প্রবন্ধ

‘‘গুরুকৃপা, মোক্ষপ্রাপ্তি ও মাইক্রোবাইটাম’’

শ্রী সমরেন্দ্রনাথ ভৌমিক

কোন মানুষ যদি তার মনকে সূচাগ্র করতে চায়  তবে ওই মানুষটিকে  গুরুচক্রে মনকে রেখে ইষ্টের  ধ্যান করতে হবে৷ কিন্তু প্রশ্ণ  হ’ল গুরুচক্র কোথায় অবস্থিত  ও গুরুচক্রে মন রাখতে হবে কেন? আসলে গুরুচক্র সহস্রার চক্রের ঠিক নীচে  অবস্থিত৷ এখন, গুরুচক্র হ’ল মানব মহিমার  সর্বোচ্চ চক্র বা বিন্দু৷ মানব দেহে পরমপুরুষের  এটাই হ’ল অবস্থান  কেন্দ্র৷ তাই এই সর্বোচ্চ বিন্দুতে  মানুষ মন রেখে  ধ্যান করবে৷ মানুষ তার মনের সমস্ত শক্তিকে এই বিন্দুতে  যদি সংহত করতে  পারে তবেই  মানুষ একাগ্রতা লাভ করে ও সর্বজ্ঞ হ’য়ে উঠবে৷

মনের একাগ্রতা ও মনের ওপর নিয়ন্ত্রণ

অবধূতিকা আনন্দরসধারা আচার্যা

কথায় বলে যে যন্ত্র যত বেশী সূক্ষ্ম তার শক্তিও ততোধিক৷ মন শরীর থেকে অনেক অনেক বেশী সূক্ষ্ম, তাই তা অধিকতর শক্তিসম্পন্ন৷ সেই জন্যেই প্রত্যেকটি কাজ শরীর থেকেই শুরু করতে হয়৷

প্রাউট চায় সর্বসাধারণের কল্যাণ

সত্যসন্ধ দেব

প্রাউটের মূল পঞ্চনীতির প্রথম নীতি হ’ল ঃ সমাজের তথা সমবায়িক সংস্থার সুস্পষ্ট অনুমোদন ছাড়া কাউকে কোন প্রকার জাগতিক সম্পদ সঞ্চয় করতে দেওয়া হবে না৷ স্পষ্টতঃই এই নীতি আজকের পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অভিশাপ থেকে সমাজকে বাঁচাতে চায়৷ জগতের স্থূল সম্পদ (এক্ষেত্রে মানসিক ও আধ্যাত্মিক সম্পদের কথা বলা হচ্ছে না) সীমিত বলেই, কেউ যদি অতিরিক্ত সম্পদ সঞ্চয় করে রাখে, তাহলে অন্যত্র অভাব দেখা দেবেই৷ তাই অবাধ সঞ্চয় নীতিতে প্রাউট বিশ্বাসী নয়৷ মানুষ সঞ্চয় করে চারটি কারণে (১) দৈনন্দিন ব্যষ্টিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে৷ (২) বিশেষ বিশেষ পারিবারিক তথা সামাজিক দায়–দায়িত্বের জন্যে৷ ৩) অনন্ত সুখের এষণা, (৪) মানসিক ব্যাধি৷ প্রথম

বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করে চলেছে

প্রভাত খাঁ

ভারতে যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চালু আছে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হ’ল এখানে গত ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতবর্ষকে কয়েক টুকরো করে ভাগ করে পাকিস্তান ও হিন্দুস্থান তৈরী করা হ’ল৷ দেশের আপামর জনগণ এ ব্যাপারে কিছুই জানতো না৷ এর ফলে মুসলমান সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে লক্ষ লক্ষ অসহায় হিন্দু নরনারী, শিশুদের নিজ নিজ জন্মভূমি থেকে বিতাড়িত করে এক ভয়ঙ্কর উদ্বাস্তু সমস্যা সৃষ্টি করে ও হিন্দুস্তানে অর্থাৎ ভারতে বিতাড়িত করে ভারত যুক্তরাষ্ট্র এক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করে অদ্যাবধি তার খেসারত ভারত দিয়ে চলেছে৷ ভারতের পুর্ব-পশ্চিমে দুটি ডানা আজ বিচ্ছিন্ন৷ আজও ভারত

নোতুন সকালের প্রতীক্ষায়......

