February 2023

স্মরণিকা

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে---এই বাংলায়

হয়তো মানুষ নয়---বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে

হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে

কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়

হয়তো বা হাঁস হবো---কিশোরীর ঘুঙুর রহিবে লাল পায়,

সারাদিন কেটে যাবে কলমিল গন্ধ ভরা জলে ভেসেভেসে

আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে

জলাঙ্গীর ঢেউয়ে ভেজা বাংলার এ সবুজ করুণ ডাঙায়

-                                                                --জীবনানন্দ দাশ

অমর দধীচি অজিতানন্দ লহ প্রণাম - প্রাণের প্রদীপ জ্বেলে দিয়ে ওই যে ওরা চলে যায়

 গত ২৪শে জানুয়ারী শিলিগুড়ি আনন্দমার্গ আশ্রমে ভাবগম্ভীর পরিবেশে আনন্দমার্গের সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী আচার্য অজিতানন্দ অবধূতের প্রয়ান দিবস পালিত হয়৷ মার্গের অনুগামীগণ প্রথমে প্রভাত সঙ্গীত, কীর্ত্তন, সমবেত সাধনা ও গুরুপূজা করেন ও পরে  অজিতানন্দজীর স্মৃতিচারণ করেন প্রবীন মার্গী ভাইবোনেরা৷ শিলিগুড়ি আনন্দমার্গ শিশুসদন পরিচালনার দায়িত্ব ছিলেন আচার্য অজিতানন্দ অবধূত৷ স্থানীয় সহানুভূতিশীল মানুষের সাহায্যে তিনি শিশুসদন সুন্দরভাবে চালানোর সঙ্গে সঙ্গে  আনন্দমার্গ ভাগবত ধর্মের প্রচার ও সেবামূলক কাজ করছিলেন৷ তার কর্মনিষ্ঠা ও তৎপরতার ফলে আনন্দমার্গের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ

ত্রিপুরার সার্বিক স্বার্থে প্রকৃত উন্নয়ন করতে পারে কেবল আমরা বাঙালী-ই

আগামী ১৬ই ফেব্রুয়ারী,২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন৷ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ‘আমরা বাঙালী’ দল ২৬টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে৷ ত্রিপুরার গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের কাছে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ,বর্তমান বিজেপি দলের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও স্বৈরাচারী কার্যকলাপের জন্যে ত্রিপুরাতে গণতন্ত্র পদদলিত, মানুষের বাক স্বাধীনতা তথা মৌলিক অধিকার বিপন্ন৷ এ অবস্থায় ত্রিপুরা রাজ্যের গণদেবতাদের কাছে একটি সুযোগ এসেছে বোটের (ভোটের) মাধ্যমে সঠিক প্রার্থী ও দল নির্বাচন করে বিধানসভায় পাঠানো যারা আগামী দিনে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করবে৷ আমাদের অত

বিদ্রোহী বাঙলা---কৈবর্ত বিদ্রোহ

সুকুমার সরকার

বিদ্রোহী বাঙলার দ্বিতীয় বিদ্রোহ কৈবর্ত বিদ্রোহ৷ এটি একটি সুসংঘটিত গণবিদ্রোহ৷ এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন একজন জাত বাঙালি কৈবর্ত নেতা৷ তাঁর নাম ভীম৷ ভীম ও তাঁর ভাতুস্পুত্র দিব্যোক তৎকালীন অত্যাচারী পাল রাজা দ্বিতীয় দেবপালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে কিছু কালের জন্য বাঙলার সিংহাসনে বসেছিলেন৷

বিদ্রোহী বাঙলা---কৈবর্ত বিদ্রোহ

সুকুমার সরকার

বিদ্রোহী বাঙলার দ্বিতীয় বিদ্রোহ কৈবর্ত বিদ্রোহ৷ এটি একটি সুসংঘটিত গণবিদ্রোহ৷ এই বিদ্রোহের নেতৃত্বে ছিলেন একজন জাত বাঙালি কৈবর্ত নেতা৷ তাঁর নাম ভীম৷ ভীম ও তাঁর ভাতুস্পুত্র দিব্যোক তৎকালীন অত্যাচারী পাল রাজা দ্বিতীয় দেবপালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে কিছু কালের জন্য বাঙলার সিংহাসনে বসেছিলেন৷

বেদে উল্লেখিত সরস্বতী

সরস্বতী কোন বৈদিক দেবী নন। বেদেতে ‘সরস্বতী’ শব্দের উল্লেখ আছে কিন্তু সে সরস্বতী দেবী সরস্বতী নন। আগে ‘সরস্বতী’ শব্দটার মানে ৰলে দিই। সংস্কৃত ভাষায় ‘সরস্’ শব্দটার মানে হ’ল বড় জলাশয় অথবা শাদা রঙের আলো, শুভ্র জ্যোতিঃ। আর এই ‘সরস্’ যার আছে ইত্যর্থে ‘সরস্’ শব্দের উত্তর ‘মতুপ্’ প্রত্যয় করে ‘সর্স্বৎ’ শব্দ নিষ্পন্ন হচ্ছে যার স্ত্রীলিঙ্গের রূপ ‘সরস্বতী’। সরস্বতী মানে যার মধ্যে শাদা রঙের জ্যোতিঃ আছে অথবা যার অধীনে একটা বৃহৎ জলাশয় আছে। বেদে যে ‘সরস্বতী’ শব্দের উল্লেখ আছে : “অম্বিত মে নদীতমে দেবীতমে সরস্বতী”। এই সরস্বতী হ’ল একটা নদীর নাম। ‘নদী’ শব্দটাতেই ধরা পড়ে যাচ্ছে

