এদেশে গণতন্ত্রের নামে প্রথমে যে কটি রাজনৈতিক ব্যবসাদারদের দলীয় সংঘটন ছিল সেগুলি ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিরাট বহুভাষা ভাষীর দেশে কি কেন্দ্রে আর কি রাজ্যগুলিতে তাদের দীর্ঘ ৭৫ বছরে যে জনসেবা সেটা কিন্তু কোথাওই জনগণকে মোটামুটি সুখে ও শান্তিতে থাকতে দেয়নি৷ অধিকাংশ রাজ্যেই সেই শাসক দলগুলি মিথ্যা ছলে-বলে-কৌশলে এমন শাসন করে গেছে যাতে মানুষ দলগুলির উপর বিরক্ত ও অসন্তুষ্ট হয়েই তাদের ত্যাগ করেছে৷ তারই কারণে সেই জাতীয় দলগুলি আজ নিশ্চিহ্ণ হয়ে নানা ধরণের আঞ্চলিক দল হয়ে এদেশের গণতন্ত্র টাকে পৃথিবীতে এক পরিহাসের পাত্র করে ছেড়েছে৷
সবচেয়ে অশান্তি চলে উত্তর ভারতে আর দক্ষিণ ভারতে দেখা গেছে দলছুটরা শাসন চালিয়েছে সেটা এক রকম৷ হিন্দীভাষাকে নিয়ে উত্তরের হিন্দী বলয় যেভাবে মাতামাতি করে চলে তাতে সচেতন হয়ে ছোট দলগুলি নিজেদের অস্তিত্বকে রক্ষা করে চলে৷ উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মধ্যে একটা মানসিক ঠাণ্ডা লড়াই চলতে থাকে৷
বর্তমানে কেন্দ্রে এমন এক সংকীর্ণবাদী শাসকের আবির্ভাব ঘটেছে তারা ছলবল কৌশলে আজ চরিত্রকেই মহান সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রকেই নস্যাৎ করে দিচ্ছে এক ভারত সবদিক থেকে অধঃগামী আর্থিক ও সামাজিক দৃষ্টিতে ছোট ছোট প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির চেয়েও অনুন্নত অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে! এই সরকারের একটাই লক্ষ্য তা হলো আমেরিকার মতো ভারতকে নোতুন ভারত গড়তে হবে ডিজিটাল বিপ্লব করে৷ এই কেন্দ্র সরকারের কিন্তু স্মরণে নেই যে ভারত কোনদিনই জড় সম্পন্ন ভোগবাদী রাষ্ট্র নয়৷ এটি আধ্যাত্মিকতার মহান কর্মভূমি৷ এখানে রাজপুত্ররা, মহান দেশ নায়কগণ অধ্যাত্মবাদকে জীবনের ধ্রুবতারা হিসাবে গ্রহণ করে সংসার ত্যাগ করে গেছেন৷ যদিও এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে শক, হুন দল পাঠান মোগল এক দেহে লীন হয়েছে৷ এখানকার মহান শাসকগণ ছিলেন পবিত্র মানবতাবাদী আধ্যাত্মিক পুরুষ৷ এরা সব এই মাটির গুরুত্ব না বুঝে ভোগবাদী শাসক হিসাবে ও ধনীর সেবাদাসে হয়ে নররূপী নারায়ণ কোটি কোটি জনসাধারণকে শোষণ করে তাদের রক্তশূন্য করে তাদের উপর করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে, ধনতন্ত্রের লক্ষ্যই হলো শোষণের উপর সমৃদ্ধি৷ তাই সিংহভাগ অসহায় গরীবকে শেষ করে বিরাট ভারতে ভোগবাদী একদল ধনীর রাজ্য গড়ে তোলা৷ এটা যে কতো বড়ো অমানবিক কাজটা সেটা শোষকদের মনে যেন দাগই কাটে না! যদিও নিজেরা প্রচার করে তারা নাকি গরীব ঘরের সন্তান! সবই অস্বীকার করে চুলোর দোরে পাঠিয়ে সরকার মিথ্যা প্রচারেও বাগাড়ম্বরে ব্যস্ত! ধনীদের ঋনমকুব করে তাদের ঋণ দেবার ব্যবস্থা হচ্ছে আর আর গরীব অসহায়দের সুদ কমে যাচ্ছে৷ চরম দ্রব্যমূলবৃদ্ধিতে টাকার মান কমে যাওয়াতে আর বিমুদ্রাকরণ করতে গিয়ে গরীবদের একেবারে পথে বসিয়ে দিয়ে দেশটাকে ধবংস করে ছাড়ছে৷ তাই ভারতকে নোতুন ভারত গড়তে মহান অন্তর আত্মার কথা স্মরণ করে ব্লকে ব্লকে গ্রামেগঞ্জে ছোট ছোট সমবায় পদ্ধতিকে কৃষিভিত্তিক ও কৃষিসহায়ক ও অন্যান্য ভোগ্য পণ্য গড়ার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করে শিল্পকে হতদরিদ্রদের আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তুলতে হবে৷ ভারতকে বিশ্বৈকতাবোধ উদ্বুদ্ধ করে এক সার্থক সমাজবাদী মহান রাষ্ট্র গড়ে তাকে জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসনে বসার কাজ করা হোক৷
- Log in to post comments