August 2023

মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবী

মণিপুরের অশান্তি ও হিংসায় লাগাম টানতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুললো নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটি৷ কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সাধারণ সম্পাদক আলী রাজা উসমানী ও কিশোর ভট্টাচার্য, কমিটির সচিব সাধন পুরকায়স্থ ও কাছাড় জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আব্দুল হাইলস্কর গত রবিবার এক বার্র্তয় জানান, মণিপুরের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ এর উপর আস্থা রাখতে গিয়ে তলানিতে গিয়েছে রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা৷

আনন্দনগরে সায়র খননকার্য

গত ২৮শে জুলাই,২৩ দুর্লভ দ্রুম সেঞ্চুয়ারীতে বৃষ্টির জল সংরক্ষিত করা ও ওই জলকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার জন্যে খননকার্য চলছে৷ উল্লেখনীয় আনন্দনগরে গুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী বিলুপ্ত হয়ে গেছে ও হয়ে যাচ্ছে এই ধরনের পোষ্য বন্য, পশু-পাখি, জলজ জীব-জন্তু, স্থলজ জীব-জন্তু, বৃক্ষ-লতা-গুল্মকে বাঁচিয়ে রাখা  ও তাদের বংশবৃদ্ধি, গবেষণার মাধ্যমে তাদের ব্যবহারগত  উপযোগিতার বৃদ্ধির জন্য ৮৫টি সংরক্ষিত স্থান ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলের জন্য নির্দিষ্ট শতাধিক কাননের সংরক্ষিত স্থান নির্ধারণ করেছেন ও গবেষণার কথা বলেছেন৷ প্রত্যেকটি সংরক্ষিত স্থানের নামকরণ করেছেন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, মহাপুরুষ, মুনি-ঋষি, প্রস

শ্যামনগরে মার্গগুরুদেবের পদার্পণ দিবস পালন

গত ২০শে জুলাই উঃ২৪পরগণা জেলার শ্যামনগর আনন্দমার্গস্কুলে মার্গগুরুদেব শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ৫৪তম পদার্পণ দিবস পালন করা হয়৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ১৯৬৯ সালে ২০শে জুলাই পরমশ্রদ্ধেয় শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী ধর্মমহাসম্মেলন উপলক্ষ্যে শ্যামনগরে এসেছিলেন৷ সেখানে ২০-২২শে জুলাই পর্যন্ত ধর্মমহাচক্র অনুষ্ঠিত হয়৷ এই তিনদিন তিনি শ্যামনগরে অবস্থান করেছিলেন৷

হাওড়ায় বর্র্ষবরণ অনুষ্ঠান পালন

গত ১লা আগষ্ট হাওড়ার জেলার আনন্দমার্গ প্রচারক সংঘের রামরাজাতলা ইয়ূনিটের পক্ষ থেকে বর্ষাবরণ দিবস পালন করা হয়৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার রচিত  প্রভাত সঙ্গীতে ঋতুপর্যায়ের বর্ষা ঋতুর গানগুলির পরিবেশন করেন রাওয়া শিল্পী সুপ্রিয়া ভৌমিক ও সহশিল্পীবৃন্দ৷

সর্দিগর্মী – চূর্ণ–নিম্বু ও আমপোড়ার শরৰৎ

সর্দিগর্মীর ঔষধ হ’ল চূর্ণ–নিম্বু (চূর্ণ–নেৰু)৷ আগে বলা হয়েছে কোন একটা পাত্রে খানিকটা চূণ তার দ্বিগুণ জলে ভালভাবে গুলে নিতে হয়৷ তারপর তাকে থিতিয়ে যেতে দিতে হয় অর্থাৎ তাকে থিতু (‘থিতু’ শব্দ ‘স্থিতু’ শব্দ থেকে আসছে)  অবস্থায় খানিকক্ষণ থাকতে দিতে হয়৷ চূণের জল থিতিয়ে গেলে চামচে করে ওপরের চূর্ণ–রহিত জল আস্তে আস্তে তুলে একটা পাত্রে ঢ়েলে নিতে হয়৷ এই চূণের জলে পাতিনেবুর ট্যাবা নেৰুর রস মিশিয়ে খুব অল্প মিছরি (নামে মাত্র) গুঁড়ো দিয়ে খেলে সর্দি–গর্মী ঙ্মগরমকালে ‘লু’ লেগে যাওয়া বা হঠাৎ হঠাৎ ঠাণ্ডা–গরমে জ্বর হয়ে গায়ের তাপমাত্রা এক লাফে চরমে উঠে যাওয়াৰ প্রশমিত হয়৷ তাছাড়া কাঁচা ৰেলের শরৰৎ, আমপোড়ার শরৰৎ সর্

ঘামাচী (ঘর্মচচী)

চামড়াকে ঘর্মচচী থেকে বিমুক্ত করার জন্যে সমপরিমাণ তাজা দুধের সর ও ময়দা মিশিয়ে অল্পক্ষণ আঙ্গুলে ফেনিয়ে বা ফেটিয়ে নিয়ে, তারপর সারা শরীরে ওই সর–ময়দা মেখে ১৫/২০ মিনিট আলো–হাওয়া যুক্ত শুকনো জায়গায় (রোদে নয়) বসে থাকতে হয়৷ তারপর ওই লেপটে যাওয়া সর–ময়দাকে ঘষে ঘষে তুলে দিতে হয় ও সাবান না মেখে স্নান করতে হয়৷ সর–ময়দা ব্যবহারে সামান্যতম ক্ষতি হয় না৷ বরং ১৬ আনা লাভ হয়৷ শীতের দিনে চামড়া ফেটে গেলে অথবা অন্য যে কোন কারণে চামড়া খসখসে হয়ে গেলে, মেয়ে–পুরুষ যে কেউই সর–ময়দা ব্যবহার করতে পারেন৷

