August 2022

প্রাউটের দৃষ্টিকোন থেকে : শিক্ষানীতি

প্রাউট অনুযায়ী শিক্ষার লক্ষ্য হ’ল–‘‘সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে’’৷ শিক্ষা হ’ল তাই যা বিমুক্তি অর্থাৎ স্থায়ী মুক্তি প্রদান করে৷ শিক্ষার প্রকৃত অর্থ হ’ল ত্রিভৌমিক বিকাশ–মানবীয় অস্তিত্বের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক এই তিনস্তরেই একসঙ্গে ও সমানভাবে উন্নতি৷ এর ফলে ব্যষ্টিত্বের সুসামঞ্জস্যপূর্ণ অগ্রগতি সংসাধিত হয়৷ এই  শিক্ষা প্রসুপ্ত মানবীয় সম্ভাবনাকেও জাগিয়ে তোলে যাতে করে তার যথার্থ উপযোগ সম্ভবপর হয়৷ প্রকৃত শিক্ষিত তাকেই বলব যিনি প্রভূত জ্ঞান অর্জন করেছেন, তা অনেক বেশী মনে রেখেছেন ও নিজের বৈবহারিক জীবনে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছেন৷

মধ্যবিত্তের ঘাড়ে জি.এস.টির বোঝা নয় প্রতিটি মানুষের হাতে ক্রয় ক্ষমতা দিতে হবে

নরেন্দ্র মোদি আট বছর আগে প্রথম  যেদিন  প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন তখন রান্নার গ্যাস ছিল ৫০০ টাকার নীচে, পেট্রল ছিল ৫০ থেকে ৫৫টাকার মধ্যে৷ সাধারণ মানুষের  সেটা কিন্তু আচ্ছা দিন ছিল না৷ তাই গদিতে বসার আগেই ভোটে জিতে নরেন্দ্র মোদি জনগণকে  শুনিয়ে দেন আচ্ছা দিন এসে গেছে৷ কথাগুলি বলে বাঙালী ছাত্র যুব সমাজের সচিব তপোময় বিশ্বাস বলেন---জনগণ সেদিন মোদিজীর কথার অর্থ বুঝতে ভুল করেছিলেন৷ আচ্ছাদিন মানে সাধারণ মানুষের আচ্ছা দিন নয়, ধনকুবেরদের আচ্ছা দিন,  নরেন্দ্র মোদির আচ্ছা দিন৷ তাই মারণ ব্যাধির সংক্রমণে লক্‌ডাউনের কবলে পড়ে কোটি কোটি মানুষ যখন কর্মহারা, কপর্দকহীন তখনও ধনকুবেররা হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়

ওড়িষা ও মেদিনীপুরে  প্রথম ডায়োসিস সেমিনার

যোগ প্রশিক্ষণ ও আদর্শ সমাজ নির্মাণ শিবির

গত ২৪,২৫,২৬ শে জুন  ওড়িষার সম্বলপুর ডায়োসিসের অন্তর্গত বারকোটে আনন্দমার্গ আশ্রমে প্রথম ডায়োসিস সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়৷ এই সেমিনারে ডায়োসিসের বিভিন্ন জায়গা থেকে মার্গের অনুগামীরা যোগ দেন৷ প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আচার্য বাসুদেবানন্দ অবধূত৷ অর্গানাইজার ছিলেন আচার্য গুরুধ্যানানন্দ অবধূত  ও আচার্য চিরঞ্জীবানন্দ অবধূত৷

জি.টি.এ-র প্রতিবাদে ছাত্র-যুবসমাজের বিক্ষোভ

বাঙলা ভাগের চক্রান্তের প্রতিবাদে ও অসাংবিধানিক জি.টি.এ বাতিল করার দাবীতে শিলিগুলির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের গেটের সামনে থেকে এক মহাবিক্ষোভ মিছিল করে ‘‘বাঙালী ছাত্র-যুব  সমাজ’’ সংঘটনটি৷ উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র-যুব সমাজ সচিব তপোময় বিশ্বাস, ছাত্র সমাজ সচিব পার্থ প্রতিম রায় প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷ মিছিলটি শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোড, হাসমি চক, বিধান মার্কেট প্রভৃতি স্থান ঘুরে পোষ্ট অফিস মোড়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জনসভা করে৷ জনসভায় বক্তব্য রাখেন---আমরা বাঙালী কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিনহা,কেন্দ্রীয় সাংঘটনিক সচিব জয়ন্ত দাশ, উত্তরবঙ্গ আমরা বাঙালী নেতা সুবোধ বর্মন, মোহন অধিকারী,ছাত্র -যুব সমাজ সচিব তপ

