প্রবন্ধ

গণতন্ত্র , নির্বাচন ও নৈতিকতা

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতবর্ষকে বলা হয় বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক তথা  প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র৷ আমাদের দেশের নেতানেত্রীগণ উঠতে-বসতে কথায় কথায়  ভারতীয় গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা, গণতন্ত্রের মান মর্যাদার কথা  বলেন৷ কিন্তু কোন নেতা বা নেত্রী  বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন যে  তাঁর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সত্যিকারের সম্মান রয়েছে কিংবা  তিনি গণতান্ত্রিক প্রথা পদ্ধতিকে আন্তরিকভাবে মেনে চলতে  সদা তৎপর!

লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে জনসেবার  ভাবনার দারুণ  অভাব, কেবল দলীয় স্বার্থে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দান

প্রভাত খাঁ

রাজনৈতিক দলগুলির যে সকল নির্বাচিত প্রতিনিধি লোকসভায়  বর্তমানে আছেন, তাঁদের মধ্যে যাঁরা পুনরায়  নির্বাচনে  দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের যেটা প্রধান কর্তব্য তা হ’ল, তাঁরা গত  ৫ বছরে কী কী কাজ করেছেন, তার হিসেব দেওয়া ও জয়লাভ করলে কী কী কাজ করবেন তা জানানো৷ নূতন যাঁরা দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরাও নির্বাচিত হলে কী কী কাজ করবেন তা  জানাতে হবে৷ কিন্তু এই জিনিসটা কেউ করছেন না৷ অথচ নির্বাচনী  প্রচারে  গিয়ে  এইটাই জানানো তাঁদের  প্রধান কর্তব্য৷ আর তা না করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বড়ো বড়ো  মাঠ ঘেরা হচ্ছে আর দলের  নেতা-নেত্রীগণ হাজির হয়ে বিরোধী দলের ও বিরোধী দলের প্রার্থীদের আদ্যশ্রাদ্ধ করছেন৷ জনগণের  সমস্যার কী সমাধান  ক

বাংলা নববর্ষে বাঙালীর সংকল্প

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

পা-পা ক’রে বাংলা নববর্ষ অর্র্থৎ ১লা বৈশাখ এগিয়ে এলো---বাঙালীও পেরিয়ে গেল আর একটা বছর৷ কালের নিয়মেই মাসের পর মাস ক্যালেণ্ডারের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে বঙ্গ জীবনে চৈত্রের চিতভস্ম উড়িয়ে কালবৈশাখীর তাণ্ডব যেন শুণিয়ে যায় রুদ্র বৈশাখের আগমন বার্র্ত৷ আর বাঙালী তখন গা-ঝাড়া দিয়ে গেয়ে ওঠে-‘‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’’৷ পাড়ায় পাড়ায়, ক্লাবে ক্লাবে নোতুন বছরকে বরণ করার সাড়ম্বর প্রস্তুতি৷ টেলিবিশন, রেডিওয়, বর্ষবরণের জমকালো অনুষ্ঠান, সঙ্গীত, নৃত্য, কবিতা, গল্পকথা, বৈঠকী আড্ডার বিপুল আয়োজন৷ এই দিনটাতে বাঙালী অন্ততঃ মনে- প্রাণে, সাজে-পোশাকে, চলনে-বলনে, আচার-আচারণে বাঙালী হয়ে ওঠার চেষ্টা করে৷ সকালে উঠেই স্নান সেরে

শোষণমুক্ত বিশ্ব  কোন পথে?

মন্ত্র আনন্দ

আমার কিছু শুভানুধ্যায়ী আমাকে সঙ্কীর্ণ বাঙালীয়ানা ছেড়ে ভারতীয় হবার পরামর্শ দিয়েছেন৷ আমি রাজি, কিন্তু কতকগুলি কিন্তু   আছে, তার সঠিক জবাব পেলে তবেই৷ ভারতে থেকে বাঙালী বলাটা সঙ্কীর্ণ হলে, পৃথিবীতে থেকে ভারতীয় বলাটা কি আর একটু বড় সঙ্কীর্ণতা নয়? আবার সৌরমণ্ডলের মধ্যে থেকে শুধু পৃথিবীর কথা ভাবা আর একটু বড় সঙ্কীর্ণতা৷ আবার সৌরমণ্ডল লাখ লাখ সৌরমণ্ডলের একটি৷ তাই সব সঙ্কীর্ণতা ছেড়ে আমাদের মহাবিশ্বের নাগরিক হতে হবে৷ তখন আমার শুভানুধ্যায়ী বন্ধুদেরও হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্থান বলা ছাড়তে হবে, কি রাজী?

