May 2023

আপ্তবাক্য

পত্রিকা প্রতিনিধি

‘‘ ...কেউ যদি বলেন ‘‘আজকে যে অন্নাভাবে বা বস্ত্রাভাবে কষ্ট পাচ্ছে সেটা শুধু তার পূর্বজন্মের  কৃতকর্মের ফল---তাই এ ব্যাপারে  আমাদের  কোন সামাজিক দায়িত্ব নেই’’---এর জবাবে  আমি ৰলব কর্মের পরিমাপের সমান ফল যদি মানুষকে ভুগতেই হয় তাহলে ভোগটা তো তার মানসভূমিতে অন্যভাবেও হতে পারে৷ অন্নাভাবে বস্ত্রাভাবে ক্লেশ না পেয়েও বা সামাজিক বৈষম্যের দরুণ লাঞ্ছনা ভোগ না করেও মানুষ মানসিক ক্লেশের মাধ্যমে তার কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্ত করতে পারে!

স্মরণিকা

* যাদের একটা গভীর অন্তর্দৃষ্টি আছে, তাদের কাছে কোনো কিছুই অদৃশ্য বা অজ্ঞেয় থাকে না৷

* যা অবোধ্য, তা মানুষের কোনো কাজে লাগে না বা উপকারে আসে না৷

* সূক্ষ্ম আনন্দবোধ থেকেই অধিকাংশ বেদনার জন্ম৷              --- বার্নার্ড শ

 

সপ্তদশ দধীচি লহ প্রণাম - বিজনসেতুতে সন্ন্যাসী হত্যার ৪১তম দিবসে মৌনমিছিল ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সিপিএমের ৩৪ বছরের লাল সন্ত্রাসের নিষ্ঠুরতম নিদর্শন

১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল কলকাতার বিজন সেতু এলাকায় ও বণ্ডেল গেটে আনন্দমার্গের ১৭জন সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সেদিনের শাসক দল সিপিএমের ঘাতক বাহিনী৷ এরই প্রতিবাদে ও সেই সপ্তদশ ‘দধীচি’র প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে---গত ৩০শে এপ্রিল দুপুর ২-৩০ মিনিটে দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বিজন সেতুর উদ্দেশ্যে এক মৌন মিছিল বের হয়৷ এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত মৌন মিছিল ও তৎপরে বিজন সেতুর ওপরে প্রতিবাদ-সভায় সমবেত হন হাজার হাজার আনন্দমার্গী ও মানবতাবাদী মানুষ৷ আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের পক্ষ থেকে এই দিন মানবতা বাঁচাও দিবস পালন করা হয়৷

অমৃতলোকে আচার্য বিবেকানন্দ অবধূত

আনন্দমার্গের অশীতিপর সন্ন্যাসী আচার্য বিবেকানন্দ অবধূত গত ১লা মে মূর্ত্ত জগতের কর্ম সমাধা করে অমৃতলোকে যাত্রা করেছেন৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর৷ বার্ধক্যজনিত ও হজমের সমস্যা নিয়ে গত ২৯শে এপ্রিল পুরুলিয়া রোটারি নার্সিং হোমে তিনি ভর্তি হন৷ কিন্তু চিকিৎসায় তেমন সাড়া দেননি৷ গত ১লা মে অপরাহ্ণ প্রায় সাড়ে তিন ঘটিকায় তিনি আমাদের ছেড়ে  অজানার দেশে পাড়ি দেন৷ গত ২রা মে সকলের শ্রদ্ধেয় আচার্য বিবেকানন্দ দাদার পার্থিব দেহের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয় আনন্দনগরের বেলাবলয় মহাশশ্মানে৷ তাঁর অন্তিম যাত্রায় ও অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন বহু গুণমুগ্দ প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র, সাধারণ মানুষ, আনন্দমার

নোতুন দিনের নোতুন সূর্য  প্রাউট

আচার্য প্রসূনানন্দ অবধূত

মানব সভ্যতা আজ এক চরম সংকট মুহূর্ত্তে এসে উপনীত হয়েছে৷ মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়,  সামাজিক অবিচার, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত  অমনোবৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা, সংস্কৃতির নামে বেলেল্লাপনা, ধর্মীয় মৌলবাদ, অর্থনৈতিক বৈষম্য,  অসহ্য দারিদ্র্য,  লাগাতার অনাহার,--- এককথায সার্বিক অবক্ষয় মানব সমাজের গতিকে রুদ্ধ করেছে ৷ অজগরের মতো সমগ্র মানব সমাজকে  আষ্টে -পিষ্টে জড়িয়ে ফেলেছে৷ হিংসায় উন্মত্ত পৃথিবী,  সারা বিশ্বজুড়ে তাই যুদ্ধের এত রণহুঙ্কার, স্বার্থের  এত সংঘাত, মানবরূপী দানবদের  এত আস্ফালন !

