October 2017

নিউব্যারাকপুরে অখন্ড কীর্ত্তন

 গত ২৩শে সেপ্ঢেম্বর  নিউব্যারাকপুর আনন্দমার্গ আশ্রমে শ্রীমতী পারুল হালদারের উদ্যোগে ৰাৰা নাম কেবলম্’ মহামন্ত্রের  অখন্ড কীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হয়৷ পরিচালনা করেন হরলাল হাজারী, স্বপন মন্ডল, শুভদ্বীপ হাজারী, আচার্য সেবাব্রতনন্দ অবধূত, অবধূতিকা আনন্দ নিরুক্তা প্রমুখ৷ বিরাটি নিউব্যারাকপুর বারাসাত, বনগাঁ প্রভৃতি এলাকা থেকে আনন্দমার্গীরা  এই কীর্ত্তনে যোগদান করেন৷ অখন্ড কীর্ত্তনের পর মিলিত সাধনান্তে স্বাধ্যায় করেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ এরপর কীর্ত্তন মাহাত্ম্য ও সাধনার গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন আচার্য সর্বেশ্বরানন্দ অবধূত, আচার্য  অক্ষয়নন্দ অবধূত, সন্তোষ বিশ্বাস প্রমুখ৷ আচার্য সর্বেশ্বরানন্দজী

মানব জীবনে বিজ্ঞান ও ধর্ম

 সৌমিত্র পাল

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

এই সু-উচ্চ আধ্যাত্মিক স্তরে পৌঁছলে মানুষ সমগ্র সৃষ্টির মাঝে (জীবজগতের মাঝে) স্রষ্টা ব্রহ্মকেই দর্শন করে থাকেন৷ স্বামী বিবেকানন্দ তাই তো মন্তব্য করেছেন:

‘‘বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি কোথা খুঁজিছো ঈশ্বর

জীবে প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর’’

ভোর

সাধনা সরকার

ভোরের অজস্র মাধবীলতা ফুটে থাকা গাছটার দিকে তাকিয়ে সৌম্যর সমস্ত মনটা আনচান করে ওঠে৷

এত ফুল!

আর আমি কিনা অতুল বাবার চরণে একটা ফুলও তুলে দিতে পারি না৷ ভোরের রোদটা সবে চনমনে হয়ে উঠেছে তখন বেচারা সৌম্য গিয়ে দেখে সব নাগালের কাছের ফুলগুলো কে যেন নিয়ে গেছে৷

বেচারার চোখে জল এসে যায়৷ অমন সুন্দর ফুলগুলো নিজে সে তুলে নিতে পারে না আরও ভোরে এসে তাকে দেখতেই হবে কে সে! ফুলচোরটা কে?

ডার্বি ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা ছিল, আছে, থাকবে

কলকাতা ফুটবল লীগের চ্যাম্পিয়নশীপ দখল করা নিয়ে অথবা শীল্ড জয় করার জন্যে মোহনবাগান, ইষ্টবেঙ্গল, কিংবা মোহনবাগান-মহামেডান অথবা ইষ্টবেঙ্গল মহামেডানের ম্যাচ মানেই উত্তেজনা৷ দিন পাল্টেছে৷ খেলার ধরণ পাল্টেছে, পাল্টেছে মানসিকতা৷ ওদিকে মহামেডান দল আর আগের মত তিন প্রধানের এক প্রধানের মত শক্তিশালী নেই৷ কিন্তু আবেগ---ফুটবল নিয়ে বাঙালীর আবেগের ক্ষেত্রে ভাঁটা পড়েনি৷ একটুকুও৷

চলতি ভারত-অষ্ট্রেলিয়া সিরিজে টীম ইণ্ডিয়া খুব শক্তিশালী

অষ্ট্রেলিয়ার ভারত সফর অষ্ট্রেলিয়ার পক্ষে সুখকর নয়৷ তাদের ডেভিড ওয়ার্নার আর স্টিভ স্মিথের ওপর ভরসা করে খেলতে হচ্ছে৷ ফলে এই দুই ব্যাটসম্যান ভাল রান না পেলেই সমস্যায় পড়ছে দল৷ অন্যদিকে ভারত ব্যাটিংয়ে বেশ শক্তিশালী৷ কোনও খেলোয়াড় ব্যর্থ হলেও অন্যজন তার অভাব পূরণ করে দিচ্ছেন৷

দুর্গাপূজা, কালীপূজা ও তন্ত্রসাধনা

আচার্য্য সত্যশিবানন্দ অবধূত

বর্ষার পর শরৎ আসে নীল আকাশে শাদা মেঘের ভেলায় চড়ে’–শেফালীর গন্ধে জগৎকে মাতিয়ে কমল–কুমুদের শোভা, নদীতীরে কাশের বনের হিন্দোল আমাদের প্রাণকে আনন্দে মাতিয়ে দেয়৷ ‘প্রভাত সঙ্গীতে’ শরতের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে–

‘‘শরৎ ওই আসে, ওই আসে, ওই আসে

শরৎ নাচের তালে তালে পা ফেলে’ ফেলে’