গ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

স্বাধীনতারপর সাত দশক পার হয়ে গেলেও সর্বসাধারণের সার্বিক কল্যাণের স্বার্থে, সামগ্রিকভাবে দেশের হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নের জন্যে কোন বলিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গড়ে ওঠেনি৷ এর একমাত্র কারণ ভারতবর্ষের রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশীয় পুঁজিপতিরা, অর্থনীতিবিদ্‌ ও নেতারা শিখণ্ডী মাত্র৷

ঈশ্বর–প্রণিধানের মানসাধ্যাত্মিক প্রক্রিয়া

‘‘ঈশ্বর–প্রণিধান’’ জিনিসটা... দাঁড়াচ্ছে–মনকে সেই পরমাশ্রয়ে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যে তাঁর পানে ছুটিয়ে নিয়ে চলা৷ তাই ঈশ্বর–প্রণিধান জিনিসটা সম্পূর্ণ ভাবাশ্রয়ী–সম্পূর্ণতই একটা মানস ঙ্(আধ্যাত্মিক) প্রচেষ্টা৷ এতে চীৎকার করে লোক জড় করবার বা ঢ়াক–ঢ়োল পিটিয়ে ভক্তি দেখাবার অবকাশ নেই৷....

ধন–সঞ্চয় সম্পর্কে প্রাউটের নীতি

প্রাউটের প্রথম সিদ্ধান্ত ঃ–

কোন ব্যষ্টিই সামবায়িক সংস্থার (collective body) সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া ভৌতিক সম্পদ সঞ্চয় করতে পারবে না৷

আমাদের চাহিদা তিন ধরনের–

                ণ্ড্র ভৌতিক (physical)

                ণ্ড্র মানসিক (psychic)

                ণ্ড্র আধ্যাত্মিক (spiritual)

সমাজ–সভ্যতা বাঁচাতে চাই আদর্শ শিক্ষা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

জাতিগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হ’ল শিক্ষা৷ আজ যে সারা দেশ জুড়ে অসংখ্য আর্থিক দুর্নীতি, নারী–লাঞ্ছনা, পারিবারিক হিংসা ও হত্যা সহ অজস্র অপরাধের ঘটনা ঘটছে এ সবের পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে শিক্ষার ব্যবস্থার ত্রুটি৷ প্রতি বছর তো লক্ষ লক্ষ যুবক–যুবতী স্কুল কলেজের গণ্ডী পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে ঝাঁপিয়ে পড়ছে৷ এই স্কুল কলেজগুলিই প্রধানতঃ মানুষ তৈরীর কারখানা৷ মানুষের মধ্যে সদ্বৃত্তির মূল্যবোধের জাগরণের প্রাথমিক দায়িত্ব এই স্কুল–কলেজের৷ এই স্কুল কলেজের শিক্ষাব্যবস্থা বর্তমানে যে এই প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করছে না–সে সম্পর্কে বোধহয় কেউই দ্বিমত হবেন না৷ মূল্যবোধভিত্তিক শিক্ষা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা

এদেশে গণতন্ত্রের ত্রুটিগুলির কিছু দিক

নিরপেক্ষ

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের গুরুত্ব সর্বাধিক৷ কারণ গণতন্ত্রের মূল কথা জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য, জনগণের সরকার৷ কিন্তু ভারতের মতো বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুঁজিবাদী নিয়ন্ত্রিত সামাজিক অর্থনৈতিক কাঠামোয় গণতন্ত্র শুধু অসার বুলি ও জনগণকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেবার বাহনে পরিণত হয়েছে৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও সাধারণ মানুষের  ৮০ শতাংশের মধ্যে আজও সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক সচেতনতা নেই৷ সেখানে গণতান্ত্রিক পথে  সরকার নির্বাচন এক প্রহসন মাত্র৷ দেশের কমপক্ষে ৫১ শতাংশ মানুষ সচেতন না হলে জনগণের সরকার কখনই প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব নয়৷ কারণ সাধারণ মানুষ ধূর্ত রাজনৈতিক নেতাদের চতুর্চালে বশীভূত হয় ভোট দেন৷