দেশে দেশে আনন্দমার্গ

আনন্দমার্গীয় প্রথায় বিবাহ অনুষ্ঠান

গত ২৪শে এপ্রিল আনন্দমার্গের বিধি অনুসারে একটি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়৷ এই বিবাহে পাত্র ছিলেন শ্রীমান দীপক৷ পিতা যোগেশ্বর কুমার ও মাতা শ্রীমতী সারথী কুমার৷ গ্রাম-ডাঙ্গাতোরা, বাগমুণ্ডি পুরুলিয়া৷

আর পাত্রী ছিলেন কল্যাণীয়া সুষমা৷ পিতা উত্তমকুমার ও মাতা শ্রী প্রমীলা কুমার৷ এঁরাও বাগমুণ্ডি ব্লকের বাসিন্দা৷

নোতুন স্কুলের উদ্বোধন

গত ১৬ই এপ্রিল আনন্দনগরের সন্নিকটে সিধি গ্রামে একটি নোতুন আনন্দমার্গ স্কুলের উদবোধন হল৷ এই এলাকার বিশিষ্ট আনন্দমার্গী কৌশিক সিংহের নিজস্ব বাড়ীতে এখন স্কুলটি খোলা হ

আনন্দমার্গের বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ১৬ই সেপ্ঢেম্বর আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমে এই আশ্রমের কর্মী শ্রী শ্যামল মালাকারের প্রয়াতা মাতৃদেবী শ্রীমতী মাতঙ্গিনী মালাকারের (ধর্মনগর, ,ত্রিপুরা) শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে সম্পন্ন হয়৷ এই অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূত৷ আনন্দমার্গের কেন্দ্রীয় আশ্রমের অন্যান্য সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পরমপুরুষের নিকট প্রয়াতার আত্মার সদ্গতি ও শান্তির জন্যে প্রার্থনা করেন৷

দিব্যানন্দনগরে অখণ্ড কীর্ত্তন  ও সদাব্রত

গত ৮ ও ৯ই এপ্রিল ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে অবস্থিত মাষ্টার ইয়ূনিট দিব্যানন্দনগরে ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী ‘বাবা নাম কেবলম্’ সিদ্ধমন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অখণ্ড কীর্ত্তন ও সদাব্রত অনুষ্ঠানে আচার্য দিব্যরূপানন্দ অবধূত, আচার্য প্রিয়কৃষ্ণানন্দ অবধূত, আচার্য মহীদেবানন্দ অবধূত, আচার্য ব্রতনিষ্ঠানন্দ অবধূত, ব্রহ্মচারিণী আনন্দ উন্মেষা আচার্যা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷  ৯ই এপ্রিল আনন্দমার্গের ইতিহাসে ‘দিব্যানন্দ দিবস’ হিসেবে চিহ্ণিত৷ কারণ, এই দিন পটনা বাঁকীপুর সেন্ট্রাল জেলে মার্গগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করে তাঁর ওপর নানানভাবে নির্যাতন চলেছিল৷ তাঁকে হত্যা করার জন্যে জেলের ভেতরে

শান্তিনিকেতনে  আনন্দমার্গের নতুন জাগৃতি ভবন

গত ১লা বৈশাখ, বাঙলার নববর্ষের পূর্ণ তিথিতে বোলপুরের শান্তিনিকেতনে আনন্দমার্গের নতুন জাগৃতি (ধ্যানমন্দির) গৃহের উদ্বোধন হয়৷ বিশেষ করে শ্রী রামদাস বিশ্বাস ও শ্রীমতী মেনকা বিশ্বাসের অক্লান্ত চেষ্টায় এই জাগৃতি ভবনটি নির্মিত হয়৷ এইদিন জাগৃতি ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শতাধিক আনন্দমার্গী যোগদান করেন৷ সকাল থেকে প্রভাতসঙ্গীত, অখণ্ড কীর্ত্তন, মিলিত সাধনা, মিলিত গুরুপূজা ও আলোচনায় সকলে অংশগ্রহণ করেন৷ অনুষ্ঠানে এই জেলার ভুক্তিপ্রধান কেশব সিংহ, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট শোলা শিল্পী শিল্পগুরু অনন্ত মালাকার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সনৎ দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷ 

