গত ৩১শে অক্টোবর ২০১৮ গুজরাতের নর্মদা জেলায় সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মভিটেতে প্রতিষ্ঠিত হ’ল সর্দার প্যাটেলের ৫৯৭ ফুট উচ্চতার বিশাল মূর্ত্তি৷ এ মূর্ত্তি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২৯৮৯ কোটি টাকা ও মূর্ত্তিটি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সর্বোচ্চ৷ এই মূর্ত্তির নামকরণ হয়েছে ‘ঐক্যের মূর্ত্তি’ বা ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’---যার উদ্দেশ্য হিসেবে প্রচারিত হয়েছে, দেশবাসীর মনে ঐক্যের ভাবনা জাগ্রত করা৷ ৩১শে অক্টোবর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আয়োজিত হয়েছে ‘ঐক্যের জন্যে দৌড়’ বা ‘রান ফর ইউনিটি’---সব মিলিয়ে সমগ্র দেশকে এক অটুট বন্ধনে সংগ্রথিত করার সুচিন্তিত শুভ প্রয়াস৷ এই শুভ প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশবিদেশের বহু গণ্যমান্য ব্যষ্টি ও সংস্থা৷ অবশ্য প্রদীপের নীচে অন্ধকারের মত ওইদিন নর্মদা জেলার অধিকাংশ অঞ্চলে ছিল বন্ধের পরিবেশ৷ প্রায় ৭৫টি গ্রাম থেকে উচ্ছেদ হওয়া আদিবাসীরা যথাযথ পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন, হাইওয়েতে জ্বালানো হয়েছে টায়ার, আকাশে ওড়ানো হয়েছে কালো বেলুন৷ শুধু তাই নয় ভারতবর্ষের মত বহুবিধ সমস্যা জর্জরিত দেশে সরকারী কোষাগার থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মূর্ত্তি স্থাপন করা ও উচ্চতার নিরিখে প্রতিযোগিতামূলক মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত হয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্ত্তি হিসেবে শিরোপা অর্জনের তাগিদ কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়৷ আর সেই কারণেই, এই কর্মকাণ্ডে দেশ ও বিদেশের বহু মানুষ সমালোচনায় মুখরও হয়েছেন৷ দেশের সরকারের সামনে মূর্ত্তি স্থাপনের চেয়েও অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হ’ল জনগণের দৈনন্দিন সমস্যাগুলির সুষ্ঠু সমাধান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রাধিকারগুলিকে বিচক্ষণতার দ্বারা নিরূপণ ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ৷ ঐক্য ভাবনা জাগ্রত করার লক্ষ্যে শুধুমাত্র ‘ঐক্যের মূর্ত্তি’ বা ‘ঐক্যের জন্যে দৌড়’ যথেষ্ট নয়---এর জন্যে স্বল্পকালীন ও দীর্ঘমেয়াদী উভয় বিভাগেই সদর্থক কর্মসূচী গ্রহণ ও রূপায়ন একান্ত আবশ্যক৷
জনগণের নির্বাচিত সরকারের প্রথম ও প্রধান কর্তব্য হ’ল দেশবাসীর সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য বিধান, জীবনধারণের সমস্ত রকম উপকরণ---যথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির সুব্যবস্থা ও সংবিধান প্রদত্ত সমস্ত অধিকার ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা৷ এখনও ভারতের কোটি কোটি মানুষ পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমোতে যায়---অনাহারে, অর্দ্ধাহারে দিন কাটায়, মাঝে মধ্যে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনাও সংবাদে প্রকাশিত হয়৷ এখনও লক্ষ লক্ষ মানুষ বাসস্থানের অভাবে ফুটপাথে, ব্রীজের