প্রবন্ধ

জগৎ

জিজ্ঞাসু

জগৎ শব্দের  মানে যা অবিরাম  দিনরাত চলে চলেছে বহমান নদীর মত৷ অণু পরমাণু থেকে গ্যালাক্সি, সর্বশক্তি সর্বপ্রাণ  মন বস্তু--- সবাই  চলে চলেছে৷ এমনকি যার  যাবার ইচ্ছে নেই, তাকেও সরে যেতে হয় এই সংসার  থেকে৷ মহাপ্রকৃতির  এটাই নিয়ম৷ এরই জন্যে  পৃথিবীর অন্য নাম জগৎ৷ যেমন ঋষি  মহাকাশ-বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং আরও  কাজ  করার ইচ্ছা থাকা সত্বেও চলে গেলেন৷ চেতনার এক উজ্বল নক্ষত্র  নিবলো এখানে৷ তার মানে অন্য কোথাও, অন্য  কোনখানে  আরেকটা ঋষি হকিং  এসে গিয়েছেন বা জন্ম  নিয়েছেন৷ নেবেনই, এছাড়া  আমাদের গতি  নেই৷ হাজার  অজ্ঞতার  অন্ধকার  সরাতে , বহুদূর  পথ চলা বাকি৷ নিজেকে চেনা বাকি, জগৎ চেনা বাকি, আমাদের  থামার অবক

বিপন্ন বাল্যকাল

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

বর্তমান পৃথিবীতে ছোট ছোট  ছেলেমেয়েদের অবস্থা সর্বাপেক্ষা সঙ্গীন৷  একেবারে শিশু অবস্থা থেকেই  তাদের জীবনে  একদিকে যেমন রয়েছে চরম অসহায়তা অন্যদিকে  তাদেরকে নিয়ে  বিভিন্ন পেশার মানুষের বহুবিধ অনৈতিক কাজকর্ম৷ শিশু জন্মানোর পর থেকেই  কখনো হয়তো মায়ের কোল ছাড়া হয়ে বিক্রি হয়ে যেতে হয় অন্য কারোর কোলে ঠাঁই পাওয়ার জন্যে  আবার কখনো  তাদের কোনো শিশুসদনে প্রতিপালন  করে বিভিন্ন রকমের অনৈতিক কাজকর্মের উপযুক্ত করে তোলা হয়৷ শুধু তাই নয়, অনেকসময়  তাদের শৈশব  অবস্থাতেই  দুশ্চরিত্র মানুষজনের পাশবিক লালসার শিকারও  হতে হয়৷ তারা না করতে পারে প্রতিবাদ--- না করতে পারে প্রতিরোধ৷ যারা ভাগ্যবান শিশু, তারাও মাতা-পিতার আ

দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও লোকপাল নিয়োগ

জনগণের সেবার জন্যেই রাজনীতি৷ আর তত্ত্বগতভাবে  গণতন্ত্র মানেও  সেই রাজনৈতিক ব্যবস্থা যে ব্যবস্থায় জনগণের দ্বারা,  জনগণের  জন্যে, জনগণের  সরকার  তৈরী হয়৷  সে অবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের  অবশ্যই  কঠোর নীতিবাদী সেবাব্রতী হতে হবে, সমস্ত  দুর্নীতি ও শোষণের  বিরুদ্ধে তাঁদের  আপোষহীন সংগ্রাম  চালিয়ে  যেতে হবে৷ এই কারণেই  সবাই গণতন্ত্রকে সমর্থন করে৷

কিন্তু, বাস্তবে  কী হয়৷ স্বাধীনতার  পর থেকে  স্বাধীন ভারতে  যতগুলি সরকার  ক্ষমতাসীন  হয়েছে, সবার বিরুদ্ধেই  ভুরি ভুরি-দুর্নীতির  অভিযোগ উঠেছে৷ নেতা-মন্ত্রী-আমলারা সবার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির  অভিযোগ৷

নির্বাচনের প্রতি মানুষের  কেন এত অনীহা এর উত্তর রাজনৈতিক দলগুলিকে দিতে হবে

প্রবীর সরকার

ভারতের লোকসভা ও বিধানসভার  আসন যখন শূন্য হয় তখন  নির্বাচন কমিশন  নির্বাচনের  মাধ্যমে শূন্য আসন পূর্ণ করে থাকেন,  এটা  তাঁর সাংবিধানিক  দায়৷ বর্তমান  মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী তাদের  সংসদীয় পদে পদত্যাগ করার ফলে ওই দুটি সংসদীয় আসনে (আসন  দুটি  হলো  যথাক্রমে  গোরক্ষপুর ও ফুলপুর) পুননির্বাচন হয় আর বিহারের আরারিয়া লোকসভা আসন শূন্য  হয় লোকসভার মাননীয় সদস্যের অকালে পরলোক গমন করার ফলে ৷

প্রসঙ্গ ঃ মূর্ত্তির সম্মান

জ্যোতিবিকাশ সিন্হা

মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের পর থেকেই একটি সংবাদে সারা দেশ তোলপাড়৷ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে পঁচিশ বছরের বাম রাজত্বের অবসান হওয়ার পর ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, রাজনৈতিক অফিস ভাঙচুড়, অগ্ণি সংযোগ ইত্যাদি অশান্তির ঘটনার সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে৷ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লেনিনের মূর্ত্তি ভাঙ্গার ঘটনা আর এই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সারা দেশে কোথাও লেনিন-মার্কস, কোথাও শ্যামাপ্রসাদ, কোথাও গান্ধী-নেহেরু বা অন্যান্য গুণীজনের মূর্ত্তিতে ছেনী-হাতুড়ীর আঘাত, কোথাও মূর্ত্তি ও ফলকে কালিলেপন আবার কোথাও গঙ্গাজল-দুগ্দামৃত দিয়ে মূর্ত্তি শোধন প্রভৃতি ঘটনাক্রমের জন্য আইন-শৃঙ্খলা

