July 2020

শান্তি সংগ্রামের ফলশ্রুতি

৩রা জুলাই মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কালো দিন৷ ১৯৭৫ সালের এই দিনে ভারত সরকার আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘকে নিষিদ্ধ করেছিল৷ তার আগে ১৯৭১ সালের ২৯শে ডিসেম্বর কতকগুলি মিথ্যা মামলায় আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী প্রভাতরঞ্জন সরকারকে (আধ্যাত্মিক জগতে যিনি শ্রী শ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী নামে পরিচিত) গ্রেপ্তার করে সি.বি.আই৷ সি.বি.আই বুঝেছিল তাঁর  বিরুদ্ধে আনিত এইসব মিথ্যামামলা আদালতে  টিকবে না৷ তাই ১৯৭৩ সালের ১২ই ডিসেম্বর পটনা বাঁকিপুর সেন্ট্রাল জেলে শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজীকে তীব্র বিষ প্রয়োগ করা হয় হত্যার উদ্দেশ্যে৷ কিন্তু সি.বি.আই-এর সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ ১৯৭৫ সালের ২৫শে জুন গণতন্ত্রের গলা টিপে জরুরী অবস্থা

স্কুল পাঠ্যে করোনা

করোনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে  পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে করোনা, আপাতত একাদশ শ্রেণীর স্বাস্থ্য ও শরীর শিক্ষা বইতে করোনা বিষয়টি যুক্ত হবে৷ করোনা সংক্রমন কিভাবে হয়, করোনার উৎস, কিভাবে করোনার মোকাবিলা করা যাবে ইত্যাদি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হবে৷ প্রাথমিকভাবে একাদশ শ্রেণীর পাঠ্য বিষয়ের অর্ন্তভুক্ত হলেও পর্যায়ক্রমে নিচু ক্লাসগুলিতেও করোনা শিক্ষা পাঠ্য বিষয়ের অর্ন্তভুক্ত হবে৷ এ ব্যাপারে  বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা  পর্যালোচনা করছেন

আর্থিক বৃদ্ধির গতি শূন্যের নীচে -  দিশাহীন দেশকে পথ দেখাবে প্রাউট

কোভিড ১৯ সংক্রমনের বহু আগে থেকে অর্থনীতিবিদরা ও বিভিন্ন আর্থিক সংস্থার সমীক্ষা ইজ্ঞিত দিচ্ছিল ভারতে আর্থিক মন্দা ঘনিয়ে আসছে৷ মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধনকুবেরদের ঋণ মুকুব, নোট বন্দী, জি.এস.টির মতো হঠকারি সিদ্ধান্ত ও অপরিকল্পিত অর্থনীতি আর্থিক মন্দা ডেকে আনছে৷ সরকারের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর কোন পথ ছিল না৷ কারণ সরকারের ইচ্ছায় সরকার চলছে না - এমনটাই  মনে করে বিরোধী দলের নেতারা৷ গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো করোনা সংক্রমণ ও লকডাউন আর্থিক মন্দার গতি ত্বরান্বিত করলেও সরকারও ব্যর্থতার দায় করোনার ঘাড়ে চাপিয়ে মুখ লুকোবার জায়গা পায়৷

আনন্দনগরে  গ্রাম উন্নয়নে প্রাউটের পরিকল্পনা

মধ্য আনন্দনগর থেকে প্রায় ৭ কি.মি দুরে অবস্থিত ডামরুঘুটু গ্রাম৷ এই গ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রাউটিষ্ট ইউনিবার্র্সলের পক্ষ থেকে বহুমুখী উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ শিক্ষা,স্বাস্থ্য,পরিবেশ, সমাজ সচেতনতা ও গ্রামবাসীদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে গ্রামবাসীদের দেওয়া জমিতে একটি পাঠাগার নির্মানের আয়োজন শুরু হয়েছে৷ সেখানে একটি আলোচনা সভায় সমস্ত পরিকল্পনা সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করতে কর্মসমিতি তৈরী হয়৷ ছাত্রদের নিঃশুল্ক প্রাইভেট পড়ানোর শুভ উদ্বোধন হয়৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আচার্য মোহনানন্দ অবধূত, আচার্য রবীশানন্দ অবধূত, আচার্য সুদীপানন্দ অবধূত প্রমুখ৷

জড়বাদ, পুঁজিবাদ ও ভাবজড়তা কেন্দ্রিক দর্শনের ত্রুটি - ঈশ্বরকেন্দ্রিক দর্শনের শ্রেষ্ঠত্ব

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

মানুষ সাধারণতঃ যে সমস্ত দর্শনকে মেনে চলে তাদের ৪শ্রেণীতে ভাগ করা যায়৷

১) জড় কেন্দ্রিক দর্শন Matter Centered Philosophy)

২) আত্মস্বার্থকেন্দ্রিক দর্শন Self Centered Philosophy)

৩) ডগ্মা বা ভাবজড়তা কেন্দ্রিক দর্শন Dogma  Centered Philosophy)

৪) ঈশ্বরকেন্দ্রিক দর্শন God Centered Philosophy)

জড়কেন্দ্রিক দর্শন

 এই দর্শনের অনুসারীরা জড় ছাড়া অন্য কোনো কিছুর অস্তিত্ব স্বীকার  করে না৷ এরা বলে, মন জড়েরই  গুণ, এছাড়া বেশি কিছু নয়৷ চৈতন্য বা পরমাত্মাকেও এরা মানে না৷  মাকর্সবাদ জড়কেন্দ্রিক দর্শনের উদাহরণ৷

