February 2025

প্রজাতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি

প্রাউটিষ্ট

১৯৪৭ সালের ১৫আগষ্ট ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে৷ যদিও এই স্বাধীনতাকে সার্বিক স্বাধীনতা বলা যায় না৷ বলা চলে এদিন আমরা রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করেছি৷ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আমরা পাই নি৷ ব্রিটিশ শাসকের হাত থেকে শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা ভারতীয়দের হাতে এলেও বহুজাতিক পুঁজিপতি গোষ্ঠীর অর্থনৈতিক নাগপাশ থেকে ভারতের জনগণ এখনও মুক্তি লাভ করে নি৷

পিপিলিকা

কৌশিক খাটুয়া

তিন জোড়া পা আর

 এক জোড়া ডানা,

সর্বাঙ্গ কাজে লাগিয়ে

 দানা পানি খানা৷

অপরের রক্ত পানে

 যত করি মানা,

 এতই অবাধ্য, কোনো

 কথাতো শোনেনা!

 

পিপীলিকার আছে জানি

 তিন জোড়া চরণ,

চায়না কখনো ডানা

 গজালেই মরণ!

তাই তারা দশ মাস

 কাজ করে যায়,

শীতকালে দুই মাস

 বসে বসে খায়৷

নব অভিযান

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

বিষাক্ত কন্টক-পথে পণ করে’ প্রাণ

শুরু হলো আমাদের নব অভিযান৷

মান নেই, খ্যাতি নেই, নেই সমর্থন---

আছে জ্বালা,

আছে ব্যঙ্গ---সহস্র বন্ধন৷

শুভ কাজে যত শুনি তিক্ত অপবাদ

অট্ট হেসে তত পাই

রোমাঞ্চের স্বাদ!

ড্রাগনেরা ঘিরে আছে প্রগতির পথ

সংগ্রামে প্রস্তুত আছি--- নিলাম শপথ

জীবন সংকটে কভু হটবো না পিছে,

পেয়েছি অভ্রান্ত পথ মৃত্যুভয় মিছে!

মাঝ পথে যদি নামে দুর্র্যেগের রাতি,

যদি ওঠে ক্ষুব্ধ ঝঞ্ঝা নাহি রয় সাথী

আমাদের অভিযান থামবে না তবু---

তিলে তিলে দেবো প্রাণ

দমবো না কভু৷৷

নেতাজী প্রণাম

জ্যোতিবিকাশ সিন্‌হা

নেতাজী, নেতাজী,

আজাদ হিন্দ্‌ বাহিনীর নেতাজী

নেতাজী, নেতাজী,

সকলের আদরের নেতাজী

বাঙলার মহান সন্তান তুমি,

ভারতের গৌরব বিশ্বনিখিলে সততঃ স্পন্দিত তোমার স্বদেশপ্রেমের সৌরভ

শতাব্দীর ধ্রুবতারা তুমি,

যুগপুরুষ মহাবিপ্লবী

ত্যাগ-মন্ত্র বলে ভারতবাসীর বুকে এঁকেছিলে দেশাত্মবোধের ছবি

আসমুদ্র হিমাচল হয়েছে উত্তাল

তোমারই অমোঘ আহ্বানে

লক্ষ লক্ষ বীর সৈনিক জেগেছে

 ‘জয় হিন্দ্‌’ গানে

বিদেশী শাসকের অমানুষিক

নিপীড়ন আর পৈশাচিক অট্টহাস

কলঙ্কিত করেছে পৃথিবী

ও সভ্য মানুষের ইতিহাস৷

ভাবোন্মাদমত্ত ভক্তিমদধারা

প্রাউটিষ্ট

মহাকুম্ভের মর্মান্তিক পরিণতি৷ অমৃতের সন্ধানে গিয়ে অকালে অনন্তের পথে যাত্রা৷ তথাকথিত ধর্মীয় উন্মাদনার পরিণতিতে কতকগুলো জীবন অসময়ে ঝরে গেল৷ অন্ধবিশ্বাস ও ভাবজড়তায় আচ্ছন্ন জীবনের শেষ পরিণতি কি এভাবেই হয়?

আমরা উচ্চকন্ঠে ডিজিটাল ভারতের কথা বলি৷ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষকে একাত্ম করে তুলতে কত আবেদন নিবেদন, কত বিজ্ঞাপনের বহর৷ পাশাপাশি অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারের বোঝা মানুষকে আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে তথাকথিত কিছু ধর্মীয় নেতাদের চাপিয়ে দেওয়া নির্দেশ মেনে৷ কিন্তু ধর্মের আড়ালে মনুষ্যত্বকে তুচ্ছ করে এই জ্ঞানহারা ভাবাবেশ ও বিহ্বলতার শেষ কোথায়?