তলায়, রেললাইনের ধারে ঝুপরিতে, প্লাটফরমের কোণে---শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করতে বাধ্য হয়৷ অনেকের হয়তো একটি-দুটির বেশী পরিধেয় বস্ত্রও নেই৷ এখনও সব মানুষের জন্যে সুচিকিৎসা, পরিচ্ছন্নতা ও দূষণমুক্ত পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত হয়নি৷ কোটি কোটি মানুষ অশিক্ষা-কুশিক্ষার অন্ধকারে নিমজ্জিত৷ কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক কোটি বেকার, আধা-বেকার হতাশা জর্জরিত অবস্থায় দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে৷ ফলে দেশের বিশাল যুবশক্তি, মেধা ও মানব সম্পদের অপচয় হয়ে চলেছে৷ কৃষি প্রধান দেশ ভারতবর্ষের ভূ-সম্পদের সম্যক ব্যবহার ও কৃষিকার্যের উন্নতির জন্যে যথোপযুক্ত সেচ ব্যবস্থা, প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত পদ্ধতিতে কৃষিকাজ, বীজ-সার প্রয়োগের অভাবে কৃষি উৎপাদন আশানুরূপ হচ্ছে না৷ ফলে, দেশের খাদ্য স্বয়ম্ভরতা ব্যাহত হচ্ছে৷ কৃষি ও শিল্পের মধ্যে সুসমন্বয় তথা সুসংঘটিত পরিকল্পনা না থাকার কারণে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে না৷ দেশের মানুষের কল্যাণে করণীয় কর্তব্যগুলির তালিকা ক্রমশঃ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে চলেছে৷ আর এই সব কর্তব্যের অবহেলা করে’ বিশাল অঙ্ক (প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা) ব্যয় করে একটি মূর্ত্তি স্থাপন নির্বুদ্ধিতা ও শঠতার পরিচায়ক৷ এই অর্থ কোনও জনহিতকর প্রকল্পে, যেমন---হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মসংস্থান বৃদ্ধির সহায়ক শিল্প বা সমতুল কোনও প্রকল্পের জন্যে ব্যয়িত হলে সেই অর্থের দ্বারা স্থায়ী সম্পদ গড়ে উঠত যার সুফল হ’ত সুদূরপ্রসারী ও উন্নয়নমুখী৷
সম্মান প্রদর্শনের নামে ব্যষ্টিপূজার প্রবণতা ও বিশাল অঙ্কের অর্থব্যয়ে মূর্ত্তি স্থাপন-এর একটি ভয়ঙ্কর দিকও আছে৷ এর ফলে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটার সম্ভাবনা যথেষ্ট ও পরিণামে পছন্দের মানুষের মূর্ত্তি গড়ার প্রতিযোগিতার উদ্ভব হতেই পারে৷ ইতোমধ্যেই মহারাষ্ট্রে আরও বেশী উচ্চতার ‘শিবাজী মূর্ত্তি’ (প্রায় ৬৯৬ ফুট উচ্চ) নির্মাণের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে৷ পরবর্তীকালে দেশের শাসকদলের পরিবর্তন হলে তাঁদের নির্বাচিত অন্য কোনও সম্মানিত ব্যষ্টির সম্মান প্রদর্শনের বাসনায় আরও বেশী উচ্চতা বিশিষ্ট অতীব মূল্যবান ধাতু নির্মিত মূর্ত্তি স্থাপনের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল৷ আর সেই প্রকল্পে হয়ত আরও অনেকগুণ বেশী অর্থ ব্যয় হতেই পারে৷ ফলস্বরূপ মানুষের উন্নয়নের জন্যে সংগৃহীত ও প্রাপ্ত অর্থের আরও বেশী অপচয়, আরও অনেক মানুষের দুর্ভোগের সম্ভাবনা প্রবল৷
