August 2021

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি নয় জনগণের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি চাই

গত ১২ই আগষ্ট প্রাউটিষ্ট ইয়ূনিবার্সালের কেন্দ্রীয় সচিব আচার্য রবিশানন্দ অবধূত এক আলোচনা সভায় বলেন--- প্রাউট প্রবক্তার ভাষায় বর্তমান বাজারে প্রচলিত অর্থনীতি শুধু বস্তপচা তত্ত্ব কথার কচকচানি ছাড়া আর কিছু নয়৷ আচার্য রবিশানন্দ বলেন প্রাউটের দৃষ্টিতে অর্থনীতিকে অধিকতর বাস্তবমুখী ও প্রয়োগ ভৌমিক হতে হবে, যাতে সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষের সার্বিক কল্যাণ সাধিত হয়৷ অর্থনীতির সংবাদে শুধু জিডিপি রেপোরেট হ্রাস-বৃদ্ধির মত কতকগুলি তত্ত্ব কথার ছড়াছড়ি৷ এর সঙ্গে সাধারণ মানুষের সার্বিক কল্যাণের কোন সম্পর্ক নেই৷ মানুষ এই সব কথার অর্থও বোঝে না৷

এন.আর.সি---সংসদে ভিন্ন সুর শাসক দলের

বঙ্গভোটে বিপর্যয়ের পর কি মোদি সরকার এন.আর.সি নিয়ে পিছু হটতে চাইছে৷ অনেক ঢাঁক-ঢোল পিটিয়ে উপচে পড়া লক্ষ্মীর ঝাঁপি নিয়ে ২০০ আসন জয়ের লক্ষ্যে বঙ্গ-বীজয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি৷ কিন্তু বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতি বাঙালী বর্জন করেছে৷ নাগরিকত্ব সামনে আনলেও এন.আর.সির আসল লক্ষ্য বাঙলায় বাঙালী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাম্প্রদায়ীক বিভাজন সৃষ্টি করা৷ সেই লক্ষ্যে কিছুটা সফল হলেও বঙ্গ বিজয় সম্ভব নয়৷ এটা টের পেয়েই কি.এন.আর.সির প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে শাসকদল!

জেলায় জেলায়  ক্ষুদিরাম স্মরণ

১১ই আগষ্ট অগ্ণিযুগের বীর বিপ্লবী শহীদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মবলিদান দিবস৷ ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে এদিন জেলায় জেলায় শহীদ ক্ষুদিরাম স্মরণে নানা অনুষ্ঠান করা হয়৷  হুগলী জেলার চুঁচুড়াতে ‘আমরা বাঙালী’র পক্ষ থেকে এই দিন  ক্ষুদিরামের মূর্ত্তিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা জেলা কমিটির সদস্য অমলেশ গুঁই প্রমুখ৷ প্রবীন আমরা বাঙালী নেতা শ্রী প্রভাত খান স্বরচিত কবিতা পাঠ করে  শহীদ ক্ষুদিরামকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন৷

স্বাধীনতার ৭৪ বছরে অর্থনৈতিক শোষণ গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করেছে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

ভারতের সামাজিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পুঁজিতান্ত্রিক৷ প্রশাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক৷ মিশ্র অর্থনীতির এ এক ‘সোনার পাথরবাটি’৷ ভারতবর্ষকে বিশ্বের বৃহত্তম গতণন্ত্র বলে বড়াই করা হয়৷ কিন্তু স্বাধীনতার ৭৪ বছর  পর দেশের চেহারা দেখলেই বোঝা যায় গণতন্ত্র এখানে এক বিরাট ভাঁওতা৷ গণতন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্যে, জনগণের সরকার৷ কিন্তু পুঁজিতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় ভারতের গণতন্ত্রকে বলা যায়---বৈশ্যদের দ্বারা, বৈশ্যদের জন্যে, বৈশ্যের সরকার৷ জনগণ এখানে ভোট দেবার যন্ত্র মাত্র৷ রাজনৈতিক দল, আমলাতন্ত্র, প্রচারমাধ্যম, শিক্ষা-সংস্কৃতি, পুলিশ-প্রশাসন এমনকি খেলার মাঠও বৈশ্য শোষকের কালো হাতের নি

অষ্টকমল

আমাদের শরীরে আটটি চক্র আছে৷ মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত ও বিশুদ্ধ– এই পাঁচ চক্র আর এর ওপর আজ্ঞাচক্র, গুরুচক্র ও সহস্রারচক্র*৷ এই হ’ল অষ্টকমল৷ পরমাত্মার লীলা এই অষ্টকমলকে নিয়ে৷

সাধনায় যখন মানুষ এগিয়ে যায় তখন কী হয়?