প্রাউট-এক যুগান্তকারী সামাজিক-অর্থনৈতিক  দর্শন

মনোজ কুমার সরকার

‘‘যদা যদাহি ধর্মস্য গ্লানির্ভবতি ভারত৷

অভ্যুত্থানমধর্মস্য তদাত্মানং সৃজাম্যহম৷৷

পরিত্রাণায় সাধূনাং বিনাশায় চ দুষ্কৃতাম৷

ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে৷৷’’

এদেশের গণতন্ত্রই তো দুর্নীতির ক্যান্সারে  আক্রান্ত,লোকপাল লোকায়ুক্ত আইন  কি  সমাধান?

মুশাফির

ভারত বিরাট দেশ৷ এদেশের মানুষের  অদ্যাবধি কতটা  দুঃখ  দূর হয়েছে সেটা জনগণের  প্রতিনিধিরা  আন্তরিকতার  সঙ্গে  সমীক্ষা  না করে  ঘন ঘন নানা বিষয়ের  বিল এনে  আইনের ঘর পূর্ণ করেই চলেছেন৷  যেমন লোকপাল  বিল এদ্দিন পরে বাস্তবায়িত  হতে চলেছে৷  এটার  চিন্তা আসে সেই ১৯৬৮ সালে৷ ১৯৬৯ সালে তা পাকা  হয় কিন্তু পড়ে  থাকে  বহু বছর৷ এর মধ্যে ১৯৭৫  সালে  দেশের জরুরী  অবস্থার জারি  হয় ইন্দিরার  আসলে  তখন  গণতন্ত্রটাই  প্রায়  খতম  হয়ে যায়৷ এর বহু বছর পর  কংগ্রেসের  আমলে  কয়েকটি ধারার সংশোধন হয়৷ এতে  বলা হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি  রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী  বিলের  বাহিরে থাকবে৷ আন্নাহাজারে  সমাজকর্মী  এর বিরোধিত

এই কুৎসিত কদর্য রাজনীতি এবার বন্ধ হোক

মন্ত্র আনন্দ

নির্বাচনী প্রচার এবার এত কুৎসিত কদর্য রূপ নিয়েছে, মিথ্যাচার, রকবাজী ভাষা, ব্যষ্টি কুৎসায় এত নীচ-হীন মানসিকতার পর্যায়ে পৌঁছেছে ...... এক শ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম ও তথাকথিত সোস্যাল মিডিয়ার মানসিক বিকারগ্রস্ত দ্বিপদ জীবের সৌজন্যে৷ ভারতে ব্যষ্টি আক্রমণে এই কুংসিত মিথ্যাচারের আমদানী করে মূলত উত্তর ও পশ্চিম ভারতের নেতারা স্বাধীনতার আগেই সুভাষ চন্দ্রের বিরুদ্ধে৷

স্বপ্ণে মোড়া নির্বাচন

মিহির কুমার দত্ত

সারাদেশ জুড়ে শুরু হয়ে গেল উৎসব৷ বোট বোট উৎসব৷ সারা বৎসর ধরেই নানান উৎসবে মেতে থাকে মানুষ৷ কিন্তু এই বোট উৎসব আসে নিয়ম করে পাঁচবৎসর পর পর৷ যদিও ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত বা রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার তৈরী করার জন্যে প্রায়ই মানুষ বোট নিয়ে ভাবে অথবা বোটে সরাসরি নিজ ভূমিকা পালন করে৷ এই ২০১৯ সালে ভারতবর্ষের সংসদীয় রাজনীতির ১৭তম বোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে৷

স্বপ্ণ দিয়ে মোড়া

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, চৌকিদারি ও দেশভক্তি

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

ভারতীয় গণতন্ত্রের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় উৎসব  লোকসভার সাধারণ নির্বাচন সমুপস্থিত৷ ভারতের নির্র্বচন কমিশন পরিচালিত দীর্ঘতম বোট (ভোট) প্রক্রিয়ার (১১ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ১৯শে মে পর্যন্ত সাত দফা) শুভারম্ভ হয়ে গেছে যার পরিসমাপ্তি ঘটবে ২৩শে মে ২০১৯ তারিখে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে৷ ভারতবর্ষের আকাশে বাতাসে এখন শুধুই বোটের (ভোটের) গন্ধ, সাধারণ নাগরিকদের বোট প্রার্থীগণের সততা সম্পর্কে বিষম ধন্দ আর রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দের সিংহনাদ, আর্তনাদ, বাদ-বিসম্বাদ ও অকথা-কুকথার দ্বন্দ্ব৷ পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে-গঞ্জে,শহরে-নগরে দোরে দোরে, পথে-ঘাটে করজোড়ে দণ্ডায়মান ও ভ্রাম্যমান  বোট প্রার্থীর দল, যাঁরা অন্যান্য সময়ে সাধা