October 2024

অজীর্ণ রোগে ও অম্লরোগে কিছু বিধিনিষেধ ও ব্যবস্থা

অজীর্ণ রোগের ফলে অনেক প্রাণঘাতক রোগের সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই আহারের বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলা উচিত৷ পুরনো চালের ভাত (যেমন পোরের ভাত) এ রোগে পথ্য৷ ঘোল অজীর্ণ রোগীর পক্ষে বিশেষ হিতকারী৷ নুনে জরিয়ে জামেরী নেৰু অজীর্ণ রোগে একটি ভাল ব্যবস্থা৷ শোভাঞ্জন বা শোজনে পাতার ঝোল প্রতিদিন ভাতের সঙ্গে প্রথম পাতে খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই অজীর্ণ রোগে ভাল ফল পাওয়া যায়৷ ৰেলপাতা, কালমেঘ পাতা, সোমরাজ পাতা, আদা, যোয়ান একত্রে পিষে, তা দিয়ে ছোট ছোট ৰড়ি তৈরী করে সেগুলি শুকিয়ে নিতে হবে৷ প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবারের পর একটা করে সেই ৰড়ি খেতে হবে৷ অজীর্ণ রোগে এই ঔষধও কাজ দেয়৷

ঞ ঃ (১) ‘এ্‌’ (ইঁ) একটি সুপ্রাচীন ধাতু৷ ধাতুটি বিভিন্ন অর্থে প্রচলিত৷ ‘ঞ’ ধাতুর একটি অর্থ ‘জ্বল্‌ জ্বল্‌ করা’৷ পৃথিবী থেকে আমরা যে, জ্যোতিষ্কগুলিকে দেখি তাদের মধ্যে শুকতারা সবচেয়ে বেশী জ্বল্‌ জ্বল্‌ করে৷ সন্ধ্যা রাত্তিরে এই শুকতারাকে ৰলি ‘সন্ধ্যাতারা’ আর শেষ রাত্তিরে ৰলি শুকতারা৷ আসলে এটি তারাই নয়, সূর্যের একটি গ্রহ.....শুক্রগ্রহ venus) ৷ শুক্র> শুক্ক> গুক৷ মনে রাখা দরকার যে ‘শুকতারা’য় ব্যবহৃত ‘শুক’ শব্দটি তৎসম নয়, তদ্ভব৷ সংস্কৃতে ‘শুক’ শব্দটির অর্থ ‘যে পাখী কথা ৰলে’৷ তাই জ্বল্‌ জ্বল্‌ করা অর্থে ‘ঞ’ ধাতু+ ‘ড’ প্রত্যয় করে আমরা ‘ঞ’ শব্দটি পাচ্ছি যার মানে ‘শুক্রগ্রহ’৷ জ্যোতিষিক মতে জড়জগত

ৰামুনদিদির বিপত্তি

আমার ছোটবেলায় শ্যামবাজারে আমার মামার বাড়িতে এক রাঁধুনী ছিলেন৷ রান্নায় তাঁর হাত ছিল ৰেশ পাকা–যেন একেবারে সৈরিন্ধ্রী৷ আমরা তাঁকে ৰামুনদিদি বলে ডাকতুম৷ নুন–ঝাল–মশলার হিসেব ছিল তাঁর চমৎকার৷ একবার বাড়িতে কিছু লোককে নেমন্তন্ন করা হয়েছিল৷ খাবার পর অতিথিরা মুক্তকণ্ঠে ৰামুন–দিদির প্রশংসা করতে লাগলেন৷ সবাই বললেন–যা রেঁধেছ ৰামুন–দিদি, অমৃত, অমৃত! ত্রিভুবনে এর তুলনা মেলা ভার!

নিজের প্রশংসা শুনে আহ্লাদে আটখানা হয়ে ৰামুনদিদি উচ্ছ্বসিত ভাষায় বলে উঠলেন– আমি বালো পাক করুম না তো করৰো ক্যাডা