February 2025

মহাসম্ভূতির আবির্ভাব কখন ঘটে?

শ্রীমদ্ভাগবত গীতার একটি শ্লোক উদ্ধৃত করে ৰলেছিলুম,

‘‘যদা যদা হি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷

অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম্‌৷৷’’

এখানে ‘যদা যদা’ কথার মানে কী? এখানে ‘যদা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে যথোপযুক্ত কালে, ঠিক সময়ে৷ তোমরা জান যে প্রত্যেকটি কাজের জন্যে, প্রত্যেক কর্তব্যের জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত সময় থাকে, মাহেন্দ্রক্ষণ থাকে৷ সেটাই সেই বিশেষ কর্তব্য সম্পাদনের জন্যে উপযুক্ত সময়৷ বিভিন্ন ধরণের ফল-ফসল লাগাবার জন্যে একটা বিশেষ সময় থাকে আবার পাকা ফসল ঘরে তোলবার জন্যেও একটা বিশেষ সময় থাকে৷ সেই বিশেষ সময়টাই বিশেষ ধরণের কাজের জন্যে সবচেয়ে বেশী উপযুক্ত সময় ৰলে গণ্য হয়৷

বিচার

 ‘বিচার’ শব্দটার ভাবগত অর্থ হ’ল সত্য নির্ধারণের জন্যে বিশেষ প্রকারের মনঃ সঞ্চালন৷ যদিও মানুষের আপেক্ষিকতাকে নিয়েই কারবার, তবুও এই আপেক্ষিক জগতে যা সত্য ৰলে প্রতীত হয়, সমাজ দেহে তাকেই ৰলৰ ‘বিচার’৷ বিচারের সব চাইতে ৰড় লাভ এই যে এর সম্যক প্রয়োগের ফলে সমাজ দেহে শুভ-অশুভ, শিব-অশিবের মধ্যে একটা অশেষ যুধ্যমান ভাব স্থায়ী ভাবে থেকে যায় যার ফলে মানব মনীষা শিবত্বের পথ বেছে নিতে অধিকতর সুযোগ পেয়ে যায়৷ অনেকেই ৰলেন, ‘মানুষের বুদ্ধি কতটুকু যে মানুষ মানুষের বিচার করবে, মানুষের বিচার করবার কৌন অধিকার মানুষের নেই৷’ কথাটা আমি মোটেই অস্বীকার করছি না, তবু ৰলৰ আপেক্ষিক জগতে মানুষ যে পরিমাণ বৌদ্ধিক পুঁজি নিয়ে এসে

বিল্ব বা বেলের উপকারিতা

সংস্কৃত শব্দ ‘বিল্ব’ থেকে ৰাংলায় ‘ৰেল’ শব্দটি এসেছে৷ ‘ৰিল’ শব্দের অর্থ ছিদ্র, ‘বিল্ব’ মানে যে বস্তুতে ছিদ্র আছে অথবা যে বস্তু ছিদ্র তৈরী করে৷ ৰেলের পর্যায়বাচক শব্দ ‘শ্রীফল’ পশ্চিম বিহারে ও উত্তর ভারতে কোন কোন স্থানে প্রচলিত৷ ভারতে ও বহির্ভারতে ৰেলের নানা শ্রেণীবিভাগ দেখা যায়৷ পাতলা খোলা, কম ৰীজ, কম আঠা, স্বাদ ও গন্ধের বিচারে রংপুরী ৰেলই সর্বশ্রেষ্ঠ৷

ডহরি–ডহর

ৰাঙলায় তথা ভারতের অনেক জায়গায় ‘ডহরি’ বলে অনেক গ্রাম বা জায়গা আছে৷ পুরোনো ৰাংলায় ‘ডহর’ কথাটি রাস্তা বা পথ অর্থে ব্যবহূত হ’ত৷ ‘ডহর’ একটি অষ্ট্রিক শব্দ৷ রাস্তার পাশে বেথো শাক*(সংস্কৃতে ‘বাস্তক’ আলুর জমিতে শীতকালে অনেক সময় আপনা থেকেই বেথোশাক জন্মায়৷ বালি বালি চকচকে পাতাযুক্ত এই শাক একটি জনপ্রিয় খাদ্য৷ মহাপ্রভু চৈতন্যদেব নাকি এই শাক খেতে দারুণ ভালবাসতেন৷ শচীদেবী শান্তিপুরে মহাপ্রভুকে এই শাকের ব্যঞ্জন খাইয়েছিলেন৷) অর্থাৎ ডহরের পাশে বেথো শাক রয়েছে, তাই তার নাম ‘বেথুয়াডহরি’৷ আর রাস্তার পাশে বাম ডান দিকে ডোবায় মোষ চরছে, তাই তার নাম মহিষাডহরি’৷ তার থেকে ‘মোষডহরি’৷ আজকাল আমরা ‘ডহর’ শব্দের প্রয়োগ বড় এক

