প্রবন্ধ

অনিদ্রা থেকে বাঁচবার উপায়

ডাক্তারবাবু

 

মানসিক টেনশন থেকে অনিদ্রা রোগ জন্মায়৷ ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ ধ্যান করুন৷ উপকার পাবে.

  • ব্রাহ্মী শাক ১০ গ্রাম ২ কাপ জলে সিদ্ধ করে ১ কাপ হ’লে নামিয়ে ছেঁকে নিয়মিত খেলে অনিদ্রা রোগ সেরে যাবে৷
  • শুষণি শাক ২৫ গ্রাম ৪ কাপ জলে সিদ্ধ করে ২ কাপ হ’লে ওই জল ছেঁকে ১ কাপ দুধ দিয়ে নিয়মিত সন্ধ্যেবেলা খাওয়া উচিত৷ এটি অনিদ্রা রোগে বিশেষ ফলপ্রদ৷
  • ঘুম কম হ’লে ভাত খাবার পর ১ গ্লাস দুধ খেলে ভাল ঘুম হয়৷
  • মাথায় ভাল করে নারকেল তেল মেখে ঠাণ্ডা জলে স্নান করা উচিত৷

অমানবিকতার নিদর্শন ও অধিকার আদায়ের লড়াই

বীরেশ্বর মাইতি

সর্বভারতীয় একটি সমীক্ষায় প্রকাশিত --- ৪৫ বছরের মধ্যে দেশে বেকারত্বের সংখ্যা সর্বাধিক৷ আগুনের মতো হু হু করে বাড়ছে দেশে বেকার উচ্চশিক্ষিত মানুষের সংখ্যা৷ কেন্দ্র রাজ্য কোন সরকারই বেকারত্ব সমাধানের জন্য এগিয়ে আসছে না৷ আমাদের রাজ্যে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বেকার সমস্যা সমাধানের জন্যে কখনো কখনো কিছু কিছু সমাধান বাতলে দেন৷ যেমন ধরুন চপ শিল্প বা তেলে ভাজা শিল্প৷ আমরা এমন একটা দেশে বাস করি যেখানে বেকার যুবকদের চাকরি দাবীতে আন্দোলন করতে হয়৷ যে আন্দোলন পুলিশের লাঠির আঘাতে শেষ হয়ে যায়, শুরু হয় অবদমন৷ যে দেশ চাকরীর নিয়োগ এর পরীক্ষায় সীমাহীন দুর্নীতি স্বজন পোষণ বেআইনি অর্থ আদান-প্রদান এসব অনায়াসে ঘটতে পারে৷

লোকপাল নিয়োগে প্রশাসন প্রকৃতই দুর্নীতিমুক্ত হবে কি?

অরুণাভ সরকার

আন্না হাজারের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল হিসেবে ভারতের লোকপাল নিয়োগ হ’ল৷ ভারতের প্রথম লোকপাল চেয়ারম্যান হলেন সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বাঙালী বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ৷

লোকপাল আইনে কী আছে? লোকপাল নিয়োগে কি সত্যই কেন্দ্রীয় প্রশাসন দুর্নীতিমুক্ত হবে? প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সমস্ত মন্ত্রী ও আমলাদের পুরোপুরি দুর্নীতি বন্ধ হবে?

রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষমতা দখলের ন্যক্কারজনক লড়াই

প্রভাত খাঁ

দীর্ঘ ৭১ বছর হলো আমরা নাকি স্বাধীন হয়েছি৷ ছেলেবেলায় কবিতায় পড়েছি ‘‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা!’’ সত্যই কি আমাদের দেশে দরিদ্র জনসাধারণ বর্তমানে সবাই দুবেলা দু’মুঠো অন্ন পায়? সমীক্ষায় বলা হয় আজও এদেশে জনগণের জীবন জীবিকার মান অন্য দেশের চেয়ে অনেক নীচে পড়ে আছে! কিন্তু বেশ কিছু ধনী ও রাজনীতির ব্যবসাদারগণ অর্থাৎ দলীয় রাজনীতিকে যারা একধরণের কারবার হিসাবে গ্রহণ করেছে তারা এ দল সে দল করে, দল ভাঙ্গাভাঙ্গি করে নিজেদের ব্যষ্টিজীবনে ও দলীয় ভাবে ক্যাডাররা আখের গুছিয়ে নিচ্ছে৷ হতভাগ্য সাধারণ মানুষ যে তিমিরে সেই তিমিরে পড়ে আছে !