মানবধর্মের আদর্শে উদ্ধুদ্ধ হোক মানুষ

প্রাউটিষ্ট

ধর্মীয় গোঁড়ামি, ভাবজড়তা, কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাসের পরিণতি কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তার মর্মন্তুুদ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকলো এবারের মহাকুম্ভমেলা৷ ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান করলেই কি পুন্য সঞ্চয় হয় অমৃত লাভ হয় পুরানের সার কথা ‘‘অষ্টাদশ পুরাণেষু ব্যাসস্য বচনদ্বয়ম্৷

           পরোপকারঃ পুণ্যায় পাপায় পরপীড়নম্৷৷’’

গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন–‘আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ৷’ এর থেকে যে কোন শিক্ষাই ধর্মের ধ্বজাধারীরা নেয়নি কুম্ভমেলায় কতকগুলো মানুষ জীবন দিয়ে তা দেখিয়ে গেল৷ এই প্রসঙ্গে আনন্দমার্গের চিন্তাধারা এখানে তুলে ধরা হল৷

অভয়ার মর্মান্তিক অকাল মৃত্যুর রায় আজীবন অপরাধীর কারাদণ্ড অনেকের কাছে আশানুরূপ নয় তাই উচ্চ আদালতের রায়ের জন্য ধৈর্য্য ধরতেই হবে

প্রভাত খাঁ

আমরা প্রবীন নাগরিকগণভাবে ভারতযুক্তরাষ্ট্রের দলতান্ত্রিক সরকারগুলির দলীয় শাসন চলছে তাতে বৃহত্তম সংখ্যক নিম্ন মধ্যবিত্ত, দরিদ্র নাগরিকদের জীবন পরিবার এর পুত্র কন্যাদের নিয়ে বাস করতে হচ্ছে সেটা চরম জীবনমরণ সমস্যা ও নিরাপত্তাহীনতার ও চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে তা কহতব্য নয়৷ দেখা যাচ্ছে সেই যে দলের সরকার তারা ও মুষ্টিমেয় উচ্চ মধ্যবিত্ত ও ধনীরাই শুখে আছেন৷ সাধারণের পাশে কেউই নেই৷ চরম দুর্নীতি চারিদিকে কেবল শাসকগণ নানাধরণের আশার কথাই শুনিয়ে যাচ্ছেন! বাস্তবে কোন সুরাহা নেই! চরম দুঃখের কথা এদেশে মাতৃজাতির তো নিরাপত্তা নেই!

নোতুন পৃথিবী

সাক্ষীগোপাল দেব

বজ্রমুঠি গৈরিক বেশ

হাতে নিশান স্বস্তিক,

আসছে ওরা অযুত নিযুত

নাস্তিক নয় আস্তিক,

সুদর্শনে কাটছে ওরা

ধনতন্ত্র, জড়বাদ,

পাপীর ষড়যন্ত্র ওরা

করছে হেলায় বরবাদ!

আনল প্রাউট মুক্তি আলো

ব্যথীর বুকে আশ্বাস

ধার্মিকেরা নেবে আবার

দু’-বুক ভরে নিশ্বাস৷

হাসবে আবার গাছ গাছালি

হাসবে যত নিঃস্ব,

হাসবে আবার নোতুন করে

তোমার আমার বিশ্ব৷

সেকালের সরস্বতী পুজো

প্রণবকান্তি দাশগুপ্ত

সরস্বতীর মূর্ত্তি পুজো বেশিদিনের ঘটনা নয়৷ এমনিতেই অন্যান্য দেবদেবীর তুলনায় সরস্বতীর রূপকল্পনা হয়েছে অনেক পরে৷ ষষ্ঠ কিংবা সপ্তম শতাব্দী থেকে তার শুরু৷ এ প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি বলেছেন---এই যে সর্বশুল্কা সরস্বতী পৌরাণিক দেবী, এঁর পুজোও কিন্তু ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল না৷ এমনকি পাঠান যুগেও ছিল না, এমনকি মোগলযুগেও ছিল না৷’’ (নমঃ শিবায় শান্তায়)৷

অন্ধবিশ্বাস ভাবজড়তা---ধর্মীয় আবেগ---প্রশাসনিক অব্যবস্থা অমৃতের সন্ধানে গিয়ে পদপিষ্ট বহু মানুষ

২৮শে জানুয়ারী মধ্যরাত পার হয়ে গেছে৷ ইংরেজী ক্যালেণ্ডারে ২৯শে জানুয়ারী রাত্রি ১২টা ৩০ মিনিট৷ মাইকে প্রচার শুরু হলো---যে ঘুমোয় সে হেরে যায়৷ অমৃত পেতে হলে শুয়ে না থেকে স্নান করে নিন৷