            মন্দাক্রান্তা ছন্দে ধরায় হাসে৷৷

শরৎ শুধু নয়, শেফালীর সুগন্ধেতে,

শরৎ শুধু নয় শাদা মেঘের ভেলাতে,

শরৎ প্রাণে আসে, শরৎ মনে আসে,

শরৎ ভুবনকে ভুলিয়ে মর্মে হাসে৷৷

শরৎ শুধু নয় বাতাবী নেবুর গন্ধে,

শরৎ শুধু নয়, কুশকাশের দোলার ছন্দে,

বিজয়োৎসব (বিজয়া)

প্রাচীন সংস্কৃত শব্দভাণ্ডারে বছরে ছ’টা ঋতুর উল্লেখ আছে৷ গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত৷ কিন্তু ভারতের অনেক স্থানে, বিশেষ করে সমুদ্রের তটবর্তী এলাকায় তথা পূর্ব ভারতে মূলতঃ চারটে ঋতু৷ সেগুলি হচ্ছে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত৷ ৰাঙলায় শীত ঋতু শেষ হতে না হতেই গরম শুরু হয়ে যায়৷ তাই বসন্ত ঋতু এখানে পনেরো দিনের জন্যেও স্থায়ী হয় না, আর হেমন্ত তো শীতেরই অঙ্গ৷

নব্যমানবতাবাদের ৩ সোপান

মানুষ চলতে শুরু করেছে যখন, নিজের কথাটা যতটা ভেবেছে, অন্যের কথাটা ততটা ভাবেনি৷ অন্য মানুষের কথাও ভাবেনি, আর মনুষ্যেতর জীব জন্তুর কথাও ভাবেনি,গাছপালার কথাও ভাবেনি৷ অথচ একটু ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলে দেখা যাবে যে, নিজের কাছে নিজের অস্তিত্ব যতটা প্রিয়, প্রত্যেকের কাছে তাদের নিজের নিজের অস্তিত্ব ততটাই প্রিয়৷ আর সব জীবের এই নিজ অস্তিত্বপ্রিয়তাকে যথাযোগ্য মূল্য না দিলে সামগ্রিক ভাবে মানবিকতার বিকাশ অসম্ভব৷ মানুষ যদি ব্যষ্টি বা পরিবার,জাত বা গোষ্ঠীর কথা ভাবলো, সামগ্রিক ভাবে মানুষের কথা না ভাবলো–সেটা অবশ্যই ক্ষতিকর৷ কিন্তু মানুষ যদি সামগ্রিকভাবে জীবজগৎ, উদ্ভিদ জগতের কথা না ভাবলো সেটা কি ক্ষতিকর নয় মানবিকতা

বাংলা বানান প্রসঙ্গে

জ্ঞানভিক্ষু

প্রাউট–প্রবক্তা মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার ভাষাতত্ত্ব ও ব্যাকরণ বিজ্ঞানের ওপরও বহু অমূল্য পুস্তক রচনা করেছেন, যা কলকাতা, ঢাকা, কল্যাণী প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অধ্যাপক সহ বিশিষ্ট ভাষাতাত্ত্বিক ও জ্ঞানী গুণীজনের দ্বারা বহুল প্রশংসিত৷ তাঁর রচিত ‘প্রভাতরঞ্জনের ব্যাকরণ বিজ্ঞানে’ (৩ খণ্ড) তিনি বহু প্রচলিত অনেক বাংলা বানানের ভুলত্রুটি বা অর্থবিচ্যুতি দেখিয়ে সে সবের সংস্কার সাধনেও সচেষ্ট হয়েছেন৷ এ ধরনের কিছু বাংলা বানান সম্পর্কে তাঁর অভিমত তাঁর ভাষাতেই প্রকাশ করা হচ্ছে ঃ

জাদুগর

মউমাছি ও মধু

ভারতে সাধারণতঃ তিন ধরনের মউমাছি দেখা যায়– রক্–ৰী, ৰুশ–ৰী ও এপিস ইণ্ডিকা৷ রক–ৰী ৰড় জাতের মউমাছি, মধু প্রস্তুত করে প্রচুর পরিমাণে৷ চাক ৰড় ৰড়, সাধারণতঃ বটগাছে বা ৰড় ৰড় গাছের ডালে চাক ৰাধে৷ অনেক সময় চাক এত ৰড় হয় যে চাক ফেটে টস্ টস্ করে মধু মাটির ওপরে পড়তে থাকে৷ রক–ৰীর দ্বারা তৈরী মধু একটু ঝাঁঝাল হয়৷ এই মধু উগ্রবীর্য নামে খ্যাত৷ মানুষের প্রাণশক্তি যেখানে কমে এসেছে –মৃত্যুর হিমশীতলতা যেখানে তার অবসন্ন দেহে নেবে এসেছে, অনেক সময় সেই অবস্থায় এই উগ্রবীর্য মধু নোতুন করে প্রাণসঞ্চার করে দেয়৷ প্রাণশক্তি কমে যাওয়া মানুষের শরীরের অভ্যন্তরে যদি কোন রক্তক্ষয়ী রোগ না থাকে, তবে তিনটে কৃষ্ণতুলসীর পাতার সঙ্গে দ