‘‘সর্বতঃ পাণিপাদং

তৎ সর্বতোক্ষিশিরোমুখম্৷

সর্বতঃ শ্রুতিমল্লোঁকে সর্বসাবৃত্য তিষ্ঠতি৷৷’’

এই অষ্টকমল যখন ফোটে, তা কেমন করে ফোটে? মানুষ যখন মনের সমস্ত ভাবনা নিয়ে পরমপুরুষেরই উপাসনা করে তখন সমস্ত ভাবনা, সমস্ত আকুতি একের দিকেই ছুটে যায়৷

দ্বন্দ্বাত্মক ভৌতিকতাবাদ ও গণতন্ত্র

নৈতিকতা ঃ গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্যে নৈতিকতা দ্বিতীয় মূল উপাদান৷ নীতির অভাবে লোকে বোট বিক্রী করে৷ পৃথিবীতে এমন কতকগুলি দেশ আছে যেখানে বোট কেনাবেচা হয়৷ আমরা কি একে গণতন্ত্র ৰলতে পারি? এটা কি প্রহসন নয়? তাই যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্ত জনসংখ্যার শতকরা একান্ন জন লোক নৈতিক অনুশাসনকে কঠোরভাবে না মানছে ততক্ষণ পর্যন্ত গণতন্ত্রের সাফল্য অসম্ভব যেখানে দুর্নীতিপরায়ণেরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকৰে সেখানে তাদের মধ্যে থেকেই অবশ্যম্ভাবীরূপে নেতা নির্বাচিত হৰে৷

অর্থনীতির বেহাল দশা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

উগ্র জাতীয়তাবাদকে হাতিয়ার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে দ্বিতীয় মোদি সরকার৷ স্বদেশীয়ানায় এতটাই উন্মত্ত ছিল যে কোনোরকম বিরুদ্ধ সমালোচনা হলেই তাকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ কোনো বিরোধী নেতা-নেত্রীকেই রেহাই দেওয়া হয়নি৷

উগ্রজাতীয়তাবাদ যেমন সংসদীয় রাজনীতিতে জয়ের হাতিয়ার, তেমনি  ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতিদেরও শোষণের যন্ত্র এই উগ্র জাতীয়তাবাদ৷ কিন্তু জনগণকে ভাত কাপড়ের যোগান দিতে একেবারেই অকর্মন্য৷ সরকারও অসহায়, কারণ বোট বৈতরণী পার হতে, জাতীয়তাবাদের জোয়ার আনতে  ফ্যাসিষ্ট পুঁজিপতির হাত ধরতে হয়েছে৷

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্রে এক দলীয় শাসনের প্রবণতা-স্বৈরাচারিতার পরিচয়

প্রভাত খাঁ

বর্ত্তমানে বিরাট জনবহুল, নানা ভাষাভাষী ও ধর্মমতাম্বলম্বীদের্ দেশ৷ ভারত সেখানে আসমুদ্র হিমাচলে বৈচিত্র্যভরা একটি বিরাট মানব সমাজের অবস্থান৷ সেখানে অনেক গুলি  রাজ্যের সমাবেশে ১৩৫ কোটি মানুষের বাস৷ সেই মানুষগুলির বিভিন্ন ধরনের অভাব অভিযোগ রয়েছে৷ সেগুলির প্রয়োজন মেটানোর দায় রাজ্যগুলির৷ সেই রাজ্যগুলির অবশ্যই আর্থিক ও সামাজিক দিক থেকে সাবলম্বী হয়ে ওঠা একান্ত জরুরী, যাতে সেই সেই  এলাকার স্থায়ী আঞ্চলিক মানুষগুলি অবশ্যই অন্ন, বস্ত্র শিক্ষা চিকিৎসা ও বাসস্থানের নূ্যনতম প্রয়োজনটুকুর পূর্ত্তি ঘটে৷ সেই সেই দিকগুলির পূরণের আবশ্যিকতা জরুরী৷ তাই আঞ্চলিক শ্রীবৃদ্ধির দিকে সবচেয়ে বেশী নজর দিতে হবে কেন্দ্র ও র

সংশ্লেষণই শান্তি, বিশ্লেষণে নয়

হরিগোপাল দেবনাথ

সত্যের অনুসন্ধানকারী ও ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষমাত্রেই জানেন ও এই দৃঢ়বিশ্বাস নিয়েই জীবনধারণ করেন যে পরম-সৃষ্টিকর্র্ত এক ও অদ্বিতীয়---অর্থাৎ শিব, শ্রীকৃষ্ণ,নারায়ণ, গড, আল্লাহ, যীশু যে নামে তাঁকে ডাকি না কেন সর্বাবস্থায় তিনি এক৷ তিনি অনাদি-অনন্তম্‌ একম-এব অদ্বিতীয়ম্‌ সত্ত্বা৷ তাঁরই হুলাদিনী শক্তি গৌরী,পার্বতী, দুর্র্গ, কালী, লক্ষ্মী, শ্রীরাধা ইত্যাদি বিভিন্ন নামে পরিচিত, তবে মূলতই এক ও বিকল্পহীন---অর্থাৎ তিনি শিবের শিবানী, গৌরী বা পার্বতী, শ্রীকৃষ্ণের শ্রীরাধা৷ তাঁরা দুয়ে মিলেই এক--- অর্থাৎ স্বয়ং জি-ও-ডি (গড্‌)-এর জি (জেনারেটর) ও ডি (ডেষ্ট্রয়ার) দ্বৈত-ভূমিকারই  অপর এ সত্তা ও অবিনাভাবী যাঁকে কিছুতে