এছাড়া আরও একটি সম্ভাবনা রয়েছে৷ গত শতাব্দীর শেষ দশকে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, ধর্মীয় উন্মাদনার পরিণামে আমাদের দেশেই কয়েক শতাব্দী প্রাচীন একটি কাঠামো (যা বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত ছিল) লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে অবলীলাক্রমে ধবংস করা হয়েছিল, যার প্রতিক্রিয়ায় দেশে-বিদেশে বহু মন্দির-মসজিদ্ আংশিক বা পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ সময়ের ব্যবধানে মানুষের রুচি ও মানসিকতার পরিবর্তন হয়৷ কালের প্রবহমানতায় অতীতের কোনও কর্ম বা ইতিহাসের মূল্যায়ণ হয় তৎকালীন সময়ানুসারে৷ আর সেই মূল্যায়ণের বিচারে যদি এইসব মূর্ত্তি অপ্রয়োজনীয় বিবেচিত হয় তবে তা ধবংস হতেও খুব বেশী সময় লাগবে না---যেমন লাগেনি বাবরি মসজিদের ক্ষেত্রে৷ তাই আজকে যে ঐক্যের মূর্ত্তির মাধ্যমে ঐক্যবার্তা প্রচারের (নামান্তরে ব্যষ্টি প্রচারের) প্রচেষ্টা চলছে---তার সঙ্গে সঙ্গে এক অনৈক্যের বীজও বপন করা হ’ল কি না তা হয়তো অনাগত ভবিষ্যৎই বলতে পারবে৷
ভারতবর্ষের মূল ঐতিহ্য হ’ল মৈত্রী ও সংহতির৷ প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা-আত্মীয়তা এই দেশের সংস্কৃতি৷ সুদীর্ঘ কাল থেকে বহু মানুষ, বহু প্রশাসক এদেশে এসেছেন আর ভারতের মানুষজন তাঁদের সমাদরে বরণ করে নিয়েছেন, আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন৷ অনেকে এদেশকে ভালবেসে এখানেই থেকে গেছেন৷ আবার কেউ কেউ এদেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে নিয়ে গেছেন৷ কিন্তু কেউই ভারতবর্ষের মহান সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে বিনষ্ট করতে পারেনি৷ এদেশের সুপ্রাচীন আধ্যাত্মিক জীবনাদর্শ ও সৌহার্দ্যের আকর্ষণে আজও বহু মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে এদেশে আসেন ও ভারত আত্মাকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেন৷ সত্যদ্রষ্টা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়---
‘‘দিবে আর নিবে,মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে
এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে৷’’
ভারতের সংস্কৃতিই হ’ল মিলনের সংস্কৃতি৷ সকল ভারতবাসীই এই সংস্কৃতির ধারাকে বজায় রাখার চেষ্টায় সর্বদা যত্নশীল৷ যদিও এর ওপর আঘাত এসেছে অনেক---আর শেষ ও চরম আঘাত হেনেছে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসকের দল৷ বণিকের ছদ্মবেশে প্রবেশ করে তারা ধীরে ধীরে এই দেশে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা ও শাসনকার্য শুরু করে৷ তাদের নীতিই ছিল---ডিভাইড অ্যাণ্ড রুল৷ ভারতীয়দের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের বিদ্বেষ ও বিভেদের বিষ ছড়িয়ে দিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য৷ দেশবাসীর ঐক্যকে ভেঙ্গে দুর্বল করে শোষণ-নিপীড়ন ও অত্যাচার চালিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিই ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য৷ কিন্তু শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, দেশপ্রেম ও সংগ্রামী চেতনায় উন্নত বাঙালী জনগোষ্ঠী ইংরেজদের কূটবুদ্ধিকে চিনে ফেলতে বিলম্ব করেনি৷ সেকারণেই ব্রিটিশদের একমাত্র মাথাব্যথার কারণ চিল বাঙালী জাতি৷ তাই বাঙলা ও বাঙালীকে দুর্বল করার কোনও অপচেষ্টাই তারা বাদ রাখেনি৷ বাঙলাকে ভাগ করেছে, বাঙলার বিশাল