আপেক্ষিক জগতে এমনও দেখা যায় আজ যা ভাল হয়তো কাল তা মন্দ হয়, আবার আজ মন্দ তা কাল ধর্মে শুভকে আহ্বান দেয়৷ তাই কিন্তু বর্ত্তমানে যেটিকে আমরা শুভ বলে গ্রহণ করতে চলেছি সেটি হয়তো বর্তমানে এমন প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে সেটি সর্বগ্রাসী শাসকদের পক্ষে খুবই সুবিধা জনক৷ তাকে না ভাঙতে পারলে আখেরে সারা দেশটির চরম ক্ষতি হয়ে যাবে৷ তাই ধণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যে ডিভাইড্ এ্যণ্ড রুল নীতি নিয়ে চলেছিল পরবর্তী দেশ ভাগ স্বাধীনতার পর সেই ডিভাইড এ্যণ্ড রুল নীতিকে হাতিয়ার করে চলছে কোন উপায় না দেখে৷ সেখানে অতীতে যাঁরা স্বাধীনতার আন্দোলনে নামেন তাঁরা হয়তো সেই নীতিকে উৎখাত করতে আন্দোলন করেন কিন্তু ইংরেজের কূটচালে তা হয়ে ওঠেনি৷ উদাহরণ স্বরূপ বলা যে ইংরেজ সরকার অখণ্ড ভারতে যে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন তার বিরুদ্ধেই লড়াই করতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল বাঙলা৷ চতুর ইংরেজ সেই বৃহত্তম অখণ্ড বাঙলাকে দুর্বল করতে বেশ কিছু এলাকা বিহারে, কিছু অসমে ও কিছু ঊড়িষ্যার সঙ্গে যুক্ত করে দেয়৷ কংগ্রেস সেইসময় ঘোষণা করে ছিলেন বাঙলা অংশগুলিকে বাঙলাকে ফেরৎ দেওয়া হবে কিন্তু দেশকে টুকরো করে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতেই ভাগ করা কংগ্রেস সরকার সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি৷ আজ ৭৫ বছর ধরে এক খণ্ডভূমি পশ্চিম বাঙলা নামে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রচিহ্ণিত হয়েছে তাতে জনবহুল পশ্চিম বাঙলা অত্যন্ত সমস্যার মধ্যে রয়েছে৷ তাছাড়া যে যে এলাকা অসম, বিহার, ঊড়িষ্যায় বাংলাভাষী এলাকাযুক্ত করা হয় সেখানকার বাঙালী জনগোষ্ঠীরা নানাভাবে উৎপীড়িত হচ্ছেন, তাঁদের সন্তানগণ মাতৃভাষায় পড়াশুনা করতে পারে না এমনকি জোর করে তাদের সেই এলাকার স্থানীয় ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া হয়৷ তাতে তারা বাঙালীত্বটাই ভুলে গেছে৷ তাছাড়া অতীতের বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতিটাই নিশ্চিহ্ণ হতে বসেছে৷ জহরলালের সময় রাজ্য পূর্ণঘটন কিছুটা হয়৷ কিন্তু তাতে বাঙলার কোন লাভ হয়নি৷ বাঙালী জনগোষ্ঠী নিজেদের পায়ে দাঁড়াক ও হৃত গৌরব ফিরে পাক সেটাও কংগ্রেস কোনদিন চায়নি৷
বর্তমান কেন্দ্র সরকারের কথা ছেড়েই দিলাম৷ কারণ তারা তো সাম্প্রদায়িক দল৷ যে জনগোষ্ঠী জীবন মরণপন করে স্বাধীনতা সংগ্রাম করে ভারতবর্ষকে বিদেশী শাসকের হাত থেকে মুক্ত করে সেই বাঙালী জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশী শোষিত ও বঞ্চিত হচ্ছে ও অত্যাচারিত হচ্ছে অদ্যাবধি৷ বিশেষ করে পূর্বভারতে৷ আজ সেই বাঙালী জনগোষ্ঠী প্রায় রক্তশূন্য হয়ে পড়েছে নানা ষড়যন্ত্রে এই ভারত যুক্তরাষ্ট্রে৷ তাই বলি সম্প্রতি পশ্চিমবাঙলার নাম বাংলা হওয়ার দাবীকে আমরা বাঙালী অগ্রাহ্য করেছে ও প্রতিবাদ করেছে৷ কারণ বিচ্ছিন্ন অংশগুলিকে যদি ফিরৎ না পায় পশ্চিম বাংলা তাহলে বাঙালী নিজের বাংলা ভাষা কৃষ্টি সংস্কৃতি চিরতরে ভুলে যাবে৷ জনগোষ্ঠীর পশ্চিম বাংলার রাজ্য সরকার ও পশ্চিম বাংলার সংঘবদ্ধ বাঙালীদের উচিত পার্শ্ববর্তী রাজ্যের বাঙলার অংশ পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করার দাবীতে সরব হওয়া৷
এই পশ্চিম বাঙলায় অন্য রাজ্যের বাসিন্দারা যে সুযোগ পায়, অন্য রাজ্যের সরকার যে সুযোগ দেয় না৷ অসমে ডিটেনশন ক্যাম্প করে বাঙালীদের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে! স্বাধীন! গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এই ভারতে এই সবের কোন
- Log in to post comments