লাউয়ের গুণাগুণ

পরিচয় ও প্রজাতি ঃ অলাবু মানে লাউ চ্প্সব্ধব্ধপ্তন্দ্ব ন্ধপ্সব্ভব্জস্তুগ্গ৷ অনেকে লাউকে ‘নাউ’ উচ্চারণ করেন৷ (যেমন ভুল উচ্চারণ করা হয়–নেৰুকে ‘লেৰু’)৷ উচ্চারণটি ঠিক নয় কারণ অলাবুতে তো ‘ন’ নেই৷ ‘কদু’ শব্দ এসেছে সংস্কৃত কদ্রু বা কন্দুকি শব্দ থেকে (দুয়েরই মানে যা গোলাকার ৰলের মত)৷ তাই কদু মানে গোল লাউ৷ আর লাউ মানে যে কোন প্রকারের লাউ৷ এই গোল লাউকেই মৈথিলীতে বলে ‘সজিমন’৷ লাউকে ভোজপুরী ও উত্তরপ্রদেশের পূর্বাংশে ‘লউকি’ বা ‘লওকা’ বলা হয়৷ হিন্দী/উর্দূতে বলা হয় ‘ঘিয়া’ (সংস্কৃত ‘ঘৃতাক’ শব্দ থেকে উর্দূ–হিন্দীতে এই ‘ঘিয়া’ শব্দটি এসেছেগ্গ৷ মরাঠী ও গুজরাতিতে লাউকে বলা হয় ‘দুধি’ (সংস্কৃত ‘দুগ্ধিকা’ থেকে এসেছে

পথ চলতে ইতিকথা - আমের সাতকাহন

সংস্কৃত আম্র>প্রাকৃতে, আম্ব/অম্বা৷ এর থেকে ৰাংলায় ‘আঁৰ’ শব্দটি এসেছে৷ উত্তর ভারতের অধিকাংশ ভাষাতেই এই ‘আম্ব’ বা ‘অম্বা’–জাত ‘আঁৰ’ শব্দটিই প্রচলিত৷ ওড়িষ্যায় আঁৰ (আঁৰ্–), মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের অংশবিশেষে আঁৰা, গুজরাতীতে অম্বো, মারাঠীতে আম্বা (‘পিকলে আম্বে’ মানে পাকা আঁৰ), পঞ্জাৰীতে আম্ব্ (আম্ব্ দ্য অচার), হিন্দীতে ও ৰাঙলার কোন কোন অংশে প্রচলিত ‘আম’ শব্দটি থেকেই ‘আঁৰ’ শব্দটি এসেছে৷ ব্যুৎপত্তিগত বিবর্ত্তনের বিচারে আমের চেয়ে আঁৰ বেশী শুদ্ধ৷ তবে একটি বিবর্ত্তিত শব্দ হিসেৰে আমকেও অশুদ্ধ ৰলা চলৰে না৷ ৰাঙলার মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলী, কলিকাতা, ২৪ পরগণা, খুলনা ও যশোরের অংশবিশেষে ‘আঁৰ’ শব্দই প্রচলিত

মালিনী

কৌশিক খাটুয়া

তোমার ফুলের সুবাস ঘ্রাণে

আমার ভাতের সুবাস আনে,

তাই কাছে এসে নাও ভালবেসে

এই অনুরোধ নাও গো কানে৷

রোজ দু’বেলা ফুল বাগিচায়

যতন করে জল সিঞ্চন,

কুসুমকলির প্রস্ফুটনে

বহু আশা নিয়ে পুষ্প চয়ন৷

 

সে ফুল কখনো দেব-পদতলে

অথবা দেবীর গলে,

যুগ যুগ ধরে পুষ্প নিবেদনে

একই ধারা বয়ে চলে৷

ফুলের তোড়ায় স্বাগত জানায়

প্রিয় অভ্যাগত বিশেষ অতিথি

মন্ত্রী-যন্ত্রী, পাত্র-পাত্রী

ফুলের মালায় জানায় প্রীতি৷

মোরা ভাইবোন সারাটা জীবন

মালা বেচি বারো মাস,

সবগুলো মালা বিক্রি হলে

জ্যোতির্ময়ের আবির্ভাবে

আচার্য গুরুদত্তানন্দ অবধূত

বাজল বীণা  বাজল রে

অরুণ আলো ছড়ায় হাসি

তাইতো  হাসি ফুটলো রে৷

 

বাতাসে আজ রঙের দোলা

করে সবে আত্মভোলা

নৃত্যে তালে মাতে পরাণ

তাইতো সবে হাসলো রে৷

 

মর্ম মাঝে ধর্মে ধরি

অন্তরেতে জাগেন হরি,

আছে সে যে সদাই ঘেরি,

তাই পরাণ মাতলো রে৷

 

দুঃখ পরে অপার সুখ

গড়ে নিই অন্তর্লোক,

জ্যোতির পরশ নিয়ে চিতে

জীবন জ্যোতি বাড়লো রে৷

তন্ত্রাচারে গড়ি জীবন

পূর্ণ হ’ল মনস্কাম,

পাষাণ পাথর গ’লে গিয়ে

চিত সাগরে মিশলো রে,

অরুণ আলো ছড়ায় হাসি