ভূখণ্ডকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে অন্যান্য প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়ে বাঙলা ও বাঙালীকে দুর্বল করার চক্রান্ত ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে গেছে৷ এমনকি, ভারতের স্বাধীনতার প্রাক্কালে হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দকে প্ররোচিত ও প্রভাবিত করে দ্বিজাতিতত্ত্বের মাধ্যমে ভারত ভাগের পরিকল্পনা করেছে আর তাতে সফলও হয়েছে৷ তৎকালীন কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দ (যার মধ্যে জহরলাল নেহেরু ও বল্লভভাই প্যাটেলও ছিলেন) ইংরেজদের এই চক্রান্তে সামিল হয়েছে ও গদীর লোভে দেশভাগে সম্মত হয়েছেন৷ কিন্তু নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর স্বপ্ণ ছিল অখণ্ড ভারতের পুর্ণ স্বরাজ৷ খণ্ডিত ভারতের স্বাধীনতা নেতাজী সুভাষের দেশের জন্যে সর্বস্ব পণকে উপযুক্ত মর্যাদা দিতে পারেনি৷ দেশভাগের সময়ে লোক বিনিময়ের নামে লক্ষ লক্ষ মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে সহায় সম্বলহীন হয়ে এক নারকীয় পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন৷ সীমান্তে চলেছে অবাধে হত্যালীলা, রক্তের হোলিখেলা৷ রক্তের নদী বয়ে গেছে দেশের পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্তে৷ দেশভাগের ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঙলা ও বাঙালী---যার ক্ষত আজও রয়েছে দগ্দগে৷ অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, আন্দামান প্রভৃঁতি স্থানে নাগরিকপঞ্জী ও অন্যান্য কালাকানুন তথা বিল ইত্যাদির অভিঘাতে লক্ষ লক্ষ বাঙালী আজ মাতৃভাষাহীন, ভূমিহীন, দেশহীন, নাগরিকত্বহীন হওয়ার আশঙ্কায় দিন গুণছেন৷ সমগ্র দেশে চলছে এক অশান্তির পরিবেশ৷ ধর্ম সম্প্রদায়ের নামে, জাত-পাতের নামে দলীয় রাজনীতির দাপটে ও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির দৌলতে চরম অসহিষ্ণুতার বাতাবরণে সারা দেশ পরিব্যাপ্ত৷ এমতাবস্থায় দেশের প্রশাসকগণের সুপরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে আন্তরিক-মানবিক প্রচেষ্টা ও সময়োপযোগী বিচক্ষণতা একান্ত প্রয়োজন৷ ব্যষ্টিপূজার আয়োজনে মূর্ত্তি নির্মাণ ও স্থাপনের মাধ্যমে অর্থ, সময় ও সুযোগের অপচয় তথা অপব্যবহার কিছুতেই কাম্য নয়৷
পরিশেষে স্মর্তব্য যে, এই দেশ তারকব্রহ্ম সদাশিব ও শ্রীকৃষ্ণের দেশ, অতীতের মুনি-ঋষিদের আধ্যাত্মিক আদর্শের পীঠস্থান, স্বামীবিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুভাষচন্দ্রবসু, ঋষি অরবিন্দ প্রমুখ মহাপুরুষ মনীষীদের উদার ও মুক্ত চিন্তাধারার উর্বর ক্ষেত্র৷ তাই একমাত্র আধ্যাত্মিকতার আদর্শেই সমগ্র দেশবাসীর মধ্যে প্রকৃত ঐক্য স্থাপন সম্ভব৷ আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ না ঘটলে বিশ্বস্রষ্টার সমগ্র সৃষ্টির সঙ্গে একাত্ম হওয়া যায় না৷ সকল জীব-জড় উদ্ভিদ বিশ্বপিতার সন্তান ও সকলে সকলের ভ্রাতা-ভগিনী---এই ভাবনায় ভাবিত হলে তবেই চরম ও পরম ঐক্য ও সংহতির পরিবেশ গড়ে উঠতে পারে---এর অন্যথায় কখনোই নয়৷
- Log in to post comments