বিজ্ঞান দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছেএগিয়েই চলেছে,এগিয়ে যাবেও বিজ্ঞানের নিন্দা করে কেউ তার অগ্রগতি রোধ করতে পারবে না যে সে ধরণের চেষ্টা করতে যাবে সে নিজেই পেছিয়ে পড়বে---বর্তমান জগৎ থেকে বাতিল হয়ে যাবে মানুষ৷ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মানুষের আয়ুকে অবশ্যই দীর্ঘায়িত করতে পারবে৷ বিশেষ ক্ষেত্রে মৃতদেহে প্রাণ-সঞ্চারও করতে পারবে৷ বিজ্ঞানের সে সুদিনকে ত্বরান্বিত করবার প্রচেষ্টা অবশ্যই জীবসেবার একটা অঙ্গ ৷একদিন বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারেই মানুষ মানব-শিশুকে তৈরী করতে শিখবে৷ তখন হয়তো অর্ডার দিয়েই মানুষ নিজের অর্ডার মত পছন্দ মত সন্তান পাবে৷ সেই গবেষণাগার-শিশুরা (laboratory babies) আজকের মানুষের চাইতে বুদ্ধিবৃত্তিতে সাধনায় অধ্যাত্মসম্পদে কেনইবা পেছিয়ে থাকবে! আজকের বিজ্ঞান-বিরোধীরা বলে থাকে মানুষ জীবিত বস্তু তৈরী করুক দেখি! সেদিনকার মানুষ তা তৈরী করে মুখের মত জবাব দেবে৷ প্রজ্ঞার বিকাশ সে কালের মানুষকে অধিকতর অধ্যাত্মভাবাপন্ন করে তুলবে৷ সগুর্ণ্রহ্ম আজ প্রত্যক্ষভাবে যে কাজ করে চলেছে, পৃথিবীতে তাঁর সেই কাজের অধিক থেকে অধিকতর অংশ ক্রমশঃ মানবীয় আধারের মাধ্যমে হতে থাকবে৷ তখনকার দিনে মানবদেহের প্রজননশক্তি ধীরেধীরে লোপ পেয়ে যাবে৷
আজকের সমস্যা বই থেকে