দাদাঠাকুরের চিঠি

আমার প্রিয় ছোট্ট ভাই বোনেরা,

আমি তোমাদের কিছু বলতে চাই৷ আমি চাই, তোমরা ‘মানুষ’ হও–মানুষের মত মানুষ হও৷ কবি বলেছেন, ‘‘গিয়েছে দেশ দুঃখ নাই, আবার তোরা মানুষ হ’’৷ যদি সত্যিকারের মানুষ হতে পার, তাহলে তোমাদের জীবন যেমন সার্থক হবে, তেমনি সমাজও নবজীবন লাভ করবে৷ তোমরা আদর্শ–মানুষ হলে আদর্শ সমাজ গড়ে উঠবে৷

আদর্শ মানুষ হতে হলে সততা, নৈতিকতা, সংযম, শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা প্রভৃতি সদ্গুণগুলো অর্জন করতে হবে৷ বিভিন্ন মহাপুরুষের জীবনী জানতে হবে, তাঁদের জীবন ও বাণী থেকে আমাদের শিক্ষা লাভ করতে হবে৷

শোষণ–মুক্তির দিশারী–প্রাউট

সৌমিত্র পাল

ইতিহাস বলে যে, আজ থেকে দশ লক্ষ বছর পূর্বে মানুষ পৃথিবীতে এসেছিল৷ সেটা ছিল আদিম বন্য অবস্থা৷ পশুর মতোই সে জীবন–যাপন করত৷ ক্রমে ক্রমে মানব সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে৷ আজ জ্ঞান–বিজ্ঞান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিস্ময়কর উন্নতি হয়েছে গোটা বিশ্বকে মানুষ ঘরে বসে দেখতে পাচ্ছে৷ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এক মুহূর্তে সে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করছে৷ বস্তুজগতের বিস্ময়কর সমৃদ্ধি ঘটালেও ব্যর্থ হয়েছে সে তার অন্তর্জগৎ (মনোজগৎ)–কে সমৃদ্ধ করতে৷ শান্তির পিয়াসী মানব মন বস্তুজগতের ভোগ সাধনায় মত্ত হয়ে মনোজগতে চির কাঙাল–ই থেকে গেছে৷ আর মনের নানান স্থূল বাসনাকে চরিতার্থ করতে দলগত, জাতিগত, সম্প্রদায়গত প্রভৃ

প্রাউটের নব্যমানবতাবাদই বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ও শোষণ থেকে মুক্তির পথ

প্রভাত খাঁ

বিংশ ও একবিংশ শতাব্দী পৃথিবীর ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয়৷ ধবংস ও সৃষ্টি আপেক্ষিক জগতে  এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা৷ বিংশ শতাব্দিতে যে দুটি বিশ্বযুদ্ধ ঘটে গেছে তাতে এই পৃথিবীর বুকে নিয়ে এসেছে মানব সমাজের অগ্রগতিতে এক নোতুন প্রবাহ৷ মানব সমাজ সামগ্রিকভাবে অধিকতর  সচেতন হয়েছে ও এক বৃহৎ পরিবার ভুক্ত হয়েছে বিজ্ঞানের উন্নতি ও অধ্যাত্মবাদের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা ও প্রয়োগের দরুণ৷ অত্যাধুনিক  জগতে মার্গগুরু শ্রীশ্রী আনন্দমূর্ত্তিজী (মহান দার্শনিক শ্রদ্ধেয় প্রভাতরঞ্জন সরকার) পৃথিবীর বুকে সর্বরোগ হর যে আর্থসামাজিক দর্শন প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্ব দিয়েছেন সেটি যে আজকের সমাজের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কতটা প্রাসঙ্গিক

বিষাক্ত বৃত্ত

মন্ত্র আনন্দ

ভারতীয় মানুষ রাজনীতির এক বিষাক্ত বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে৷ দেশীয় পুঁজিপতিরা এই বৃত্তের কেন্দ্রে থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে৷ ১৯৩৮ সালে সুভাষচন্দ্র বসু জাতীয় কংগ্রেসের  সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর লণ্ডনে ভারতীয়  ছাত্রদের  এক সমাবেশে ভাষণ প্রসঙ্গে বলেন---‘‘দেশীয় পুঁজিপতিদের সহযোগিতায় ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শক্তি অর্জন করছে৷ এদের বিরুদ্ধেও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে৷ শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়, মানুষকে অর্থনৈতিক  স্বাধীনতাও দিতে হবে৷’’

আমরা হিন্দীর বিরুদ্ধে নই, হিন্দী-সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে

মানস দেব

আমি ও আমরা যারা রাজ্যে হিন্দী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরোধিতা করছি আমরা কেউ হিন্দী ভাষা ও হিন্দী ভাষীদের বিরুদ্ধে নই৷ আমরা হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে৷ যেমন হিন্দী বিহারকে বুদ্ধু  বানিয়ে দিয়েছে৷ মৈথিলি, ভোজপুরী, অঙ্গিকা ভাষাগুলো অনেক উন্নত হওয়া সত্ত্বেও আজ গেঁয়ো ভাষায় পরিণত হয়েছে হিন্দী আগ্রাসনের শিকার হয়ে৷  বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেও সেই একই  ষড়যন্ত্র চলছে৷ আমাদের হিন্দি বিরোধিতা এখানেই৷ তাছাড়া  আজ ভারতবর্ষে  যারা একটি বিশেষ ধর্মীয় মতবাদকে জোর করে গিলিয়ে সাম্রাজ্যবাদী  শাসন কায়েম  করতে চাইছে  হিন্দী  ভাষা  তাদের  প্রধান হাতিয়ার৷ আমার তো মনে  হয় প্রকৃত হিন্দী অনুরাগীদেরও প্রতিবাদে সরব হওয়া উচিত৷ কেন তাদে