গণতন্ত্রের বেদীতে দানবীয় হুংকার

লেখক
মনোজ দেব

ভারতবর্ষ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ৷ এ কথা গর্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়৷ কিন্তু এক শ্রেণীর নেতাদের আচরণে কথাবার্র্তয় দানবীয় স্বৈরাতন্ত্রের ছাপ৷ স্বাধীনতার পূর্বে এই লক্ষ্মণ দেখা দিয়েছিল জাতীয় কংগ্রেসের গান্ধী গোষ্ঠীর মধ্যে৷ গান্ধী সুভাষ দ্বন্দ্বের সময় গান্ধী গোষ্ঠী গান্ধীকে হিটলার স্ট্যালিনের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন৷ হিটলার স্ট্যালিন দুজনেই ছিলেন স্বৈরাচারী একনায়ক তান্ত্রিক৷ সেই স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ পরাধীন ভারতে সেদিনই প্রস্ফুটিত হয়েছিল৷ তারই পরিনামে সুভাষচন্দ্রের কংগ্রেস ত্যাগ, দেশত্যাগ, দেশভাগ ও স্বাধীনতার প্রহসন৷

তবুও সেই স্বাধীন ভারত ৭৭ বছর পার করে দিল৷ কিন্তু মানুষ স্বাধীন হলো কই! স্বাধীনতার প্রধান দুই সর্ত জনগণের সামাজিক আর্থিকও ধর্মাচরণের অধিকার ও নিরাপত্তা৷ অধিকার সংবিধান স্বীকৃত হলেও বহুলাংশে শাসকের দয়ার উপর নির্ভর করতে হয়, নতুবা হুমকির মুখে পড়তে হয়৷ সম্প্রতি কেন্দ্রীয় শাসক দলের বঙ্গীয় নেতা হুমকি দিচ্ছে এক সম্প্রদায়কে বিধানসভা থেকে চ্যাংদোলা করে বার করে দেবে৷ আর এক নেতা অশালীন ভাষা ব্যবহার করে আবার বড় গলা করে বলে--- বেশ করেছি বলেছি৷ এটাই হাস্যকর ব্যাপার,বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশে প্রধান শাসক দলের নেতাদেরই গণতন্ত্রের পাঠ নেই৷ অনেক সময় কথাবার্র্ত শুণে মনে হয় দেশটা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি৷

সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরাচারের সম্পৃক্ত শাসনে শুধু জনগণ নয়, গণতন্ত্রের স্তম্ভ বিচার বিভাগ, সংবাদ মাধ্যম আতঙ্কিত, ভীত ও সন্ত্রস্ত৷

স্বাধীনতার এত বছর পরেও সামাজিক আর্থিক উন্নয়ন চোখে পড়ার মত নয়৷ এখনও জনগণের এক বৃহত অংশ সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতন নয়৷ জনগণকে অচেতন রেখে গণতন্ত্রের মুখোশ পরে ভারত রাষ্ট্রের ঘাড়ে চেপে বসেছে স্বৈরাচারী সাম্প্রদায়িক শক্তি৷

এর থেকে মুক্তির একটাই পথ---মহান দার্শনিক ঋষি শ্রীপ্রভাতরঞ্জন সরকারের সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব প্রগতিশীল উপযোগ তত্ত্বের (প্রাউট) বাস্তবায়ন৷ এই সামাজিক অর্থনৈতিক তত্ত্ব শুধু মানুষের জন্যে নয়--- সকল মানুষ, পশু-পক্ষী-উদ্ভিদ জগৎকে সর্ব অস্তিত্বের সার্বিক বিকাশ ঘটাতে ও দানবীয় শক্তির বিনাস করে সর্বগ্লাণিমুক্ত সর্ব কলুষমুক্ত সর্ব শোষণমুক্ত এক মানব সমাজ ঘটন করবে৷