ঈশ্বরই পরমাগতি

এটা মানব মনের স্বভাব যে, সে সব সময় অনুকূল পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত রাখতে চায়৷ আমরা কদাচিঠ এ কথা বলি–‘‘হে পরমাত্মা, তুমি আমাকে কত কিছু না দিয়েছ, কত বৌদ্ধিক সম্পদে আর মানসোত্তর উপসম্পদায় না আমাকে ভূষিত করেছ তুমি আমাকে এত বেশী দিয়েছ কিন্তু আমি এর উপযুক্তই নই৷’’ মানুষ সাধারণতঃ নিজের অনুপপত্তিটাই, তার সীমিতত্ব বা ত্রুটিগুলিকেই বড় করে দেখে৷ তার কী নেই–সে সম্পর্কেই সে বেশী সচেতন থাকে৷ কিন্তু যখন তার কাছে অনেক ধনসম্পদ, অনেক মানসম্মান বা অন্য কোনো সম্পদ এসে যায়, সে কখনই বলে না–‘‘হে প্রভু, আমার কোনো যোগ্যতা নেই, তবু আমাকে এত বেশী দিচ্ছ’’ এ ধরনের কথা কখনই মানুষ বলে না৷ এভাবে মানুষ কখনই চিন্তা করে

সর্বাধিক শিল্প–বিকাশ

প্রাউট অর্থনীতির বিকেন্দ্রীকরণে বিশ্বাসী৷ তাই একস্থানের উন্নতি না করে’ সর্বত্র যাতে সমানভাবে প্রগতি হতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে স্থানীয় সম্পদ ও শক্তি সামর্থ্যকে প্রথমে নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিতে হবে৷ স্থানীয় এলাকায় কাঁচামালের সহজপ্রাপ্যতা, ও ওই এলাকার মানুষদের ভোগ্যপণ্যের প্রয়োজন অনুসারে সর্বাধিক শিল্প বিকাশ প্রয়োজন৷ এই নীতি বহিরাগতদের হাত থেকে অর্থনৈতিক ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের হাতে তুলে দেবে৷ এইভাবে ওই সামাজিক–অর্থনৈতিক অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার প্রভূত বিকাশ সম্ভব হবে৷ প্রাউটের অর্থনীতি অনুসারে কৃষির মত অধিকাংশ শিল্পই উৎপাদক–সমবায় ও উপভোক্তা–সমবায়ের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত

পেট্রল ও ডিজেলের ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি!

আচার্য সত্যশিবানন্দ অবধূ্ত

গত প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে (গত ৩০ জুনের খবর) এ নিয়ে ২২ বার পেট্রল ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হ’ল৷ পেট্রল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি মানে অন্যান্য সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের  মূল্যবৃদ্ধি ৷ কারণ তেলের ওপর নির্ভরশীল ট্রাক, বাস প্রভৃতি পরিবহন৷ ভোগ্যপণ্যের পরিবহন খরচ বাড়লে স্বাভাবিকভাবে তার দাম বাড়বে৷ এমনিতে করোনা সংক্রমণ রোখার জন্যে ৩ মাসের  বেশি লকডাউনের ফলে স্থানীয় কলকারখানা কার্যতঃ বন্ধ৷

‘‘তন্মাত্র ও মাইক্রোবাইটাম’’

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মাইক্রোবাইটাম ধনাত্মক কিংবা ঋনাত্মক যাই হোক না কেন এরা অত্যধিক সুক্ষ্ম সত্তা৷ তাই সবকটি তন্মাত্রের মধ্য দিয়েই এরা বাহিত হয়৷ যতগুলি তন্মাত্র আছে, তার মধ্যে শব্দ তন্মাত্র হ’ল  সব চাইতে সুক্ষ্ম তন্মাত্র৷ এই শব্দ তন্মাত্র আমাদের শ্রবণ নাড়ীতে গৃহীত ও বাহিত হয় এবং বিভিন্ন গতিশীল সত্তায় স্পন্দিত হয়৷ শব্দ-তন্মাত্রের চেয়ে স্পর্শ-তন্মাত্র বেশী সূথল, এর চাইতেও বেশী স্থূল হ’ল রূপ-তন্মাত্র ৷ এইরূপ তন্মাত্র আলোক তরঙ্গে গৃহীত ও বাহিত হয়৷ আবার রূপ তন্মাত্রের চেয়ে রস-তন্মাত্র আরো বেশী স্থূল, যা তরলের মধ্যে গৃহীত ও বাহিত হয়৷ সব চাইতে স্থূল তন্মাত্র হ’ল গন্ধ-তন্মাত্র, যা গন্ধরেণুর দ্বারা বাহিত হয়৷

কোভিড পরবর্তী  অর্থনীতি ঃ দর্শন ও দিশা

সুকুমার সরকার

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ‘নোতুন পৃথিবী ’পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম, ‘‘ভারত সহ সমগ্র বিশ্ব কি মহানন্দার দিকে ধাবিত  হচ্ছে?’’ কেন জানি না, প্রাকৃতিক  দুর্দৈবিপাকে সমগ্র  বিশ্ব সত্যি সত্যিই আজ এক মহামন্দার  কবলে পড়েছে৷ এই মহামন্দা শুধু অর্থনীতিতে নয়, সমগ্র সমাজ -সামাজিকতাটাকেই ভেঙে দিয়েছে৷ আর এই মহামন্দা এসেছে এমন একটি মাধ্যমকে বাহন করে, মানুষের  আজকের  বিজ্ঞান যার সামনে  দাঁড়াবার সাহস দেখাতে পারছে না৷  লুকিয়ে বাঁচাটাকেই উপায়  হিসেবে বেছে নিয়েছিল৷ কিন্তু সেটাই বা কতদিন?