সংকীর্ণবাদী সরকার দেশের গণতন্ত্রকেই ধবংস করছে!

প্রভাত খাঁ

এ দেশের নির্বাচন ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা দেশের শাসন নির্ধারিত হয়৷ এই নির্বাচন পদ্ধতি একদিকে যেমন বিরাট ও বিশাল ঠিক তেমনই এতে যাঁরা নির্বাচিত হয়ে আসেন তাঁদের কিন্তু বোটারগণ সরাসরি কোন বিষয় তুলে কৈফিয়ৎ তলব করতে পারেন না৷ তবে হ্যাঁ পরবর্তীকালে যদি  তিনি নির্বাচনে দাঁড়ান তখন বোটারগণ মনে করলে বোট দিতে পারেন আবার নাও দিতে পারেন৷ অন্যান্য দেশে বোটারগণ তাঁদের ‘রি -কল’ করতে পারেন, এখানে তা হয় না৷

শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের দৃষ্টিতে দূর্গোৎসব

আচার্য ব্রজেশ্বরানন্দ অবধূত

অনেকের ধারণা দূর্গাপূজা খুব পুরোনো পূজা, কিন্তু তা মোটেই নয়, মুসলমান যুগেই এর প্রচলন হয় অর্থাৎ একেবারেই পুরোনো নয়৷ বর্তমানে শরৎকালে বাঙালী হিন্দুরা যে দূর্গাপূজা করেন তার ভিত্তি হচ্ছে কৃত্তিবাস ঠাকুরের বাংলা রামায়ণ৷ কৃত্তিবাসী বাংলা রামায়ণে আছে যে  রামচন্দ্র শরৎকালে দূর্গাপূজা করেছিলেন ১০৮টা কমল দিয়ে৷ কিন্তু বাল্মীকি রচিত সংস্কৃত রামায়ণে এ কাহিনী নেই৷ তুলসী দাসের রামচরিত মানসেও এসব কথা নেই৷ রামচন্দ্র যদি  দূর্গাপূজা করতেন তাহলে তা অবশ্যই বাল্মীকি রামায়ণে থাকত৷

স্মরণিকা

‘‘সামান্য পাগলামির ছোঁয়া ব্যতিরেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবান পাওয়া অসম্ভব৷’’

‘‘আমরা কেবলমাত্র সেই সকল ক্রোধী ব্যক্তিকেই প্রশংসা করতে পারি এবং সঠিক কারণে, সঠিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সঠিক মুহূর্তে সঠিকভাবে যিনি সঠিক সময় যাবৎ ক্রোধ প্রকাশে সক্ষম৷’’

অধমেরা বিপ্লব করে মধ্যমদের সমান হবার জন্য, আর মধ্যমরা বিপ্লব করে উত্তমদের সমকক্ষ হতে৷ মনের এই সত্তাই বিপ্লব ঘটায়৷

-                                                              --অ্যারিস্টটল

আপ্তবাক্য

‘‘যে মানুষ সংঘর্ষন ক্রিয়ার দ্বারা সেই পৃথিবীতে প্রথম অগ্ণির ব্যবহার আবিস্কার করলেন, শীতক্লিষ্ট রাত্রির হিমশীতল মানুষের দেহে জাগিয়ে দিলে উত্তাপের আরাম স্পর্শ, সে মানুষ তাঁর গায়ের জোরে নয়---বুদ্ধির জোরে, গুণের জোরেই সর্বজনশ্রেষ্ঠ হলেন সমাজ তাঁকে ‘ঋসি’ বলে মাথায় তুলে নিলে৷

বাঙালী জনগোষ্ঠী  বিশ্বৈকতাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বকল্যাণে কাজে নামুক

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষের অন্তর্গত বাঙলা--- অতীতের সেই বৃহত্তম বাঙলা যেটি ছিল পূর্বভারতের অন্তর্গত বাঙালী জনগোষ্ঠীর নিজস্ব কৃষ্টি সংস্কৃতি, ভাষা, সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের পরিপূর্ণতায় পুষ্ট একটি বৃহৎ অংশ৷ যে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে উত্তর ভারতবর্ষের মিলমিশ ছিল না৷ এটিকে বলাই হতো পাণ্ডব বর্জিত দেশ৷ বরং দক্ষিণ ভারতবর্ষের দ্রাবিড়দের সঙ্গে কিছুটা মিল ছিল৷ কেরালিয়ানদের সঙ্গে কিছুটা মিল আছে৷

দুর্গাপূজা ও কালীপূজা সম্পর্কে দু’চার কথা

পথিক বর

প্রতি বছর দুর্গাপূজা ও কালী পূজা নিয়ে বাঙালীরা মেতে ওঠে৷ এটা অস্বীকার করার উপায় নেই৷ কিন্তু এই দুর্গাপূজা ও কালীপূজা সম্পর্কে আমার মনে কিছু প্রশ্ণ জেগেছে৷

স্মরণিকা

‘‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব৷’’

‘‘স্বাধীনতাই জীবন, স্বাধীনতার সন্ধানে জীবন দানে অবিনশ্বর গৌরব৷’’

‘‘আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করিবার জন্য যদি গগনে সূর্য উদিত হয়, গন্ধ বিতরণের উদ্যেশ্যে বন মধ্যে কুসুমরাজি যদি বিকশিত হয়, অমৃতময় বারিদান করিতে  তটিনী যদি সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হয়, যৌবনের পূর্ণ আনন্দ ও ভরা প্রাণ লইয়া আমরাও মর্তলোকে নামিয়াছি একটা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য৷’’  --- নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

‘‘জাতিকে আগে রক্ষা করিতে হয়,তবেই ব্যক্তির আধ্যাত্মিক,নৈতিক ও আর্থিক উন্নতি নিরাপদ করা যায়৷’’                                         ---শ্রী অরবিন্দ ঘোষ

 

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘বই পড়ে বা শুণে যে অনেক কিছু জেনেছে মানুষের সঙ্গে মেশবার সময় তার সবচেয়ে বেশি মনে রাখা দরকার যে সে যার সঙ্গে কথা বার্র্ত বলছে সেও কিছু কিছু জিনিস তার চাইতে অনেক বেশি জানে৷ চাষা বলে যাকে অবজ্ঞা করা হয়, ধানচাষের খুঁটিনাটি ব্যাপার তাঁর নখদর্পণে অথচ ধান্যোৎপাদনের পরিসংখ্যানের  চরম হিসাবটুকু যার সই দিয়ে বেরোচ্ছে তাকে হয়ত ধান কাঠের চেয়ার দেখালেও তিনি তা সহজভাবে স্বীকার করে নেবেন৷ তাই বলি কোন জিনিসটা কে কতখানি জানেন তা নিয়ে গর্ব করা একেবারেই মুর্খতা বরং এই গর্বই শিক্ষাহীনতার মুর্ত প্রতীক৷ চতুষ্পাঠীর পণ্ডিত নৌকার নাবিককে বলেছিল,‘‘ তুই আমার কোন দার্শনিক প্রশ্ণেরই উত্তর দিতে