ৰৃহত্তর ৰাঙলা

প্রায় ৫০০০ বছর আগে অষ্ট্রিক, মঙ্গোলিয়ন আর নিগ্রো রক্তের সংমিশ্রণ–জাত ৰাঙালী জনসমুদায় সৃষ্টি হয়েছিল৷ সেই সময় ৰাঙলার ভাষা ছিল সংস্কৃত, তাই ৰাংলাভাষারও পথনির্দেশক ভাষা হচ্ছে সংস্কৃত৷ প্রায় ১২০০ বছর আগে ৰাংলাভাষার এক রূপান্তরণ হয়েছিল৷ সেই সময় ৰাঙলা বলতে বোঝাত বর্তমানের পশ্চিমবঙ্গ, নেপালের ঝাপা জেলা, বিহারের পূর্বাংশ, সম্পূর্ণ ৰাঙলাদেশ আর বর্মা, মেঘালয়ের সমতল অংশ, প্রাগজ্যোতিষপুরের কিছু অংশ আর অসমের বরপেটা, কামরূপ ও নগাঁও৷ ৰৃহত্তর ৰাঙলার এই ছিল এলাকা৷ আজ ৰাঙালী বলতে ৰোঝায় দুই প্রকারের অভিব্যক্তি– ভারতীয় ৰাঙালী আর ৰাঙলাদেশী ৰাঙালী ৷ এই দু’য়ের মধ্যে একটা সংহতিকরণ বা মিশ্

মোদীর বাজেটের লক্ষ্য কর্র্পেরেট উন্নয়ন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

গত বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদে যে বাজেট পেশ করেছেন তাতে আখেরে  লাভ হবে কর্র্পেরেট জগতের লোকেদের৷ অর্থাৎ বড় লোকেদের৷ তাদের মুনাফার পরিমান লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে মোদী জমানায়৷ এই বাজেটে আমজনতা তথা গরীব মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য কিছুই নেই৷ শিল্পক্ষেত্রেও  আশা যোগাতে ব্যর্থ এই বাজেট৷ সরকারী কোষাগারের ঋণ কমিয়ে সরকারের নিজের আয় বাড়ানোর ও ঘাটতি কমানোর কোন বাস্তবসম্মত দিশা নেই বাজেটে৷  মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মূল্যবৃদ্ধি কমানোও আর্থিক মন্দা থেকে উত্তরন ও বেকারত্ব দূরীকরণে বাজেটে কোন উচ্চবাচ্য নেই৷ অর্থমন্ত্রীর মুখ থেকে কোন আশাব্যঞ্জক কথাও শোণা যায়নি৷ সরকারী সম্পত্তি না বিক

শোষণমুক্তির আন্দোলন ভারতই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে

প্রভাত খাঁ

ভারতবর্ষ মূলতঃ ইংরেজ শাসনের অধীনে একটি একচ্ছত্র সাম্রাজ্য হিসাবে পৃথিবীতে স্বীকৃতি লাভ  করে৷ তার আগে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল এক ছিন্ন ভিন্ন রাজত্ব হিসাবেই৷ তবে দিল্লির মুঘল বাদশাহের অধীনে তার আগে সুলতানী রাজ্য ছিল স্বাধীন হিসাবে৷  দেশের অধিকাংশ রাজা পরস্পর কলহে  লিপ্ত ছিল৷ চিরকালই বিদেশী মুসলমানগণ ও সাম্রাজ্যবাদী বণিক জাতি ইংরেজ সেই সুযোগে অর্থাৎ এদেশের মীরজাফরদের মতো দেশদ্রোহীদের কব্জা করে শাসন লাভ করে৷ পলাশীর আম্রকুঞ্জে সিরাজউদ্দল্লার সঙ্গে ইংরেজ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর এক  যুদ্ধ যুদ্ধ বিশ্বাসঘাতকতার খেলা হয় যে খেলায় সেনাপতি মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় যুদ্ধক্ষেত

মানব দেহে কন্ঠ নিসৃত ভাষার অভিব্যক্তির উৎস সন্ধানে

সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

আমরা ব্যাকারণে পড়েছি, ভাব হ’তে ভাষার উৎপত্তি হয়৷ অর্থাৎ মনের ভাবকে কন্ঠনালির দ্বারা অভিব্যক্তিকরণই হ’ল ভাষা৷ মানবদেহ হ’ল একটি জৈব যন্ত্র বিশেষ Human body is a biological machine) এবং এই যন্ত্র চালিত হয় মানব মনের দ্বারা৷ কিন্তু এই মানব মনের মধ্যস্থিত ‘ভাব’ শক্তি কিভাবে অবস্থান করে ও কিভাবেই বা এই ভাব শক্তি মনের মধ্যে ভাষায় রূপান্তরিত হয়ে থাকে৷ ভাব হ’তে ভাষার রূপান্তরের নেপথ্য কারণটিকে জানতে হ’লে, আমাদের এই Biological machine-এর সংরচনা জানলে তবেই ভাব হ’তে ভাষায় রূপান্তরের কারণ জানা সহজ হবে৷ আজকের আলোচ্য বিষয়টি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের ব্যাকরণের অভিমত অনুসারে লেখা হল৷ আমাদের মেরুদণ্ডের মধ্যে রয়