মালিনী

লেখক
কৌশিক খাটুয়া

তোমার ফুলের সুবাস ঘ্রাণে

আমার ভাতের সুবাস আনে,

তাই কাছে এসে নাও ভালবেসে

এই অনুরোধ নাও গো কানে৷

রোজ দু’বেলা ফুল বাগিচায়

যতন করে জল সিঞ্চন,

কুসুমকলির প্রস্ফুটনে

বহু আশা নিয়ে পুষ্প চয়ন৷

 

সে ফুল কখনো দেব-পদতলে

অথবা দেবীর গলে,

যুগ যুগ ধরে পুষ্প নিবেদনে

একই ধারা বয়ে চলে৷

ফুলের তোড়ায় স্বাগত জানায়

প্রিয় অভ্যাগত বিশেষ অতিথি

মন্ত্রী-যন্ত্রী, পাত্র-পাত্রী

ফুলের মালায় জানায় প্রীতি৷

মোরা ভাইবোন সারাটা জীবন

মালা বেচি বারো মাস,

সবগুলো মালা বিক্রি হলে

জাগে মনে উচ্ছাস!

 

ফুলের বাগানে শীতে,রোদে জলে,

মালঞ্চ ভরে মরশুমি ফুলে৷

কুঁড়ি থেকে ক্রমে ফুল হয়ে হাসে,

মধুপের দেখা পুষ্প সুবাসে,

বাড়িতে অভাব, ফুলগুলি কয়,

‘আমরাতো আছি পাশে!

জনমে মরনে শুভ অনুষ্ঠানে

পুষ্পমাল্য অপরিহার্য,

সেই ফুলের তরে হাত বাড়ালে

তাতেই জুটবে মোর আহার্য৷