বিশ্বে প্রতি বছর ৮ লক্ষ আত্মহত্যা

লেখক
পি.এন.এ :

  ১০ই সেপ্ঢেম্বর ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’৷  বিশ্বের ক্রমবর্ধমান আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করার জন্যে  বিশ্বের কয়েকটি দেশ ২০০৩ সাল থেকে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছিল এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরীর জন্যে বিশেষ করে একটা দিন নির্দিষ্ট করতে, যেমন করে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দিবস পালিত হয়৷ ২০১১ সালে ৪০ টি দেশ একমত  হয়ে প্রতিবছর  ১০ই সেপ্ঢেম্বর তারিখটিকে ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন  করে আসছে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউ.এইচ.ও) সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, সমগ্র পৃথিবীতে গড়ে প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করে প্রাণ বিসর্জন করছে৷ তারমধ্যে ১,৩৫,০০০ ভারতে (১৭ শতাংশ)৷

ভারতে গত ১৮৮৭ থেকে ২০০৭ সাল ---এই সময়সীমার মধ্যে সমীক্ষায় দেখা গেছে প্রতি বছর আত্মহত্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এই বৃদ্ধির হার গড়ে ৭.৯ থেকে ১০.৩ শতাংশ৷ ভারতের দক্ষিণে ও পূর্বের রাজ্যগুলিতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি৷

এও জানা গেছে, আত্মহত্যার যতগুলি কারণ আছে, তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যা হচ্ছে মানসিক অবসাদ (ডিপ্রেসন)-এর কারণে৷

ডব্লিউ.এইচ.ও. বলছে, এখন ভারতে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ মানসিক অবসাদে  ভুগছে৷ তামিলনাড়ুতে ২৫.৫ শতাংশ মানুষ, মহারাষ্ট্রে ১১.৯ শতাংশ মানুষ আর পশ্চিমবাঙলায় ১১ শতাংশ মানুষ মানসিক অবসাদের শিকার৷ এও বলা হচ্ছে পুরুষ ও মহিলার আত্মাহুতির হার ২:১৷

উইকিপেডিয়ার রিপোর্ট, এদেশে গড়ে প্রতি ঘন্টায়  ১ জন ছাত্র  আত্মহত্যা করে৷ বিশেষ করে পরীক্ষার চাপ থেকেই এই মানসিক অবসাদ৷

ডব্লিউ, এইচ, ও-রিপোর্ট, প্রতি বছর প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে ১৬ জন আত্মহত্যা করছে ও প্রতি ৪০ সেকেন্ডে ১জন করে আত্মহত্যা করছে৷

তাঁরা আরও বলেছেন, যেভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে তাতে অনুমান  করা হচ্ছে, ২০২০ সালে প্রতি ২০ সেকেন্ডে ১ জন করে আত্মহত্যা করবে৷

আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় জানা যাচ্ছে,  গত ৪৫ বছরে আত্মহত্যার হার বেড়েছে ৬০ শতাংশ৷  আর এদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষের আত্মহত্যার কারণ মানসিক অবসাদ৷

সবচেয়ে বেশী আত্মহত্যার হার পূর্ব ইয়ূরোপের দেশগুলিতে আর  মোট আত্মহত্যার ৩০ শতাংশ ঘটে ভারত ও চীনে৷

মোট আত্মহত্যার ৫৫ শতাংশ হয় ১৫-৪৪ বছর বয়স্ক মানুষদের মধ্যে (পুরুষ বা মহিলা), আর ৪৫ শতাংশ আত্মহত্যা হয়  ৪৫ বছর বা তার বেশী বছর বয়স্ক মানুষের মধ্যে৷ তরুণ-যুবাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