ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি নয়, নব ইতিহাস তৈরীর চৌকাঠে দাঁড়িয়ে বাঙালী
৪৬-এর দাঙ্গা, আজও দগদগে ঘা বাঙালীর বুকে৷ মাতৃভূমির বুকচিরে স্বাধীনতা---তাতেও কি পেল বাঙালী?
৪৬-এর দাঙ্গা, আজও দগদগে ঘা বাঙালীর বুকে৷ মাতৃভূমির বুকচিরে স্বাধীনতা---তাতেও কি পেল বাঙালী?
আজ সমস্যাসংকূল পৃথিবীর বুকে সকল সমস্যা সমাধানের যে পথটি অনুসরণ করা ও তাকে স্মরণ করে চলার বিশেষ প্রয়োজন হয়েছে, তা হ’ল মহাসম্ভূতি শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী সর্বানুসূ্যত দর্শনের পথ৷ তিনি বলেছেন, ‘সংগচ্ছধবং’ মন্ত্র নিয়ে এক সঙ্গে চলাই হ’ল ধর্ম৷ এক সঙ্গে চলতে হলে সংঘবদ্ধভাবে চলতে হবে৷ মানুষ কুসংস্কার, অজ্ঞানতাবশতঃ, ধর্মান্ধতা জাত-পাতের ভিত্তিতে টুকরো টুকরো হয়ে বিরোধ করছে৷ সেই সব বন্ধ করে এক হয়ে কৃষ্টি, ভাষা, সংস্কৃতির ঐক্যসূত্রে একত্রিত হয়ে সকল প্রকার শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে৷ প্রথমেই মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই মানুষ৷ আপেক্ষিক জগতে বৈচিত্র্যের মধ্যে যে ঐক্য বিদ্যমান সেটা হ’ল মানবিক মূল্যবোধ৷
বাঙালীর ইতিহাসে যে সকল প্রাতঃস্মরণীয় মনীষী তাঁদের জ্ঞান, কর্ম, তেজস্বিতা,ত্যাগ, সাধনা ও বৈদগ্দের দ্বারা মানুষের মনের অন্ধকার দূর করে চেতনাকে আলোকদীপ্ত করেছেন তাদের মধ্যে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অন্যতম৷ তাঁর বর্ণপরিচয় আজও বাঙালীর প্রথম পাঠ্যপুস্তক৷ সাধারণ মানুষের শিক্ষা, বিশেষতঃ নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান ভারতবর্ষের শিক্ষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃত৷ তৎকালীন হিন্দু সমাজের কৌলীন্যপ্রথার দাপটে বিধবা নারীদের জীবনে যে দুর্বিসহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল তার থেকে পরিত্রাণের জন্যে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় ‘‘বিধবা বিবাহ আইন’’ প্রবর্তন এ
পৃথিবীতে মানুষ এসেছে দশ লক্ষ বছর হয়ে গেল৷ তার সভ্যতার বয়সও পনেরো হাজার বছর পার হয়ে গেল৷ জড়বিজ্ঞানও আজ উন্নতির চরম শিখরে৷ পর্বতকন্দর, অন্ধকারময় অরণ্যের পর্ণকুটির ছেড়ে মানুষ আজ আলো ঝলমল শহরের সুরম্য অট্টালিকার বাসিন্দা৷ তবুও আজও একটা সুসন্নিবদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠল না৷ বলা উচিত মানুষ গড়ে তুলতে পারল না৷ এটা আজকের মানুষের বুদ্ধি ও বোধির পক্ষে খুব একটা গৌরবের নয়৷
মহর্ষি কপিল থেকে মনীষী কার্লমার্কস পৃথিবীতে অনেক দার্শনিক এসেছেন অনেক, দর্শনও দিয়েছেন, জীবন ও জগৎ নিয়ে মনীষাদীপ্ত চিন্তাভাবনার ছাপও আছে তাঁদের দর্শনে৷ তবু আদর্শ সমাজ গঠনের বলিষ্ঠ পথনির্দেশনা তাঁদের দর্শনে পাওয়া যায়নি৷
মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সবুজ প্রাকৃতিক পরিবেশ অত্যন্ত উপকারী৷ দিনে পাঁচ মিনিটের জন্যে হলেও সবুজ ঘাসে আচ্ছাদিত মাঠে বা পার্কে যান ও হাল্কা শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার মনকে সতেজ করে তুলুন৷ সবল করে তুলুন মানসিক স্বাস্থ্যকে৷ সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষা থেকে এ তথ্য জানা গেছে৷ সবুজ ঘাসের ওপর পাঁচ মিনিট হাঁটা বা শরীরচর্চা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বিধানে সহায়তা করে৷ সেইসঙ্গে বাড়িয়ে তোলে ব্যষ্টি আত্মমর্যাদাবোধও৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে নীতিনির্ধারকদের উচিত হবে, পার্ক বা ময়দানে বেশী সময় কাটানোর জন্যে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা৷ আলেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেছেন যে, প্রতিদিন নিয়ম করে একটু হাঁটা, বাগান করা,
পূর্ব প্রকাশিতের পর
সাংবাদিক ও সম্পাদকদের ধিক্কারও ওদের হিসেবে গোলমাল করে দিয়েছিল---
‘‘পাশেই থানা৷ তারা গুজবের কথা জানত, অথচ তারা প্রস্তুত ছিল না৷ নির্বিকার ছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীই পুলিশ মন্ত্রী৷ যেমন তিনি বিদ্যুৎমন্ত্রীও৷ আর কতদিক দিয়ে আমাদের জীবনে অন্ধকার নামাবেন, মুখ্যমন্ত্রী মশাই ’’? (সম্পাদকীয় আজকাল)৷
‘‘যাঁর নামে বিজন সেতুর নাম তিনি না ছিলেন বিপ্লবী, না ছিলেন মন্ত্রী, তবু মানুষের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন৷ আপনাদের নিস্ক্রিয়তায় সেই সেতু আজ কলঙ্কিত৷ ধিক্ ধিক্ ধিক্৷’’ (সম্পাদকীয় আজকাল)৷
এ বিশ্বের সামূহিক সুখই আমার সুখ, সামূহিক দৈন্যই আমার দৈন্য সামূহিক হাসিই আমার সরসতা, সামূহিক ব্যপ্তিই আমার বিশালতা, সামূহিক প্রীতিই আমার আত্মীয়তা, সামূহিক কল্যাণই আমার জীবনব্রত৷ এ বিশ্বের শ্রমজীবী মজুর, কর্ষক, দুঃসাহসী তেজস্বী ক্ষত্রিয়,উন্নতধী বুদ্ধিজীবী বিপ্র, বিষয়জীবী বৈশ্য, সবার শরীরেই বইছে একই রক্তধারা, সবার অন্তরেই একই মর্মবেদনা, অতৃপ্তির বেদনায় সবাই ভারাক্রান্ত, অপার ভালোবাসার স্নেহ মাধুর্যের পরশ সকলেরই কাম্য৷
যাঁরা দেশ-দশের কথা ভাবেন, যাঁরা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি কোনদিকে যাচ্ছে তাঁরা আজ তা ভাবতে বসেছেন৷ কারণ ,১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাষ্ট দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়ে রাজনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করল, ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারী স্বাধীন ভারতের সংবিধান গৃহীত হলো আর ১৯৪৯ সালে ১৫ই অক্টোবর ব্রিটিশের করদ রাজ্য ত্রিপুরা পূর্ব সিদ্ধান্ত মোতবেক ভারতে যোগ দিল--- কিন্তু আজও ভারতে সঠিক গণতন্ত্র স্থাপিত হয়েছে কি?
শাসন-শোষণের ক্ষেত্রে বিদেশি পুঁজিবাদ যা দেশীয় পুঁজিবাদও তা৷ স্বাধীনতা পূর্ব ভারতবর্ষ ছিল বিদেশি পুঁজিবাদীদের অধীন আর স্বাধীনতা উত্তর ভারতবর্ষ দেশীয় পুঁজিবাদীদের খপ্পরে৷ দুইয়েরই ক্ষতিকারক প্রভাব সমান৷ ব্রিটিশ শাসকেরাও অর্থ শোষণ করে বিদেশে নিয়ে যেত দেশীয় শোষকরাও দেশীয় শাসকদের সহায়তায় অর্থশোষণ করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছে৷ তা হলে তফাৎ কোথায়?