গণতন্ত্রে সকলেরই মতামত দান করার অধিকার আছে এটাই আইনসিদ্ধ৷ বর্ত্তমানে এই কথাটাই প্রবাদবাক্যের মতো হয়ে গেছে৷ ভারতের গণতান্ত্রিক অধিকারটির জন্য শুধু বর্ত্তমানে ১৮ বছর বয়স হলেই বোট দানের অধিকার পাওয়া যায়৷ তবে প্রার্থী হতে হলে আরো কিছু বছর অপেক্ষা করতে হয়৷ কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় দেশকে চিনতে জানতে ও জনসেবায় যুক্ত হতে হয় অর্থাৎ জনসংযোগ কিছুটা দরকার হয়৷ কারণ রাজনৈতিক নেতা আকাশ থেকে তো পড়ে না৷ তাই বাস্তবের মাটিতে যিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন তাঁকে কিছুটা জনগণের অভাব অভিযোগ জানতে হয় ও সেবার দ্বারা কিছু জনসেবা করে পরিচিত হতে হয়৷ অতীতের নেতাদের দেখা গেছে প্রচণ্ড জনসংযোগ ছিল নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে মানুষের সঙ্গে পরিচয় ছিল৷ তাই তাঁদের জন দরদী হিসাবে চিনতো ও শ্রদ্ধা করতো৷ তাই প্রথম দিকে অধিকাংশ ব্যষ্টি যাঁরা এই রাজনীতির পথে আসতেন তাঁরা দেশ সেবক হিসাবে পরিচিত হতেন৷
অত্যন্ত দুঃখের কথা তেমন দেশ সেবক আজ আর চোখে প্রায় দেখা যায় না৷ এর কারণ অনেক, সেগুলির ব্যাখ্যা এখানে দরকার নেই বলে মনে করি,সেটা সবাইয়ের কিছু না কিছু জানা৷
আজ যাঁরা দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে ভারত কে দেখছেন তাঁরা স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হয়ে তাঁরা নির্বাচনে বোট দিয়ে নির্বাচিত করেন প্রার্থীদের৷ তাঁরাই দেশ শাসন করেন জনপ্রতিনিধি হিসাবে একটি সংবিধানের নিদ্দের্শ মতাবেক৷
আর রাজনৈতিক একাধিক দলও স্বাধীন দেশের নাগরিকগণ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিজয়ী হয়ে সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষ হিসাবে আলোচনার মাধ্যমে দেশ শাসন একটি বিশেষ সময়ের জন্য৷ আর পাঁচ বছর অন্তর নির্র্বচন হয়৷ যে রাজনৈতিক দলগুলি রেজিস্ট্রাড্ ও স্বীকৃত সেইগুলি প্রার্থী দেন নিজ নিজ দলের প্রতিকে ও নির্দলরাও প্রার্থী হয়ে নির্র্বচনে লড়তে পারেন নির্র্বচন কমিশনের অধীনে৷
বর্তমানে দলগুলি যাঁদের দাঁড় করান, তাঁদের অনেককেই বোটারগণ চেনেন না, দল নানাভাবে তাঁদের পরিচিত করেছেন৷ তাঁদের প্রার্থী হিসাবে জনগণ যেমন যাঁকে মনে করেন তাঁকে বোট দান করেন গোপন ব্যালটে৷ আজ এখানেই যত প্রশ্ণ৷ তবে এই বোট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের যতোটা বেশী--- হইচই, হট্টোগোল হয় ভারতেরমনে হয় অন্যরাজ্যে ততটা হইচই হট্টোগোল চোখে পড়ে না৷ এখানে এমন কিছু ঘটে যাতে রাজ্যের জনগণ বিশেষ করে বয়স্ক শান্ত তাঁরা অত্যন্ত বিরক্ত বোধ করেন আতঙ্কগ্রস্ত হন,এমনকি রাজনৈতিক দলাদলি, দলভাঙ্গাভাঙী, ঠিক নির্বাচনে দু’একমাস আগে দল ত্যাগ করে অন্য দলে যাওয়া, দলছেড়ে যাওয়া, দলের বিরুদ্ধে কুৎসিত ভাষা প্রয়োগ ও হুমকী দেওয়া, তার প্রত্যুত্তরে দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে অশোভন ভাষা প্রয়োগ ইত্যাদিতে মুখিয়ে থাকা টিভি ও সংবাদপত্রগুলিতে নানা ধরণের সংবাদ প্রচার এমনকি দলে দলে রাস্তায় মারামারি ইত্যাদি সারা রাজ্যের মানুষ যেন ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকেন৷ তাই ঘটছে এই সময়৷
রাজ্যবাসী সচেতন হোন ও গুরুত্বপূর্ণ বোটটি যেন অনেকভেবে চিন্তে সমগ্র বাংলা ও বাঙালীকে রক্ষায় যেন কাজে লাগানো হয়৷
স্মরণে থাকা খুবই দরকার সেটা হলো সবাই রাজনীতিতে এসে রাজনৈতিক নেতা হতে পারে না তার মধ্যে সেবা, ত্যাগ নিষ্ঠা ও সততার সবের্বাপরি নব্যমানবতার পবিত্রতম বাস্তবধর্মী আবেগ থাকাটা সর্বাগ্রে জরুরী৷
দেখা গেল দীর্ঘবছর ধরে যাঁরা দেশ শাসনে এসেছেন তাঁরা প্রায় সকলেই ব্যর্থ হয়েছেন মানবিকমূল্যবোধের দারুণ অভাবের জন্য৷ অনেককেই সেবার নামে দেশের হতদরিদ্রদের দারুণভাবেই শোষন করে চলেছেন৷ যিনি বা যাঁরা কিছু করতে চাইছেন বা করছেন তাঁদের নির্মূল করার ষড়যন্ত্রে আজ লিপ্ত হয়েছে ধান্দাবাজরা রাজনীতির নামাবলি গাঁয়ে চাপিয়ে৷ পশ্চিম বাঙলার জনগণ যেন ধান্দাবাজদের জালে আটকে না যান৷
- Log in to post comments