বাথান

ৰাঙলায় ‘বাথান’ নামেও অনেক জায়গা দেখতে পাওয়া যায়৷ ‘বাথান’ মানে যেখানে ব্যাপকভাবে গো–ধন (cattle) প্রতিপালিত হয়৷ কোন জায়গায় হয়তো অনেক গোরু বা অনেক মোষ প্রতিপালিত হ’ত৷ সেই সমস্ত স্থানের নাম হয়েছে গোরুবাথান, মহিষবাথান প্রভৃতি৷

কবরেজ মশায় ৰাঁচিয়ে দিলেন

সত্যিকারের ক্লান্তিচ্ছেদ করতে গেলে খুব সতর্ক হয়ে কথা ৰলতে হয়৷ মনে করো কোন একটি ছেলে পরীক্ষায় ফেল করেছে৷ কারও সঙ্গে কথা ৰলছে না৷ তিন মুণ্ডু এক করে ৰসে আছে (দু’হাটু আর মুণ্ডু তিনে নিয়ে তিন মুণ্ডু) খেতে চাইছে না, শুতে চাইছে না৷ ৰাড়ীর লোকের ভয় ছেলেটা হয়তো পুকুরে ডুবৰে .....হয়ত বা রেলে গলা দেৰে৷ গ্রামের ৰুড়ো কবরেজ মশায় খবর শুণে ছুটে এলেন৷ আহা!

চরমদণ্ড সমাধান নয়, মানবিক নয় অপরাধের উৎস খুঁজে আঘাত দিতে হবে

গত ২০শে জানুয়ারী বহু চর্চিত আর.জি.করের বর্বরচিত ঘটনায় অপরাধী সঞ্জয় রাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষনা করেন শিয়ালদহ কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস৷ ওই দিন শিয়ালদহ কোর্ট চত্তরে উপস্থিত অনেকেই অপরাধীর ফাঁসির আদেশ শুণতে চেয়েছিলো৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও চাইছিলেন অপরাধীর চরমদণ্ড হোক৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন--- ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা, ঘৃণ্যতম অপরাধ৷ এক্ষেত্রে একমাত্র মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত৷

কলকাতা সহ জেলায় জেলায় ‘আমরা বাঙালী’র নেতাজীর জন্মদিবস পালন

২৩শে জানুয়ারী ঃ বাঙালী বাহিনীর পক্ষ থেকে আজ কলকাতার হাজরা মোড় থেকে একটি সুশৃঙ্খল মিছিল কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী ও আশুতোষ মুখার্জী রোড দিয়ে মার্চ করে’ এলগিন রোডে নেতাজীর বাসভবনে গিয়ে নেতাজীর মূর্তিতে মাল্যদান করে’ মহান্ নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷ ইয়ূনিফর্ম পরিহিত বাঙালী বাহিনীর কয়েকশত যুবক ও বাঙালী নারী মুক্তি বাহিনীর এই মিছিল দেখতে রাস্তার দু’দিকে ভীড় জমে যায়৷ মিছিলটি হাজরা মোড় থেকে ভবানীপুর, জগুবাজার হয়ে সর্বশেষে নেতাজী বাসভবনে পৌঁছায়৷ সেখানে নেতাজীর মূর্ত্তিতে মাল্যদান করেন বাঙালী বাহিনীর কেন্দ্রীয় সচিব হিতাংশু বন্দোপাধ্যায়, আমরা বাঙালীর কেন্দ্রীয় সচিব জ্যোতিবিকাশ সিন্হা, সাংঘট

বহুতল বিপর্যয়---টেকনিক্যাল ভুল, কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নেই---মেয়র

বাঘা যতীনের পর এবার কামারহাটি,ট্যাংরা একের পর এক বহুতল হেলে পড়ছে৷ বাঘাযতীনের প্রমোটার ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে৷ তার মধ্যেই আরও বাড়ি হেলে পড়লো কামারহাটির পূর্ব ধুবিয়াবাসান এলাকায়৷ ঘটনাটি ঘটে গত ২১শে জানুয়ারী৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ জলাশয় ভরাট করে বাড়িটি তৈরী করা হচ্ছিল৷ কোনরকম মাটি পরীক্ষা না করেই৷ নির্মীয়মান পাঁচতলা ভবনের পাশেই আছে একটি সরকারী স্কুল৷ বাড়িটি হেলে পড়ায় স্কুলের ছাত্র অভিভাবকরা আতঙ্কের মধ্যে আছে৷