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

২০১৪ সনের পর ২০১৯---ভারতীয় গণতন্ত্রের এক সুদীর্ঘ নির্বাচন পর্বের অবসানে গত ২৩ মে প্রকাশিত ফলাফলের নিরিখে এন.ডি.এ-র নেতা হিসেবে শ্রীযুক্ত নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় বার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাসহ জয়লাভ করলেন ও প্রধানমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেছেন৷ গত দুই মাসাধিক কাল ধরে যে নির্বাচনী প্রচারে বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীগণ যুক্ত ছিলেন, তাঁদের বক্তব্য-বত্তৃণতায় গুটিকতক খয়রাতিমূলক অনুদান বিতরণের প্রতিশ্রুতি ছাড়া প্রকৃত উন্নয়নমুখী কর্মসূচীর বিশেষ উল্লেখ ছিল না৷ দলীয় ইস্তাহারগুলিতেও ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ গোছের গড়পরতা ঘোষণা ব্যতীত বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি৷ এত বড় একটা দেশের শাসনভার যারা পেতে চাইছেন তারা গত পাঁচ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রসঙ্গে ভিন্ন চিন্তা

আচার্য মন্ত্রসিদ্ধানন্দ অবধূত

বিশ্ব পরিবেশ দিবস---কাজটা অবশ্যই মহৎ৷ কিন্তু উদ্দেশ্য কতটা মহৎ সেটাও ভেবে দেখার বিষয়৷ এত দিবস পালনের হুড়োহুড়ি---পরিবেশ দিবস, মাতৃদিবস, পিতৃদিবস......দিবসের ছড়াছড়ি৷ সত্যি বলতে কী নানা দিবস পালনের উদ্দেশ্য ও মাহাত্ম্য বোঝাতে যে সব যুক্তির অবতারণা করা হয় তাকে অস্বীকার করার উপায় নেই৷ পৃথিবীর পরিবেশ দিন দিন মনুষ্যবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে৷ একথা কে অস্বীকার করবে? তাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মানুষকে পরিবেশ সম্পর্কে সতেচন করতে, যে কর্মযজ্ঞ সেটা কয়েকটা গাছ লাগিয়েই কি শেষ হয়?

সুস্থ শরীর সুস্থমন নেশামুক্ত আদর্শ জীবন

আচার্য শান্তশিবানন্দ অবধূত

বর্তমান যুগটা হ’ল হাইটেক যুগ এই হাইটেক যুগেও আমাদের সমাজ সংসার আজ হাজারো সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। ব্যষ্টি তথা সমষ্টি জীবন সর্বত্রই চলছে চরম অরাজকতা–চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। এক ভয়ঙ্কর জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই আমরা এগিয়ে চলছি ধীরে ধীরে হয়তো ধংসেরই দিকে....

রক্ত  মাখা পায়ে

সুকুমার সরকার

২০১৪ খ্রিষ্টাব্দ ষোড়শ লোকসভা ভোটের আগে নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি মঠ-মন্দিরে প্রণাম করে ভোটার লড়াইয়ে নেমেছিলেন৷ জয়ী হয়ে সংসদের সিঁড়িতে মাথা ঠুকে সংসদে  প্রবেশ করেছিলেন পাঁচ বছরের জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতির বোঝা মাথায় নিয়ে৷ সেই প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ নরেন্দ্র  দামোদর দাস  মোদি  দেখলেন চারিদিকে বিদ্রোহের আগুন জ্বলে উঠেছে!

শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ও আনন্দমার্গ

সত্যসন্ধ দেব

আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা ধর্মগুরু শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী পিতৃপ্রদত্ত নাম শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকার৷ পিতার নাম শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ সরকার ও মাতার নাম শ্রীমতী আভারাণী সরকার৷ ১৯২১ সালের বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে সকাল ৬টা ৭মিনিটে বিহারের মুঙ্গের জেলার অন্তর্গত জামালপুর শহরে শ্রীপ্রভাতরঞ্জন জন্মগ্রহণ করেন৷ অবশ্য তাঁর পৈত্রিক বাসভূমি ছিল বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে৷ বর্ধমান শহর থেকে মাইল সাতেক দক্ষিণ–পূর্বে ও বর্ধমান–হাওড়া রেলপথের শক্তিগড় রেলষ্টেশনের মাইল তিনেক পশ্চিমে এই বামুনপাড়া গ্রাম৷ শ্রীপ্রভাতরঞ্জনের পিতৃদেব শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ সরকার জামালপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে অ্যাকাউণ্ঢ্যান্ট হিসেবে চাকুরিতে যোগদান

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন ঃ একটি সমীক্ষা

প্রভাত খাঁ

ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হয়েছে ১৯শে মে আর গণনা হয় ২৩শে মে৷ ২৪শে মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়৷ এই ফলাফলে এন.ডি.এ জোট পেয়েছে ৩৫৩টি আসন৷ ৩০৩টি আসন পেয়ে বিজেপি দল এককভাবে সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে ভারতের শাসন ক্ষমতার  অধিকার লাভ করেছে৷ অপরদিকে ইউ.পি.এ. ৯২টি আসন পেয়েছে৷ কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ৫২টি আসন, বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে গেলে এক দশমাংশ অর্থাৎ ৫৪টি আসনের প্রয়োজন ছিল৷ সেটা হয়নি৷  তাই কংগ্রেস আপন শক্তিবলে বিরোধী দলের মর্যাদা পাচ্ছে না ও অন্যান্য দলের মোট আসন ৯৭ টি৷