কেন্দ্রে ও রাজ্যে শাসক দলগুলির ধনীদের তোষণ ও উন্নয়নে  অদক্ষতাই  ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে  ফারাক বাড়াচ্ছে

প্রভাত খাঁ

সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতে সম্পদ-এর বন্টনের ক্ষেত্রে বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে৷ মুষ্টিমেয় কয়েকজন কোটিপতি দেশের ১৫ শতাংশ জিডিপি দখল করে রেখেছে৷ দরিদ্ররা আরও দরিদ্র হচ্ছে৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে রাজনৈতিক দলগুলি  বিত্তবানদের তোষণের নীতি গ্রহণ করার জন্য  এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে৷  বিত্তবানরা উত্তরাধিকার ও তাদের স্বীয়স্বার্থে ইচ্ছেমত সম্পদের  বিনিয়োগের ফলেই ক্রমশ বিত্তশালী হয়ে উঠেছে৷ ১৯৯১ সালে উদারীকরণ নীতি ও অন্যান্য আর্থিক সংস্কারের ফলে বিত্তবানরা  এই সুবিধাগুলি বেশী করে ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে৷

বিশ্ব নারী দিবসের প্রত্যাশা

সমাজে নারী যদি  অবহেলিত  হয়,  শোষিত  হয়,  নির্যাতিত  হয়,  যা  আজকে  হচ্ছেও,  এ  অবস্থায় সমাজের প্রকৃত প্রগতি  হতে  পারে  না৷ নারী  পুরুষের  জননী৷  এই  সত্য  মদগর্বী  কিছু  পুরুষ  ভুলে  যায়  ও  নারীর  ওপর  নির্যাতন  চালায়৷ সমাজে নারী ও পুরুষ পাখীর  দুটি  ডানার  মতো৷ একটা ডানা  যদি  পঙ্গু হয়,  তা  হলে একটিমাত্র  ডানা  দিয়ে  পাখী  উড়তে  পারে  না৷ 

বর্তমানে বিভিন্ন  স্থানে,  কিছু  পশুস্বভাবযুক্ত  পুরুষ  যেভাবে  মেয়েদের ওপর  পাশবিক  নির্যাতন  চালাচ্ছে  তা  মানব  সভ্যতার  মুখে  চরমভাবে  কালি  লেপন  করছে৷

জনগণ সাবধান!!

পি. এন. এ.

ইন্দো আমেরিকান হসপিটাল I.A.H) ও দক্ষিণ ডানকোটা (ইউ এস এ) -এর চেয়ারম্যান ও  সি. এম. ও ডঃ অঞ্জলি মাথুর সহ একদল গবেষক ডাক্তার মিলে জনস্বার্থে নিম্নলিখিত এই তথ্যটি প্রচার করেছেন৷

গণতন্ত্রের স্বার্থেই লোকপাল  নিয়োগ আবশ্যিক

প্রভাত খাঁ

গত ৭০ বছর আগে  মহান দেশ ভারতবর্ষকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভাগ  করে নিছক রাজনৈতিক স্বাধীনতা পেতে সাম্রাজ্যবাদী  শক্তি সাহায্য করায় আমরা রক্তাক্ত দেশ জননীকে পাই৷ এতোদিন ধরে  বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দেশকে শাসন করে আসছে ৷ তারমধ্যে কত যে ঘটনা ঘটে গেছে হিসাব নেই৷  এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের দলগুলির যে কত রূপ দেখেছি তাও এক  বিস্ময়কর৷ রাজনৈতিক ক্ষমতা লাভের জন্য কতো দল ঢং করে বিরোধী দলে  ঢুকে বন্ধু সেজেছে তাও এক মহাভারত৷  কংগ্রেসের মিলিজুলি সরকার গত ২০১৩ সালে শেষের মূহূর্তে লোকপাল ও লোকায়ুক্ত আইন পাশ করে  কিন্তু  এখনও  পর্য্যন্ত লোকপাল গঠন হয় নি৷ গত ২০১৭তে উল্টে মোদি সরকার  বিজেপি শাসিত এই আইন সংশোধনের

বিশ্বরূপ

জিজ্ঞাসু

মানবদেহে Cell  বিষয়ে সর্বাধুনিক  খবর৷ যন্ত্র যত উন্নত সূক্ষ্ম হচ্ছে, শক্তিশালী হচ্ছে, Cell-এর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে৷ একটা Adult  মানবদেহে Cell সংখ্যা কমবেশি ৫০ ট্রিলিয়ন, মানে ৫০,০০০,০০০,০০০,০০০ (পঞ্চাশের পর ১২টি শূন্য)৷ কত বড়  এই সংখ্যা!! এক সেকেণ্ডে এক--- এইভাবে  নিরন্তর দিনরাত গুণে গেলে ৫০ ট্রিলিয়ন সেকেণ্ড লাগবে৷ মানে ১৬ লক্ষ, ৭হাজার, ৫১০ বছর !! শুধুমাত্র একটি  মানবদেহের Cell  গুণতে  এত বছর! এরপরে  ওই Cell - এর মধ্যে আছে লক্ষ লক্ষ অণু পরমাণু, কোটি অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণা৷ সেসব জুড়লে  হয়তো  একটি মানবদেহ অণু-পরমাণু-কণা গুনতে কোটি কোটি বছর  লাগবে৷  কি বিশাল এই স্থূল মানবদেহ!!