পরমপুরুষই একমাত্র আলম্বন

পরমপুরুষের গুণ বর্ণন করা সম্ভব নয়৷ তবুও মানুষ আত্মতৃপ্তির জন্যে কিছু বলার, কিছু বর্ণনা করার চেষ্টা করে থাকে৷ বলা হয়েছে ––

‘‘প্রভুমীশমনীশমশেষ্ গুণহীনমহেশ গণাভরণম্৷’’

পরমপুরুষের গুণের আর শেষ নেই৷ আর মানুষের ক্ষুদ্র মন, ক্ষুদ্র কণ্ঠ সেই অশেষ গুণের বর্ণনা করবে কী করে? কবি পদ্মদন্ত পরমপুরুষের গুণের বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন ––

‘‘অসিতগিরিসমং স্যাৎ কজ্জ্বলং সিন্ধুপাত্রে

 সুরতরুবরশাখা লেখনীপত্র মুর্বী৷

 লিখতি যদি গৃহীত্বা সারদা সর্বকালং

 তথাপি তব গুণানামীশ পারং ন যাতি৷৷’’

দেশপ্রেমিকের প্রতি

‘নেশন’ শব্দের অর্থ প্রকৃত ব্যাখ্যা কী--- এ নিয়ে মতভেদের অন্ত নেই৷ কেউ বলেন,মানবগোষ্ঠী একই রাষ্ট্রের বাসিন্দা তারাই একটা নেশন৷ অবশ্য রাষ্ট্র বা দেশকে সমার্থক ধরলেও ‘নেশন’ নিয়ে বিতর্ক এখানেই শেষ হয় না৷ কেউ কেউ বলেন নেশন গড়ে ওঠে সমভাষিতার ওপরে, কেউ বা বলেন এক ধরনের আচার ব্যবহার, একই জীবনযাত্রা প্রণালী, একই ঐতিহ্য, একই রক্তধারা, একই ধর্মমত প্রভৃতির একটি বা একাধিক তত্ত্বের মিশ্রণে গড়ে ওঠে ‘নেশন’৷

আনন্দপূর্ণিমার পুণ্য তিথি স্মরণে সর্বাঙ্গসুন্দর আদর্শ সমাজ গড়ার সংকল্প নিন

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

আগামী ৫ই মে, বৈশাখী পূর্ণিমা, প্রাউট–প্রবক্তা শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের, যিনি ধর্মগুরু মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নামে বিশ্ববাসীর কাছে সমধিক পরিচিত–তাঁর শুভ ১০২ তম আবির্ভাব তিথি৷ সারা বিশ্বের আনন্দমার্গীদের কাছে এই বৈশাখী পূর্ণিমা আনন্দপূর্ণিমা রূপে পরিচিত৷ এই পুণ্য তিথিতে মহাসমারোহে সর্বত্র মার্গগুরুদেবের ১০২ তম জন্ম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে৷

শাসকদলের বেশী বাড়াবাড়িটা অতীব নিন্দনীয়

প্রভাত খাঁ

বর্তমানে সমগ্র পৃথিবী তথা বিরাট জনবহুল দেশ ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক চরম মানবতাহীন শাসকের কবলে পড়ে চরমভাবে শোষিত ও নির্যাতিত হয়ে চলেছে বছরের পর বছর ধরে৷

অনাহত চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রন্থি উপগ্রন্থির উপর মাইক্রোবাইটামের প্রভাব

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

মানবদেহের সব কটি চক্রে ও উহার সহিত সংশ্লিষ্ট গ্রন্থি সমূহের সঙ্গে মাইক্রোবাইটা দৈহিক, মানসিক ও আত্মিক স্তরে কাজ করে৷ এই সম্পর্কে মহান দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার বহু তত্ত্ব দিয়েছেন, বলাবাহুল্য ‘মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব’ সমূহের উদ্ভব বিশ্বে এই প্রথম৷

মহাপ্রাজ্ঞ দার্শনিক শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার তাঁর মাইক্রোবাইটাম তত্ত্বে বলেছেন---