লতিডাঙ্গায় অখণ্ড কীর্ত্তন

গত ৯ই এপ্রিল বনগাঁর নিকটে লতিডাঙ্গায় শ্রী অমল মণ্ডলের বাসভবনে ‘বাবা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের অখণ্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ বনগাঁ, বারাসত, ঝাউডাঙ্গা কৃষ্ণনগর প্রভৃতি এলাকার আনন্দমার্গীরা এই কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনা হয়৷ এরপর স্বাধ্যায়ে আচার্য বোধিসত্তানন্দ অবধূত মার্গগুরুদেবের প্রবচন পাঠ করে শোণান৷ অতঃপর ‘কীর্ত্তনের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য’ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন অবধূতিকা আনন্দ কৃষ্ণপ্রভা আচার্যা৷ তিনি বলেন, কীর্ত্তন মানুষের শরীর ও মনকে পবিত্র করে ও স্বাভাবিকভাবে তা সাধনার সহায়ক ৷ আচার্য প্রমথেশানন্দ অবধূত ‘কীর্ত্তন কেন’---এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন৷ ভুক্তিপ্রধান সন্তোষ বিশ্বাস আ

Ac. Kinshuk Ranjan Sarkar meets Margiis of North Bihar

ReceptionAc. Kinshuk Ranjan the Prodha Pramukh of Ananda Marga with wholetimers and margiis toured parts of North Bihar and visited Hajipur, Siwan, Gopalganj, Betiah, Motihari and Sitamarhi during his five day long programme. He left kolkata's Tiljala Jagrti on the evening of 1st April and returned back on the 6th of April. During his tour Dadajii was accompanied by GS dada and many central workers dadas and Didis.

গোড্ডায় আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোড্ডা ঃ গত ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী ঝাড়খণ্ডের গোড্ডাতে আনন্দমার্গের ধর্মমহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷৷ এই ধর্মমহাসম্মেলনে আনন্দমার্গের পুরোধা প্রমুখ আচার্য কিংশুকরঞ্জন সরকারের আধ্যাত্মিকতা ওভক্তিতত্ত্বের ওপর প্রবচন সকলকে মোহিত করে তিনি বলেন, পরমপুরুষের প্রতি একান্ত ভালবাসাই হল ভক্তি৷ মানুষ যখন ধনসম্পদ, মান, যশ ইত্যাদি লাভের জন্য ঈশ্বর সাধনা করে তখন তাকে সাধারণ ভাবে বলে রাজসিকী ভক্তি৷ সে যদি অন্য কারো ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ঈশ্বর ভজনা করে তখন তাকে বলা হয় তামসিকী ভক্তি৷ আর নিজের পুণ্যার্জনের জন্যে যে ঈশ্বর সাধনা করা হয় তা হল সাত্ত্বিকী ভক্তি৷

মার্গীয বিধিতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান

গত ৩রা ফেব্রুয়ারী ময়নাগুড়ির আনন্দনগর এলাকায় প্রয়াতা অনিকা দাসের (৪৫) শ্রাদ্ধানুষ্ঠান আনন্দমার্গীয় বিধিতে সুসম্পন্ন হয়৷ প্রয়াতার স্বামী শ্রী দুলাল দাস (ত্রিপুরা) ও মাতৃদেবী শ্রীমতী অঞ্জলী দত্ত (ময়নাগুড়ি)৷ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন ব্রহ্মচারিণী দেবলীনা আচার্যা৷ শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের পর প্রয়াতা অনিকা দাসের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে আচার্য শুভমিত্রানন্দ অবধূত প্রয়াতা অনিকা দাসের কর্তব্য নিষ্ঠা, ভক্তি ও সেবাপরায়ণতার বর্ণনা দেন৷ খুশী মণ্ডল, মহিম সরকার, নীতীশ সাহা প্রমুখ প্রয়াতার স্মৃতিচারণ করেন৷

মার্গীয় বিধিতে বৈপ্লবিক বিবাহ

গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী ত্রিপুরায় আনন্দমার্গীয় বিধিতে একটি বৈপ্লবিক বিবাহ অনুষ্ঠিত হল৷ আনন্দমার্গীয় বিবাহ ব্যবস্থা পণপ্রথা, জাতিভেদ প্রথা সহ সর্বপ্রকার কুসংস্কার থেকে মুক্ত এই বিবাহে পাত্রী ছিলেন কল্যাণীয়া সীমা দাস---পিতা মতিলাল দাস ও মাতা রীণা দাস নিবাস পশ্চিম মালা, গোমতী, ত্রিপুরা আর পাত্র ছিলেন রঞ্জন দেব---পিতা নীরেণ দেব, মাতা দিপালী দেব, নিবাস ডিএসকলোনী, তেলিয়ামুড়া৷ এই বিবাহ অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন পাত্রপক্ষে আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত ও পাত্রীপক্ষে অবধূতিকা আনন্দ সুচীতা আচার্যা৷
আনন্দমার্গের বৈপ্লবিক বিবাহ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ আনন্দমার্গী জহরলাল সাহা৷